বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ কোনটি জেনে নিন
সম্মানিত পাঠক, বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ কোনটি বা কি কি তা জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন। বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ সম্পর্কে আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।
তাই চলুন বন্ধুরা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেই যে বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ কী কী। এবং এই সঙ্গে আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মোটরসাইকেল কোনটি সেটাও জানার চেষ্টা করব।
বাংলাদেশের সবচেয়ে কম দামে বাইক ২০২৪:
বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ কোনটি বা কি কি তা জানার আগে আমরা জানবো বাংলাদেশের সবচেয়ে কম দামে বাইক কোনটি। অনেকেই আছেন জানতে চান যে দেশের সবচেয়ে কম দামের ভালো মোটরসাইকেল কোনটি এবং অনেকেই এ ধরনের মোটরসাইকেল পছন্দ করে থাকে।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত জানতে চোখ রাখুন
আপনার যদি পছন্দ হয়ে থাকে যে কম দামে ভালো মোটরসাইকেল তাহলে আপনি কিনতে পারেন ভারতীয় ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল। ভারতীয় ব্র্যান্ডের নানা ধরনের মডেল রয়েছে। যেমন- বাজাজ, হিরো, হোন্ডা ,টিভিএস ইত্যাদি মডেল। বর্তমানে আপনি যদি কম দামে ভালো মোটরসাইকেল কিনতে চান তাহলে হিরো স্পেলেন্ডার ও হোন্ডা সাইন আপনি কিনতে পারেন।
এগুলোর দাম অনেকটাই কম এবং এগুলো মার্কেটে চলছে বেশি। এছাড়া আপনি আরো কম দামের আরো ব্র্যান্ড আছে, বাজাজ সিটি 100 কিংবা প্লাটিনা কিনতে পারেন। কম দামি বাইকের তালিকায় আরো একটি ব্রান্ড রয়েছে সেটা হচ্ছে tvs মেট্রো। এই মডেলের মোটরসাইকেল গুলো বাংলাদেশ এবং ভারত বর্তমানে প্রচুর বিক্রি করছে।
মূলত কম দাম অধিক মাইলেজ ও কম রক্ষণাবেক্ষণ খরচের কারণে ক্রেতারা এই মডেল গুলো পছন্দ করছেন।
হিরো এইচএফ ডিলাক্স(Hero HF Delax)-সস্তা বা কম দামের মধ্যে মোটরসাইকেল এর মধ্যে এই বাইকের মাইলেজ ৬৫ কিলোমিটার। টু হুইলারের মধ্যে বহু মানুষের এই মোটরসাইকেলটি পছন্দ hero hf delux এ রয়েছে ৯৭. ২ সি সি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন যারা সর্বাধিক ৭.৯১ হর্স পাওয়ার তৈরি করে।
এই মোটরসাইকেল রয়েছে ৯.১ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক উচ্চ মাইলেজের পাশাপাশি এই বাইকের ওজনও অনেকটাই কম মাত্র 110 কেজি।
বাজাজ সিটি ১০০(Bajaj CT100)-কম দামের মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে বাজার সিটি হান্ড্রেড হচ্ছে একটি অন্যতম বাইক। প্রতি লিটার তেলে ৭০ কিলোমিটার চলে এই বাজার সিটি হান্ড্রেড মোটরসাইকেলটি। এতে রয়েছে ১১৫.৪৫ সিসির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন।যা সর্বোচ্চ ৮.৪৮ হর্স পাওয়ার তৈরি করে। মোটরসাইকেলটি সব বয়সের মানুষের পছন্দের। চলেও ভালো।লং রাস্তার জন্য এটি খুবই প্রযোজ্য।
বাজাজ প্লাটিনা ১০০(Bajaj Platina100)-কম দামের মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে ভালো মানের আরেকটি অপশন হচ্ছে বাজাজ প্লাটিনা। এই মোটরসাইকেলে রয়েছে ১০২ সি সি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন যা সর্বোচ্চ ৭.৯ হর্স পাওয়ার উৎপন্ন করে। এই বাইক টি প্রতি লিটারে ৭২ কিলোমিটার পথ চলে। এই মোটরসাইকেল টিউব সব বয়সের মানুষের পছন্দ এবং মানানসই।
টিভিএস(tvs sport)-টিভিএস স্পোর্টস এই মোটরসাইকেলটিতে ৭০ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। বর্তমান মোটরসাইকেলের বাজারে টিভিএস হচ্ছে একটি অন্যতম ব্রান্ড। ১০৯.৭ সি সি সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন রয়েছে এই মোটরসাইকেলে, যা সর্বোচ্চ ৮.১৮ হর্স পাওয়ার উৎপন্ন করতে সক্ষম হয়।
হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস(Hero Spalender Plus)-হিরো স্প্লেন্ডার প্লাস এই মোটরসাইকেলটি মাইলেজ ৭০ কিলোমিটার। এই বাইকটিতে রয়েছে ফুয়েল ট্যাংক ক্যাপাসিটি ৯.৮ লিটার। এই বাইক রয়েছে ৯৭.২ সিচির সিঙ্গেল সিলিন্ডার ইঞ্জিন যা সর্বত্র ৫.৯ কিলোওয়াট শক্তি উৎপন্ন করতে সক্ষম হয়। এই ব্র্যান্ডের অল্প দিনেই নতুন এডিশন শুরু হয়েছে যেখানে ব্লুটুথ কানেক্ট পাচ্ছেন ক্রেতারা বা চালকরা।
সুতরাং আপনি যদি কম দামের মধ্যে কোন মোটরসাইকেল ভালো মানের কিনতে চান তাহলে উপরে উল্লেখিত ব্রান্ড গুলোর মধ্যে যে কোন একটি কিনতে পারেন।
বাজাজ মোটরসাইকেলের দাম ২০২৪ বাংলাদেশ:
বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ কোনটি বা কি কি তা জানার আগে আমরা জানবো বাজাজ মোটরসাইকেলের দাম কত ২০২৪ বাংলাদেশ। বর্তমানে বাংলাদেশ-ভারত সহ বাজাজ কোম্পানির মোটরসাইকেল গুলো খুবই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।এই মোটরসাইকেল গুলো যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য মানানসই এবং চলে দ্রুত গতিতে দেখতে সুন্দর।
বাজাজ মোটরসাইকেল গুলোর ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যা ছোট বড় শহর কিংবা গ্রামে সব জায়গাতেই সকল বয়সী মানুষের সাথে বেশ মানানসই। বাজাজ মোটরসাইকেলের দাম ২০২৪ উল্লেখ করা হলো-
- বাজাজ অ্যাভেঞ্জার Bajaj Avenger 160 ABS এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মাত্র।
- বাজাজ সিটি ১০০(Bajaj CT 100 ES এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা মাত্র।
- বাজাজ ডিসকভার ১১০(Bajaj Discover 110) Disc এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা মাত্র।
- বাজাজ ডিসকভার ১২৫(Bajaj Discover125) Disc এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ১ লাখ ৪৬ হাজার টাকা মাত্র।
- বাজাজ প্লাটিনা ১০০(Bajaj Platina100) ES এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা মাত্র।
- বাজাজ প্লাটিনা ১১০(Bajaj Platina110) H Gear Disc Brake এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা মাত্র।
- বাজাজ পালসার ১৫০(Bajaj Pulsar150) SD এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৭৫০ টাকা মাত্র।
- বাজাজ পালসার ১৫০(Bajaj Pulsar150) SD ABSএই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ১ লাখ ৯৯ হাজার ৭৫০ টাকা মাত্র।
- বাজাজ পালসার ১৫০(Bajaj Pulsar150) Twin Disc এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ২ লাখ ১৭ হাজার টাকা মাত্র।
- বাজাজ পালসার ১৫০(Bajaj Pulsar150) Twin Disc ABS এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা মাত্র।
- বাজাজ পালসার এন১৬০(Bajaj Pulsar N160) এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ টাকা মাত্র।
- বাজাজ পালসার এন২৫০(Bajaj Pulsar N250) এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ৩ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৯ টাকা মাত্র।
- বাজাজ পালসার এনএস১২৫(Bajaj Pulsar NS125) এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে 1 লাখ 80 হাজার 750 টাকা মাত্র।
- বাজাজ পালসার এন এস ১৬০(Bajaj Pulsar N160) Fi ABS এই মোটরসাইকেলটির বর্তমান দাম হচ্ছে ২ লাখ ৬২ হাজার ৫০০ টাকা মাত্র।
বর্তমানে সবচেয়ে লেটেস্ট মডেলের বাজাজ কোম্পানির আরেকটি মোটরসাইকেল নতুনভাবে ভারতের বাজারে লঞ্চ হয়েছে। সেটি হচ্ছে বাজাজ পালসার ১২৫ সিসির পালসার (N125)। এই ছোট পালসার মোটরসাইকেলটি ভারতে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৯৪ হাজার ৭০৭ রুপি।
পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মোটরসাইকেল কোনটি:
আমরা এ পর্যায়ে পৃথিবীর সবচেয়ে দাম বেশি কোন মোটরসাইকেলের তা আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি। এবং এর পাশাপাশি বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ কি কি তা আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো। বিশ্বের সবচেয়ে ব্যক্তিগত বাহন গুলোর মধ্যে মোটরসাইকেল হচ্ছে অন্যতম।
আরো পড়ুন: ঢাকা থেকে সৌদি আরব বিমান ভাড়া কত জেনে নিন
জনপ্রিয় বাহন টি অনেকেই শুধু শখের জন্য কিংবা অনেকেই প্রয়োজনে উভয় কাজে ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য মানুষ অনেকেই প্রচুর অর্থ খরচ করতে চায়। বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মোটরসাইকেল হল নেইমান মার্কাস লিমিটেড এডিশন ফাইটার যার মূল্য বর্তমানে ১ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশ টাকায় কনভার্ট করলে প্রায় ১১৭ কোটি টাকা।
এই সবচেয়ে দামি মোটরসাইকেল টিতে রয়েছে ১২০ সি আই ৪৫- ডিগ্রী এয়ার কুলড ভি টুইন engine এবং এর সঙ্গে টাইটানিয়াম অ্যালুমিনিয়াম এবং কার্বন ফাইবার বডি পার্টস রয়েছে। এই মোটরসাইকেলটি গতি হচ্ছে ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৯০ মাইল বা ৩০০ কিলোমিটার।এবার চলুন আমরা জেনে নেই বিশ্বের সবচেয়ে দামি এবং ব্যয়বহুল কয়েকটি মোটরসাইকেল সম্পর্কে-
ইকোস ইএস১ স্পিরিট-ইকোস ইএস১ স্পিরিট মোটরসাইকেলটির নকশা এবং উন্নত প্রযুক্তি এটাকে একটি শিল্পে পরিণত করেছে। এটির দাম হচ্ছে ৩৬ লাখ মার্কিন ডলার। এই মোটরসাইকেল টি টাইটেনিয়াম ফেমে তৈরি, যা এটাকে মজবুত করার পাশাপাশি ওজনে অনেক হালকা করে তুলেছে। ওজন হচ্ছে ১২০ কেজি।
এই মোটরসাইকেলে রয়েছে একটি বিরল ভি ৪, ফোর স্ট্রোক ইঞ্জিন। এই মোটরসাইকেলটির গতি হচ্ছে ঘন্টায় ২৪০মাইল বা ৩৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত।
হিল্ডব্যান্ড এবং উলফমুলার-হেনরিক উইল হেলম এবং অ্যালোইস উলফমুলার এই মোটরসাইকেলটি তৈরি করেন। এটি একটি আশ্চর্য ধরনের মটর সাইকেল কারণ এটিতে কোন ক্ল্যাচ বা প্যাডেল নাই। এটা কে স্টার্ট করার জন্য চলা অবস্থায় ধাক্কা দিতে হয় এবং স্টার্ট হওয়ার পর লাফ দিয়ে মোটরসাইকেল টিতে উঠতে হয়। অ্যান্টিক ব্যাক গ্রাউন্ড এর জন্য মোটরসাইকেলের মূল্য 35 লাখ মার্কিন ডলার।
বিএমএস নেমেসিস-২০০৬ সালে ডেটোনা বিচের রাটস হোল শো-তে প্রথম পুরস্কার হিসেবে বি এম এস নেমেছিস এই মোটরসাইকেলটি গ্রহণ করেন। এই মোটরসাইকেল টিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ। এর নকশা খুবই বিলাসবহুল এবং দেখতে খুবই চমৎকার।এই মোটরসাইকেলটির দাম ৩০ লাখ মার্কিন ডলার।
ডজ টমহক ভি১০-এই বাইকটি এখন পর্যন্ত বিশ্বের দ্রুততম বাইক গুলোর মধ্যে একটি অন্যতম।যার সর্বোচ্চ গতি ঘন্টায় ৪০০মাইল পর্যন্ত এবং এটি ঘন্টায় মাত্র ২.৫ সেকেন্ড ৬০ মাইল পর্যন্ত গতি তুলতে পারে। বাইক টি খুবই ভারী। এটির ওজন ৬৬০ কেজি। যেহেতু এটা ২০০৩ সালে তৈরি করা হয়েছিল।
তাই ওই সময়ে এটির দাম ছিল পাঁচ লাখ পঞ্চাশ হাজার মার্কিন ডলার। এই মোটরসাইকেলটি আজও বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম মোটরসাইকেল হিসেবে স্থান দখল করে আছে।
উল্লেখিত মোটরসাইকেল গুলি এত দামি হওয়ার কারণ এই মোটরসাইকেলগুলো প্রায় অত্যন্ত উচ্চমানের সামগ্রী এবং উন্নত প্রযুক্তি দিয়ে তৈরি যা বাজারের সেরা এবং সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মোটরসাইকেল হিসাবে বাজারে স্থান পেয়েছে। কার্বন ফাইবার, টাইট সিয়াম, ২৪ ক্যারেট স্বর্ণ এবং অন্যান্য উচ্চ মানের উপাদান ব্যবহারের মাধ্যমে এই মোটরসাইকেলগুলো তৈরি করা হয়েছে।
এই বাইক গুলো মজবুত এবং শক্তিশালী এবং এদের সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিশেষ করে ইঞ্জিনের কর্ম ক্ষমতা দেখার মত। এই মোটরসাইকেল গুলোর সামগ্রিক পারফরম্যান্স বিশেষ করে ইঞ্জিনের কর্মক্ষমতা অনেক শক্তিশালী এবং উন্নত ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়েছে। যেগুলো এই মোটরসাইকেল গুলোকে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতির করে তুলেছে।
এছাড়া এই মোটরসাইকেল গুলোর কাঠামো গত বৈশিষ্ট্য থেকে শুরু করে নান্দনিকতা থেকে পারফরম্যান্স পর্যন্ত সামগ্রিকভাবে বিভিন্ন কারণের সমন্বয়ে এই বাইক গুলো এত দামি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪:
এ পর্যায়ে আমি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ কোনটি বা কি কি তা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। বিশ্বের মানুষ শখের বশবর্তী বা কাজের প্রয়োজনে, ব্যবসার প্রয়োজনে, চাকরির গন্তব্য স্থানে যেতে বা বিভিন্ন অফিসে ডিউটি করার জন্য যাতায়াতের জন্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে মানুষ মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন।
অল্প সময়ে অপেক্ষা না করে কোন স্থানে যাওয়ার জন্য মানুষ মোটরসাইকেল ব্যবহার করে থাকেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি মোটরবইক গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কাওয়াসাকি, ইয়ামাহা, কেটিএম ,হোন্ডা, সুজুকি, বাজাজ ,TVS, Hero ইত্যাদি ব্রান্ডের মোটরসাইকেল পাওয়া যাচ্ছে।
আরো পড়ুন:বাংলাদেশে ১ঘন্টা হেলিকপ্টার ভাড়া কত জানতে চোখ রাখুন
প্রিমিয়াম বাইকের কথা যদি আমরা ভেবে থাকি তাহলে প্রথমে প্রিমিয়াম সেগমেন্টের মোটরসাইকেলের কথা বলতে হয়। সুন্দর ডিজাইন,আধুনিক ডিজাইন, আধুনিক ফিচার ,শক্তিশালী ইঞ্জিন, সবচেয়ে ভালো সার্ভিস, ভালো ব্র্যান্ডের জনপ্রিয়তা এবং দেখতে খুবই সুন্দর। এমন বেশ কিছু বাইকের লিস্ট এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
যে বাইক গুলো বাংলাদেশের বাজারে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং গ্রাহকদের কাছে খুবই ভাল মত স্থান পেয়েছে। বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য বাজে কোন প্রয়োজনে বা বিলাসিতার জন্য সুন্দর একটি মোটরসাইকেল সবারই পছন্দ। বাংলাদেশের বাজারে পাওয়া যায় এমন অনেক বাইক রয়েছে যা ছয় লক্ষ টাকা থেকে বেশি দাম হতে পারে।
বাংলাদেশের দামি বাইকের মধ্যে ইয়ামাহা R1M একটি অন্যতম ব্রান্ড। আগে বাংলাদেশের সড়কে ৩৫০সিসির ইঞ্জিন ক্ষমতা মোটরসাইকেল চলাচলের কোন অনুমোদন ছিল না।কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশ সরকার তা অনুমতি দিয়েছেন। এতদিন পর্যন্ত দেশে ১৬৫ সিসির উপর মোটরসাইকেল বাংলাদেশের বাজারে ছাড়ার সুযোগ ছিল না।
ইয়ামাহা আর ১৫ এম (Yamaha R15M)-ইয়ামাহা মোটরসাইকেল দামি মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান। এই মোটরসাইকেলটি বাংলাদেশের ইয়াং জেনারেশন থেকে শুরু করে সব বয়সী মানুষেরই বেশ জনপ্রিয়। এই কোম্পানির মোটরসাইকেল তৈরি হচ্ছে জাপানে তবে ইয়ামাহার দেশীয় একমাত্র পরিবেশক ও যৌথ কারিগরি সহযোগী এসিআই মটরস।
এই মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে দামি হচ্ছে ইয়ামাহা আর ১৫এম এর এই মোটরসাইকেল টি প্রতি লিটার জ্বালানি খরচ হবে 40 থেকে 50 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে সক্ষম। এছাড়া মোটরসাইকেলটি ঘন্টায় সর্বোচ্চ ১৪০ কিলোমিটার গতিতে ছুটে চলতে পারে। বর্তমানে এটার দাম ৬ লক্ষ ১০ হাজার টাকা মাত্র।
কেটিএম ডিউক ১২৫(KTM Duke 125)-বাংলাদেশে কেটিএম ব্র্যান্ডের বাইক বর্তমানে বাজারজাত করছে রানার অটোমোবাইলস। এই মোটর সাইকেলের জন্য অস্টিয়ান ব্রান্ড কেটিএম বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশী মোটরসাইকেল প্রেমীদের কাছে বেশ পছন্দের। বর্তমানে এই মডেলের বাইকটি সবচেয়ে দামি।
১২৫ সিসির স্ট্রিট রেসিং ধরনের এই মোটরসাইকেলটি কেটিএম এর ৩৯০ সিসি বাইকের একটি ছোট এডিশনও বলা হয়ে থাকে। এই বাইকের সাড়ে ১৩ লিটারের ফুয়েল ট্যাঙ্ক রয়েছে যা গড়ে ৪২ কিলোমিটার মাইলেজ পাওয়া যায়। প্রতি লিটার তেলে গড়ে এতটা পথ পাড়ি দিতে পারে এই ব্র্যান্ডের এই মোটরসাইকেলটি। বর্তমানে এটির দাম রাখা হচ্ছে ৬ লাখ ৫ হাজার টাকা মাত্র।
হোন্ডা সিবিআর রেপসল ১৫০ আর (Honda CBR Repsol 150 R)। এই হোন্ডা কোম্পানির মোটরসাইকেল জাপানি কোম্পানি তৈরি হচ্ছে জাপানে। বেশ কিছু মডেলের মোটরসাইকেল আছে যা এক সময় দেশের প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে অনেক প্রচলন ছিল, যে সাধারণ মানুষ জন মোটরসাইকেল কে হোন্ডা নামেই চিনে থাকে।
হোন্ডা কোম্পানির যে সমস্ত মোটর সাইকেল গুলা রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বর্তমানে রয়েছে সবচেয়ে দামি একটি মডেল cbr রেপসল ১৫০ আর। এই মোটরসাইকেল টিতে রয়েছে লিকুইড কুলড ইঞ্জিন যা দ্রুত গতি তোলার জন্য রয়েছে ওয়েট স্লিপার ক্ল্যাচ। এটি ব্যবহার করলে ৫০ কিলোমিটার এর মত মাইলেজ পাওয়া যায়। ১৫০ সিসির এই মোটরসাইকেলটির দাম বর্তমানে রাখা হচ্ছে ৫ লাখ 90 হাজার টাকা।
সুজকি জিএসএক্সার ১৫০(Suzuki GS XR 150)-জাপানে তৈরি সুজকি ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলগুলো অনেক ভালো মানের এবং বৈচিত্র্যময় মোটরসাইকেল। আমাদের দেশে সুজুকির মোটরসাইকেল বাজারজাতকরণ করছেন রেনকন মোটর বাইক লিমিটেড। এই মডেলের বাইকটির রং হচ্ছে কালোর মধ্যে লাল হলুদ ও নীলের মিশেলে মোট চারটি রঙ্গের জিএসএক্সআর ১৫০।
যা দেয় ১৪৭ সিসির মোটরসাইকেল ফুয়েল ট্যাংক হচ্ছে ১১ লিটার। আর এটিতে মাইলেজ পাওয়া যায় ৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত।মোটরসাইকেল এর বর্তমান দাম হচ্ছে ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মাত্র।
বাজাজ অ্যাভেঞ্জার স্ট্রিট ১৬০(Bajaj Avenger Street 160)-ভারতীয় ব্র্যান্ড বাজাজের মোটরসাইকেল গুলো বাজার জাত করছে উত্তরা মোটরস লিমিটেড। বর্তমানে বাজারে নানা ধরনের মডেল মোটরসাইকেল রয়েছে। পালসার ,অ্যাভেঞ্জার, প্লাটিনা, সিটি হান্ড্রেড, ডিসকভার মডেলের ১১ ধরনের মডেল রয়েছে এই bajaj কোম্পানির মধ্যে।
বাংলাদেশের বাজারে দামি মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাভেঞ্জার স্ট্রিট ১৬০। এই মোটরসাইকেলটি আরামদায়ক ও লম্বা সময়ের যাত্রার জন্য এটি বেশ উপযোগী। এতে রয়েছে ১৩ লিটারের ফুয়েল ট্যাংক এবং চ্যানেল এবিএস পদ্ধতি এবং আরো রয়েছে স্পাইসি রেড ও এবনি ব্ল্যাক এই দুই রঙে রঞ্জিত অ্যাভেঞ্জার স্ট্রিট ১৬০ মডেলের বাইকটি বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। এটির দাম ২ লাখ ৭৪ হাজার টাকা মাত্র।
টিভিএস অ্যাপাচি আরটিআর ১৬০ (TVS Apache RTR 160)-ভারতীয় ব্র্যান্ডের এই অ্যাপাচি টিভিএস অ্যাপাচি মোটরসাইকেল গুলো বাংলাদেশের বাজারে খুবই জনপ্রিয় এবং মানুষের ক্রয় ক্ষমতা নাগালের মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশে বেশি দামের দামি বাইক গুলোর মধ্যে tvs apache rtr 160 মডেলের মোটরসাইকেলটি সবচেয়ে মানুষের পছন্দের।
এটার ইঞ্জিন চার ভাল্ভ সুবিধার মোটরসাইকেল ডিস্ক এবিএস ব্রেকিং পদ্ধতি এবং ১২ লিটার ফুয়েল ট্যাঙ্ক। এটিতে ৪০ কিলোমিটারের মতো মাইলেজ পাওয়া যায়। এটির দাম হচ্ছে ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মাত্র।
হিরো থ্রিলার ১৬০ আর(Hero Threeler 160 R)-হিরো ব্রান্ডের মোটরসাইকেল বেশকিছু মডেলের বাংলাদেশে বাজারে ভালই চলছে। বাংলাদেশে এই মোটরসাইকেলের বাজারজাত করছে নিউটন নিলয় গ্রুপের প্রতিষ্ঠান নিলয় মোটরস। এই মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো এবং দামি হচ্ছে হিরো থ্রিলার ১৬০ আর মডেলটি।
১৬০ সিসি ক্ষমতার ডাবল ডিস্ক এর বাইকটিতে রয়েছে সিঙ্গেল চ্যানেল এবিএস পদ্ধতি এবং ১২ লিটারের তেলের ট্যাংকি। এই মোটরসাইকেল টার দাম বর্তমানে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা মাত্র।
ইয়ামাহা এমটি ১৫ (Yamaha MT 15)-Yamaha ব্র্যান্ডের এই কোম্পানির এই বাইকটি অনেক ভালো মানে মোটরসাইকেল। ছোট বড় সব মানুষের এই মোটরসাইকেলটি পছন্দ আছে। তাই মানুষ বর্তমানে এটি ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা ষ দিয়ে কিনে নিচ্ছে।
কাওয়াসাকি নিনজা ১২৫ (Kawasaki Ninja125): বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক গুলোর মধ্যে কাওয়াসাকি নিনজা ১২৫ সিসির বাড়িতে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বর্তমানে এর দাম ৪ লাখ ৯৯ হাজার টাকা মাত্র।
Honda CBR 115-হোন্ডা সিবিআর ১১৫ আর এ বি এস মটো জিপি এডিশন মোটরসাইকেলের দাম ৫ লাখ 75 হাজার টাকা মাত্র।
সুজকি জিএসএক্স আর (Suzuki GS XR)-সুজকি জিএসএক্স আর দুয়াল এবিএস মোটরসাইকেলের দাম ৪ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মাত্র।
উপরে উল্লেখিত বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক গুলো যদি আপনার পছন্দ হয়ে থাকে। তাহলে আপনি কিনতে পারেন। তবে উল্লেখিত মোটরসাইকেলের গুলোর দাম সময়ের ব্যবধানে বা যেকোনো কারণবশত পরিবর্তন বা কম বেশি হতে পারে। তাই কেনার আগে ভালো করে দেখে দাম যাচাই করে তারপর কিনবেন।
শেষ কথা-বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪:
সম্মানিত পাঠক, বাংলাদেশের সবচেয়ে দামি বাইক ২০২৪ কোনটি বা কি কি তা উপরে আলোচনা হয়েছে। উল্লেখিত দামি মোটরসাইকেল গুলোর মধ্যে আপনার পছন্দ মত যে কোন একটি বা (একাধিক কেনার ইচ্ছা যদি থাকে) তাহলে আপনি কিনতে পারেন। তবে উল্লেখিত মোটরসাইকেলের দাম যে কোন সময় পরিবর্তন হতে পারে।
অর্থাৎ মোটরসাইকেলের দাম কম বেশি হতে পারে। তাই কেনার আগে যাচাই-বাছাই করে তারপর আপনি কিনবেন। পোস্টটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে শেয়ার এবং কমেন্টের মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ জানিয়ে দিন যেন তারাও পোস্টটি পড়ে মোটরসাইকেল সম্পর্কে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন।
এতক্ষণ আমার এই পোস্টের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url