জাহাজে করে হজ করতে কত টাকা লাগে
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মালবাহী জাহাজের নাম কি:
জাহাজে করে হজ করতে কত টাকা লাগে তা জানার আগে আমরা জানবো পৃথিবীর সব চেয়ে বড় মালবাহী জাহাজের নাম কি। টাইটানিক জাহাজের কথা আমার অনেকেই জানি। এটি ছিল বিশ্বের একটি ব্রিটিশ যাত্রীবাহী বড় জাহাজ। কিন্তু এটি১৯১২ সালে প্রথম সমুদ্র যাত্রা করতে গিয়ে সাউথ হ্যাম্পটন থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে হিমশৈলের /আইসবার্গের সঙ্গে সংঘর্ষ লেগে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায়।
আরো পড়ুন: ঢাকা থেকে সৌদি আরব বিমান ভাড়া কত জেনে নিন
এই টাইটানিক জাহাজটি ওই সময়ের সবচেয়ে বড় আধুনিক এবং বিলাসবহুল যাত্রীবাহী জাহাজ ছিল।
তবে বর্তমানে বিশ্বের সবথেকে বৃহৎ এবং বিলাস বহুল যাত্রীবাহী জাহাজের নাম হচ্ছে ওয়েসিস অফ দ্য সিস। এ জাহাজটি হচ্ছে 22 তলা বিশিষ্ট বিলাসবহুল একটি জাহাজ যেখানে ১৬ টি ডেক এবং ২৭ হাজারটি বিলাসবহুল রুম। এটি একই সাথে 6 হাজার প্যাসেঞ্জার বহন করতে পারে। এ জাহাজে আরও রয়েছে সেন্ট্রাল পার্ক ,পুল, ফিটনেস সেন্টার, বিনোদন কেন্দ্র ইত্যাদি। এ জাহাজেই বিশ্বের প্রথম ভাসমান উদ্যানটি অবস্থিত।
এবার আসি বিশ্বের সব হয়ে কন্টেনার বাহি জাহাজ বা মালবাহী জাহাজের কথায়। বিশ্বের সবচেয়ে বড় মালবাহী জাহাজের নাম হচ্ছে চায়না শিপিং লাইন (China Shipping Line) যা নির্মিত হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এটির মালিক হচ্ছে চিন সিপিং কন্টেইনার লাইচ। এটির আয়তন হচ্ছে চারটি ফুটবল খেলার মাঠের সমান, ৪০০ মিটার লম্বা এবং ৫৬.৮ মিটার চওড়া এবং এর উচ্চতা 73 মিটার।
এই জাহাজটিতে ১৯১০০ টি container ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। জাহাজের এই কন্টেনার গুলো একই সাথে একটি করে লাগালাগি লম্বা করে সাজালে তা ৭২ মাইল লম্বা হয়।আর একটির উপর আরেকটি কন্টেনার রেখে সাজালে তা ৫টি হিমালয় পর্বতের উচ্চতার সমান উঁচু হয়।
এটি ১ লাখ ৮৬ হাজার টন ধারণ ক্ষমতা রাখে। জাহাজটির গায়ে বড় অক্ষরে লেখা রয়েছে চায়না শিপিং লাইন (China Shipping Line)।পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহৎ এই মালবাহী জাহাজটির রেজিস্ট্রি স্থান হিসেবে লেখা রয়েছে সিএসসিএল গ্লোব, হংকং নামে।
এই জাহাজটি ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চায়না শিপিং লাইনস কোম্পানি লিমিটেড এবং দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ এই বৃহৎ জাহাজটি তৈরি করেছেন। সর্ববৃহৎ এই জাহাজটির গতি ঘন্টায় ৪১ কিলোমিটার।
নাম-CSCL
- Operator-China Shipping Container Lines
- Registration port- Hong Kong
- Builder-Hyundai Heavy industries.
মালবাহী জাহাজের গতিবেগ কত:
আমরা এ পর্যায়ে আলোচনা করব কন্টেনার বাহী অথবা মালবাহী বা পণ্য বাহী জাহাজের সর্বোচ্চ গতিবেগ কত হতে পারে এবং এর পাশাপাশি জাহাজে করে হজ করতে কত টাকা লাগে তা আলোচনা করব। একটি মালবাহী জাহাজের বা কার্গো জাহাজের সর্বোচ্চ গতি নির্ভর করে হচ্ছে জাহাজের ধরন এবং নকশার উপর।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত জানতে চোখ রাখুন
সাধারণত বেশিরভাগ মালবাহী জাহাজ বা বেশিরভাগ কার্গো জাহাজ ঘণ্টায় প্রায় ১৮ থেকে ২৯ মাইল বা ৩০ থেকে ৪৬ কিলোমিটার গতিতে চলে। তবে বর্তমানে কিছু আধুনিক জাহাজ তৈরি হয়েছে সেগুলোর গতি এবং দক্ষতার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে প্রায় ৩৪.৫ মাইল বা ৫৫.৫ কিলোমিটার ঘন্টায় চলতে পারে।
তবে এখানে একটি লক্ষনীয় বিষয় হচ্ছে জ্বালানি খরচ এবং পরিবেশগত নিয়মের কারণে সর্বাধিক গতিতে কাজ করা প্রায় লাভজনক নয়। কাজেই অনেক জাহাজ/ মাল বাহি জাহাজ ভালো জ্বালানি দক্ষতার জন্য কম গতিতে চলে। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম মালবাহী জাহাজ গুলোর মধ্যে Maersk Boston একটি অন্যতম প্রধান জাহাজ, যার গতিবেগ ঘন্টায় ৬৮.৫ কিলোমিটার।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি জাহাজ:
এইবার আমরা জেনে নিব বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি জাহাজ কি কি এবং এরপরে জাহাজে করে হজ করতে কত টাকা লাগে তা আলোচনা করব। আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকবেন। অনেকেই আছেন জাহাজে চড়ে ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন, আবার অনেকেই আছেন উড়োজাহাজে করে বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন।
তবে উড়োজাহাজে ভ্রমণ করতে সময় খুবই কম লাগে। আর সামুদ্রিক জাহাজে ভ্রমণ করতে সময় অনেক বেশি লাগলেও বর্তমানে অনেক উন্নত জাহাজ নির্মিত হয়েছে যা আগের চেয়ে বর্তমানে সময় অনেকটাই কম লাগছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০টি জাহাজের নাম নিম্নে আলোচনা করা হলো-
1) হারমোনি অফ দ্য সিস (Harmony of the seas)-বিশ্বের সবচেয়ে বড় জাহাজ গুলোর মধ্যে অন্যতম বড় জাহাজ হলো হারমনি অফ দা সি।২০১২ সালে STX France SA নামক জাহাজ তৈরি কারী একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠান এই হারমনি অফ দা সি নামক জাহাজটি তৈরি করেন। এটির ধারণ ক্ষমতা প্রায় 2 লাখ 26000 টন। এই জাহাজটি হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় উচ্চ ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজ যা ওই একই কোম্পানির অধীনস্থ symphony অফ দা সি ২ লাখ ২৮ হাজার টন ধারণক্ষমতা রয়েছে।
কমপক্ষে প্রায় ৫৫০০ থেকে সর্বোচ্চ ৬ ৭০০ যাত্রী ধারণ ক্ষমতা রয়েছে এই জাহাজটির। রয়েল কোরিয়ান কোম্পানির প্রথম দুইটি প্রমোদ জাহাজের সাকসেসফুল হওয়ার পর তৃতীয় হিসাবে আনা হয় হারমনি অফ দা সিস জাহাজকে। যা সাগরে ভাসানো ২০১৬ সালের ১০ই মার্চ। এটির দৈর্ঘ্য ৩৬২ মিটার।
2) এলিউর অফ দ্য সিস (Allure of the seas)-বিশ্বের সবচেয়ে বড় ১০ টি জাহাজ এর মধ্যে এলিওর অব দ্য সিস একটি অন্যতম বড় জাহাজ। হারমোনি অফ দা সিস এর পরেই এই জাহাজটির স্থান। এই জাহাজটিরও নির্মাতা STX France SA , এই জাস্ট নির্ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টন এবং এর দৈর্ঘ্য ওইটার মতই ৩৬২ মিটার, যার মধ্যে প্রায় ৫ হাজার ৪০০ প্যাসেঞ্জার ধারণ করা যেতে পারে।
3) নবওয়েজিয়ান ব্লিস-বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ জাহাজ গুলোর মধ্যে নবওয়েজিয়ান ব্লিস একটি অন্যতম। এই জাহাজে অনেক উন্নত সেবার ব্যবস্থা রয়েছে। এতে রয়েছে ওয়াটার স্লাইডিং এর মত মজাদার রাইড। ২০টি ডেক, ২২২০টি কেবিল সহ প্রায় ৪ হাজার যাত্রী ধারন ক্ষমতা রয়েছে এ জাহাজটিতে।
4)এমএসসি মেরাভিগলিয়া-বিশ্বের সর্ববৃহৎ জাহাজগুলোর মধ্যে এটি হচ্ছে এটি অন্যতম। এতে রয়েছে 15 টি ডেক এবং ৪৫০০ যাত্রী বহনের ধারণক্ষমতা। এছাড়া আরো রয়েছে ওয়াটার পুল,জিম ইত্যাদি আধুনিক সুযোগ। এই জাহাজটি ফ্রান্সের তৈরি এবং পৃথিবীর চতুর্থতম বড় জাহাজ।
5)এইডা আনোভা-এটি হচ্ছে সর্ববৃহৎ জাহাজ গুলোর মধ্যে পঞ্চম বৃহৎ যাত্রীবাহী জাহাজ এই জাহাজটিতে ৬৬০০ জন যাত্রী ধারণক্ষমতা রয়েছে এবং আরো রয়েছে 17 টি রেস্টুরেন্ট। এতে প্রায় ২১ টি নানা ধরনের কেবিন রয়েছে যা আপনার পছন্দ অনুসারে যেকোনো একটি নিতে পারেন।
6)এমএসসি বেলিসসিমো
7)পোনান্টস লো লেপারহাউস
8)এমএসসি সি সাইড
9)মেরি কুইন টু
10)আর এমন এস ক্যাল্টিক- দৈর্ঘ্য ৭০১ ফুট বা ২১৪ মিটার।
বিশ্বের সবচেয়ে সর্বোচ্চ বড় দশটি জাহাজের নাম আপনি জানতে পারলেন। এছাড়া আরো বড় বড় জাহাজ রয়েছে সেগুলোর মধ্যে কিছু তালিকা দেওয়া।
আর এম এস বাল্টিক-দৈর্ঘ্য ৭২৯ ফুট বা ২২২ মিটার,এই জাহাজটি যুক্তরাজ্যে তৈরি।
কাইসেরিন আগাস্টে ভিক্টোরিয়া-দৈর্ঘ্য ৬৭৭.৫ ফুট বা ২০৬.৫ মিটার, এই জাহাজটি জার্মানিতে তৈরি।
আর এম এস লুজিটানিয়া-দৈর্ঘ্য ৭৮৭ ফুট বা ২৪০ মিটার,এই জাহাজটি যুক্তরাজ্যে তৈরি।
আর এম এস অলিম্পিক- এই জাহাজটির দৈর্ঘ্য ৮৮২.৫ ফুট বা ২৬৯ মিটার,এই জাহাজটি যুক্তরাজ্যে তৈরি।
আর এম এস টাইটানিক-এই জাহাজ টির দৈর্ঘ্য ৮৮০ফুট বা ২৬৯ মিটার,এই জাহাজটি যুক্তরাজ্যে তৈরি।
জাহাজে করে হজ করতে কত টাকা লাগে:
এ পর্যায়ে আমি জাহাজে করে হজ করতে কত টাকা লাগে তা সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। বর্তমানে হজের খরচ কিছুটা কমে যাচ্ছে। গত বছরে হজের খরচ কমিয়ে দুটি হজ প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর ৫০০০০ টাকা থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত হজের খরচ কমানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে। চলতি বছর হজে যেতে সাধারণ প্যাকেজে সরকারি ভাবে ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার ৮৪০ টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। বিশেষ প্যাকেজে খরচ হয়েছিল ৯ লাখ ৩৬ হাজার ৩২০ টাকা। অপরদিকে বেসরকারিভাবে সাধারণ প্যাকেজে হজ যাত্রীদের সর্বনিম্ন খরচ হয় ৫ লাখ ৮৯ হাজার ৮০০ টাকা।
আর বিশেষ প্যাকেজে খরচ হয়েছিল ৬ লাখ ৯৯ হাজার ৩০০ টাকা। হজের খরচ বেশি হওয়ার কারণে হজ যাত্রী গণ খুব প্রকাশ করেছিলেন এবং প্রায় ৪২০০০ হজ যাত্রী কোটার চেয়ে কম হয়েছিল। তবে জানা গেছে বিমান ভাড়া বেশি হওয়ার কারণে হজ যাত্রীদের খরচ বেড়েছিল।
তবে আশা করা হচ্ছে যে এবার আমাদের খরচ কম হবে।বাংলাদেশ থেকে এই এবার হজে যেতে পারবেন ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। প্রাথমিক নিবন্ধন এর জন্য ৩০ নভেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের জুনের প্রথম সপ্তাহে পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সমুদ্র পথে হজ যাত্রা-
এবার অর্থাৎ ২০২৫ সালে নতুন করে আলোচনা হয়েছে হজ যাত্রীদের হজে বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজ যাত্রা করা যাবে। বেশ কয়েক বছর আগে থেকেই সমুদ্রপথে বাংলাদেশ থেকে জাহাজের মাধ্যমে হজে যাওয়ার জন্য আলোচনা চলছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় লাগার কারণে এবং অন্যান্য নানা কারণে আগের সরকার সমুদ্রপথে হজে যেতে খুব একটা আগ্রহী হয়নি।
এবং এই সময় সৌদি সরকারের কাছ থেকেও অনুমোদন পাওয়া যায়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে হজযাত্রীদের হজে পাঠানোর ব্যাপারে বেশ আগ্রহী। এতে বিমান ভাড়া থেকে খরচ প্রায় 40 শতাংশ কমে যাবে। এবং বাংলাদেশ থেকে সৌদি আরব হজে যেতে প্রায় ৮ দিন সময় লাগবে এবং হজ করে ফিরে আসতে আবার ৮ দিন সময় লাগবে।
এক্ষেত্রে যাতায়াতের টোটাল 16 দিন সময় সমুদ্রপথে ব্যয় হবে। তবে এক্ষেত্রে জাহাজে যাতায়াত এবং হজ করার সময় সহ টোটাল প্রায় ১ মাস সময় লাগবে। বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সমুদ্রের পথে হজ যাত্রীদের পাঠানোর উদ্দেশ্য জাহাজ কেনার জন্য পরিকল্পনা করছেন এবং ঋণ সহায়তা চেয়েছেন। এছাড়া বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে হজে যাওয়ার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে।
তাই এই সময়ের মধ্যে জাহাজ কিনে এবার সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে হজ যাত্রীদের কে হজে পাঠানো সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এবার জাহাজের মাধ্যমে হজে যেতে হলে ডিসেম্বর ২০২৪ সালের মধ্যেই সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু এই অল্প সময়ের মধ্যে এটা সম্ভব হবে না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট রা আরো জানিয়েছেন জাহাজটি কেনার অনুমোদন পেলে ৮ দিনে চট্টগ্রাম থেকে সৌদি আরব যাত্রী নিয়ে যাওয়া যাবে। আগে সমুদ্রপথে সৌদি আরব যেতে প্রায় ১ মাসের মতো সময় লাগলেও, বর্তমান অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ জাহাজ গুলি উচ্চ গতিতে চলাচল করতে পারে।
এক সূত্রে জানা গেছে বর্তমানে ভারত, পাকিস্তান, সুদান এবং আরো বেশ কয়েকটি দেশের মুসল্লীরা সমুদ্র পথে জাহাজের মাধ্যমে হজ করার সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার আগে অর্থাৎ ১৯৭১ সালের আগে বাংলাদেশের অনেক মুসলমান মানুষ ভারতের মুম্বাই এবং পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে জাহাজে করে হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরবের জেদ্দায় যেতেন বলে জানা গেছে।
২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে হজ করার জন্য উদ্যোগ নিলেও সৌদি সরকার তাতে অনুমোদন দেয়নি। তবে এবছর ভারত থেকে নৌপথে হজ পরিচালনার অনুমতি পেয়েছে। বাংলাদেশেও মাত্র ৮ দিনে মুসল্লিদের হজে যাওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার একটি প্রস্তাব পর্যালোচনা করছেন নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়।
এটা সিদ্ধান্ত পেলেই আগামী বছর থেকেই জাহাজের মাধ্যমে হজে যাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাবে। আকাশ পথে বিমানের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে হজে যেতে প্রায় ৫ লক্ষ টাকার উপরে খরচ হয়। কিন্তু সমুদ্রপথে জাহাজের মাধ্যমে হজ যাত্রা সম্পন্ন করতে খরচ হবে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।
তবে সমুদ্রপথে হাজীদের হজ করতে পাঠানোর ক্ষেত্রে বাধা হতে পারে কারণ বর্তমানে বাংলাদেশ হজ করা যাত্রীদের জন্য সমুদ্রগামী জাহাজ নেই। সমুদ্রপথে হজ করতে হাজীদের পাঠাতে প্রয়োজন হল চার্টার্ড জাহাজ, যা বাংলাদেশে নেই। সৌদি আরব সরকার প্রাথমিকভাবে সম্মতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রপথে হজ যাত্রী পাঠানোর ব্যবস্থা হবে। এরপর চূড়ান্ত অনুমোদন পেলেই হাজিরা জাহাজের মাধ্যমে হজে যেতে পারবেন। এতে করে বিমানের চেয়ে প্রায় ৪০ শতাংশ খরচ কমে আসবে। সমুদ্রপথে হজ যাত্রী পরিবহনে এ পর্যন্ত একটি মাত্র কোম্পানি রাজি হয়েছে তাদেরও এই চার্টার্ড জাহাজ নেই। ফলে এই বছর সমুদ্রবন্দর থেকে হজ যাত্রা নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জাহাজে করে হজ যাত্রার বিষয় ব্যাপকভাবে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ধর্ম উপদেষ্টা বলছেন জাহাজের মাধ্যমে হজ করলে বিমানের চেয়ে ৪০ শতাংশ ভাড়া কমে যাবে। বিমানে হজের খরচ বেশি হওয়ার কারণে অনেকের ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বেশি টাকা খরচ হওয়ার কারণে হজে যাওয়া হয় না।
আরো পড়ুন: ঢাকা থেকে কক্সবাজার বিমান ভাড়া কত জেনে নিন
কিন্তু জাহাজে গেলে অনেক টাকা সাশ্রয় হবে। তাই সমুদ্রপথে হজের আগ্রহ বর্তমানে বেশি। সংশ্লিষ্ট রা আরো বলেন হজ মৌসুমে হজ যাত্রীদের ব্যাপকভাবে সাড়া পেলে জাহাজ ভাড়া করে আনা হবে। হজ শুরুর ৮ দিন আগে জাহাজে যাত্রা শুরু করলে, সৌদি আরব গিয়ে ৭ থেকে ৮ দিন হোটেল ভাড়া করে থাকতে হবে না। এখানে হজ যাত্রীদের ১ থেকে দেড় লাখ টাকা বেঁচে যাবে।
শেষ কথা- জাহাজে করে হজ করতে কত টাকা লাগে:
সুপ্রিয় পাঠক, উপরের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পেরেছেন যে জাহাজে করে হজ করতে কত টাকা লাগে। সমুদ্র পথে জাহাজের মাধ্যমে হাজীদের হজ করানোর জন্য বর্তমান সরকার বিশেষ আগ্রহের সাথে কাজ করছেন। সুতরাং আপনি যদি সমুদ্র পথে জাহাজের মাধ্যমে হজ করতে চান তাহলে আপনার খরচ অনেক কমে হবে।
যদিও সময় একটু বেশি লাগবে, যাতায়াত করতে প্রায় ১৬ দিনের মত লাগতে পারে এবং হজ সম্পন্ন করতে খরচ হবে প্রায় ৩ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা। তাই বিমানের চেয়ে জাহাজের মাধ্যমে হজে গেলে আপনার টাকা অনেক বেঁচে যাবে। পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে কমেন্ট এবং শেয়ার করুন।
যেন অন্যান্য ব্যক্তি রাও আর্টিকেলটি পড়তে পারেন এবং জাহাজের মাধ্যমে হজে যাওয়ার খরচ সম্পর্কে জানতে পারেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url