বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি
সুপ্রিয় পাঠক, আপনি যদি না জেনে থাকেন যে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।আজ আমি আলোচনা করব বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল কোনটি এবং কি কি।
আসুন তাহলে পাঠক বন্ধুরা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেই যে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি এবং সেই সাথে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফোন কোনটি সেটাও আমরা জানার চেষ্টা করব।
বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোনের নাম কি:
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি তা জানার আগে বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোনের নাম কি তা জেনে নিন। অনেকেই আছেন যারা জানেন না যে বিশ্বের প্রথম মোবাইল ফোনের নাম কি? মোবাইল ফোনের আগে মানুষ টেলিফোন আবিষ্কারের পর টেলিফোন দ্বারা একে অপরের সাথে কথা বলার মাধ্যমে যোগাযোগ করত।
আরো পড়ুন: ৩২ ইঞ্চি স্মার্ট টিভির দাম কত জানতে চোখ রাখুন
বর্তমানে টেলিফোন আবিষ্কারের পর তারবিহীন টেলি যোগাযোগ ব্যবস্থার কথা চিন্তা ভাবনা করতে শুরু করে। ১৯৪০ সালে মিলিটারিয়া রেডিও টেলিফোন ব্যবহার করেন । এই রেডিও টেলিফোন আবিষ্কার করেন রেজিনা লদ ফেসেন্দেন। তারপরে ১৯৭৩ সালে এর ধারাবাহিকতায় বিশ্ব বিখ্যাত মটোরোলা কোম্পানির প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি মটোরোলার গবেষক ও নির্বাহী মার্কিন কুপার বিশ্বের প্রথম সেলুলার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সর্বপ্রথম মোবাইল ফোন আবিষ্কার করেন।
এই মোবাইল ফোনটির ওজন ২.৫ পাউন্ড বা ১.১ কেজি এবং দৈর্ঘ্য ৯ ইঞ্চি, প্রস্থ ১.৭৫ ইঞ্চি এবং উচ্চতা ছিল ৫ ইঞ্চি। ১৯৭৩ সালের ৩ এপ্রিল মোটোরোলা কোম্পানির সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার মার্কিন কুপার প্রথম এই মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করেন। এই ফোনটির ব্যাটারি টা কিছুটা ইটের মত দেখা যেত।
একবার যদি ফুল চার্জ হয় তখন মাত্র ৩০ মিনিট সেটা ব্যবহার করা যেত। কিন্তু এই মোবাইলটি ফুল চার্জ হতেই সময় লেগেছে প্রায় ১০ ঘন্টা। এরপরে মোবাইল ফোনের প্রথম বাণিজ্যিকভাবে সংস্করণ হয় হাজার 1983 সালে সেই ফোনটির নাম ছিল(Motorola Dyna TAC 8000X) মোটোরোলা ডায়না টিএসি ৮০০০ এক্স।
বিশ্বের বাজারে ১ নম্বর মোবাইল ব্র্যান্ড কোনটি:
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি তা জানার পূর্বে বিশ্বের বাজারে এক নম্বর মোবাইল ব্র্যান্ড কোনটি তা আমরা জানার চেষ্টা করব। বিশ্ববাজারে বহু ধরনের মোবাইল কোম্পানি রয়েছে তার মধ্যে এক নম্বর মোবাইল ব্র্যান্ড কোনটি তা আমাদের জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
স্যামসাং মোবাইল ফোন(Samsung Mobail phone)-বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার স্মার্টফোন নির্মাতা স্যামসাং স্মার্টফোনের বাজারে সবার শীর্ষে রয়েছে। চলতি বছরে প্রথম তিন মাসের মধ্যেই ৮ কোটি ১১ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০টি মোবাইল সেট বিক্রি করে বাজারের প্রায় ২৩ শতাংশ দখল করে নিয়েছে স্যামসাং কোম্পানি।
তবে স্যামসাং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে স্থানীয় মোবাইল ফোন নির্মাতাদের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে পড়তে হয়েছে। বছরের প্রথম দিকে অ্যাপলের চেয়ে খানিকটা এগিয়ে রয়েছে এই স্যামসাং গ্যালাক্সি কোম্পানি।
অ্যাপল মোবাইল ফোন(Apple Mobail phone)- বহুদিন পরে স্মার্টফোনের বাজারে অনেক বড় একটা পরিবর্তন দেখা গেছে অ্যাপল মোবাইল ফোন কোম্পানির মধ্যে।IDC এর রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে অ্যাপল গ্লোবাল মার্কেটে এক নম্বর স্মার্টফোন ব্র্যান্ডের স্থান দখল করে নিয়েছে। যা বিগত 13 বছর ধরে এই স্থানে স্যামসাংয়ের দখলে ছিল।
এবার samsung কে পেছনে ফেলে প্রথম স্থানে চলে এসেছে অ্যাপল মোবাইল কোম্পানি।IDC (International Data Corporation) রিপোর্ট অনুযায়ী ২০২৩ সালে সবচেয়ে বেশি মোবাইল ফোন বিক্রি করেছে এই কোম্পানিটি। জানা গেছে 234.6 মিলিয়ন iphone শিপিং করার পর অ্যাপলের বাজার শেয়ার ২০.১ শতাংশ হয়ে গেছে।
অপো স্মার্ট ফোন (Oppo Smart Phone)- বর্তমানে লোকাল বাজারে অপো স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা অনেক বেড়ে গেছে। এ বছরের প্রথম দিকে চিনা ব্রান্ডের ভালো একটা চমক দেখিয়েছে এবং এ বছরের সবচেয়ে ভালো করেছে অপো। এই তিন মাসে oppo স্মার্টফোনের বিক্রি বেড়েছে ১৪৫ শতাংশ।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে অপো ব্র্যান্ডের ফোনের বিক্রি সবচেয়ে বেশি বেড়েছে।এই অঞ্চলে অপো এর বিক্রি বেড়েছে ১৯৯ শতাংশ। প্রথম দিকে অপ ১ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার ৬০০ স্মার্টফোন বিক্রি করেছে।
উপরোক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে একথা বলা যায় যে আপনি যদি বিশ্বের এক নম্বর মোবাইল ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন কিনতে চান তাহলে উল্লেখিত ফোন গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আপনি কিনতে পারেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফোন কোনটি:
এখন আমরা আলোচনা করব পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফোন কোনটি এবং এর পাশাপাশি বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি তা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। বর্তমানে মোবাইল ফোন দেশের মানুষের প্রায় সবার হাতে হাতেই রয়েছে তাই সবারই জানা উচিত যে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফোন কোনটি বা কি কি।
আরো পড়ুন: কম দামে ভালো স্মার্ট টিভি কোনটি জেনে নিন
ডায়মন্ড রস আই ফোন-পৃথিবীর সবচেয়ে দামি কোন গুলোর মধ্যে সবার শীর্ষে রয়েছে ডায়মন্ড রস আই ফোন। এই ফোনটির চতুর পাশে রয়েছে ৫০০টি হিরা বসানো রয়েছে এবং ৮ ক্যারেটের নিখুঁত হিরা ফোনের কিপ্যাডে বসানো রয়েছে যা ফোনের মধ্যমণি হিসাবে বিরাজমান। এই ফোনটির দাম ৮০ লক্ষ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় কনভার্ট করলে ৮৮ কোটি টাকা।
ফ্যালকন সুপার নোভা iphone 6 পিঙ্ক ডায়মন্ড-এটি হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফোন। এই ফোনটি ২৪- (চব্বিশ) ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং এই ফোনের পিছনে রয়েছে একটি বড় গোলাপি হীরা। ফ্যালকন লাক্সারি দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে। এই ফোনটির দাম ৪৮. ৫ মিলিয়ন ডলার যা বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফোন গুলোর মধ্যে অন্যতম।
এই ফোনটি তে আরো রয়েছে একটি ৪ মেগাপিক্সেল প্রধান ক্যামেরা, একটি ১.২ মেগাপিক্সল ফ্রন্ট ক্যামেরা, একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার এবং উন্নত নিরাপত্তা বিকল্প রয়েছে।
স্টুয়ার্ট হিউজ এর iphone 4s এলিট gold-এই ফোনটি ৫০০ টিরও বেশি হিরা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। ফোনের পিছনে এবং অ্যাপলের লোগোটি ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি, লোগো টি ৫৩ টি হীরা দিয়ে ঘেরা রয়েছে এবং হোম বোতামে একটি ৮.৬ ক্যারেট হীরা রয়েছে এবং ব্যাকআপ হিসেবে 7.4 ক্যারেট হীরা রয়েছে। এই ফোন টির দাম ৯.৪ মিলিয়ন ডলার।
iPhone 4 ডায়মন্ড রোজ সংস্করণ-এই ফোনটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফোন গুলোর মধ্যে অন্যতম একটি দামি ফোন। এটি ৫০০ ক্যারেটের হীরা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই ফোনটির দাম ৮ মিলিয়ন ডলার।
গোল্ড স্ট্রাইকার iphone 3GS সুপ্রিম-এটি ২২ ক্যারেট সোনা দিয়ে তৈরি যার ওজন ২৭০ গ্রাম।এই ফোনটির দাম ৩.২ মিলিয়ন ডলার।
iPhone 3G কিংস বোতাম-এই ফোনটি ১৮ ক্যারেটের হলুদ, সাদা এবং গোলাপ সোনা দিয়ে তৈরি। এটির দাম 2.5 মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
সুতরাং আপনি হয়তো উপরের আলোচনা থেকে এতক্ষণে বুঝে গেছেন যে পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফোন কোনটি।
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি:
এ পর্যায়ে আমরা জানার চেষ্টা করব যে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি এবং কি কি। বাংলাদেশে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে। বাংলাদেশে এমন কোন লোক নেই যে সে মোবাইল ব্যবহার করে না। হয়তো দুই একজন হাতে-গুনা থাকতে পারে, যারা মোবাইল ব্যবহার করছে না।
ব্যক্তিগত যোগাযোগ মাধ্যম এবং অনলাইনে নানা ধরনের কাজ সম্পাদনের জন্য বর্তমানে মোবাইল ফোন খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। টেকনোলজি যতই নতুন নতুন আবিষ্কারের আগ্রহী হচ্ছে ঠিক তেমনি ভাবে মোবাইল ব্র্যান্ডগুলো গ্রাহকদের নতুন টেকনোলজি বা নতুন ফিচারের সমন্বয়ে নতুন মডেলের মোবাইল ফোন সরবরাহ করছে ।
আরো পড়ুন: বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার
তাই বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি বা কি কি তা আমাদের সকলেরই জানা উচিত। তাহলে আসুন আমরা জেনে নেই বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি-
আইফোন (iPhone)-আইফোন হচ্ছে মূলত একটি প্রিমিয়াম মোবাইল ব্র্যান্ড। এই ব্র্যান্ডের মোবাইল উন্নত ফোকাস ক্যাপাসিটি সহ ক্যামেরা দিয়ে ডিজাইন করা হয়েছে। বাংলাদেশে আইফোনের দাম ১২০০০ টাকা থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকার মধ্যে হয়ে থাকে যা ব্যবহৃত কন্ডিশনে পাওয়া যায়। এছাড়াও লেটেস্ট মডেলের আইফোন পাওয়া যায়। এটার দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
আই ফোনের বিশেষ ফিচার ক্যামেরা-আই ফোনের ক্যামেরা তে রয়েছে একটি বড় সেন্সর উন্নত অপটিক্যাল জুম সহ উন্নত মাল্টি লেন্স সিস্টেম যা দিয়ে কম আলোতে সেরা মানের ছবি তোলা যায়। এতে রয়েছে ফটো ইঞ্জিন যা ফটোতে বেশি ডিটেলস এবং নির্ভুল রং সরবরাহ করে থাকে।
আইফোনের ডিসপ্লে কোয়ালিটি-এই ব্র্যান্ডের মোবাইল সুপার রেটিনা XDR ডিসপ্লে সরবরাহ করে পাশাপাশি উচ্চ color এর নির্ভুলতার জন্য HDR সাপোর্ট সহ উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত এলইডি টেকনোলজির ডিসপ্লে ব্যবহার করে।
আইফোনের পারফরম্যান্স-এই ব্রান্ডের মোবাইলে ১৭ প্র চিপ রয়েছে যা উন্নত ৫ ন্যানোমিটার প্রযুক্তির সাথে উল্লেখযোগ্য কর্মদক্ষতা প্রদান করে।
আই ফোনের কানেক্টিভিটি-এই ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের জন্য ওয়াইফাই ৬ই সাপোর্ট করে যা গোলযোগ পূর্ণ এরিয়াতেও উন্নত কানেক্টিভিটি বজায় রাখে।
আই ফোনের স্টোরেজ কানেক্টিভিটি-মডেলের উপর ভিত্তি করে আইফোন সাধারণত এন ভি এম ই (NVME) টেকনোলজির ১২৮ জিবি থেকে ১ টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ সরবরাহ করে যা দ্রুত গতিতে রিড বা রাইট স্পিড প্রদান করে।
আই ফোনের পাওয়ার ব্যাকআপ -অত্যন্ত দক্ষ পাওয়ার ম্যানেজমেন্ট সহ ১৫০০ থেকে ৪ হাজার ৫০০ এমএইচ (MAAH) পর্যন্ত ব্যাটারি সারবরাহ করে, যা উন্নত ব্যাটারি লাইফ নিশ্চিত করে এবং এই ব্র্যান্ডের মোবাইলে সাধারণ চার্জার এর পাশাপাশি ওয়্যারলেস চার্জিং সুবিধা প্রদান করে থাকে।
শাওমি মোবাইল ফোন (Xiaomi Mobail Phone)- বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন গুলোর মধ্যে শাওমি হচ্ছে একটি খুবই জনপ্রিয় ব্র্যান্ড।শাওমি মূলত চাইনিজ মোবাইল ব্রান্ড। এই ব্র্যান্ডের মোবাইল গুলো সাধারণত সাশ্রয়ী দাম এবং উন্নত ফিচার সমৃদ্ধ মোবাইল সরবরাহ করে থাকে।
এছাড়া নানা ধরনের ডিজাইন এবং আকর্ষণীয় হার্ডওয়ার স্পেসিফিকেশনের জন্য শাওমি মোবাইল বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। ভালো মানের কনফিগারেশন এবং আকর্ষণীয় ফিচার সরবরাহ করার জন্য শাওমি এমআই এবং রেডমি মোবাইল জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে।
বাংলাদেশের বর্তমানে ব্যবহৃত কন্ডিশন এবং লেটেস্ট মডেলের শাওমি মোবাইলের দাম ৩৫০০ টাকা থেকে 48 হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
শাওমি মোবাইলের ক্যামেরা-xiaomi স্মার্টফোন গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে উন্নত ক্যামেরা সিস্টেম ব্যবহার করে। এটার মধ্যে একাধিক লেন্স যেমন- ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, ম্যাক্রো এবং ডেপ্থ সেঞ্চর রয়েছে। শাওমি এমআই সিরিজের মোবাইল উচ্চ রেজুলেশন সেন্সর, নাইট মোড, এবং ভালো ছবির জন্য এআই ফটো খুবই বেশি সুবিধা প্রদান করে।
শাওমি মোবাইলের ডিসপ্লে-শাওমি ব্যান্ডের মোবাইলের মধ্যে উচ্চ রেজুলেশন এর ডিসপ্লে ব্যবহার করা হয়। শাওমি ব্যান্ডের কিছু কিছু মডেলের মধ্যে প্রাণবন্ত কালার এবং গভীর কালোর জন্য অ্যামোলেট বা সুপার এমোলেড টেকনোলজি ডিসপ্লে সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
শাওমি মোবাইলের পারফরম্যান্স-শাওমি ব্র্যান্ডের মোবাইলে সাধারণত কোয়ালকম এর স্ন্যাপ ড্রাগন সিরিজের শক্তিশালী প্রসেসর এবং মিডিয়াটেক এর ডাইমেনসিটি সিরিজের প্রসেসর ব্যবহার করা হয়ে থাকে যা দ্রুত কর্ম ক্ষমতা নিশ্চিত করে। এছাড়া শাওমি ব্র্যান্ডের মোবাইল গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়ার কাজে ব্যবহারের জন্য দারুনভাবে খুবই উপযুক্ত।
শাওমি মোবাইলের কানেক্টেটিং-শাওমি ব্রান্ডের মোবাইলে 5G ওয়াইফাই ৬ ব্লুটুথ ৫০ সহ এন এফ সি (NFC)এর মত ফিচার সরবরাহ করে থাকে।
শাওমি মোবাইলের স্টোরেজ-xiaomi ব্রান্ডের মোবাইলের ৬৪ জিবি থেকে ৫১২ জিবি স্টোরেজ ক্যাপাসিটি সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া মাইক্রো এস ডি কার্ডের মাধ্যমে আলাদা স্টোরেজ ব্যবহার করা যায়।
শাওমি মোবাইলের পাওয়ার ব্যাকআপ-শাওমি ব্র্যান্ডের বেশিরভাগ মোবাইলের মধ্যে 4000 mah থেকে 5000mah অথবা তারও বেশি ক্যাপাসিটির ব্যাটারি সরবরাহ করে। এই ব্রান্ডের ক্যাপাসিটির ব্যাটারি একবার চার্জ করলে প্রায় ২৮ থেকে ৩০ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়। এছাড়া খুবই দ্রুত চার্জিং সুবিধা প্রদানের জন্য ১২০ ওয়ার্ড পর্যন্ত চার্জার সাপ্লাই করে থাকে।
ভিভো মোবাইল ফোন (Vivo Mobail phone)-ভিভো মোবাইল ফোন হলো মূলত চায়না স্মার্ট ফোন ব্র্যান্ডের একটি অন্যতম মোবাইল। এই ব্র্যান্ডের মোবাইল গুলো সাধারণত কম দামে উন্নত ক্যামেরা এবং হাই কনফিগারেশনের মোবাইল সরবরাহ করে থাকে এবং এই মোবাইলে ভালো মানের প্রসেসর যুক্ত থাকায় গেম খেলার জন্য খুবই উপযুক্ত। বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবহৃত কন্ডিশন এবং ব্র্যান্ড নিউ উভয় ধরনের ভিভো মোবাইল অত্যন্ত সাশ্রয়ী রেটে পাওয়া যাচ্ছে ।
ভিভো মোবাইলের ক্যামেরা-ভিভো ব্র্যান্ডের স্মার্টফোনগুলো উচ্চ রেজুলেশন ক্যামেরা সরবরাহ করে এবং তার পাশাপাশি পরিষ্কার এবং উন্নত ভালো ছবির জন্য ৬৪ মেগা পিক্সেলের বেশি ক্যামেরা সেন্সর সরবরাহ করে থাকে। এছাড়া অনেক মডেলে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে ফটোগ্রাফি করার লক্ষ্যে ওয়াইড আঙ্গেল, ম্যাক্রো এবং ডেপথ সেন্সর সহ বহুমুখী ক্যামেরা সেটআপ প্রদান করে।
ভিভো মোবাইলের ডিসপ্লে-ভিভো ব্রান্ডের মোবাইলের ডিসপ্লে কোয়ালিটি অনেক ভালো মানের হওয়ার কারণে অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অনেক ভিভো মোবাইলে প্রাণবন্ত রং, গভীর কালো এবং শক্তিশালী দক্ষতার জন্য এমোলেড ডিসপ্লে সরবরাহ করে এবং ভিভো মোবাইলে মসৃণ স্ক্রোলিং এবং গেমিং দক্ষতার জন্য ১২০ হার্স পর্যন্ত উচ্চ রিফ্রেশ রেট সরবরাহ করে।
ভিভো মোবাইলের পারফরমেন্স-ভিভো ব্র্যান্ডের মোবাইল গুলো শক্তিশালী প্রসেসরের জন্য বাংলাদেশ অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। vivo স্মার্টফোনের সাধারণত মিডিয়াটেক ডাইমেন সিটি বা কোয়ালকম স্ন্যাপ ড্রাগন সিরিজের মত শক্তিশালী প্রসেসর ব্যবহার করে, যা মাল্টিটাস্কিং এবং গেমিং এর জন্য দক্ষ কার্যক্ষমতা প্রদান করে।
ভিভো মোবাইলের কানেক্টিভিটি-বর্তমানে ভিভো ব্র্যান্ডের মোবাইল গুলোতে দ্রুতগতি ইন্টারনেট এর জন্য এবং কম লিটেন্সির জন্য ৫জি কানেক্টিভিটি সরবরাহ করে এবং উন্নত ওয়ারলেস স্পিড এবং সংযোগের জন্য সর্বশেষ ওয়াইফাই ৬ সাপোর্ট করে এবং অনেক ডিভাইস দ্রুত গতিতে ফাইল ট্রান্সফারের জন্য ব্লুটুথ ৫.০ রয়েছে।
ভিভো মোবাইলের স্টোরেজ ক্যাপাসিটি-ভিভো ব্র্যান্ডের মোবাইল গুলোতে স্টোরেজ ক্যাপাসিটি অনেক ভালো হওয়ার কারণে বাংলাদেশের এটি খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। এই ব্রান্ডের মোবাইলে ৬৪ জিবি থেকে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত স্টোরেজ সরবরাহ করে এবং মাইক্রো এইচডি কার্ডের মাধ্যমে বাড়তি স্টোরেজ ব্যবহার করা যায়। দ্রুত ফাইল ট্রান্সফার এবং অ্যাপ্লিকেশন লোডিং এর জন্য UFC স্টোরেজ টেকনোলজি ব্যবহার করে।
ভিভো মোবাইলের পাওয়ার ব্যাকআপ-বেশিরভাগ ভিভো মোবাইল গুলোর মধ্যে ডিভাইস ৩৩(তেত্রিশ) ওয়াট অথবা তার বেশি ক্যাপাসিটির চার্জার এবং দ্রুত চার্জিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে, যা ব্যাটারি দ্রুত চার্জ করতে সহায়তা করে এবং এই ব্রান্ডের মোবাইলের মধ্যে ৪ হাজার এম এ এইচ থেকে ৫ হাজার MAH পর্যন্ত ব্যাটারি সরবরাহ করে থাকে যা ২০ থেকে ২৫ ঘন্টা চার্জিং ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রদান করে।
স্যামসাং মোবাইল ফোন (Samsung Mobail Phone)- বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন গুলোর মধ্যে স্যামসাং হচ্ছে একটি অন্যতম জনপ্রিয় গ্লোবাল মোবাইল ব্র্যান্ড। যা বেশিরভাগ মানুষই বাংলাদেশে এটা ব্যবহার করে থাকে। এই ব্রান্ডের মোবাইল ফোন গুলি উন্নত টেকনোলজি,
অত্যাধুনিক ফিচার এর সমন্বয়ে Samsung বাটন মোবাইল থেকে শুরু করে Samsung স্মার্ট মডেলের মোবাইল গুলো বাংলাদেশে খুবই সাশ্রয়ী দামে সরবরাহ করে থাকে। বিভিন্ন দেশে Samsung মোবাইলের দাম বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে বা দেশ ভেদে দাম পরিবর্তন হয়। বাংলাদেশে Samsung মোবাইলের দাম ১৯৯০ টাকা থেকে 2 লাখ 50000 টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে।
Samsung মোবাইলের ক্যামেরা-samsung মোবাইলে অনেক উচ্চ মনে আছে বা ভালো মানের ক্যামেরা রয়েছে যা দিয়ে পছন্দমত ছবি বা ফটোগ্রাফি করা যায়। এতে রয়েছে মাল্টিলেন্স ক্যামেরা যেমন ওয়াইড অ্যাঙ্গেল, আল্ট্রা ওয়াইড, ম্যাক্রো এবং টেলিফটো সরবরাহ করে, যার মাধ্যমে নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন ডিজাইনের ফটোগ্রাফি করা যায়।
Samsung মোবাইল লেটেস্ট মডেলের মোবাইলের ডিটেলস সহ ভালো মানের ফটোগ্রাফি করার জন্য ১০৮ মেগাপিক্সেল উচ্চ রেজুলেশন সেন্সর সরবরাহ করে। কম আলোতে ফটোগ্রাফি করার লক্ষ্যে নাইট মোড সরবরাহ করে যা অন্ধকার পরিবেশেও সুন্দর উজ্জ্বল এবং ডিটেলস সহ ছবি তুলতে বা ফটোগ্রাফি করতে সাহায্য করে।
এবং চলাচলের সময়ও সুন্দর এবং মসৃণ ভিডিও রেকর্ড করার জন্য অ্যাডভান্স স্টেবিলাইজেশন টেকনিক সরবরাহ করে।
Samsung মোবাইলের ডিসপ্লে-Samsung ব্র্যান্ডের মোবাইল গুলোতে চমৎকার এবং ভালো মানের কন্ট্রাস্ট ডিসপ্লে ব্যবহার করার কারণে এই মোবাইলটি বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয়। samsung ব্র্যান্ডের মোবাইলে বিশেষ করে ফ্লাগশিপ মোবাইলে সুপার এমোলেড ডিসপ্লে সরবরাহ করে।
যা প্রাণবন্ত কালার, গভীর কালো এবং চমৎকার কনট্রাস্ট সরবরাহ করে। এই ব্র্যান্ডের অনেক মোবাইল মডেলে ১২০ হার্জ পর্যন্ত উচ্চ রিফ্রেশ রেট সাপোর্ট করে যার দ্বারা সুন্দরভাবে স্ক্রোলিং এবং উচ্চমানের গেমিং অ্যানিমেশন এবং মাল্টিমিডিয়া কাজে ব্যবহার করা যায়।
Samsung মোবাইলের পারফরম্যান্স-samsung ব্র্যান্ডের বিভিন্ন মডেলের মধ্যে বিভিন্ন পারফরমেন্স রয়েছে। মডেল ভেদে samsung ব্র্যান্ডের মোবাইলে কোয়ালকম স্ন্যাপ ড্রাগন চিপ ব্যবহার করে থাকে যা শক্তিশালী কর্মদক্ষতা প্রদান করে এবং এই ব্র্যান্ডের মোবাইল গেমিং এবং মাল্টিমিডিয়ার জন্য চমৎকার পারফরমেন্স প্রদান করে। এ কারণে বাংলাদেশে samsung মোবাইল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
স্যামসাং মোবাইলের কানেক্টিভিটি-samsung ব্র্যান্ডের মোবাইল গুলোর মধ্যে অনেক লেটেস্ট samsung মোবাইলের দ্রুতগতির ইন্টারনেট ব্যবহারের নিশ্চয়তা প্রদান করতে ৫জি কানেক্টিভিটি ব্যবহার করে থাকে এবং ঘনবসতিপূর্ণ পরিবেশে ভালো চমৎকার পারফরমেন্সের জন্য ওয়াইফাই ৬ এর উন্নত ওয়ারলেস সংযোগ প্রদান করে।
উন্নত ডেটা ট্রান্সফারের স্পিড এবং অন্যান্য ডিভাইসের সাথে সংযোগ করার জন্য ব্লুটুথ ৫.০ অথবা তার উপরের ভার্সন সরবরাহ করে।
Samsung মোবাইলের স্টোরেজ-এই ব্রান্ডের মোবাইলে ৬৪ জিবি থেকে 256gb পর্যন্ত স্টোরেজ ব্যবহার করা হয়েছে। অনেক samsung মোবাইলে অতিরিক্ত স্টোরেজের জন্য মাইক্রো এসডি কার্ড স্লট ব্যবহার করা হয়েছে।
Samsung মোবাইলের পাওয়ার ব্যাকআপ- স্যামসুং ব্র্যান্ডের মডেল ভেদে মোবাইলে সাধারণত ৪০০ এম এএইচ থেকে ৬০০ এম এ এইচ অথবা তার চেয়ে বেশি ক্যাপাসিটির ব্যাটারি ব্যবহার করা অথবা সরবরাহ করা হয়েছে। এবং খুব তাড়াতাড়ি চার্জ করার জন্য চার্জারের পাশাপাশি ওয়ারলেস চার্জিং সুবিধা রয়েছে। এছাড়া ব্যাটারি দীর্ঘ সময় টেকসই এর জন্য সফটওয়্যার অপটিমাইজ করা যায়।
উপরে উল্লেখিত বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোনগুলো ছাড়াও আরো কিছু ভালো মোবাইল আছে রয়েছে সেগুলো হল-
ওয়ান প্লাস (One Plus)
টেকনো (Techno)
অপ্পো(Oppo)
সিম্ফনি (Symphony)
নোকিয়া (Nokia)
মটোরোলা ( Motorola)
ইত্যাদি বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন গুলো উল্লেখ করা হলো।এখান থেকে আপনি আপনার পছন্দ অনুসারে যাচাই-বাছাই করে যে কোন একটি অথবা একাধিক মোবাইল ফোন কিনতে পারেন।
শেষ কথা-বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি:
সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে আমি এ কথা বলে শেষ করবো যে বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো মোবাইল ফোন কোনটি এবং তার সাথে আরো কিছু মোবাইল ফোন সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আপনার পছন্দ হতে পারে এমন যেকোনো একটি আপনি যাচাই-বাছাই করে যদি কিনার ইচ্ছা থাকে তাহলে কিনতে পারেন।
পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনাকে আরো ধন্যবাদ জানাবো এজন্য যে আপনি যদি দয়া করে পোস্টটি শেয়ার এবং কমেন্ট করেন। শেয়ার এবং কমেন্টস করে অন্যান্য ব্যক্তিদেরকেও পড়ার জন্য সুযোগ করে দিন। যেন তারাও পোস্টটি পড়তে পারেন এবং মোবাইল ফোন সম্পর্কে জানতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url