সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না জানতে চোখ রাখুন

সুপ্রিয় পাঠক, সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না তা কি আপনি জানতে চান? তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন। আজ আমি সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না তা আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।

তাহলে আসুন বন্ধুরা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না তা আলোচনা করি।

৫০০ টাকার নোট কোথায় ছাপানো হয়:

সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না তা জানার আগে ৫০০ টাকার নোট কোথায় ছাপানো হয় তা আমরা জেনে নিব। বাংলাদেশের টাকা ছাপানোর বিশেষ কাগজ আমদানি করা হয় সুইজারল্যান্ড থেকে এবং বাংলাদেশী ৫০০ টাকার নোট ছাপা হয় জার্মানিতে। 

আরো পড়ুন :বাংলাদেশের সবচেয়ে কম দামে স্মার্টফোন -ফোনের দাম বাংলাদেশ

তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে টাকা ছাপানোর একমাত্র প্রতিষ্ঠান হচ্ছে বাংলাদেশের গাজীপুরে যার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৯ সালে। বাংলাদেশে ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হয় বাংলাদেশ সুদার্শন সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন লিমিটেড (বাসিক) এর মাধ্যমে যা ঢাকার গাজীপুরে অবস্থিত।

বাংলাদেশে কত প্রকার কাগজের নোট আছে:

সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না তা বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে বাংলাদেশে কত প্রকার কাগজের নোট আছে তা আমরা জেনে নেব।আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই কত প্রকার কাগজের নোট আছে। বর্তমানে বাংলাদেশে দশ প্রকার কাগজের নোট চালু আছে। এগুলো হলো- ১ টাকা, ২ টাকা ,৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা,২০০টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট। 

এখানে এক টাকার কাগজের নোটটি খুব একটা বাজারে দেখা যায় না। এছাড়াও ধাতব মুদ্রা যেগুলো প্রচলিত আছে। সেগুলো হল- ১ পয়সা, ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা, ১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকা মূল্য মানের ধাতব মুদ্রা প্রচলিত রয়েছে। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধাতব মুদ্রা গুলোর মধ্যে ১পয়সা, ৫ পয়সা, ২৫ পয়সা খুব একটা দেখা যায় না বা হাতে আসে না।

বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক নোট কয়টি ও কি কি:

সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না তা আলোচনা করতে গিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নোট কয়টি ও কি কি তা আলোচনা করার জন্য উৎসাহ জাগছে।বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংক নোট হলো ১০ টি। এগুলো হলো - ১ টাকা, ২ টাকা ,৫ টাকা, ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৫০ টাকা, ১০০ টাকা,২০০টাকা, ৫০০ টাকা ও ১০০০ টাকার নোট। 

আরো পড়ুন :টাকা আয় করার বাংলাদেশি ওয়েবসাইট- ফ্রি টাকা ইনকাম

এই দশ ধরনের নোট গুলোকে ব্যাংক নোট বলা হয়। এখানে এক টাকার কাগজের নোটটি খুব একটা বাজারে দেখা যায় না। অর্থাৎ এক টাকার নোটটি প্রচলিত থাকলেও খুব একটা দেখা যায় না।এছাড়াও ১ টাকা, ২ টাকা এবং ৫ টাকা নোটের বিপরীতে ধাতব মুদ্রাও প্রচলিত আছে। সেগুলো হল-  ১ টাকার কয়েন, ২ টাকার কয়েন এবং ৫ টাকার কয়েন মূল্য মানের ধাতব মুদ্রা প্রচলিত রয়েছে। 

বাংলাদেশের ধাতব মুদ্রা কয়টি: 

এ পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশের ধাতব মুদ্রা কয়টি ও কি কি তা জানিয়ে দিব এবং এর পরে  সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না তা সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। বাংলাদেশে ধাতব মুদ্রা হচ্ছে সাতটি।বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ১৯৭৩ সালে ধাতব মুদ্রার প্রচলন করা হয়। এগুলো হচ্ছে ৫ পয়সা, ১০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ৫০ পয়সা মূল্যের ধাতব মুদ্রার প্রচলন ছিল। 

এরপর 1974 সালে ১ পয়সা এবং তারপরে 1975 সালে১টাকার সমমূল্যের ধাতব মুদ্রা তৈরি করা হয়। তারপর বর্তমানে ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা প্রচলিত আছে। তবে বর্তমানে ১পয়সা, ৫ পয়সা, ১০ পয়সা,২৫ পয়সা, 50 পয়সা এই ধাতব মুদ্রা গুলো খুব একটা দেখা যায় না।

মুদ্রার মান -৫ পয়সা  

ধাতু -অ্যালুমিনিয়াম    

বিবরণ-জাতীয় প্রতীক (বিপরীত পাশে) লাঙ্গল ও শিল্প চাকা (অভিমুখে)           

মুদ্রা প্রচলনের সাল-১৯৭৩

মুদ্রার মান -১০ পয়সা  

ধাতু -অ্যালুমিনিয়াম    

বিবরণ-জাতীয় প্রতীক (বিপরীত পাশে), পান পাতা (অভিমুখে)  মুদ্রা প্রচলনের সাল-১৯৭৩

মুদ্রার মান -২৫ পয়সা  

ধাতু -ইস্পাত    

বিবরণ-জাতীয় প্রতীক (বিপরীত পাশে), রুই (অভিমুখে) মুদ্রা প্রচলনের সাল-১৯৭৩  

মুদ্রার মান -৫০ পয়সা  

ধাতু-   ইস্পাত 

বিবরণ-জাতীয় প্রতীক (বিপরীত পাশে), রয়েল বেঙ্গল টাইগার (অভিমুখে)  

মুদ্রা প্রচলনের সাল-১৯৭৩

মুদ্রার মান -১ পয়সা  

ধাতু-অ্যালুমিনিয়াম 

বিবরণ-জাতীয় প্রতীক (বিপরীত পাশে), অলংকার সমৃদ্ধ নকশা পুষ্পশোভিত নিদর্শন (অভিমুখে)  

মুদ্রা প্রচলনের সাল-১৯৭৪

মুদ্রার মান -১ টাকা সমমূল্যের কয়েন  

ধাতু-বিভিন্ন প্রকার 

বিবরণ-জাতীয় প্রতীক (বিপরীত পাশে), চারজন মানুষের ছবি, স্লোগান 'পরিকল্পিত পরিবার সবার জন্য খাদ্য' (অভিমুখে)  

মুদ্রা প্রচলনের সাল-১৯৭৫

১৯৭৭ সালে মুদ্রা গুলো আবার নতুনভাবে সংস্করণ করা হয়। তারপর আবার ২০০৪ সাল ,২০১০ সাল, ১৯৯৪ সাল, ২০১২ সালে নতুন ভাবে দুই টাকা, পাঁচ টাকার মুদ্রা প্রচলিত হয়। 

মুদ্রার মান -২ টাকা সমমূল্যের কয়েন  

ধাতু-ইস্পাত 

বিবরণ-জাতীয় প্রতীক (বিপরীত পাশে), সবার জন্য শিক্ষা,শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকী (অভিমুখে)  

মুদ্রা প্রচলনের সাল-২০০৪,২০১০

মুদ্রার মান -৫ টাকা সমমূল্যের কয়েন  

ধাতু-ইস্পাত 

বিবরণ-জাতীয় প্রতীক (বিপরীত পাশে), যমুনা বহুমুখী সেতু (অভিমুখে)  

মুদ্রা প্রচলনের সাল-১৯৯৪

মুদ্রার মান -৫ টাকা সমমূল্যের কয়েন  

ধাতু-ইস্পাত 

বিবরণ-শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীকী (বিপরীত পাশে), বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো (অভিমুখে)  

মুদ্রা প্রচলনের সাল-২০১২

বাংলাদেশের মোট কত টাকা আছে: 

বাংলাদেশের মোট কত টাকা আছে এটা নির্দিষ্ট করে বলা খুব মুশকিল।সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না তা জানার আগে আমি বাংলাদেশের মোট কত টাকা আছে তা সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মোতাবেক দেশে বর্তমানে ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা মূল্য মানের কাগজের নোট এবং ধাতব মুদ্রা রয়েছে। 

এর মধ্যে 90% ৫০০ টাকার নোট এবং এক হাজার টাকার কাগজের নোট। বাকিগুলো ১০০ টাকা, ৫০ টাকা, ২০ টাকা ,১০ টাকার কাগজের নোট। এছাড়া এই হিসাবের মধ্যে রয়েছে ৫ টাকা, দুই টাকা, এক টাকার কাগজের নোট ও ধাতব মুদ্রা ।এমনকি ৫০ পয়সা, ২৫ পয়সা, ১০ পয়সা ,৫ পয়সা ,এক পয়সার মুদ্রার হিসাবও এর মধ্যে রয়েছে। 

আরো পড়ুন:টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানুন

এগুলো হচ্ছে রিজার্ভ মানি যা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই রিজার্ভ মানির মাধ্যমে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংশ্লিষ্টদের মতে, উল্লেখিত এই ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা থেকেই ব্যাংকগুলো বিভিন্ন খাতে ঋণ প্রদান করছেন। ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা করছেন। 

যেমন- গার্মেন্টস ব্যবসা করছে, স্বর্ণের ব্যবসা হচ্ছে, ব্যাংক ব্যবসা চলছে ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ব্যবসা চলছে। এই টাকা থেকে সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন বোনাস দেওয়া হচ্ছে।

সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না:

এ পর্যায়ে আমরা সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আশা করছি আপনি আমার এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকবেন। আমরা হয়তো অনেকেই মনে করি যে দেশে এত টাকার সংকট তাহলে সরকার ইচ্ছামত অনেক পরিমাণ টাকা ছাপায় না কেন ? 

এর উত্তরে বলা যায় বিশ্বের যে কোন দেশে নতুন টাকা ছাপানোর জন্য প্রধান দায়িত্ব থাকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে। অর্থনীতিবিদরা বলেন, সরকার যদি ইচ্ছামতো টাকা ছাপায় তাহলে সঞ্চয়ের মান অনেক কমে যাবে। আবার আমরা অনেকেই মনে করে থাকি যে সরকার অতিরিক্ত অর্থ ছাপিয়ে বিদেশীদের ঋণ পরিশোধ করতে পারে। 

কিন্তু অর্থনীতিবিদদের মধ্যে এটিও সঠিক নয়। যদি দেশের সম্পদের চেয়ে টাকার পরিমান অনেক বেশি থাকে তাহলে সে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম অনেক বেড়ে যায়। টাকা হচ্ছে দেশের এবং দেশের মানুষের একটি সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ এটা ছাড়া সারা বিশ্ব অচল। অনেকেই হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন যে কোন দেশের সরকার কি ইচ্ছামত টাকা চাপাতে পারে। 

আরো পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপ থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায় জেনে নিন

কোন দেশের সরকার ইচ্ছা করলেই টাকা ছাপাতে পারে না প্রত্যেকটি দেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের হিসাব নিকাশ করে নতুন ভাবে টাকা ছাপায়। অতিরিক্ত টাকা ছাপালে কোন এক সময় দেখা যাবে নিজের দেশেরই ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বিশ্বের যেকোনো দেশের নতুন ভাবে টাকা ছাপানোর দায়িত্ব থাকে একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিকট। 

আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং কর্পোরেশন লিমিটেড (The Security Printing Corporation LTD)টাকা ছেপে থাকে। দেশের অর্থনীতি, দেশের মোট সম্পত্তি, জনগণের সংখ্যা এবং চাহিদা, মোট আয় এবং মোট ব্যয়, সর্বমোট চাহিদা কত ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে দেশে নতুনভাবে টাকা ছাপানো হয়। 

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, ইচ্ছেমতো টাকা ছাপালে সঞ্চয়ের মান অনেক কমে যাবে। কেউ ব্যাংকে টাকা রাখলে একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর মুনাফা পাওয়া যায়।কিন্তু অতিরিক্ত টাকা ছাপা হলে যে প্রোফিট (মুনাফা) আসবে তা দিয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারবে না। তখন টাকার মান অনেক কমে যাবে। 

অর্থাৎ কেউ এক বছর আগে যে টাকা দিয়ে একটি জিনিস কিনতে পারতেন, নতুন নোট ছাপার ফলে তার ডবল টাকা দিয়ে তাকে সেই জিনিস কিনতে হবে। তাই এভাবে চলতে থাকলে কেউ ব্যাংকে টাকা রাখতে চাইবে না এবং এতে ব্যাংকের খাত অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অতিরিক্ত নতুন টাকা ছাপানোর ফলে কারেন্সি রেট কমে যাবে। 

ফলে পূর্বের চেয়ে আরো বেশি টাকা দিতে হতে পারে। যদি সম্পদের চেয়ে টাকার পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে তাহলে সেই দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যায় এবং দাম বাড়ার কারণে এটাকে বলা হয় মুদ্রাস্ফীতি। যদি অতিরিক্ত টাকা ছাপানো হয় তাহলে যে মুদ্রাস্ফীতি হবে তাতে দেশে অস্থিরতা তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

ফলে সরকার নানা দিক বিবেচনা করে নতুন টাকা ছাপানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য অতিরিক্ত টাকা ছাপানো কোন বুদ্ধিমানের কাজ হতে পারে না।উৎপাদন বৃদ্ধি করাটাই এক্ষেত্রে বুদ্ধিমানের কাজ। তাতে মুদ্রাস্ফীতি সীমিত পর্যায়ে থাকবে এবং দ্রব্য সামগ্রী মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

শেষ কথা-সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না:

সুপ্রিয় পাঠক, সরকার কেন টাকা ছাপাতে পারে না বিষয়টি উপরে আলোচনার মাধ্যমে আপনি হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন যে অতিরিক্ত টাকা ছাপালে দেশের কি ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে। তাই পোস্টটি পড়ে হয়তো আপনি কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পেরেছেন। 

তাই আপনি এই পোস্টটি শেয়ার এবং কমেন্টস এর মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ জানিয়ে দিন। যেন তারাও এই পোস্টটি পড়ে অনেক উপকৃত হতে পারেন। পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানে ইতি টানছি আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url