বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো জানতে চোখ রাখুন
সম্মানিত পাঠক, আপনি কি জানেন বাংলাদেশের কোন কোম্পানি ফ্রিজ ভালো। জানতে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ুন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো।
তাই আসুন বন্ধুরা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেই যে বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো।
ওয়ালটন ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ:
বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো তা জানার পূর্বে ওয়ালটন ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ কেমন তা আমরা জেনে নেব। বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে নানা ধরনের বিভিন্ন ব্রান্ডের ফ্রিজ রয়েছে। তার মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি ওয়ালটন ফ্রিজ একটি অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি
এখানে প্রশ্ন জাগে যে কোন ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ কম হয়? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি যে ওয়ালটন ফ্রিজে সবচেয়ে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় এবং কম ভোল্টেজেও এই ফ্রিজ চলে। এমনকি সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকলেও ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র বা খাবার নষ্ট হয়ে যায় না। আবার অন্যান্য ব্রান্ডের ফ্রিজের চেয়ে বাংলাদেশী পণ্য ওয়ালটন ফ্রিজের দামও তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফ্রিজের চেয়ে কম।
ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজে রয়েছে ১০০% কপার কনভেন্সার যা দীর্ঘ স্থায়িত্ব এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে সর্বাধিক প্রযুক্তিতে তৈরি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ নির্দ্বিধায় আপনি কিনতে পারেন। কারণ এটি দামে সস্তা, চলে ভালো, টেকসই, মজবুত, দাম কম, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী অর্থাৎ ওয়ালটন কোম্পানির ফ্রিজ এর বিদ্যুৎ বিল খুবই কম।
ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায়:
বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো তা আলোচনা করার আগে আমরা জেনে নিব যে ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল কমানোর উপায় কি কি। প্রতিনিয়তই ইলেকট্রিক্যাল বিল বেড়েই চলেছে। এই অতিরিক্ত ইলেকট্রিক বিল হওয়ার কারণ হচ্ছে ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের ব্যবহার।
আমরা যদি ফ্রিজ চালিয়ে বিদ্যুৎ বিল কমাতে পারি তাহলে পারিবারিক অর্থনৈতিক সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে। তাই ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল কমানোর কিছু উপায় সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করছি-
বিনা প্রয়োজনে ফ্রিজ আনপ্লাগ-বিদ্যুতের অপচয় রোধ করার জন্য যখন ফ্রিজ চালানোর কোন প্রয়োজন পড়বে না তখন ফ্রিজের লাইন আন প্লাগ করুন। ফ্রিজে যদি কোন জিনিসপত্র না থাকে তাহলে ফ্রিজ চালু রাখার প্রয়োজন নেই। এছাড়া এমন অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো সহজেই নষ্ট হয় না।
তাই তাই মাঝে মাঝে দুই থেকে তিন ঘন্টা ফ্রিজ অফ রাখলেও এসব খাবারে কোন ধরনের পচন ধরবেনা। সুতরাং যখন কোন প্রয়োজন থাকবে না তখন ফ্রিজের লাইন আন প্লাগ করে ফেলেন। তাহলে দেখা যাবে যে ফ্রিজের বিল বাবদ বিদ্যুৎ বিলের পরিমাণ অনেকটাই কমে আসবে।
ফ্রিজের তাপমাত্রা- বিদ্যুৎ বিল কমানোর জন্য ফ্রিজের তাপমাত্রা নির্ধারণে সতর্ক হওয়া জরুরী। তাপমাত্রা নির্ধারণে আমাদের যে জিনিসটা মাথায় রাখতে হবে সেটা হল আবহাওয়া এবং ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র সাধারণত ঠান্ডা পরিবেশে খাবার অথবা ফ্রিজে রাখা জিনিস।এমন অনেক খাবার আছে যেগুলো সাধারণ তাপমাত্রায় অনেকক্ষণ ভালো থাকে।
তাই ঠান্ডা পরিবেশে অর্থাৎ শীতকালে ফ্রিতে তাপমাত্রার পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে রাখতে পারেন এবং মাঝে মাঝে খাবারের অবস্থা বুঝে অল্প সময়ের জন্য হলেও তাপমাত্রা পুরোপুরি কমিয়ে রাখতে পারেন। তাহলে দেখা যাবে ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই কমে আসবে।
ফ্রিজের খাবার এবং খালি না রাখা-আপনার ফ্রিজে যতখানি জায়গা রয়েছে ঠিক ততটুকু খাবার রাখুন অর্থাৎ ফ্রিজের কোন জায়গায় যেন খালি না থাকে। অনেকেই হয়তো মনে করেন যে ফ্রিজে কম জিনিসপত্র রাখলে বিদ্যুৎ বিল কম হবে। আসলে কিন্তু তা নয়। তবে বেশি খাবার রাখতে গিয়ে একেবারে অতিরিক্ত চাপাচাপি করে খাবার রাখা যাবে না।
ফ্রিজের ভিতরে যেন ভালোভাবে সঠিক মত বাতাস চলাচল করতে পারে এবং খাবার বা অন্যান্য জিনিসপত্র ফ্রিজে স্টোর করার সময় সবকিছু সুন্দর করে গুছিয়ে রাখতে হবে।
ফ্রিজের অবস্থান এবং দরজা- ফ্রিজের বিল কমানোর জন্য আপনি যে জায়গাটিতে ফ্রিজ সেট আপ করবেন সেখানে যেন কমপক্ষে ৫ সেন্টিমিটার চতুর্দিকে ফাঁকা থাকে বা দূরত্ব থাকে। যেন সঠিক মত বাতাস চলাচল করতে পারে। তারপর ফ্রিজের যে দরজা রয়েছে সেটা ব্যবহারে সতর্ক থাকতে হবে ।ফ্রিজের দরজা কখনোই বেশি সময় ধরে অর্থাৎ এক মিনিটের বেশি সময় ধরে খোলা রাখা যাবে না।
এর কারণ হলো বাইরের টেম্পারেচার ভিতরে প্রবেশ করলে ফ্রিজের ভিতরকার কম্প্রেসারের বা যন্ত্রটির উপর চাপ বেড়ে যায়। হলে ফ্রিজ নিজেকে ঠান্ডা রাখার জন্য অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচ করে। এতে করে দেখা যায় যে দিন শেষে ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল বেশি চলে আসে।
ফ্রিজ পরিষ্কার রাখা-যদিও ফ্রিজ পরিষ্কার রাখার সাথে বিদ্যুৎ বিলের কোন সম্পর্ক নাই। তারপরেও সঠিক উপায়ে আপনার মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার রাখুন।ফ্রিজের কয়েল পরিষ্কার না রাখলে ফ্রিজ তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই মাঝে মাঝে ফ্রিজের কনভেন্সার কয়েল পরিষ্কার রাখুন এবং সেই সাথে ফ্রিজে খাবার এবং অন্যান্য জিনিসপত্র রাখার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। কোন গরম খাবার বা গরম কোন কিছু ফ্রিজে না রাখাই ভালো।
কোন ফ্রিজে বিদ্যুৎ কম লাগে:
আমরা এ পর্যায়ে আলোচনা করব কোন ফ্রিজে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় এবং এর পাশাপাশি বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো তা আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়ার চেষ্টা করব।বর্তমান বাজারে স্মার্ট ফ্রিজের সবচেয়ে চাহিদা বেশি। এই স্মার্ট ফ্রিজে বিভিন্ন ইনভার্টার প্রযুক্তি থাকে। স্মার্ট ফ্রিজ ব্যবহারের বহু ধরনের সুবিধা রয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- আপনি ঘরের ভেতরে ফ্রিজ রেখে যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য বাইরে যান তাহলে এনার্জি সেভিং মোড চালু করে রাখতে পারবেন। ফ্রিজ কেনার আগে ফ্রিজ ফ্রস্ট নাকি নন ফ্রস্ট ফ্রিজ তা ভালো করে বুঝে জেনে নিয়ে তারপর ফ্রিজ কিনতে হবে। যে সমস্ত ফ্রিজের মধ্যে রাখা খাবারের বরফ জমে তাকে ফ্রস্ট ফ্রিজ বলা হয়।
আর অন্যদিকে যে সমস্ত ফ্রিজের ভিতরে রাখা খাবারে বরফ জমে না তাকে নন ফ্রস্ট ফ্রিজ বলা হয়। যেগুলো নন ফ্রস্ট ফ্রিজ সেগুলোতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক বেশি হয় এবং কারেন্ট যদি না থাকে তাহলে ফ্রিজের ভিতরের খাবার দুই থেকে তিন ঘন্টার বেশি থাকে না, নষ্ট হয়ে যায়।
আর মাস শেষে দেখা যায় বিদ্যুৎ বিল অনেকটাই বেশি চলে এসেছে এই নন ফ্রস্ট ফ্রিজ গুলোতে। আর বিদ্যুৎ যদি নাও থাকে তাহলে খাবার কয়েক ঘন্টা ভালো রাখে ফ্রস্ট ফ্রিজ। এ ধরনের ফ্রিজ গুলো বিদ্যুৎ বিল কম আসে অর্থাৎ ফ্রস্ট ফ্রিজ গুলো অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি
এখন প্রশ্ন হল কোন ফ্রিজে বিদ্যুৎ কম লাগে? এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা বলতে পারি যে ওয়ালটন ফ্রিজে সবচেয়ে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় এবং কম ভোল্টেজেও এই ফ্রিজ চলে। অন্যান্য ফিরেছে ওয়ালটন ফ্রিজ হচ্ছে সবচেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকলেও ফ্রিজে রাখা জিনিসপত্র বা খাবার নষ্ট হয়ে যায় না।
আবার অন্যান্য ব্রান্ডের ফ্রিজের চেয়ে বাংলাদেশী পণ্য ওয়ালটন ফ্রিজের দামও তুলনামূলকভাবে অন্যান্য ফ্রিজের চেয়ে কম। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজে রয়েছে ১০০% কপার কনভেন্সার যা দীর্ঘ স্থায়িত্ব এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয় নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে সর্বাধিক প্রযুক্তিতে তৈরি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ নির্দ্বিধায় আপনি কিনতে পারেন। কারণ এটি দামে সস্তা, চলে ভালো, টেকসই, মজবুত, দামে অনেকটাই কম এবং বিদ্যুৎ বিল খুবই কম।
বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো:
এ পর্যায়ে আমি বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো তা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব। বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ রয়েছে। বিভিন্ন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে কোনটা ফ্রিজ ভালো তা নির্ভর করে ফ্রিজের মডেল, ফ্রিজের কোম্পানি, ফ্রিজের ধরন, বাজেট, কন্ডিশন, ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে পিরিতের ভালো-মন্দ বিচার করা হয়।
ওয়ালটন ফ্রিজ (Walton Freeze)-Walton ফ্রিজ হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি সবচেয়ে ভালো মানের ফ্রিজ যা বাংলাদেশী মানুষের জন্য খুবই জনপ্রিয়। এই ব্রান্ডের ফ্রিজ সর্বোত্তম প্রযুক্তি, সুন্দর ডিজাইনে অভিজ্ঞ প্রকৌশলী দ্বারা তৈরি করা হয়েছে, যার গুণগতমান খুবই ভালো। বাংলাদেশী এই ওয়ালটন ব্রান্ড টি দেশের মানুষের জন্য বিভিন্ন বৈচিত্রের ফ্রিজ তৈরি করে যা ব্যবহারকারীরা খুবই পছন্দ করেন।
ওয়ালটন ফ্রিজের সুবিধা সমূহ-
- ওয়ালটন ফ্রিজ ইনভার্টার টেকনোলজি ব্যবহার করা হয় যা কম্প্রেসার এর চালু এবং বন্ধ হতে দেওয়ার জন্য স্বয়ংক্রিয় রূপে সংযোজন করে এবং ফ্রিজের পারফরমেন্স বাড়াতে সহায়তা করে।
- ওয়ালটন ফ্রিজ বৈদ্যুতিক দক্ষতা এবং শক্তি সংরক্ষণে খুবই গুরুত্ব দেয় যাতে ব্যবহারকারীরা মাসিক বিদ্যুৎ বিল খরচ থেকে কম খরচ হয়ে থাকে।
- ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ গুলোর মধ্যে স্মার্ট ফিচার সহ স্মার্ট কন্ট্রোল, ডিজিটাল ডিসপ্লে, বিশেষ সার্ভিস এবং রিমোট অ্যাপ সাপোর্ট থাকে। এই ব্রান্ডের কিছু মডেল এ স্মার্ট ফিচার সহ ব্যবহারকারীদের এক্সট্রা সুবিধা যেমন- ব্যবহারকারীদের ফ্রিজ সহজভাবে চালানো ইন্টারনেট সংযোগ, সেন্সর প্রযুক্তি, সহজ ব্যবহার এবং রিমোট মোডে ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
- walton ফ্রিজে স্মার্ট কন্ট্রোল প্যানেল সেটআপ করা থাকে যার মাধ্যমে আপনি সহজেই ফ্রিজের সেটিং পরিবর্তন করতে পারেন। এবং এর সাথে বিভিন্ন ফিচার ব্যবহার করতে পারেন।
- বাংলাদেশ তৈরি ওয়ালটন ফ্রিজের কিছু মডেল স্মার্ট কন্ট্রোল মোবাইল অ্যাপ আছে যার মাধ্যমে আপনি দূরবর্তীভাবে ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন টেম্পারেচার এবং অন্যান্য সেটিংস মডিফাই সহ কিছু স্মার্ট ফিচার ব্যবহার করতে পারবেন।
- কিছু কিছু walton ফ্রিজে সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে যা ফ্রিজের মধ্যে পরিবর্তন হতে পারে এবং ব্যবহারকারীদের ব্যাপক সুবিধা হবে।
- ওয়ালটন ফ্রিজের কিছু কিছু মডেলের একটি ক্যামেরা সিস্টেম রয়েছে যা আপনি ফ্রিজের অবস্থান এবং তার অবস্থা দেখতে সাহায্য করে।
- ওয়ালটন ফ্রিজে কিছু কিছু মডেল এ ইন্টারনেট সংযোজন করা বা ওয়াইফাই সংযোজন করা হয়েছে যাতে ব্যবহারকারীরা একটি মোবাইল অ্যাপ এর মাধ্যমে দূরে থেকেও ফ্রিজ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।
- বাংলাদেশী পণ্য ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ সর্বাধিক প্রযুক্তিতে তৈরি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ নির্দ্বিধায় আপনি ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি চলে ভালো, টেকসই, মজবুত, দামে অনেকটাই কম এবং বিদ্যুৎ বিল খুবই কম।
- walton ফ্রিজের সার্ভিসিং করার জন্য কোম্পানির সার্ভিস ম্যান সর্বদাই নিয়োজিত আছে। যেখানে আপনার ফ্রিজ এর কোন সমস্যা হলে সেই মোতাবেক তারা সার্ভিসিং করে ঠিক করে দেয়।
- ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ বর্তমানে আন্তর্জাতিক মান সম্পন্ন এবং দামে সাশ্রয়ী ,75 পার্সেন্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এবং এর পাশাপাশি রয়েছে আই এস ও সার্টিফাইড দেশব্যাপী বিস্তৃত সর্ববৃহৎ সার্ভিস নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে দ্রুত এবং সর্বোত্তম বিক্রয় সেবার নিশ্চয়তা।
- ওয়ালটনের ফ্রিজ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নতুন নতুন অটোমেশন প্রযুক্তি রয়েছে সেগুলোর ব্যবহার বাড়াতে কর্তৃপক্ষ বিনিয়োগ করছে এবং এর পাশাপাশি বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিত্য নতুন প্রযুক্তি ও ফিচারের পণ্য উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা ও উদ্ভাবনেও নিয়মিত বিনিয়োগ করা হচ্ছে।
- বিদ্যুৎ সাশ্রয় এবং পরিবেশবান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনের লক্ষ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে এম এস ও প্লাস ইনভার্টার টেকনোলজি যা সবচেয়ে কম বিদ্যুৎ খরচে ফ্রিজের অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ কুলিং পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে। বাংলাদেশে ওয়ালটনই সর্বপ্রথম বিএসটিআই এর ৫ স্টার এনার্জি রেটিং উৎপাদন ও বাজারজাত করছে।
- ওয়ালটন কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, পরিবেশ বান্ধব ফ্রিজ উৎপাদনে অনেক দেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। পরিবেশ সুরক্ষায় দেশে প্রথম পরিবেশ অধিদপ্তর ও ইউ এন ভি পির সমন্বয়ে walton ফ্রিজে ক্ষতিকারক সিএফসি গ্যাস ফেজ আউট প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে।
- বর্তমানে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজে বিশ্ব স্বীকৃত সম্পূর্ণভাবে পরিবেশবান্ধব আর ৬০০এ গ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে।
- বাংলাদেশের তৈরি ওয়ালটন ফ্রিজের সর্বোচ্চ সংখ্যক ডিজাইন ও মডেল, গুণগতমান, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বিচার, পণ্য গবেষণা ও উদ্ভাবনের দিক থেকে অন্যদের থেকে অনেক এগিয়ে রয়েছে ওয়ালটন কোম্পানি।
- অঞ্চল ভেদে বাংলাদেশের আবহাওয়ার পার্থক্য রয়েছে তাই আবহাওয়ার পার্থক্যের উপর ভিত্তি করে আবহাওয়া উপযোগী করে ওয়ালটন ফ্রিজ বর্তমানে তৈরি করা হচ্ছে যার কারণে ওয়ালটন ফ্রিজ অনেক বেশি টেকসই এবং ওয়ালটন ফ্রিজ বাজার করার পূর্বে ৭০ টিরও বেশি কোয়ালিটি কন্ট্রোল টেস্ট পাশ করে তারপরে বাজারে ছাড়া হয়।
- বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার চন্দ্রায় ওয়াল্টন হাইটেক পার্কে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে বাংলাদেশ, কোরিয়া, ইতালি, চীন, তাইওয়ান সহ বিভিন্ন দেশের অত্যন্ত দক্ষ এবং অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের এক চৌকস টিম ভালো মানের ফ্রিজ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছেন।
- এই চৌকস টিমের অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য দক্ষিণ এশিয়ান প্রথম ফ্রেন্স ডর ফ্রিজ উৎপাদনকারী দেশের মর্যাদা লাভ করেছে বাংলাদেশ।
হিটাচি ফ্রিজ(Hitachi freeze)-বিশ্ববাজারে গুণগতমান হিসাবে হিটাচি ফ্রিজ বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। hitachi কোম্পানি ফ্রিজ বৈজ্ঞানিক নকশা ব্যবহার করে যা ফ্রিজে রাখা খাবার থেকে ভিটামিন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ এসিডের প্রতিরোধে ব্যাপক সহায়তা করে। হিটাচি ব্র্যান্ডের ফ্রিজ গুলোর মধ্যে বিভিন্ন মডেল রয়েছে।
তার মধ্যে ফ্রেন্ডস ডোর, ডবল ডোর এবং ৬ দরজার মডেল রয়েছে। এই ব্রান্ডের ফ্রিজ গুলো চাপ ও ওজন প্রতিরোধী এবং পরিবেশবান্ধব।
প্যানাসনিক ফ্রিজ (Panasonic freeze)-ভালো মানের ফ্রিজ গুলোর মধ্যে প্যানাসনিক ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর বাংলাদেশের বেশ জনপ্রিয়। জাপানি ব্রান্ড প্যানাসনিক ফ্রিজ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি অন্যতম জনপ্রিয় ফ্রিজ। এই কোম্পানির ফ্রিজ গুলোর মধ্যে বেশ কিছু ভালো বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
যেমন- এলইডি টাচ কন্ট্রোল প্যানেল, আর্দ্রতা নিয়ন্ত্রণ, উচ্চতায় সামঞ্জস্যপূর্ণ, কাঁচের তাক ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের কারণে এই ফ্রিজটি অনেক জনপ্রিয়।
স্যামসাং ফ্রিজ (Samsung Freeze)-Samsung ব্র্যান্ডের স্মার্ট ফ্রিজ গুলো বিশ্বব্যাপী অন্যতম সমাদৃত একটি নাম এবং বেশ জনপ্রিয়। দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি samsung মিউজিক প্লে এবং ভিডিও স্ট্রিম করা এবং দোকানের তালিকায় বিভিন্ন আইটেম যোগ করার সুযোগ রয়েছে। Samsung ব্র্যান্ডের freeze এর মেইন বৈশিষ্ট্যগুলো হল ফ্যামিলি হাভ প্রযুক্তি যা ইন্টারনেট বা ওয়াইফাই এর সঙ্গে সংযোগ করা সম্ভব।
এলজি ফ্রিজ(LG Freeze)-এলজি রেফ্রিজারেটর দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি একটি অত্যাধুনিক এবং বেশ পারদর্শী যা খুবই জনপ্রিয় একটি ব্রান্ড। এই ফ্রিজের প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এতে রয়েছে আইস মেশিন, এনার্জি স্টার সার্টিফিকেসন এবং ইনস্টাভিউ প্রযুক্তির মত সাধারণ বৈশিষ্ট্য। এই রেফ্রিজারেটরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক বজায় রেখে খাদ্য সংরক্ষণের সুবিধা বা ক্ষমতা খুবই ভালো।
সিঙ্গার ফ্রিজ(Singer Freeze)-বাংলাদেশের বাজারে সিঙ্গার ফ্রিজ জনপ্রিয় ব্রান্ড। এই ফ্রিজ ব্যবহারকারীদের মধ্যে পুরস্কৃত হয়েছে এবং তাদের ফ্রিজ বাজারে প্রচুর পরিমাণে সাপ্লাই রয়েছে।
মার্সেল ফ্রিজ (Marcel Freeze)-মার্সেল রেফ্রিজারেটর গুলো বাংলাদেশে উন্নত প্রযুক্তি এবং ডিজাইন এর মধ্য দিয়ে বেশ পরিচিত এবং এই কোম্পানির ফ্রিজ সাধারণত খুব উন্নত বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ যা ব্যবহারকারীদের ব্যাপকভাবে সাড়া দিয়েছে।
মাই ওয়ান ফ্রিজ(My One Freeze)-মাই ওয়ান ফ্রিজ বাংলাদেশে বেশ পরিচিত এবং বর্তমানে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই কোম্পানির ফ্রিজ গুলো প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে গ্রাহকদের সুবিধার জন্য দেশ পরিচিত এবং অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছে।
সার্ফ ফ্রিজ(Sharp Freeze)-জাপানি কোম্পানি এই সার্ফ ফ্রিজ বাংলাদেশ একটি জনপ্রিয় গ্রান্ড এবং এই কোম্পানির ফ্রিজ উচ্চ গুনগত মান সম্পন্ন হিসাবে বেশ পরিচিত।
উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রেফ্রিজারেটর গুলোর মধ্যে যেটা আপনার পছন্দ সেটা আপনি যাচাই-বাছাই করে দাম দর ঠিক করে কিনে নিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তবে উল্লেখিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ গুলো ছাড়াও আরো অনেক ফ্রিজ বাজারে রয়েছে সেগুলোও আপনি যাচাই-বাছাই করে দেখতে পারেন।
আরো পড়ুন: ভালো মানের কম্পিউটারের দাম কত জানতে চোখ রাখুন
তবে আমার মতে উপরে উল্লেখিত বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ গুলোর মধ্যে walton ব্রান্ডের ফ্রিজ সবচেয়ে বেশি ভালো। তাই আপনি চাইলে যদি আপনার পছন্দ হয় তাহলে ওয়ালটনের ফ্রিজ আপনি কিনতে পারেন।
শেষ কথা-বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো:
সুপ্রিয় পাঠক ভাই বোন বন্ধুরা, বাংলাদেশে কোন কোম্পানির ফ্রিজ ভালো এবং ফ্রিজের সুবিধা অসুবিধা সহ আরো কিছু তথ্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। উল্লেখিত ফ্রিজ গুলোর মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি ওয়ালটন ফ্রিজ গুণগত মানে আমার কাছে অনেক ভালো মনে হয়েছে।
তাই আপনি যদি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ফ্রিজ কিনতে চান তাহলে নির্দ্বিধায় সেটা আপনি কিনতে পারেন। কারণ এই ব্র্যান্ডের ফ্রিজ বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম, টিকে বেশি ,দেখতে সুন্দর এবং মানানসই। এতক্ষণ ধরে আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের মত এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url