খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি জেনে রাখুন
সম্মানিত পাঠক, খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি কি জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি কি।
তাই আসুন পাঠক বন্ধুরা সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেই যে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি কি এবং সেই সঙ্গে আমরা আরো একটি বিষয় জেনে নেব সেটা হল মেদ কমাতে জিরা খাওয়ার নিয়ম।
কাঁচা জিরা চিবিয়ে খেলে কি হয়:
খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি কি তা জানার আগে আমরা জানবো যে কাঁচা জিরা চিবিয়ে খেলে কি হয়। রান্নাবান্নার কাজে সাধারণত জিরা ব্যবহার করা হয় এবং এর পাশাপাশি নানা ধরনের শরীরের অসুখ-বিসুখের জন্য অনেক কাজে লাগে। জিরাতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি সহ থায়ামিন রাইবোফ্ল্যাভিন এবং নায়াসিনের মত বিভিন্ন প্রকার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
আরো পড়ুন: সকালে খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা কি কি জেনে নিন
এছাড়াও জিরাতে রয়েছে ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম এর মত যৌগ।পুষ্টিবিদদের মতে জিরা হল আয়ুর্বেদিক হজম শক্তি উন্নত করার পাশাপাশি বিপাকীয় হার বাড়িয়ে তোলার ক্ষেত্রে জিরার ভূমিকা অন্যতম। পেটের যে কোন সমস্যা দূর করতে জিরা ভেজানো পানি খেলে খুব একটা উপকার কম হবে।
তবে খালি পেটে শুকনো অবস্থায় জিরা চিবিয়ে খেতে হবে। তাহলে পেটের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে। ভাজা জিরা গুড়া করে চিবিয়ে খেলে পেট পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে এক দারুন কার্যকর পদ্ধতি অথবা এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে আধা চা চামচ ভাজা জিরার গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। এটা শুধু পেট পরিষ্কার করার ক্ষেত্রেই কাজ করে না বরং পাচন তন্ত্র কেউ শক্তিশালী করে তোলে।
- জিরাতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হজম শক্তিকে বাড়িয়ে তোলে।
- জিরাতে থাকা ফাইবার গ্যাস ও এসিডিটি কমায়, পেট পরিষ্কার,কোষ্ঠকাঠিন্য সহ উপশম করে।
- জিরাতে ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান থাকার কারণে আমাদের দেহের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে।
- জিরাতে রয়েছে আন্টি ইনফ্লামেটরি যা বাতের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
মেদ কমাতে জিরা খাওয়ার নিয়ম:
এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব মেদ কমাতে জিরা খাওয়ার নিয়ম এবং এর পাশাপাশি আপনাদেরকে জানিয়ে দিব যে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি কি। মসলার জগতে প্রাচীনকাল থেকে রান্নাবান্নার স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়াতে সুগন্ধিযুক্ত জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জিরা হচ্ছে গন্ধে এবং ঔষধি গুনে একটি ভেষজ উপাদান।
জিরা সর্বপ্রথম প্রথম মিশর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। পরে আস্তে আস্তে বহু দেশে উৎপাদন শুরু হচ্ছে। যেমন- দক্ষিণ এশিয়া, উত্তর আফ্রিকা, চিলি, মেক্সিকো, চীন এবং ভারতে বর্তমানে জিরা প্রচুর পরিমাণে উৎপাদন হচ্ছে। জিরাতে বহুগুণ পুষ্টি রয়েছে সেটা আমরা হয়তো অনেকেই জানি না।১০০ গ্রাম জিরার মধ্যে রয়েছে 375 ক্যালোরি।
এছাড়া এতে ফ্যাট কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম সহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সুগন্ধী যুক্ত এই জিরাটি আমাদের নানা ধরনের অসুখ-বিসুখ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে এক চিমটি জিরার গুড়া আমার আপনার বাড়তি ওজন কমাতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
দ্রুত শরীরের ওজন কমায়। শরীরের চর্বি কমায় এবং প্রাকৃতিকভাবে শরীরের অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত এক গ্লাস জিরা পানি পান করে থাকেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী হবে। সকালে খালি পেটে প্রতিদিন নিয়মিত জিরা পানি খেলে শরীরের নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুন: লিচু খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
দ্রুত ওজন কমাতে জিরা বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং জিরা পানি হজমের জন্য বিশেষ সহায়তা করে এবং দেহ থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। শরীর থেকে টক্সিন সহজেই পরিষ্কার হয়। এই টক্সিন শরীর থেকে বের হওয়ার কারণে শরীরের ওজন কমে যায়। তাই আপনি যদি মেদ বা শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত জিরা পানি খেতে পারেন।
জিরা খাওয়ার নিয়ম নিম্নরূপ-
ধাপ ১- হাফ গ্লাস পানিতে দুই চা চামচ জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখার পর সকালে পানি সিদ্ধ করে চা হিসাবে পান করুন এবং ভেজানো জিরা চিবিয়ে খান। এইভাবে নিয়মিত পানি পান করলে এবং ভেজানো জিরা চিবিয়ে খেলে আপনার শরীর থেকে চর্বি বের করে দিতে সাহায্য করবে।
ধাপ ২- এক গ্রাম গুড়া জিরার সঙ্গে ৫ গ্রাম পরিমাণ টক দই মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন নিয়মিত এইভাবে খেলে আপনার ওজন আপনা আপনি কমতে শুরু করবে। তবে প্রথম ধাপে কাজ না হলে দ্বিতীয় ধাপ অনুসরণ করা ভালো।
ধাপ ৩- প্রায় ৩ গ্রাম জিরার গুড়ার সাথে চার থেকে পাঁচ ফোঁটা পানি এবং তার সাথে কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিয়মিত খান। তাহলে ওজন কমাতে অনেক সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে আপনি সবজির স্যুপ বা বাদামি চালের সঙ্গে এক চামচ জিরার গুড়া মিশিয়ে খেলেও আপনার মেদ কমাতে উপকার পাবেন।
ধাপ ৪- গাজর এবং এর সাথে অন্যান্য শাকসবজি সিদ্ধ করে নিয়ে রসুন কুচি কুচি করে কেটে এর মধ্যে দিয়ে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর জিরার গুড়া অল্প করে উপরে ছিটিয়ে দিন। প্রতি রাতে এই মিশ্রণটি খেলে আপনার শরীরে অনেক পরিবর্তন চলে আসবে।প্রতিদিন নিয়মিত এইভাবে খেলে কমপক্ষে 15 দিনে আপনার শরীরের ওজন কিছুটা হলেও কমে যাবে।
মেদ কমাতে জিরা পানি-শরীরের মেদ ঝরানোর মেইন মহা ঔষধ হচ্ছে জিরা।আপনি যদি আপনার পেটের মেদ কমাতে চান তাহলে নিয়মিত জিরা পানি খেতে পারেন।নিয়মিত একটানা ১০ থেকে ১৫ দিন জিরা পানি খেলে আপনার ওজন অটোমেটিকভাবে কমে যাবে। অল্প একটু জিরা গরম পানিতে ফুটিয়ে লাল খালি পেটে পান করুন।
এবং আপনি চাইলে জিরা পানির সাথে টক দই মিশিয়ে নিতে পারেন এবং এর সাথে এক চামচ মধু জিরা পানির সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন।
খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা:
এ পর্যায়ে আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি কি।মসলার জগতে প্রাচীনকাল থেকে রান্নাবান্নার স্বাদ এবং ঘ্রাণ বাড়াতে সুগন্ধিযুক্ত জিরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। জিরা হচ্ছে গন্ধে এবং ঔষধি গুনে একটি ভেষজ উপাদান। জিরাতে বহুগুণ পুষ্টি রয়েছে সেটা আমরা হয়তো অনেকেই জানি না।
১০০ গ্রাম জিরার মধ্যে রয়েছে 375 ক্যালোরি। এছাড়া এতে ফ্যাট কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, সোডিয়াম, পটাশিয়াম সহ নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। সুগন্ধী যুক্ত এই জিরাটি আমাদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ১ চিমটি জিরার গুড়া আপনার বাড়তি ওজন কমাতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। দ্রুত শরীরের ওজন কমায়,শরীরের চর্বি কমায় এবং প্রাকৃতিকভাবে শরীরের অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। আপনি যদি প্রতিদিন নিয়মিত ১ গ্লাস জিরা পানি পান করেন তাহলে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী হবে।
সকালে খালি পেটে প্রতিদিন নিয়মিত জিরা পানি খেলে শরীরের নানা ধরনের স্বাস্থ্য উপকারিতা পাওয়া যায়। দ্রুত ওজন কমাতে জিরা বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে এবং জিরা পানি হজমের জন্য বিশেষ সহায়তা করে এবং দেহ থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এই টক্সিন শরীর থেকে বের হওয়ার কারণে শরীরের ওজন কমে যায়।
আরো পড়ুন: বজ্রপাতের উপকারিতা-বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত
তাই আপনি যদি মেদ বা শরীরের ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত জিরা পানি খাওয়া আপনার জন্য খুবই জরুরী। সকাল ঘুম থেকে উঠার পর জিরা পানি পান করা সবচেয়ে উত্তম। জিরা পানি দিনের যেকোনো সময় পান করা যেতে পারে। তবে সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে পান করা হলে এটি সবচেয়ে বেশি উপকারিতা পাওয়া যায়।খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা নিম্নে আলোচনা করা হলো-
জিরা দ্রুত ওজন কমায়-শরীরের ওজন এবং চর্বি ঝরানোর মহা ঔষধ হচ্ছে জিরা। দেহের ওজন কমানোর ব্যাপারে জিরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। জিরা পানি খুবই ভালো হজমের জন্য সাহায্য করে এবং দেহ থেকে টক্সিন বের করে দেয়।এই টক্সিন বের হওয়ার কারণে ওজন কমে যায় এবং ফ্যাট কমে যায়। তাই প্রতিদিন নিয়মিত জিরা পানি খেলে দ্রুত ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জিরা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে- প্রতিদিন নিয়মিত খালি পেটে জিরা পানি খেলে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত রোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী। জিরা শরীরের ইনসুলিন উৎপাদনকে উদ্দীপিত করে। এটি রক্তের শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। যার কারণে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে।
জিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে-খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার আরেকটি অন্যতম প্রধান উপকার হচ্ছে জিরা শরীরের নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। জিরাতে রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রন এবং ফাইবার। যার কারণে নিয়মিত জিরা পানি পান করলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো শক্তিশালী করে তুলতে সক্ষম হয়।
জিরা নানা ধরনের রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি শারীরিক ঘন ঘন অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কেউ কম করতে সাহায্য করে।
জিরা রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখে-জিরা পানিতে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম থাকার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ যা শরীরের সঠিক কর্মকাণ্ড বজায় রাখতে সহায়তা করে। এবং এটি লবণের নেতিবাচক প্রভাব গুলির মধ্যে ভারসাম্য ঠিক রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
জিরা বদহজম দূর করে-জিরা পানি বদহজমের সমস্যা থেকে বাঁচাতে দারুন ভূমিকা পালন করে। সাধারণত পেটে গ্যাস জমে পেট ফুলে যাওয়ার মত সমস্যা থেকে জিরা পানি রক্ষা করতে পারে। পেটে গ্যাস জমলে পেট ফুলে শক্ত হয়ে যায় এবং পেট ভারী হয়ে যাওয়ার ফলে অস্বস্তি কিংবা পেটে ব্যথা হতে পারে। তাই এই সমস্যা নিরাময়ের ক্ষেত্রে জিরা পানি অনেক উপকারী হতে পারে।
জিরা লিভারের জন্য উপকারী-জিরা লিভারের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। জিরাতে লিভারের ডিটক্সিফিকেশন বৈশিষ্ট্যের কারণে জিরা পানি পান করলে লিভারের ক্ষেত্রে অনেক উপকার হয়। জিরা পানি পান করার ফলে শরীর থেকে টক্সিন বের করে দেয় এবং পিত্ত উৎপাদনেও কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়।
জিরা ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়-জিরা পানি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। জিরা পানিতে অ্যান্টি- কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্ট্য থাকার কারণে এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে খুবই কার্যকরী। তাই প্রতিদিন নিয়মিত জিরা পানি খাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
জিরা হৃদরোগের ঝুকি কমায়-জিরার পানি পান করলে হৃদরোগের জন্য বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। জিরার পানি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে খুবই উপকারী। নিয়মিত জিরা পানি পান করলে হৃদরোগ জনিত নানা ধরনের সমস্যার ঝুঁকি কমে যাবে।
জিরা ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী-নিয়মিত জিরা পানি পান করলে শরীরের ত্বক উজ্জ্বল থাকে এবং চুলেরও উপকার হয়। জিরা পানিতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল থাকার কারণে শরীরকে ডিটক্স করতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক হবে উজ্জ্বল এবং স্বাস্থ্য থাকে উজ্জ্বল।
এছাড়া জিরা পানি ব্রণের সমস্যা দূর করে এবং অন্যান্য সংক্রমন থেকে রক্ষা করে। এটি চুলের গোড়া শক্তিশালী করে তোলার পাশাপাশি চুল পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে এবং খুশকি দূর করে এবং অকালে চুল পেকে যাওয়ার সমস্যা দূর করে।
জিরা মেটাবলিজম ও ফ্যাট ঝরায়-নিয়মিত জিরা পানি পান করলে শরীরের মেটাবলিজম কে ত্বরান্বিত করে এবং শরীরের ফ্যাট ঝরাতে সহায়তা করে। পেটের চর্বি কমিয়ে দিতে জিরা পানি বেশ উপকারী। তবে এর সাথে প্রতিদিন ব্যায়াম করলে আরো ভালো হয়। প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করার পাশাপাশি জিরা পানি পান করলে মেটাবলিজমের হার বেড়ে যাবে এবং সেই সাথে দ্রুত ওজন কমিয়ে যেতে পারে।
জিরা শরীরকে হাইড্রেট করে-নিয়মিত জিরা পানি পান করলে আমাদের শরীর কে হাইড্রেট করতে সাহায্য করবে এবং আমাদের শরীর থেকে টক্সিন বের হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে শরীরের অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
জিরা রক্ত শূন্যতা কমিয়ে দেয়-প্রতিদিন নিয়মিত জিরা পানি পান করলে আমাদের শরীরে রক্ত শূন্যতা অনেক পরিমাণ কমে দিতে পারে কারণ জিরা ভিজে অনেক পরিমাণে আয়রন থাকে রক্তে হিমোগ্লোবিন গঠনের জন্য এই আয়রনের বিশেষ প্রয়োজন। তাই জিরা পানি পান করলে তা রক্ত স্বল্পতার উপসর্গ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
জিরা পিরিয়ডের জন্য উপকারী-অনিয়মিত মাসিক নারীদের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ধরনের সমস্যা। এই সমস্যা সমাধানের জন্য জিরা পানি পান করা খুবই উপকারী। কারণ এটি জরায়ুকে সংকোচন করতে উদ্দীপিত করে যা মহিলাদের মাসিক নিয়মিত করতে ব্যাপক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
জিরা বুকের দুধ বৃদ্ধি করে-প্রসূতি মায়ের জন্য বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য জিরা পানি খুবই কার্যকরী উপাদান। জিরার মধ্যে আয়রন থাকার কারণে এটি গর্ভবতী মহিলা ও দুগ্ধ দানকারী মহিলাদের খাওয়ার জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যকর। এটি দুধ বৃদ্ধি করার জন্য ব্যাপক সহায়তা করে সেই সাথে নিশ্চিত হওয়া যায় যে মায়ের শিশুটি সঠিক পুষ্টি পাচ্ছে।
শেষ কথা- খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা:
সুপ্রিয় পাঠক, আপনাদের সুবিধার্থে খালি পেটে জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা কি কি তা আমি উপরের অংশে সংক্ষিপ্তভাবে আলোচনা করেছি। তবে উল্লেখিত জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা গুলো আলোচনা করা সত্ত্বেও আপনি প্রয়োজনে জিরা পানি খাওয়ার নিয়ম বা উপকারিতা সম্পর্কে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট থেকে পরামর্শ নিতে পারেন।
পোস্টটি পড়ে আপনি যদি কোন উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে শেয়ার এবং কমেন্টস এর মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ জানিয়ে দিন। যেন তারাও জিরা পানি খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে পারে। এতক্ষণ ধরে আমার এই আর্টিকেলের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url