বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো জানতে চোখ রাখুন

সুপ্রিয় পাঠক, বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো আপনি কি জানতে চান ? তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো। 

তাহলে চলুন বন্ধুরা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেই যে বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো এবং সেই সাথে আমরা ভালো মানের গিজার কোনটি সেটাও আমরা জানার চেষ্টা করব।

গিজার কত প্রকার:

বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো জানতে গিজার কি এবং কত প্রকার তা আমাদের জানা দরকার।Geyser (গিজার) শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো উষ্ণ প্রস্রবণ। কিন্তু বাংলায় সহজ ভাষায় গিজার বলতে আমরা পানি গরম করার যন্ত্র কে বুঝে থাকি। এই যন্ত্রটি সাধারণত বাথরুমের পানির লাইনের সাথে সংযুক্ত করা হয় এবং বিদ্যুতের দ্বারা এটি চলে।

আরো পড়ুন: ডিজেল চালিত জেনারেটর দাম কত জানতে চোখ রাখুন

এছাড়া এ যন্ত্রটি একটি বৈদ্যুতিক সুইচের মাধ্যমে চালু করা যায় এবং বন্ধ করা যায়।সুইচ অন করার অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই টাংকিতে থাকা পানি গরম হয়ে যায় এবং কল ছাড়ার সাথে সাথেই গরম পানি বাহির হয়। টাংকির পানি যখন শেষ হয়ে যায় তখন বাথরুমের পানির লাইন থেকে অটোমেটিক ভাবে তা আবার ভর্তি হয়ে যায়। 

এভাবেই এই গীজারটির মাধ্যমে সুইচ অন করে সারাদিন উষ্ণ গরম পানি ব্যবহার করতে পারা যায়। বাজারে কয়েক রকমের গিজার পাওয়া যায়। সেগুলো মধ্যে তিন ধরনের গিজার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এবং তা বর্তমানে বাজারে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে। 

১)গ্যাস গিজার 

২)বৈদ্যুতিক গিজার 

৩)সৌর শক্তি চালিত গিজার

গ্যাস গিজার- এলপিজি গ্যাস এর ব্যবহারের মাধ্যমে যে গিজার চালানো হয় সেটা হচ্ছে গ্যাস গিজার এবং এই গ্যাস ব্যবহারের সাহায্যে গিজারে পানি গরম হয়।এগুলোর সাথে একটি বড়সড় পানির ট্যাংকি থাকে। যেহেতু গ্যাস গিজারে এলপিজি গ্যাস ব্যবহার করা হয়, তাই গিজার বিদ্যুৎ সংযোগ ও ব্যবহার করার প্রয়োজন হয় না।

বৈদ্যুতিক গিজার-বিদ্যুৎ ব্যবহারের মাধ্যমে যে গিজার পরিচালিত হয়ে থাকে সেটা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গিজার।বৈদ্যুতিক গিজার আমাদের দেশে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং প্রচুর পরিমাণে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই গিজারে পানি গরম করার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় এবং এটি বিদ্যুতের খরচ অনেকটাই সাশ্রয়ী হয়। অন্যান্য গিজারের চেয়ে বৈদ্যুতিক গিজারে খুব দ্রুত পানি গরম হয় এবং বাথরুমে সেটা ব্যবহার করা যায়।

সৌর শক্তি চালিত গিজার-সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যে গিজার পরিচালনা করা হয় সেটা হচ্ছে সৌর শক্তি চালিত গিজার। শীতকালে অথবা ঠান্ডা আবহাওয়ার সময় ঠান্ডা পানি গরম করার লক্ষ্যে গিজার চালানোর জন্য সৌরশক্তি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পানি গরম করার জন্য এই পদ্ধতিটি সবচেয়ে নিরাপদ এবং লাভজনক। সৌর শক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গিজার চালালে বিদ্যুৎ খরচ প্রায় ৬০% পর্যন্ত কমে যেতে পারে।

গিজার কি ঝুঁকিপূর্ণ ?

বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো তা জানার আগে আমাদের জানা দরকার যে গিজার ব্যবহারে কোন ক্ষতি আছে কিনা বা কোন ঝুঁকি আছে কিনা। শীতকালে গরম পানিতে গোসল করার জন্য অথবা অন্যান্য কাজে ব্যবহার করার জন্য গিজার সাধারণভাবে বেশি ব্যবহৃত হয়। কিন্তু এটা আমাদের স্মরণ রাখতে হবে যে সামান্য ভুলের কারণে ভয়ংকর ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে। 

তাই গিজার ব্যবহার করার সময় খুবই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। মাঝেমধ্যেই শোনা যায় যে গিজার অনেক বিকট সব দেয় ফেটে যায় বা বাষ্ট হয়ে যায় এ ধরনের বিপদ থেকে বাঁচতে কিছু বিষয় আমাদের মাথায় রাখা উচিত। 

সব সময় গিজারের সুইচ অন করে রাখা উচিত নয়। এটা ব্যবহারের পরে অবশ্যই বন্ধ করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময় দেখা যায় অটো কাট সাপোর্টের জন্য অনেকেই এটা বন্ধ করে না। এজন্য ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয় এবং  গিজার বিস্ফোরণ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।এই ধরনের পরিস্থিতিতে এটি অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে।

আরো পড়ুন: ভালো মানের সেলাই মেশিনের দাম কত জানতে চোখ রাখুন

 মাঝে মাঝেই গিজারের ওয়ারিং চেক করা দরকার।স্পার্কিং এর কারণে এটি ক্ষতির সম্ভাবনা হতে পারে। গিজারের জন্য বৈদ্যুতিক তার গুলি প্রচুর পরিমাণে লোড হয়ে থাকে। সুতরাং ওয়ারিং তারগুলো মাঝে মাঝে চেক করে নিলে ক্ষতির সম্ভাবনা অনেক কম হবে। 

গিজার যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে এটা মেরামত করাও একটি ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যদি আপনার গিজারটি নষ্ট হয়ে যায় বা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে একটি নতুন গিজার ইন্সটল করার চেষ্টা করতে হবে।

বৈদ্যুতিক গিজার চালু থাকা অবস্থায় যদি এটা থেকে ধোঁয়া বের হয় তাহলে গোসল করা ব্যক্তির পক্ষে বিপদজনক হতে পারে। গিজারে যদি কোন ধোঁয়া ওঠে তাহলে এটি হচ্ছে একটা ত্রুটির কারণ। যেমন অতিরিক্ত গরম হওয়া বৈদ্যুতিক সমস্যা বা আগুনের ঝুঁকি হতে পারে।

গিজার যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় তাহলে বৈদ্যুতিক শর্ট-সার্কিট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। বিশেষ করে বাথরুমে ভেজা অবস্থায় বা ভেজা পরিবেশে বিদ্যুৎ এবং পানির সংমিশ্রণে মারাত্মকভাবে বৈদ্যুতিক সমস্যা হতে পারে।

গিজার যদি ত্রুটিপূর্ণ হয় অর্থাৎ গিজারের যদি ধোঁয়া বের হয় তাহলে গিজারের ভিতরে অতিরিক্ত গরম জলন্ত উপাদান গুলি আগুনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

সুতরাং উপরের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটা বলা যেতে পারে যে গিজারে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে একটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে।তাই তাৎক্ষণিকভাবে এটার ব্যবস্থা নিতে হবে। আপনি যদি গিজারে কোন ত্রুটি বা ধোঁয়া লক্ষ্য করে থাকেন তাহলে  গিজারটি খুব তাড়াতাড়ি বন্ধ করে ফেলুন এবং গিজারটি অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা পরীক্ষা করান। 

আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার অথবা খালি করে ফেলুন। এটি মেরামতের জন্য একজন যোগ্য টেকনিশিয়ান এর সাথে যোগাযোগ করুন।

ভালো মানের গিজার কোনটি: 

এ পর্যায়ে আমরা ভালো মানের গিজার কোনটি বা কি কি তা আলোচনা করার চেষ্টা করব এবং এর পাশাপাশি বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো তার সঠিক তথ্য আপনাদের সাথে তুলে ধরার জন্য চেষ্টা করব। একটি ভালো মানের গিজার কিনতে হলে আপনাকে পরিবারের সদস্য সংখ্যা মাথায় রেখে বা পরিবারের সদস্য সংখ্যার উপর ভিত্তি করে তা কিনতে হবে। 

যেমন- চার জনের পরিবারের জন্য ২৫ থেকে ৩৫ লিটার লিটার হলে যথেষ্ট এটি গোসলের কমপক্ষে আট থেকে দশ মিনিট আগে গেজার চালু করে নিতে হয়। গিজার হচ্ছে এমন একটি যন্ত্র যা প্রতিদিন বা সব সময় কেনার প্রয়োজন হয় না। তাই টেকসই মজবুত গিজারের জন্য অনেকেই ভালো গিজার যাচাই বাছাই করে কেনার বিষয়টি জানেনা। 

ব্রান্ডের গিজার- 

সাধারণত শীতকালে গরম পানিতে গোসল করা এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করার জন্য মানুষ দীর্ঘ সময় ব্যবহার করার জন্য কেনার আগে দেখে শুনে ভালো ব্রান্ডের গিজার কিনতে চায়। কারণ আপনি টাকা খরচ করে একটি জিনিস কিনবেন সেটা যদি ভালই না হয় তাহলে তো কোন লাভ হবে না। 

এইজন্য আপনার একটু টাকা বেশি খরচ হলেও ভালো ব্রান্ডের গিজার কেনা উচিত। ভাল ব্রান্ডের গিজার না কিনলে দেখা যায় অনেক সময় সেটা সমস্যা দেখা যায় এবং তা ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।

বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গিজার

আপনি যদি একটি ভালো মানের গিজার কিনে থাকেন বা ভাল ব্রান্ডের গিজার কিনে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে সেটাতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হবে। একটি গিজার বিদ্যুতের সাহায্যে পানি গরম হয়ে থাকে। সেজন্য বিদ্যুৎ খরচ যাতে বেশি না হয় সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। 

এ তাছাড়া দেখা যাবে যে সবকিছু ঠিক থাকার পরেও মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল বেশি গুনতে হবে।তাই বাজারে ভালো করে যাচাই-বাছাই করে ভালো ব্রান্ডের গিজার কিনতে হবে যাতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়। 

সেরা মানের গিজার-

আপনি যদি ব্যাচেলর বাসায় গিজার ব্যবহার করতে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে ইনস্ট্যান্ট গিজার সবচেয়ে ভালো। আর যদি আপনার নিজের বাড়ি হয় এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যা বেশি হয় সে ক্ষেত্রে আপনার জন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী গিজার উপযুক্ত।

এরিস্টন গিজার-বাংলাদেশের বাজারে দেশীয় ব্র্যান্ডের মধ্যে এরিস্টন গিজার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটি গুণে মানে অনেক ভালো। গিজারের দাম সাধারণত আকার ভেদে কমবেশি হয়ে থাকে। এটি ১৩ হাজার টাকা থেকে ১৮০০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। 

ওয়ালটন গিজার-দেশীয় ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানির গিজার গুলোর মধ্যে ওয়ালটন গিজার সবচেয়ে সেরা মানের একটি ব্রান্ড ।এটির গুণগত মান অনেক ভালো এবং দামে সাশ্রয়ী। এই কোম্পানির গিজারের দাম ৪ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। তাই আপনি চাইলে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের গিজারটি আপনি আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।

গাজী গিজার- বাংলাদেশী পণ্যের মধ্যে গাজী ব্রান্ডের পণ্য আরও একটি সুনাম ধন্য এবং সুপরিচিত ব্রান্ড। নানা ধরনের ক্ষমতা সম্পন্ন এবং আকর্ষণীয় গিজারের জন্য বাজারে গাজী গিজারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই কোম্পানির গিজারের দাম অনেক কম। ৮৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৩ ৬০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের গাজী কোম্পানির গিজার পাওয়া যাচ্ছে। আপনি চাইলে আপনি এটি কিনে ব্যবহার করতে পারেন।

আরএফএল গিজার- আর এফ এল গিজার বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে সেরা মানের এটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ আরএফএল কোম্পানি ব্র্যান্ডে সম্পর্কে জানে যে আরএফএল কোম্পানি ভালো। আরএফএল কোম্পানির যেকোনো পণ্যই একটি বিশ্বস্ত বা বিশেষ এক আস্থার প্রতিক। 

আরএফএল এর গিজার গুনে মানে টেকসই এবং নিরাপত্তা জনিত কারণে বাংলাদেশের বাজারে বেশ জনপ্রিয়। এটির ধারণ ক্ষমতার ভিত্তি করে দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে। ৩২০০ টাকা থেকে ১৬০০০ টাকার মধ্যে আরএফএল কোম্পানির গিজার পাওয়া যাচ্ছে। তাই আপনি নিশ্চিন্তে এই ব্র্যান্ডের গিজার আপনার ব্যবহারের জন্য কিনতে পারেন। 

ভিশন গিজার-অন্যান্য ব্রান্ডের মত ভিশন কোম্পানিও ইলেকট্রনিক্সের বাজারে নিজেদের অবস্থান অনেকটাই চাঙ্গা করে নিয়েছে।এই কোম্পানির তৈরি গিজারও এখন বাজারে গুণগত মানের কারণে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ৮ হাজার টাকা থেকে ৯ হাজার টাকার মধ্যে ভিশন কোম্পানির গিজার পাওয়া যাচ্ছে।

উপরোক্ত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের গিজার গুলো ছাড়াও বাজারে আরো অনেক কোম্পানির গিজার রয়েছে। আপনি চাইলে সেগুলোও যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারেন এবং যদি আপনার পছন্দ হয় তাহলে সেটাও ক্রয় করতে পারেন।

বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো: 

এ পর্যায়ে আমরা আপনাদের সাথে বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো অর্থাৎ বাথরুমে শীতের দিনে গরম পানি দিয়ে গোসল করা এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করার জন্য কোন গিজার ভালো তা আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। শীতের দিনে বিশেষ করে বৃদ্ধ মানুষের এবং শিশুদের জন্য গরম পানিতে গোসল করা খুবই জরুরী। 

আরো পড়ুন: পানির ট্যাঙ্ক এর দাম ২০২৪ কত জেনে নিন 

এছাড়াও প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও প্রচন্ড শীতে ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করা এবং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা খুবই মুশকিলের ব্যাপার। তাই গরম পানিতে গোসল করার জন্য বা অন্যান্য কাজে গরম পানি ব্যবহার করার জন্য বাংলাদেশে কোন ব্র্যান্ডের গিজার ভালো তা আমাদের সকলেরই জানা উচিত। 

কারণ বাথরুমে ব্যবহারের জন্য ভালো ব্র্যান্ডের গিজার না কিনলে যেনো তেনো কিনলে এটি বড় ধরনের ঝুঁকির সম্ভাবনা থাকে। তাই নিম্নে কিছু ভালো মানের গিজার অর্থাৎ বাংলাদেশের ব্যবহারে উপযোগী হতে পারে এমন কিছু গিজারের নাম উল্লেখ করলাম-

শামীম গিজার-শামীম গিজার ৪৫ বছরের বেশি সময় ধরে অভিজ্ঞতা নিয়ে তৈরি করা হচ্ছে। বাংলাদেশের একটি জনপ্রিয় ওয়াটার হিটার হচ্ছে শামীম গিজার। স্বয়ংক্রিয় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা এবং ফাইবার গ্লাস ইন্সুলেশন প্রযুক্তিতে তৈরি। তাই দীর্ঘ সময় ধরে পানি গরম রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।এই কোম্পানির গিজারে বিভিন্ন মডেল রয়েছে। 

যেমন-৩০ লিটার, ৪৫ লিটার, ৫০ লিটার ইত্যাদি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন গিজার রয়েছে। সাধারণত শামীম গিজার ৬৫০০ টাকা থেকে ১৬০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই আপনি ঠান্ডা পানি থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য ভালো মানের গিজারটি ক্রয় করতে পারেন।

হায়ার গিজার-বাংলাদেশের পরিবারে হায়ার গিজার বাথরুমে কিংবা রান্নাঘরের নির্ভরযোগ্য চাহিদা সম্পন্ন একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। এটি চাইনিজ কোম্পানি হলেও বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই কোম্পানির গিজারটি ১৫ লিটার, ২৫ লিটার, ৫০ লিটার ইত্যাদি ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। 

মোটামুটি ভাবে সকল মানুষেরই তা পছন্দ।এটির দাম ১২ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। সুতরাং আপনি চাইলে এই কোম্পানির গিজারটি আপনার প্রয়োজনীয়তা অনুসারে ব্যবহার করতে পারেন।

গাজী গিজার- বাংলাদেশী পণ্যের মধ্যে গাজী ব্রান্ডের পণ্য আরও একটি সুনাম ধন্য এবং সুপরিচিত ব্রান্ড। নানা ধরনের ক্ষমতা সম্পন্ন এবং আকর্ষণীয় গিজারের জন্য বাজারে গাজী গিজারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই কোম্পানির গিজারের দাম অনেক কম। ৯০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১৩৬০০ টাকার মধ্যে ভালো মানের গাজী কোম্পানির গিজার পাওয়া যাচ্ছে।

এটি হচ্ছে একটি অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল টেকনোলজি দিয়ে তৈরি ব্যাকটেরিয়া মুক্ত রাখে। এটি গুনে ও মানে বেশ ভালো এতে রয়েছে তিন স্তর বিশিষ্ট এনাবল ট্যাংক যা দীর্ঘদিন পানি জমে থাকলেও কোন ব্যাকটেরিয়া হয় না। এই গিজারের বডি এমএস কালার কোটিং দিয়ে তৈরি যা দীর্ঘদিনের ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রদান করে এবং প্রায় ৬০% বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। 

গাজি গিজার একবার ইন্সটল করলে একটানা পাঁচ বছর পানির টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং পানিকে এটি ৮ থেকে ১০ ঘন্টা গরম রাখে। সুতরাং আপনি চাইলে নিঃসন্দেহে এই গাজী কোম্পানির গিজার ব্যবহার করতে পারেন।

ওয়ালটন গিজার-দেশীয় ব্র্যান্ডের বিভিন্ন কোম্পানির গিজার গুলোর মধ্যে ওয়ালটন গিজার সবচেয়ে সেরা মানের একটি ব্রান্ড ।এটির গুণগত মান অনেক ভালো এবং দামে সাশ্রয়ী। এটি হচ্ছে ওয়ালটন গ্রুপের একটি জনপ্রিয় পণ্য।এটি ৩০ লিটার, ৪০ লিটার, ৪৫ লিটার, ৫০ লিটার, ৬৭ লিটার ইত্যাদি বিভিন্ন সাইজের হয়ে থাকে। 

পানি ধারণক্ষমতা এবং এর বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে দাম নির্ধারিত হয়। এই গিজারের মেইন বৈশিষ্ট্য হলো এটি অতিরিক্ত তাপ নিয়ন্ত্রণ করে। যা অনবরত পানি গরম রাখতে সাহায্য করে। ওয়ালটন কোম্পানির গিজারের দাম ৪ হাজার টাকা থেকে ৬ হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে। তাই আপনি চাইলে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের গিজারটি আপনার পছন্দের তালিকায় রাখতে পারেন।

আরএফএল গিজার- আর এফ এল গিজার বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে সেরা মানের এটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। বাংলাদেশের প্রত্যেকটি মানুষ আরএফএল কোম্পানি ব্র্যান্ড সম্পর্কে জানে যে আরএফএল কোম্পানি ভালো। আরএফএল কোম্পানির যেকোনো পণ্যই একটি বিশ্বস্ত বা বিশেষ এক আস্থার প্রতিক। 

আরএফএল এর গিজার গুনে মানে টেকসই এবং নিরাপত্তা জনিত কারণে বাংলাদেশের বাজারে বেশ জনপ্রিয়। এটির ধারণ ক্ষমতার ভিত্তি করে দাম নির্ধারিত হয়ে থাকে। আরএফএল কোম্পানির গিজার এনার্জি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি যা বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়। এটি Stainless স্টিল দ্বারা তৈরি যার কারনে এটি দীর্ঘ স্থায়িত্ব বেশি হয়।

৩২০০ টাকা থেকে ১৬০০০ টাকার মধ্যে আরএফএল কোম্পানির গিজার পাওয়া যাচ্ছে। তাই আপনি নিশ্চিন্তে এই ব্র্যান্ডের গিজার আপনার ব্যবহারের জন্য কিনতে পারেন। 

ভিশন গিজার-অন্যান্য ব্রান্ডের মত ভিশন কোম্পানিও ইলেকট্রনিক্সের বাজারে নিজেদের অবস্থান অনেকটাই চাঙ্গা করে নিয়েছে।এই কোম্পানির তৈরি গিজারও এখন বাজারে গুণগত মানের কারণে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ৮ হাজার টাকা থেকে ৯ হাজার টাকার মধ্যে ভিশন কোম্পানির গিজার পাওয়া যাচ্ছে। গুণগত মানে ভালো হওয়ার কারণে ভিশন গিজার টি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

এরিস্টন গিজার-বাংলাদেশের বাজারে সেরা মানের ব্রান্ড গুলোর মধ্যে এরিস্টন গিজার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এটির গুণগত মান অনেক ভালো হওয়ার কারণে গ্রাহকদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।গিজারের দাম সাধারণত আকার ভেদে কমবেশি হয়ে থাকে। এটি ১৩ হাজার টাকা থেকে ১৮০০০ টাকার মধ্যে কিনতে পারবেন। 

সুতরাং এই গিজারটি আপনি কেনার জন্য যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন। যদি পছন্দ হয় তাহলে আপনি ব্যবহারের জন্য কিনতে পারেন।

উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন গিজারের ব্রান্ড গুলো ছাড়াও বাজারে আরও নানা ধরনের ব্র্যান্ডের গিজারের মডেল রয়েছে। সেগুলো আপনি যাচাই বাছাই করে দেখতে পারেন। যদি আপনার পছন্দ হয় তাহলে সেগুলোর মধ্যে থেকেও আপনি কিনতে পারেন। আর যে দামগুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেই দাম যে কোন সময় পরিবর্তন অর্থাৎ কমবেশি হতে পারে। 

তাই কেনার আগে বিভিন্ন দোকানে জিজ্ঞেস করে দাম দর দেখে তারপর কিনলে আপনার কিছুটা সেভ হতে পারে।

শেষ কথা-বাংলাদেশে কোন ব্রান্ডের গিজার ভালো:

আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে আমি এই কথা বলে শেষ করব যে আপনাদের বিশেষ সুবিধার্থে গিজার এর ব্যাপারে বাংলাদেশে কোন ব্র্যান্ডের গিজার ভালো।এটা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আমার এই পোস্টটি আপনার জন্য অনেকটাই ফলপ্রসু হতে পারে। তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং উল্লেখিত কোন ব্রান্ডের গিজার আপনার পছন্দ সেটি আপনি নির্দ্বিধায় কিনতে পারেন। 

পোস্টটি অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ পড়ার জন্য শেয়ার এবং কমেন্টসের মাধ্যমে উৎসাহিত করুন। যেন তারাও পোস্টটি পড়ে গিজার সম্পর্কে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন। এতক্ষণ ধরে আমার এই পোষ্টের সঙ্গেই থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url