বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি

সুপ্রিয় পাঠক, আপনি কি জানতে চান যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি ? তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। কারণ আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি।


তাই আসুন পাঠক বন্ধুরা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেই যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি এবং আমরা আরও একটি বিষয় জানবো সেটা হল এসির উপকারিতা ও অপকারিতা।

বাংলাদেশে সব থেকে ভালো এসি কোনটি:

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি ? সেটা আলোচনা করার পূর্বে আমরা জেনে নিতে চাই যে বাংলাদেশে সব থেকে ভালো এসি কোনটি। আপনি কি এসি কেনার কথা ভাবছেন ? তাহলে কোন এসি কিনবেন। কোন এসি ভালো, কিভাবে বুঝবেন। তাই আপনার জন্য নিয়ে এসেছি আজকের এই পোস্টটি। 

আরো পড়ুন: বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ কোনটি জেনে নিন 

বাংলাদেশের সব থেকে ভালো মানের কয়েকটি এসি উল্লেখ করছি এগুলোর মধ্যে থেকে আপনার যেটা পছন্দ সেটা আপনি কিনতে পারেন।

জেনারেল এসি (General AC)- ভালো মানের কম দামের মধ্যে জেনারেল এসি হচ্ছে বাংলাদেশে একটি জনপ্রিয় ভালো মানের এসি। আপনি চাইলে আপনার বাজেটের মধ্যে কম দামে এসি সর্বনিম্ন মূল্য তালিকা থেকে জেনারেল ব্যান্ডের এসি আপনি কিনতে পারেন। জেনারেল ব্র্যান্ডের এসির নিম্নে সংক্ষিপ্ত আকারে বর্ণনা করা হলো-

১.৫ টন জেনারেল এসি-

  • ব্রান্ডের নাম- জেনারেল (General)
  • এসির মডেল-১.৫ টন Split AC ASGA18FETA
  • হিটিং ক্যাপাসিটি-১৯০০০ BTU/H 
  • কুলিং ক্যাপাসিটি-18000 BTU/H 
  • AC এর গ্যাস-R410A
  • Voltage Rate-220-240V
  • ফিকুইন্সি রেট-50Hz
  • পার্টস গ্যারান্টি- তিন বছরের কম্প্রেসার গ্যারান্টি 
  • সার্ভিস ওয়ারেন্টি-এক বছরের স্পেয়ার পার্ট এবং এক বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি। 
  • সর্বনিম্ন এই এসির দাম- ৭০ হাজার টাকা মাত্র। 

গ্রী এসি (Gree AC)-বাংলাদেশে ভালো মানের এসি গুলোর মধ্যে গ্রী এসি হচ্ছে একটি জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। মার্কেট জাগায় করলে দেখা যায় যে কম দামে ভালো এসিগুলোর মধ্যে যে এসিগুলো বর্তমানে বেশি চলছে সেটা হল গ্রী ব্র্যান্ডের এসি। আপনার বাজেট অনুসারে এসির কন্ডিশন এবং ফাংশনাল নির্ভর করে। নিম্নে গ্রী এসির কনফিগারেশন মডেলসহ দাম উল্লেখ করা হলো-


১টন গ্রী এসি (1 Ton Gree AC)-

  • ব্র্যান্ডের নাম-গ্রি(Gree)
  • এসির মডেল-১.৫ টন Split AC GS-18CT
  • হিটিং ক্যাপাসিটি-১২০০০ BTU/H 
  • কুলিং ক্যাপাসিটি-১২০০০ BTU/H 
  • AC এর গ্যাস-R410
  • শব্দ প্রেশার লেবেন-৮৫০M2/H
  • Voltage Rate-220-240V
  • ফিকুইন্সি রেট-50Hz
  • এসি ইনস্টলেশন-Free installation
  • পার্টস গ্যারান্টি- 5 বছরের কম্প্রেসার গ্যারান্টি 
  • সার্ভিস ওয়ারেন্টি-এক বছরের স্পেয়ার পার্ট এবং এক বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি। 
  • সর্বনিম্ন এই এসির দাম- 40 হাজার টাকা মাত্র।

ওয়ালটন এসি(Walto AC)-বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মানের এসি গুলোর মধ্যে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় এবং দামে সাশ্রয়ী। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের এসিতে বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম হয়ে থাকে। এসির বাজার যাচাই করলে দেখা যায় যে বাজারের পণ্য বিদেশি কোম্পানির আমদানি করা এসির চেয়ে ওয়ালটন এসির দাম  স্বাভাবিক। 

তাই আপনি walton এসি নিশ্চিন্তে ক্রয় করতে পারেন। কারণ ওয়ালটন এসির গুণগত মান অনেক ভালো এবং তার সাথে সার্ভিসও ভালো। সুতরাং দেশীয় ব্র্যান্ডের এসি কেনাটাই সবচেয়ে উত্তম বলে আমি মনে করি।

১টন ওয়ালটন এসি (1Ton Walton AC)-

  • ব্র্যান্ডের নাম-ওয়ালটন(Walton)
  • এসির মডেল-১ টন WSN-Riverine-12A
  • হিটিং ক্যাপাসিটি-3517 Watts 12000 BTU/H 
  • কুলিং ক্যাপাসিটি-35000 BTU/H 
  • AC এর গ্যাস-R410a
  • শব্দ প্রেশার লেবেন-৮৫০M2/H
  • Voltage Rate-220-240V
  • ফিকুইন্সি রেট-50Hz
  • এসি ইনস্টলেশন-Free installation
  • পার্টস গ্যারান্টি- ১বছরের গ্যারান্টি 
  • সার্ভিস ওয়ারেন্টি-এক বছরের স্পেয়ার পার্ট এবং এক বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি। 
  • সর্বনিম্ন এই এসির দাম- ৩৬৯০০ হাজার টাকা মাত্র।

হিটাচি এসি (Hitachi AC)-বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মানের এসি গুলোর মধ্যে বিশ্বসেরা ব্র্যান্ডের এটা কি কম দামের মধ্যে সবচেয়ে ভালো এবং সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। তাই আপনি যাচাই-বাছাই করে বিশ্বসেরা ব্রান্ডের এসি আপনি ক্রয় করতে পারেন। Hitachi ব্রান্ডের এসির কনফিগারেশন, মডেল এবং দাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

১.৫টন হিটাচি এসি (1.5Ton Hitachi AC)-

  • ব্র্যান্ডের নাম-Hitachi(হিটাচি)
  • এসির মডেল-(১.৫ টন সপ্লিট এসি) 1.5 Ton Split AC RAS F18CF
  • হিটিং ক্যাপাসিটি-19000 BTU/H 
  • কুলিং ক্যাপাসিটি-18000 BTU/H 
  • AC এর গ্যাস-R410a
  • শব্দ প্রেশার লেবেন-৮৫০M2/H
  • Voltage Rate-220-240V
  • ফিকুইন্সি রেট-50Hz
  • এসি ইনস্টলেশন-Free installation
  • পার্টস গ্যারান্টি- ১বছরের গ্যারান্টি 
  • সার্ভিস ওয়ারেন্টি-এক বছরের স্পেয়ার পার্ট এবং এক বছরের সার্ভিস ওয়ারেন্টি। 
  • সর্বনিম্ন এই এসির দাম- ৬০০০০ হাজার টাকা মাত্র।

সুতরাং আপনার বাজেট অনুসারে যদি আপনার পছন্দ হয়। তাহলে যাচাই-বাছাই করে উপরে উল্লেখিত ব্রান্ড গুলোর মধ্যে যেকোনো একটা এসি আপনি নির্দ্বিধায় ক্রয় করতে পারেন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন, উপরে যে দাম গুলো উল্লেখ করা হয়েছে সেটা সময়ের ব্যবধানে বা যে কোন কারণবশত এসির দাম পরিবর্তন অথবা কম বেশি হতে পারে।

ওয়ালটন ১ টন এসির দাম কত:

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি তা আলোচনা করার পূর্বে আমরা জানতে চাই যে ওয়ালটন ১ টন এসির দাম কত। ওয়ালটন কোম্পানি হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি ব্রান্ড গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো এবং খুবই জনপ্রিয়। ওয়ালটন ব্র্যান্ডের ১ টন এসির দাম ৩৬ হাজার ৯০০ টাকা থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।

আরো পড়ুন:কম দামে ভালো ল্যাপটপ ২০২৪ কোনটি জেনে নিন 

এটা এসির মডেল ভেদে এবং গুণগত মানের উপর ভিত্তি করে দাম কম বেশি হয়ে থাকে। নিচে ১ টন এসির দাম মডেল সহ উল্লেখ করা হলো-

  • WSN DIMOND-12F- Walton এসির মূল্য-৪৬ হাজার টাকা মাত্র
  • WSN- Riverine-12F- Walton এসির মূল্য-৪৬ হাজার টাকা মাত্র
  • WSN KRYSTALINE-12F- Walton এসির মূল্য-47 হাজার টাকা মাত্র
  • WSI DIMOND-12A- Walton এসির মূল্য-49 হাজার 900 টাকা মাত্র
  • WSN- Riverine-12FH- Walton এসির মূল্য-50 হাজার500 টাকা মাত্র
  • WSI DIMOND-12A- Walton Smart এসির মূল্য-51 হাজার 800টাকা মাত্র
  • WSI OCEANUS-12A- Voice Control Walton এসির মূল্য-52 হাজার 900 টাকা মাত্র
  • WSI INVERNA SUPPERSAVAR-12A- (Plasma) Walton এসির মূল্য-53 হাজার 990 টাকা মাত্র
  • WSI- Riverine-12FH- Walton এসির মূল্য-55 হাজার টাকা মাত্র।

walton এক টন এসির দাম ওপরে উল্লেখ করার মাধ্যমে আপনি জানতে পারলেন। এগুলো ছাড়া আরো অনেক ওয়ালটন ব্র্যান্ডের মডেল রয়েছে সেগুলো আপনি মার্কেটে গিয়ে দেখে নিতে পারেন। তবে এই এসির দাম গুলো যেকোনো কারণবশত পরিবর্তন বা কম বেশি হতে পারে। তাই আপনি ওয়ালটন ব্র্যান্ডের যদি কোন এসি কিনতে চান তাহলে যাচাই-বাছাই করে দাম দর জেনে তারপর কিনবেন।

এসির উপকারিতা ও অপকারিতা: 

এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব এসির উপকারিতা এবং অপকারিতা কি কি এবং এর পাশাপাশি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। বর্তমান যুগে এসি আর বিলাসিতার জন্য মানুষ ব্যবহার করছে না, প্রচন্ড গরমে প্রয়োজনের তাগিদেই মানুষ এসি বা এয়ারকন্ডিশন ব্যবহার করছে।



এসি ব্যবহারে উপকারিতা-

  • প্রচন্ড গরমে যখন শরীর ঘেমে ক্লান্ত হয়ে যায় কখন এসি রুমে ঢুকলে শরীর এবং মন প্রশান্তিতে জুড়ে যায়। 
  • মানুষ যখন খুব টেনশনে পড়ে যায় কোন একটি অফিসিয়াল কাজ জরুরি করার জন্য সে ক্ষেত্রে এসি রুমে বসে ওই কাজটি ঠান্ডা মাথায় সহজেই করা যায়। 
  • এসি ব্যবহারে আপনার কোন কঠিন পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আগে এসি মানসিক শান্তি প্রদান করতে পারে। কোন অফিস বা ফ্যাক্টরিতে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং এর জন্য এসি ঘরে মিটিং করলে তা সহজে ফলো প্রসু হতে পারে।
  • বিশেষজ্ঞরা বলছেন এসি ব্যবহারে হাঁপানি এবং এলার্জি কমে যেতে সাহায্য করে। এসিতে ডাস্ট ফিল্টার লাগানো থাকে ফলে ঘরের বাতাস পরিষ্কার থাকে। এসি ধুলাবালি সরিয়ে হাঁপানির আক্রমণ এবং এলার্জির ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এবং এসি ঘরে ছত্রাকের বৃদ্ধি কমাতেও সাহায্য করে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এসিতে থাকলে এলার্জির সমস্যা বাড়তেও পারে। 
  • এসি ব্যবহারে সারাদিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় এবং মন ও শরীর সাময়িকভাবে হলেও ভালো থাকে। 

এসি ব্যবহারে অপকারিতা-গরমের ক্লান্তি দূর করতে বা বিলাসিতার জন্য মানুষ এসি ব্যবহার করে থাকলেও এর উপকারের চেয়ে অপকারিতাই বেশি। 

  • চিকিৎসকদের মতে,দীর্ঘক্ষণ এসি ব্যবহার করলে মাথা ব্যথা, গলা ব্যথা, মাইগ্রেনের ব্যথা এবং হাঁচি, সর্দি, কাশি, ঠান্ডা লাগার মত সমস্যা হতে পারে। 
  • আপনার যদি এলার্জি হাঁপানি থাকে তাহলে এসি ব্যবহার করলে আপনার এলার্জি এবং হাঁপানি আরো বেড়ে যেতে পারে।
  • এসি ব্যবহারে মানুষ বেশি আগ্রহ প্রকাশ করার সাথে সাথে এসি বিস্ফোরণের প্রবণতাও দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। ফায়ার সার্ভিস এর তথ্য মতে ২০১৯ সালে কমপক্ষে পাঁচটি এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে ৪জন মানুষ মারা গেছেন, আহত হয়েছেন ২০ থেকে ২৫ জন। 
  • ২০২০ সাল থেকে ২০২২ সাল এই তিন বছরে আরও ১১৯ টি এসি বিস্ফোরণের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২৫ জনের মতো মারা গেছেন এবং অসংখ্য মানুষ আহত হয়েছেন। ২০২৩ সালেও দেশের রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় এসি বিস্ফোরণের কারণে বেশ কিছু মানুষ হতাহত হয়েছে। তাই এসি ব্যবহারে সবসময় সতর্ক থাকুন। 
  • দীর্ঘক্ষণ AC ব্যবহার করার পরে বাইরে রোদে বের হলে সান স্ট্রোক বা হিট স্ট্রোক এর সমস্যা হতে পারে। শরীরের তাপমাত্রা উঠা নামাকে সইতে না পেরে প্রায় সর্দি জ্বরের কবলে পড়ছে মানুষ। এমনকি অবস্থার অবনতি হলে তা নিউমোনিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
  • শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রুমে বা গাড়িতে বেশ কিছু জীবাণু বাস করে থাকে। এগুলো সংক্রমণের ফলে আমাদের শরীরে রোগের জন্ম দেয় যা আমাদের চিন্তাভাবনার বাইরে। তাই এসি যারা ব্যবহার করছেন তাদেরকে একটা পরামর্শ দিব সেটা হল এসি নিয়মিত পরিষ্কার করে নিয়ে তারপর ব্যবহার করুন। নিয়মিত পরিষ্কার না করলে শরীরে রোগের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
  • চিকিৎসকরা আরো বলেন অতিরিক্ত এসি ব্যবহার করার ফলে লো ব্লাড প্রেসার এর রোগীর আরো ব্লাড প্রেসার কমে যেতে পারে। এলার্জি এবং এ্যাজমা সমস্যা যদি থাকে তাহলে দীর্ঘদিন নিয়মিত এসি ব্যবহার করার ফলে এই সমস্যা গুলো আরো বেড়ে যেতে পারে।
  • একাধিক এসি যখন একটা বিল্ডিং এ লাগানো থাকে তখন গরম যে বাতাস বের করে দেয় তা বাইরের পরিবেশের উপর প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা থাকে। বাইরের তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেয়।
  • বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দীর্ঘদিন এসি ব্যবহার করার ফলে যখন অভ্যস্ত হয়ে যায় তখন চোখ ও ত্বক সুস্ক হয়ে যেতে পারে এবং ঠান্ডা জনিত সমস্যা চোখ লাল হওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, শরীরের রক্ত সঞ্চালনের ঘাটতি হওয়া,শরীরের জয়েন্টে ব্যথা, হাঁপানি, অতিরিক্ত ওজন ,শ্বাসকষ্ট, সর্দি -কাশিতে অক্রান্ত হওয়া সহ অনেকগুলো রোগের আক্রান্তের আশঙ্কা থাকে।
  • দীর্ঘক্ষণ সময় এসিতে থাকলে ত্বকের আদ্রতা হারিয়ে শুকিয়ে যেতে পারে। ফলে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন।
  • দীর্ঘ সময় ধরে এসি ব্যবহার করলে শ্বাসতন্ত্র আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেক গুণে বেড়ে যেতে পারে। এসি শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন সংক্রমণ কি বাড়িয়ে দিতে পারে।
  • দীর্ঘ সময় ধরে এসি রুমে থাকলে পানির পিপাসা কম লাগে কিন্তু এসির রুম ভাড়া বাইরে থাকলে পানির পিপাসা বেশি লাগে। সে ক্ষেত্রে যারা এসি ব্যবহার করে তারা পানি কম পান করে। তাই এসি রুম খুব বেশি ব্যবহার করলে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হতে পারে এবং এসি ঘরের মধ্যে থেকে সব আদ্রতা শুষে নিতে পারে।
  • সাধারণত দীর্ঘ সময় ধরে এসি নিয়মিতভাবে ব্যবহার করলে শরীর ঠান্ডা হয়ে যায় কিন্তু এক গবেষণায় জানা গেছে যে সমস্ত রুমে বা অফিসে এসি চলে তারা সহজেই খুব তাড়াতাড়ি ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি: 

এ পর্যায়ে আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি তা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। বর্তমানে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষ দেখা যায় যে প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচার জন্য বা বিলাসিতার জন্য বা একটু শান্তিতে থাকার জন্য এসি ব্যবহার করে থাকেন। 

অতিরিক্ত গরম ঠেকাতে বর্তমানে মানুষ প্রচুর পরিমাণে এসি বা এয়ার কন্ডিশন কিনছে। কিন্তু অনেকেই জানে না যে কোন ব্র্যান্ডের এসি সবচেয়ে বিদ্যুৎ খরচ কম। তাই আজ আমি আপনাদের সম্মুখে তুলে ধরবো যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি বা কি কি। 

আরো পড়ুন: ভালো মানের কম্পিউটারের দাম কত জানতে চোখ রাখুন

বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে বহু ব্র্যান্ডের কোম্পানি এসি সাপ্লাই করে যাচ্ছেন। কিন্তু কোন এসিটি সবচেয়ে বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সেটা আমাদের জানা দরকার এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি যদি আমরা কিন্তু কিনে থাকি তাহলে প্রতিমাসে বিদ্যুৎ খরচ বাবদ অনেক টাকা খরচ করার প্রবণতা কমে যাবে। 

বাংলাদেশ সহ বিশ্বের এসি গুলোর মধ্যে যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে যে সবচেয়ে বিদ্যুৎ খরচ কম হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি ওয়ালটন কোম্পানির এসি। ওয়ালটন কোম্পানির এই এসি 60 থেকে 70 পার্সেন্ট বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। এসিতে যত বেশি স্টার থাকবে ওই এসিতে তত বেশি বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। 

বর্তমানে ওয়ালটন এসি বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত বা স্বীকৃত বাংলাদেশের একমাত্র 6 (সিক্স) স্টার রেটিং প্রাপ্ত। স্টার রেটিং প্রাপ্ত মানদণ্ডে বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি হল (walton) ওয়ালটন। বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান এসির বাজারে সবচেয়ে বড় স্থান বজায় রাখার জন্য বা ধরে রাখার জন্য সাশ্রয়ী দামে পরিবেশবান্ধব এবং বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সর্বাধুনিক ফিচারের এসি উৎপাদন ও বাজারজাতের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে ওয়ালটন ব্রান্ড। 

walton কোম্পানিতে দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের মাধ্যমে প্রোডাক্টের গুণগত মান ঠিক রাখার লক্ষ্যে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে কাজ চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বিশ্বের অন্যতম বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি উৎপাদন করছে ওয়ালটন যা বিএসটিআইয়ের ৬ স্টার রেটিং প্রাপ্ত। 

এই সমস্ত এসিতে রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লে সুবিধা যার মাধ্যমে গ্রাহকরা সরাসরি এসির আওতায় রুম ও আউটডোর টেম্পারেচার, বিদ্যুৎ কনজামশন রেট ইত্যাদি সুক্ষভাবে মনিটর করতে পারেন এবং এসিতে কোটেক টেকনোলজি নিয়ে এসেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। ওয়ালটন এসিতে রয়েছে এয়ার প্লাজমা 

প্রযুক্তি, আইওটি বেজড স্মার্ট কনট্রোল সিস্টেম, রিমোট ফাইন্ডার, ব্লুটুথ কন্ট্রোল, অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল, ইউ ভি কেয়ার, মরিচা প্রতিরোধক কোটেক টেকনোলজি, ফ্রন্ট ক্লিন, 3 in1  ওয়ান কনভার্টিবল টেকনোলজি সহ ইন্টিগ্রেটেড ৫ ইঞ্চি কালার টি এফ টি ডিসপ্লে। 

বর্তমানে ক্রেতারা এসি কেনার আগে বিদ্যুৎ কেমন খরচ হবে তা বিষয়টি সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছে সেই বিষয়ের উপর লক্ষ্য করে চলতি বছরে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইনভার্টার প্রযুক্তির এসি বাজারে ছেড়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। যা যা বিএসটিআই কর্তৃক অনুমোদিত সিক্স স্টার এনার্জি রেটিং সনদপ্রাপ্ত। 

এসিতে যত বেশি স্টার রেটিং থাকবে বিদ্যুৎ খরচ তত কম হবে। দেশের সর্ববৃহৎ ওয়ালটনের রিচার্জ অ্যান্ড ইনোভেশন টিমের নিত্যনতুন ইনোভেশন এর কারণে প্রোডাক্টের মান দিন দিন উন্নত হচ্ছে। বর্তমানে ওয়ালটন কোম্পানি গ্রাহকদের হাতে আশ্রয়ী দামে সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাস মুক্ত পরিবেশ বান্ধব ও 

ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী সর্বোচ্চ গুণগতমানের এসি তুলে দিচ্ছেন। walton এসিতে সাশ্রয়ী দামের পাশাপাশি এবং গুণগত মান উন্নত হওয়ার পাশাপাশি গ্রাহক সেবার নিশ্চয়তার লক্ষ্যে, এসিতে গ্রাহকরা ১ বছরের রিপ্লেসমেন্ট গ্যারান্টি, কমপ্রেসরে ১০ বছর পর্যন্ত ওয়ারেন্টি, তিন বছরের স্পেয়ার পার্টস ওয়ারেন্টি এবং ফ্রি ক্লিনিং সার্ভিস সুবিধা রয়েছে। 

এছাড়াও রয়েছে বাংলাদেশের আইএসও ৩৫ সর্ববৃহৎ সার্ভিস নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আশিটিরও বেশি সার্ভিস পয়েন্টের অধীনে তিন হাজার পাঁচশ এরও বেশি সার্ভিস পার্টনারের মাধ্যমে গ্রাহকদের দ্রুত ও সর্বত্রই সেবা পথে দিচ্ছে ওয়ালটন কোম্পানির স্টাফরা। অসহ্য গরমে শীতল সস্তির পরশ পেতে ওয়ালটন এসির কোন জুড়ি নেই।

বর্তমান সময়ে ওয়ালটন এসি নিয়ে এসেছে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি যা বর্তমান বাজারে অনেক জনপ্রিয়। তবে এখনো অনেক গ্রাহক আছেন যারা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ খরচের আশঙ্কায় অনেকেই এসি কেনা নিয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে রয়েছেন এ অবস্থায় বাংলাদেশী ব্রান্ড ওয়ালটন নতুন মডেলের ব্যাপক পরিমাণ বিদ্যুৎ ছাত্র এসি বাজারে চালু করেছে যা ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে। 

এক্ষেত্রে ওয়ালটনের রিভারাইন সিরিজের ৭০ পার্সেন্ট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী মডেলের এসির নাম হচ্ছে "সুপারসেভার"। অত্যন্ত আকর্ষণীয় ডিজাইনের এই প্লিট এসিতে আরো সংযুক্ত রয়েছে স্মার্ট ইনভার্টার প্রযুক্তি সহ অত্যাধুনিক সমস্ত ফিচার। বর্তমানে ১.৫ (দেড়) টন মডেলের "সুপারসেভার" মডেলের walton স্মার্ট ইনভার্টার এসির দাম মাত্র ৬৬ হাজার ৪০০ টাকা। 

ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ এর মতে ওয়ালটন সুপারসেভার মডেলের এসিতে ব্যবহার করা হয়েছে বর্তমান বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সুপার এফিসিয়েন্ট মাইক্রোসানেল কনভেন্সার যা অত্যাধিক তাপ সঞ্চালন করতে সক্ষম হয়। এটি খুবই উচ্চ সিওপি সমৃদ্ধ এর অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকে। 

ফলে এটি প্রয়োজন অনুযায়ী স্পিড কমবেশি করে রুমের সঠিক তাপমাত্রা বড়াই রাখা যায়। এতে করে ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এবং এই এসিতে কম্পন এবং শব্দ অনেক কম হয়। এটি সবচেয়ে কম ভোল্টেজেও চলতে সক্ষম হয়। সুপারসেভার এসিতে আরো রয়েছে পরিবেশবান্ধব আর ৩২ রেফ্রিজারেটর। যা পরিবেশের সুরক্ষায় ব্যাপকভাবে কার্যকরী হয়। 

এই এসিটিতে আইওটি ফিচার থাকার কারণে বিশ্বের যে কোন এলাকা থেকে মোবাইল ফোনের সাহায্যে নিয়ন্ত্রণ করা যায় এবং এর পাশাপাশি এসিটি কতক্ষণ ধরে চলছে, কতখানি বিদ্যুৎ খরচ হয়েছে। এ সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা ও সংরক্ষণ করা যায়। তাই আপনি যদি কোন এসি সাশ্রয়ী দামে এবং সবচেয়ে বিদ্যুৎ খরচ কম হয় এমন এসি কিনতে চান তাহলে ওয়ালটন কোম্পানির সুপারসেভার এই মডেলের এসিটি আপনি কিনতে পারেন।

শেষ কথা-বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি:

সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনাদের সুবিধার্থে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী এসি কোনটি এবং এসি সম্পর্কিত আরো কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনি পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। আপনি যদি কোন এসি কিনতে চান তাহলে ওয়ালটন ব্র্যান্ডের সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী "সুপারসেভার" মডেলের এই এসিটি আপনি নির্দ্বিধায় কিনতে পারেন। 

তবে কেনার আগে অবশ্যই আপনি দাম এবং এসির ভালো-মন্দের ব্যাপারটা আপনি ভালো করে যাচাই-বাছাই করে তারপর কিনবেন। আর কেনার সময় আপনি একজন ভালো এসি টেকনিশিয়ান সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে কিনতে পারেন এবং আরেকটি বিষয় ভালো করে জানবেন বা দেখবেন যে এসি সার্ভিসিং করার কোন লোকজন শো রুমের আশেপাশে থাকে কিনা। 

এতক্ষণ ধরে মনোযোগ সহকারে আমার এই পোস্টের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url