বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি
সুপ্রিয় পাঠক, আপনি কি জানতে চান বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি? তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি।
তাই আসুন পাঠক বন্ধুরা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেই যে বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি।
রোলেক্স ঘড়ির সর্বনিম্ন দাম কত:
বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি তা জানার আগে আমরা জানবো যে রোলেক্স কোম্পানির ঘড়ির সর্বনিম্ন দাম কত। সারা বিশ্বের মধ্যে হাত ঘড়ির জগতে রোলেক্স হচ্ছে অন্যতম জনপ্রিয় একটি ব্রান্ড। ১৯০৫ সালে যাত্রা শুরু করেছিল এই রোলেক্স ঘড়ির কোম্পানি যা বিশ্বে প্রথম ওয়াটারপ্রুফ বা পানিরোধী ঘড়ি প্রস্তুত করেছিল।
আরো পড়ুন: ভালো মানের ব্লেন্ডার মেশিনের দাম কত জেনে নিন
রোলেক্সের দামি ঘড়িগুলোর মধ্যে সবগুলোই দাম হচ্ছে কোটি টাকার উপরে। আর সবচেয়ে কম দামি একটি ঘড়ির দাম বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ টাকার উপরে হতে পারে। Rolex কোম্পানির হাত ঘড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য রেখে প্রতিবছর প্রায় ৮ লাখ Rolex ঘড়ি তৈরি করেন।
Rolex কোম্পানির ঘড়ি দামে বেশি হলেও উচ্চমানের ঘড়ি তারা তৈরিতে অভ্যস্ত। রোলেক্সের সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে তাদের ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ি । বিশ্বের সর্বপ্রথম রোলেক্স এই ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ি তৈরি করেন। ১৯২৭ সালে ওয়াটারপ্রুফ পেটেন্ট করার পর দীর্ঘ সময় ধরে একচেটিয়া ব্যবসা করে গেছেন এই কোম্পানি।
রোলেক্সের অভিজাত সব ঘড়ির দাম কোটি টাকার উপরে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দামের ঘড়ি রয়েছে যার মূল্য 2017 সালে এক কোটি ৭৮ লাখ ডলার যা বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৯২ কটি ২৮ লাখ টাকা বিক্রয় হয়েছিল। তবে রোলেক্সের সবচেয়ে কম দামের ঘড়ি গুলোর মধ্যে একটির দাম হচ্ছে দুই লাখ টাকার উপরে।
যেমন- রোলেক্সের ওয়েস্টার পারপেচুয়াল ডেট মডেলের ৩৪ মিলিমিটার ভিন্টেজ ঘড়ির দাম ২ লাখ ৫০০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশ টাকায় প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। আরেকটি হচ্ছে রোলেক্স ডেটজাস্ট মডেলের ৩১ মিলিমিটার ঘড়ির দাম ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা। সবদিক থেকে বিবেচনা করলে দেখা যায় গুণগত মানে সেরা হিসাবে Rolex কোম্পানির ঘড়ি যেন আভিজাত্য প্রকাশের পরিপূরক। তাই Rolex ঘড়ির দামও অনেক বেশি।
ঘড়ির ডিজাইন ছেলেদের ২০২৪:
বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি তা জানার আগে আমরা জানবো ছেলেদের ঘড়ির ডিজাইন সম্পর্কে। বর্তমানে ঘড়ি শুধু সময় দেখার জন্যই মানুষ ব্যবহার করে না, ঘড়ি হচ্ছে একটি হাতের মানানসই স্ট্যাটাস, স্টাইলিং এর নিদর্শন। আপনার হাতে যদি একটি ঘড়ি থাকে তাহলে আপনার হাতকে মানসম্পন্ন।
এবং আপনার ব্যক্তিত্বকে হ্যান্ডসাম হিসেবে প্রকাশ ঘটাতে পারে। অনেকের মধ্যেই আপনাকে দেখতে আলাদা মনে হবে। বর্তমানে ঘড়ি সময় দেখার জন্য ব্যবহার করার পাশাপাশি একটি শক্তিশালী ফ্যাশন হিসেবে মানুষ ব্যবহার করছে। একটি শক্তিশালী ফ্যাশনেবল ঘড়ি আপনার পুরো লুকটাকেই পরিবর্তন করে ফেলতে পারে।
কোয়ার্টজ ঘড়ি- কোয়ার্টজ ঘড়ির বৈশিষ্ট্য হল কোয়ার্টজ মুভ মেন্ট সঠিকতা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখে। কোয়ার্টজ ঘড়ির সময়ের ব্যবধান বা সময়ের পার্থক্য খুবই কম হয় কারণ সঠিক সময় নিশ্চিত করতে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার ভাইব্রেশন দেয়। এই ঘড়িতে ওয়েল্ডিং এর কোন প্রয়োজন পড়ে না।এক বছর বা দুই বছরে একবার ব্যাটারি চেঞ্জ করার প্রয়োজন হতে পারে।
তাই সবসময় নিজের হাতে একটি চমৎকার সময় ঘড়ি পরে থাকতে চাইলে স্টাইলিশ কোয়ার্টজ ঘড়ি আপনি নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে পারেন।
অ্যানালগ ঘড়ি-বর্তমান সময়ে চমৎকার সব ফিচারের ডিজিটাল ঘড়ির পাশাপাশি এনালগ ঘড়ি খুবই জনপ্রিয়। বর্তমানে ঘড়ির জগতে ডিজাইন এবং আকৃতি হিসাবে ঘড়ি ব্যবহারকারীদের অন্যতম পছন্দের তালিকায় সবার শীর্ষে আছে এনালগ ঘড়ি। এই ঘড়ি যে কোন সময় মুভ মেন্ট আর স্টাইলিশ ডিজাইনে আকৃষ্ট করে তুলতে পারে সব মানুষকে। একটা সময় ছিল ঘড়ি বলতে শুধু এনালগ ঘড়িকেই বুঝতো।
আরো পড়ুন: সবচেয়ে ভালো রাইস কুকার কোনটি-রাইস কুকারের দাম
কিন্তু ফ্যাশন যেমন ঘুরে ঘুরে আসে তেমনি ছেলেদের এনালগ ঘড়িও ফিরে এসেছে নতুন ডিজাইনে, নতুন ফ্যাশনে, নতুন রূপে।বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেরা এনালগ ঘড়িকে কালেকশন থেকে সহজেই আপনি বেচে নিতে পারেন নিজের জন্য একটি অভিজাত, স্টাইলিশ এনালগ ঘড়ি।
ক্রোনোগ্রাফ ঘড়ি- অ্যাথলেটদের জন্য ক্রোনোগ্রাফ ঘড়ি বিশেষ জনপ্রিয়। একজন অ্যাটলেটর এমন ক্রোনোগ্রাফ ঘড়ি পছন্দ করবেন যা একই সাথে স্টপ ওয়াচের কাজ সহ করবে। ক্রোনোগ্রাফ ঘড়িগুলো সাধারণত স্পিড সেকেন্ড ফরমেটে হয়ে থাকে। আবার কিছু কিছু দুই ধরনের টাইম ফরমেট একই সাথে দেখিয়ে থাকে।
এটি হচ্ছে সাঁতারুদের এবং দৌড়বিদদের জন্য একটি অসাধারণ ঘড়ি হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিত। এর বাইরে কিছু ঘড়ি ট্যাকিমিটারও অফার করে থাকে। ট্যাকিমিটার টাইম এবং দূরত্ব হিসাব করে গতি বের করার নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে।
ডিজিটাল ঘড়ি- বর্তমান যুগে প্রযুক্তির কল্যাণে ঘড়ি শুধু সময় দেখার জন্যই মানুষ ব্যবহার করে না, বিভিন্ন স্টাইলিশ, ডিজিটাল ঘড়িগুলোর রয়েছে ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে টাইম, ক্যালেন্ডার, এলারাম, স্টপওয়াচ সহ আরো অনেক ফাংশন থাকার জন্য মানুষ অত্যন্ত আগ্রহের সাথে ব্যবহার করছেন। ডিজিটাল ঘড়িতে এনালগ ঘড়ির চেয়ে অনেক পরিমাণ বেশি ফাংশন বা বেশি আধুনিক ফিচার রয়েছে।
এই সমস্ত ঘড়িগুলোতে ডিজিটাল ডিসপ্লে এর মাধ্যমে সকল তথ্য উপলব্ধি করা হয়।ডিজিটাল ঘড়ির সবচেয়ে আধুনিক আবিষ্কার হলো স্মার্টওয়াশ যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে অনেক বেশি গতিশীল ও বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে। কিন্তু ছেলেদের স্টাইলিশ ও ফ্যাশনেবল ডিজিটাল ঘড়ি যে কাউকে মনোমুগ্ধকর করে তুলতে পারে। মোবাইল ফোনের সাথে স্মার্ট ঘড়ি অনেকেই ব্যবহার করে থাকেন।
ছেলেদের ঘড়ি কেনার আগে যে সমস্ত বিষয় গুরুত্ব দেওয়া উচিত-
ছেলেদের ঘড়ি দোকানে বিভিন্ন স্টাইলে, বিভিন্ন ডিজাইনের মাধ্যমে সেরা মানের ঘড়িগুলো মার্কেটে বা দোকানে সাজানো থাকে। সেখান থেকে আপনাকে আপনার পছন্দমত যেকোনো একটি ঘড়ি আপনি চয়েস করে কিনতে পারেন।ছেলেদের হাতের ঘড়ির ডিজাইন, স্টাইল স্থায়িত্ব অনুসারে ঘড়ির ধরন বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে।
খেলাধুলা বা শারীরিক কার্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্য রেখে পোশাকের সাথে মিল রেখে ঘড়ির চেহারাও আসে অনেক পরিবর্তন। তাই নিজের জন্য অথবা যে কাউকে উপহার হিসাবে দেওয়ার জন্য সবচেয়ে সেরা ঘড়িটি আপনি বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখলে আপনি আরো আকর্ষণীয় ও আধুনিক মানের ঘড়ি বেছে নিতে পারবেন।
রিস্ট ব্যান্ড- আপনি যদি ভালো মানের হাতঘড়ি কিনতে চান সে ক্ষেত্রে একটা ঘড়ির ব্যান্ড বিবেচনার বিষয় হতে পারে। একটি রিস্ট ওয়াচ ব্যান্ড একটি ঘড়িকে অনেক পরিবর্তন এনে দিতে পারে। এগুলো সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে। যেমন- ব্রেসলেট কোন ধাতু দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এমন এবং আরেকটি হচ্ছে স্টারপস প্লাস্টিক, রাবার, চামড়া দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে যা সহজেই পরিবর্তন করা যায়।
পরিবেশ অনুসারে-একটি ভালো মানের ঘড়ি কেনার ক্ষেত্রে আপনি দিনের বেশিরভাগ সময় কোন পরিবেশে সময় কাটান তা এটা হতে পারে একটি উল্লেখযোগ্য বিবেচনার করার মতো বিষয়। অর্থাৎ আপনি বেশিরভাগ সময় কোন পরিবেশের উপর ব্যয় করেন সেই পরিবেশের সঙ্গে ম্যাচিং অনুসারে আপনার গরিব চয়েস করা উচিত। আপনার সাচ্ছন্দ কে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আপনি পছন্দ করতে পারেন ফরমাল অথবা এক্সক্লুসিভ ডিজাইনের ঘড়ি।
ঘড়ি কেনার বাজেট- আপনি যে ব্র্যান্ডের ঘড়ি পছন্দ করেন না কেন আপনার বাজেট অনুসারেই তা শেষ পর্যন্ত কিনতে হবে। আপনি যদি উচ্চ মানের ঘড়ি কিনতে চান তাহলে আপনার বাজেট একটু বেশি হতে হবে। তবে বেশি পরিমাণ বাজেট দিয়ে আপনি নিম্নমানের ঘড়ি কিনেন তাহলে তো সেটা আপনার জন্যই লস হবে।
এক্ষেত্রে দারাজ কে আপনি ঘড়ি কেনার ব্যাপারে একটি আদর্শ জায়গা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। কারণ এখানে আপনি ওয়েবসাইটের প্রাইস রেঞ্জ ফিল্টার ব্যবহার করে বেছে নিতে পারবেন বাজেটের মধ্যে সেরা গাড়িটি।
কোন ব্রান্ডের ঘড়ি কিনবেন-ব্রান্ডের ঘড়ির উপর প্রায় সবারই দুর্বলতা রয়েছে। তবে ব্রান্ডের ঘড়ির দাম অন্যান্য ঘড়ির চেয়ে একটু বেশি হয়ে থাকে। সে ক্ষেত্রে আপনাকে বাজেট একটু বেশি রাখতে হবে। বাজেট বেশি দিয়ে ব্র্যান্ডের ঘড়ি কিনলে আপনার পছন্দ মোতাবেক হতে পারে। কোন ব্র্যান্ডের ঘড়ি আপনি কিনবেন যদি আপনার জানা না থাকে।
তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনি দারাজ কে আপনি চাইলে পছন্দ করতে পারেন। দারাজ থেকে ঘড়ি কিনলে আপনি পেতে পারেন আপনার পছন্দ অনুযায়ী ছেলেদের বিভিন্ন সেরা ঘড়ি ব্র্যান্ডের মধ্যে সবচেয়ে ভালো ঘড়ি।
ঘড়ির ফিচার মূল্যায়ন-ঘড়ি কেনার আগে আপনাকে ফিচার মূল্যায়ন করতে হবে। কিছু কিছু ঘড়ি আছে বিভিন্ন রকম ঐচ্ছিক ফিচার নিয়ে আসে। কেউ কেউ আছেন সব সময় বাহিরে কাজ করেন। এ ধরনের লোকের জন্য ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ি প্রয়োজন পড়বে। আবার কারো কারো তাপ এবং উষ্ণতা সনাক্তকরণ সমৃদ্ধি ঘড়ির প্রয়োজন পড়বে।
তাই ঘড়ি কেনার আগে আপনি আপনাকে দেখতে হবে কোন ফিচারের ঘড়ি, কোন ব্র্যান্ডের বা কোন মডেলের ঘড়ি আপনার প্রয়োজন।
ক্যালেন্ডার ঘড়ি- বর্তমান মানুষের বহুল ব্যস্ততার জীবনে ঘড়ির সাথে ক্যালেন্ডার থাকা খুবই প্রয়োজন। কিছু কিছু ব্রান্ডের ঘড়িতে ক্যালেন্ডার ও রিমাইন্ডার অপশন থাকে। যেগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে জীবনযাত্রাকে আরো সহজ করে তুলবে। এক্ষেত্রে আপনি ওয়ার্ল্ড টাইম ওয়াজ গুলো ভ্রমণের জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
হার্ট মনিটর ঘড়ি-শুধু সময় দেখার জন্য অথবা ফ্যাশনেবল এর জন্য ঘড়ি প্রযোজ্য নয়।নিজের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর রাখতেও ঘড়ির প্রয়োজন হয়ে থাকে। খেলোয়ারী মনোভাব সম্পূর্ণ গ্রাহকদের জন্য একটি সেরা অপশন হল হার্ট মনিটর ঘড়ি। এটি প্রতি মিনিটের হৃদয় কম্পন গণনা করতে পারে। তাই আপনি চাইলে শরীরের হার্ট মনিটর করার জন্য এটি পছন্দ করতে পারেন।
ওয়াটারপ্রুফ ঘড়ি-টাইম এবং ফ্যাশনেবল এর সাথে সাথে পানি প্রতিরোধী ঘড়ি আপনি পছন্দ করতে পারেন। এই পানি প্রতিরোধী ঘড়ি ৩০ মিটার পর্যন্ত এই সুবিধা প্রদান করে। সেগুলো হল স্প্লাস, প্রতিরোধী। এই ধরনের ঘড়ি পরে আপনি গোসলও করতে পারবেন। এমনকি হাত ধোয়া, অজু করার সময় এটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।
তার মানে ওয়াটার রেসিস্ট মানে আপনি ঘড়িটা সব জায়গায় ব্যবহার করতে পারবেন। আর ১০০ মিটার মানে হলো আপনি এটা হাতে পরে সাঁতার কাটা অথবা ড্রাইভিং করতে পারবেন।
সাশ্রয়ী মূল্যে ঘড়ি- দারাজে ছেলেদের জন্য সাশ্রয়ী দামে ঘড়ি কিনতে পারবেন সরাসরি অথবা অনলাইনের মাধ্যমে। আপনি ছেলেদের জন্য বিভিন্ন হাত ঘড়ির মডেল দেখতে এবং দাম জেনে পছন্দ করতে পারেন আপনার সেরা মানের ঘড়িগুলো। অনলাইনে অর্ডার করলে দেশের যেকোন স্থানে আপনি আপনার কাঙ্খিত বড়দের ঘড়ি এবং ছোটদের হাত ঘড়ি অথবা স্মার্টওয়াচ অনলাইনে অর্ডার করতে পারেন।
এছাড়া, ডিসকাউন্ট অফার, ভাউচার পলিসি, ব্রান্ড ওয়ারেন্টি ও সহজ লেনদেনের মাধ্যমে অনলাইনে ছেলেদের ঘড়ি শপিং করতে পারেন। দারাজের সেরা মানের ঘড়িগুলো হচ্ছে ফাস্ট ট্র্যাক ঘড়ি, টাইটান ঘড়ি, আরমানি ঘড়ি, ক্যাসিও ঘড়ি, মাইকেল করস ঘড়ি,ফসিল ঘড়ি, পুলিশ ঘড়ি ইত্যাদি।
বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি:
এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব যে বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি। ঘড়ি প্রেমীদের অথবা যে কোন গ্রাহকদের অবশ্যই জানা উচিত যে বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ব্র্যান্ড কোনটি। বিশ্বে এমন কিছু ঘড়ি রয়েছে যেগুলো সাধারণ ঘড়ির মতো নয় এবং দামেও অনেক বেশি।
এগুলো বেশ ব্যয়বহুল হলেও অনেক সৌখিন মানুষ রয়েছে যারা এই দামি ঘড়িগুলো সংগ্রহ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। পৃথিবীতে বহু ঘড়ি প্রেমী রয়েছে যারা তাদের শখ নামিদামি দুর্লভ ঘড়িগুলো হাতে দেওয়া বা ঘরের ওয়ালে ঝুলিয়ে রাখা। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ঘড়ি তৈরি হয় সৌদি আরবের মক্কায়।
আরো পড়ুন : সবচেয়ে ভালো ওয়াটার ফিল্টার কোনটি
এর নাম হচ্ছে আবরাজ অল বিট ক্লক। ঘড়ির প্রচলন সঠিকভাবে কবে থেকে শুরু হয়েছে তা বলা মুশকিল হলেও ধারণা করা হয় প্রায় তিন হাজার চারশত বছর আগে থেকে সময় কিংবা ঘড়ি সম্পর্কে টুকটাক তথ্য সবারই জানা ছিল। তবে ১৮৮৪ সাল থেকে মোটামুটি ভাবে ঘড়ির প্রচলন হতে থাকে। তারপর সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আধুনিক ঘড়ির প্রচলন শুরু হয়েছে।
এই আধুনিক ঘড়ি গুলোর মধ্যে বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্লাড কোনটি তা সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করছি-
ক্যারেট কোপার্ড ওয়াচ-বিশ্বের মধ্যে এই ঘড়িটি এক নম্বর এবং দেখতে সুন্দর, দামে হাতের নাগালের বাইরে। এর দাম হচ্ছে ২৫ মিলিয়ন ডলার। এই ঘড়িটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি। এটি ২০১ ক্যারেট ডায়মন্ড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এবং এর মূল ভিত্তি টি সবুজ ডায়মন্ড ১১ ক্যারেট সাদা ডায়মন্ড ও ১৫ ক্যারেট পিংক ডায়মন্ড দ্বারা প্রস্তুত করা হয়েছে।
এর বড় অংশে ১৬৩ ক্যারেট সাদা ডায়মন্ড এবং হলুদ ডায়মন্ড দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘড়িটির চতুর পাশেই ডায়মন্ড বসানো রয়েছে, দেখতে অসাধারণ। খুবই সুন্দর কিন্তু ঘড়িটি পেতে দুর্লভ নয় কারণ ঘড়িটি পেতে হলে ২৫ মিলিয়ন ডলার হাতে থাকা লাগবে।
প্যাটেক ফিলিপস সুপার কমপ্লিকেশন ওয়াচ-বিশ্বের বিলাসবহুল ঘড়িগলোর মধ্যে প্যাটেক ফিলিপস সুপার কমপ্লিকেশন ওয়াচ একটি অন্যতম ব্রান্ড। এই ঘড়িগুলো মনোবিজ্ঞানী মনোযোগ বিশেষজ্ঞদের হাতে এবং জাদুকরদের হাতে দেখতে পাওয়া যায় এবং সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন ইংরেজরা। এই ঘড়ি ব্যবহার করে খেলোয়াড়রা সময় দেখতে পারেন।
সাঁতার, ফুটবল খেলার সময় এ ধরনের ঘড়িতে সময় দেখা যায়। এটির দাম হচ্ছে ১১ মিলিয়ন ডলার। এটি ১৮ ক্যারেট ক্লাসিক ঘড়ি যা আমেরিকান এক ব্যাংকার্স যার নাম হেনরি গ্রাভেশ তিনি এই ঘড়িটির ডিজাইন করেছিলেন।
প্যাটেক ফিলিপস প্লাটিনাম ওয়ার্ল্ড টাইম ওয়াচ-বিভিন্ন দেশের বা বিভিন্ন শহরের একই সঙ্গে সময় জানতে এই ঘড়িটি বেশ উপকারী। এই প্লাটিনাম ওয়ার্ল্ড ওয়াচ ঘড়িতে একই সঙ্গে কয়েকটি জনপ্রিয় দেশ এবং শহরের সময় বলে দিতে পারার ক্ষমতা রয়েছে। এটির দাম ৪ হাজার মিলিয়ন ডলার যা আকাশ ছোঁয়া হলেও এটি প্রায় ২৪ টি দেশের সময় একইসঙ্গে জানতে পারা যায়। এটি ১৮ ক্যারেট হলুদ সাদা গোলাপি সোনা দারা তৈরি করা হয়েছে।
ভ্যান্সেরন কন্সটাটিন ট্যুর ডি ইল ওয়াচ-এই ঘড়িটি বিশ্বের বিলাসবহুল ঘড়ির মধ্যে দেখতে সাদা সিদে মনে হলেও এতে পাঁচবার সময় নির্ধারণ করা যায়। এই সময়ের মধ্যে সাধারণত অনেক কিছুই পড়ে। এই ঘড়িটির দাম ১.৫ মিলিয়ন ডলার। এটি একেক সময় দ্বিমুখী বৈশিষ্ট্য বহন করে।
এবং এই ঘড়িটির মধ্যে সেকেন্ড জুন ,সানসেট টাইম,ক্যালেন্ডার, মিনিট রিপোর্টিং রয়েছে যা গুণগত মান-সম্পন্ন একটি ঘড়ি। এটি 18 ক্যারেটের টাইম পিস আর অন্যতম গুন দিয়ে এই ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছে।
প্যাটেক ফিলিপ স্কাই মুন ট্যুর বিলিয়ন ওয়াচ-বিশ্বের বিলাসবহুল ঘড়িগুলো এবং দামি ঘড়ি গুলোর মধ্যে এই ঘড়িটি অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড হিসাবে পরিচিত। এই ঘড়িটি টাইম দেখার জন্য আকর্ষণীয় একটি সামগ্রী রয়েছে। এটি সর্বপ্রথম ঘড়ি যার দুটি চেহারা রয়েছে। আকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এর সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
একটিতে সাধারণ সময় এবং আরেকটিতে চাঁদের সময় দেখা যায় এবং ইহা ছাড়া রাত এবং দিনের সময়ের নানা ধরনের প্রকারভেদ এই ঘড়িটিতে লক্ষ্য করা যায়। এই ঘড়িটির দাম হচ্ছে ১.৩ মিলিয়ন ডলার যা বিশ্বের মধ্যে অন্যতম ঘড়ি গুলোর মধ্যে একটি।
দ্যা কোপ্রিট সুপার আইচ ট্যাব ওয়াচ-এই ঘড়িটি ৬০ ক্যারেটের এ ডায়মন্ড টাইমপিস শিস এর মাধ্যমে আবিষ্কার হয়েছে। ১৮ ক্যারেটের সাদা সোনার ব্রেসলেট এবং ডায়মন্ডের টুকরো দিয়ে এই ঘড়িটির চতুর পাস এবং এর ডায়াল তৈরি করা হয়েছে। ঘড়িটির দাম বেশি হলেও দেখতে সুন্দর এবং এই ঘড়িটি আশি থেকে একশ ফুট পানির নিচে গেলেও টাইম ঠিকমতোই জানা যাবে। এই ঘড়ির দাম ১.১ মিলিয়ন ডলার।
ব্ল্যাক কাভিয়ার ব্যাংক ওয়াচ-বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি গুলোর মধ্যে ব্লাক কাভিয়ার ব্যাংক ওয়াশ ঘড়িটি খুবই আকর্ষণীয় এবং মানানসই। এই ঘড়িটির ডায়াল কাঁটা হচ্ছে দুটি দিক নির্দেশ করে। একটি বিগ ব্যাংক আরেকটি সাধারণ সময় নির্দেশ করে। ১৮ ক্যারেটের সাদা সোনা এবং ১০০রও উপরে ডায়মন্ডের টুকরো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে এই দর্শনীয় ঘড়িটি।
ঘড়িটির দাম ১ মিলিয়ন ডলার। দেখতে খুবই আকর্ষণীয় এবং হাতে পরলে খুবই চমৎকার এবং খুবই মানানসই।
লুইস ময়নেট ম্যাগিসট্যালিস ওয়াচ-বিশ্বের দামি ঘড়ির জগতে এই ঘড়িটি বেশ আকর্ষণীয় এবং জনপ্রিয়। এই ঘড়িটি টাইম দেখার জন্য পাঁচটি ডায়াল রয়েছে। ১৮ ক্যারেটের এই ঘড়িটিতে ক্রোনোগ্রাফ এবং ক্যালেন্ডার রয়েছে। এই ঘড়িটিতে পৃথিবী এবং চাঁদের সময় একইসঙ্গে উপলব্ধি করা যায়। ঘড়িতে দাম হচ্ছে ৬০ হাজার ডলার।
নাম্বারে ব্যালেন্স পেন ওয়াচ-বিশ্বের বিলাসবহুল ঘড়ি গুলোর মধ্যে এই ঘড়িটি অনেক ভালো এবং দেখতে খুবই সুন্দর ঘড়ি।যা খুবই কম চোখে পড়ে। নাম্বার ১৭৩৫ আর গ্রান্ড কমপ্লিকেশন মডেলের এই ঘড়িটির কিছু বিশেষত্ব রয়েছে। এটি ১৮ ক্যারেটের সোনা ব্যয় করে তৈরি করা হয়েছে এবং সঙ্গে 1735 ক্যালিভার উইন্ডিং রয়েছে।
সঠিক টাইম উপলব্ধি করার পাশাপাশি এই ঘড়িতে ক্যালেন্ডারের তারিখ দেখারও সুযোগ রয়েছে। এবং প্রতি সেকেন্ডে সময় গড়িয়ে যাওয়ার খসড়াও এই ঘড়ির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। ঘড়িটির দাম প্রায় আট লাখ ডলার। আপনার যদি বাজেট থেকে থাকে তাহলে বিলাসবহুল এই ঘড়িটি কিনে ব্যবহার করতে পারেন।
বাজেট পকেট ওয়াচ-দামে সস্তা না হলেও এই ঘড়িটি বিশ্বের এক নম্বর ঘড়ি গুলোর মধ্যে দাম কম। এই ঘড়িটি ১৯০৭ বিএ/১২ মডেলের এই ঘড়িটি বেশিরভাগ ব্যবহার করেন ইংরেজরা। তারা এই ঘড়িটি পকেটে ফ্যাশন হিসেবে রাখেন এবং এটি তাদের আভিজাত্যের একটি পরিচয় এবং এটা দিয়ে তারা টাইম উপলব্ধি করেন ১৮ ক্যারেট সিলভার গোল্ড দিয়ে তৈরি এই ঘড়িটি দেখতেও চমৎকার।
রোলেক্স ঘড়ি-দেশের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি গুলোর মধ্যে রোলেক্স ঘড়ি একটি অন্যতম সেরা ঘড়ি। এই ঘড়ির দাম বেশি হলেও গুণগত মানে উন্নত এবং দেখতে সবার চেয়ে সেরা। রোলেক্সের ঘড়ি ব্যবহার করা সম্পদের গ্রাভিটি করা নয় অথবা অন্য কাউকে দেখানোর জন্য নয়। এটি হাতে পরলে মনের ভিতর এক ধরনের প্রশান্তি অনুভূত হয়।
বিশ্বের বিলাসবহুল অভিজাত ঘড়ির জগতে এক অন্যতম নাম সুইচ ব্র্যান্ড রোলেক্স। আইকনিক নকশা এবং উন্নত উপকরণ দ্বারা তৈরি এই রোলেক্স ঘড়ি বিশ্বের ঘড়ির বাজারে একটি অন্যতম বেঞ্চমার্ক হিসাবে পরিচিত হয়। সেই সাথে রোলেক্স এখন আভিজাত্য ও মর্যাদার প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও বিনোদন জগতের তারকা থেকে শুরু করে শিল্পপতি, রাজনীতিবিদ, রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান থেকে ধর্মগুরু অনেকেরই পছন্দের শীর্ষে রয়েছে এই আকাশ ছোঁয়া দামের এই রোলেক্স ঘড়ি। এই রোলেক্স ঘড়ির দাম ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার ডলারের হয়ে থাকে যা রোলেক্সের ডালটন মডেলের একটি ঘড়ি।
রোলেক্স ওয়েস্টার ডেড মডেলের ঘড়ির দাম ৩ হাজার ডলার,ওয়েস্টার পারপেচুয়াল ডেট মডেলের ৩৪ মিলিমিটার ভিনটেজ ঘড়ির দাম ২৫০০ ডলার। রোলেক্সের ডেটোনা মডেলের সবচেয়ে দামি ঘড়িগুলোর একটির দাম হচ্ছে ১ কোটি ৭৭ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ ডলার।
বর্তমানে অন্যতম দামি মডেলের একটি রোলেক্স জিএমটি মাস্টার টু আইস যা ১৮ ক্যারেট সাদা সোনা ও ত্রিশ ক্যারেটের হীরা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এই মডেলের ঘড়ির দাম শুরু হয় পাঁচ কোটি টাকার উপরে।
শেষ কথা-বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি:
সুপ্রিয় পাঠক আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে আমি এ কথা বলে শেষ করে দিব যে, আপনাদের সুবিধার্থে বিশ্বের এক নম্বর বিলাসবহুল ঘড়ি ব্রান্ড কোনটি এবং এর সাথে আরো কিছু তথ্য আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি পোস্টটি আপনাদের জন্য খুবই ফল প্রসু হবে। উল্লেখিত ব্রান্ডের ঘড়ি গুলোর মধ্যে এক নম্বর হিসেবে আপনি যেকোনো একটি চয়েজ করতে পারেন।
পোস্টটি পড়ে যদি কোন উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে শেয়ার এবং কমেন্টের মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ জানিয়ে দিন। যেন তারাও এই পোস্টটি পড়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন। এতক্ষণ ধরে আমার এই পোস্ট টির সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url