বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত জানতে চোখ রাখুন
সম্মানিত পাঠক, বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত জানতে আমার এই আর্টিকেলের উপরে চোখ রাখতে পারেন। কারণ আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত।
তাই আসুন পাঠক বন্ধুরা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা তাড়াতাড়ি জেনে নেই বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত। এবং সেই সাথে আমরা আরও একটি বিষয় জানবো যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে।
আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব কত কিলোমিটার:
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত জানতে আমার এই আর্টিকেলের উপর চোখ রাখার পাশাপাশি আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের দূরত্ব কত কিলোমিটার তা জানার জন্য আর্টিকেলটির উপর চোখ রাখতে পারেন। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা হচ্ছে একটি অন্যতম প্রধান রাষ্ট্র।
আরো পড়ুন: ঢাকা থেকে সৌদি আরব বিমান ভাড়া কত জেনে নিন
এজন্য অনেকেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য এবং সেখানে বসবাস করার জন্য আগ্রহের কোন শেষ নেই। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। যারা ভিসা পেয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই জানতে চান যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব কত কিলোমিটার।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব ১৩২১৯ কিলোমিটার। আর এটাকে যদি মাইল হিসেবে হিসাব করি তাহলে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা ৮২১৮.৬৯ মাইল এবং মিটার হিসাবে হিসাব করলে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব হচ্ছে ১৩২১৯০০০ মিটার। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা হাজার হাজার আকাশ পথ পাড়ি দিয়ে বিমানের মাধ্যমে আপনি যদি আমেরিকাতে ভ্রমণ করতে চান তাহলে সময় লাগতে পারে প্রায় ৩৫ ঘন্টা।
তবে কিছু কিছু বিমান লাইট রয়েছে এর চেয়ে আরো সময় বেশি লাগতে পারে। আপনি যে বিমানে যাবেন সেই বিমানে টিকিটে উল্লেখ করা থাকবে যে কত সময় লাগতে পারে। তবে বাংলাদেশ থেকে সরাসরি বিমান আমেরিকাতে যায় না। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে হলে আপনাকে দুবাই এয়ারপোর্টে নামতে হবে। তারপর দুবাই থেকে কয়েক ঘন্টা রেস্ট বা বিশ্রাম করার পরে আপনি সরাসরি বিমানের মাধ্যমে আমেরিকা যেতে পারবেন।
স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগে:
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত তা জানার আগে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে কত টাকা লাগতে পারে। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই লেখাপড়া করার জন্য আমেরিকাতে যায়। সেক্ষেত্রে স্টুডেন্ট ভিসার প্রয়োজন পড়ে। তাই বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা বা ইউএসএ যেতে চাইলে আপনাকে প্রায় 14000 টাকা দিতে হবে।
আর যদি কাজের ভিসায় যদি আপনি আমেরিকা যেতে চান তাহলে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট পেতে আপনার খরচ হবে ১৭ হাজার টাকা। টুরিস্ট ভিসা বাবদ আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান তাহলে টুরিস্ট ভিসা-বাবদ আপনার যুক্তরাষ্ট্রে যেতে 14000 টাকার মত খরচ হতে পারে। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে হলে বিভিন্ন ধরনের ভিসা পাওয়া যায়।
ভিসা পাওয়ার জন্য সর্বপ্রথম আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আপনি যদি আবেদন করতে চান তাহলে আপনার কমপক্ষে ১৮ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা আবেদন ফি হিসেবে খরচ হবে। এবং কি স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা যেতে আপনার বিমান ভাড়া লাগতে পারে কমপক্ষে 50000 থেকে 60000 টাকা।
আরো পড়ুন: বাংলাদেশে ১ ঘন্টা হেলিকপ্টার ভাড়া কত জানতে চোখ রাখুন
তবে এক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ আবেদন সহ হিসাব বিবেচনা করে সকল খরচ অনুমানিক ৫ লক্ষ থেকে ৬ লক্ষ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর অন্যান্য বিষয় আমেরিকা পৌঁছাতে ১৫ লক্ষ থেকে 18 লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। তবে স্টুডেন্ট ভিসায় আপনি যদি সব কিছু ভালোমতো চেষ্টা করে থাকেন এবং প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট পরিপূর্ণভাবে জমা দিতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসায় আপনার সর্বোচ্চ খরচ হতে পারে ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্যতা-আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার জন্য আপনার কিছু যোগ্যতা থাকতে হবে। সেই যোগ্যতা ছাড়া আপনি আমেরিকায় স্টুডেন্ট ভিসা হিসেবে যেতে পারবেন না। যদি আপনি স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার যোগ্য না হন তাহলে এজেন্সি আপনাকে আমেরিকা ভিসা তৈরি করে দিতে পারবে না।এজন্য আপনাকে কিছু ডকুমেন্ট বা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহ করতে হবে। সেগুলো হল-
- স্টুডেন্ট ভিসার অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম
- পাসপোর্ট এর মেয়াদ সর্বনিম্ন ৬ মাস বা তার বেশি হতে হবে
- এনআইডি কার্ড বা ন্যাশনাল কার্ড যেটাকে ভোটার আইডি কার্ড বলা হয়।
- শিক্ষাগত যোগ্যতার সার্টিফিকেট
- আমেরিকান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভর্তির ডকুমেন্ট বা লেটার
- শিক্ষার্থীর বয়স ১৪ বছর থেকে ৭৯ বছরের মধ্যে হতে হবে
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট প্রয়োজন হবে
- টিউশন, থাকা খাওয়া এবং অন্যান্য খরচ বহন করার প্রমাণপত্র
- ইংরেজিতে কথা বলার ভালো দক্ষতার সার্টিফিকেট
- পুলিশ ভেরিফিকেশন এর সার্টিফিকেট
- একটি সচল বৈধ পাসপোর্ট
- শিক্ষানবিস শেষ করার পর দেশে ফেরার পরিকল্পনা ও কর্মজীবনের লক্ষ্য
- মেডিকেল রিপোর্ট সার্টিফিকেট কোভিড ১৯ নথি।
ইত্যাদি ডকুমেন্টস গুলো থাকলে আপনি আমেরিকাতে লেখাপড়া করার জন্য স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আমেরিকা ভিসার দাম কত:
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত তা জানার আগে আমরা জানবো আমেরিকা ভিসার দাম কত। আমেরিকার ভিসার দাম কত তা এজেন্সির উপরে নির্ভর করে। বর্তমানে এজেন্সি অনুযায়ী আমেরিকার ভিসার দাম সর্বনিম্ন প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
এছাড়া বেসরকারিভাবে বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে আমেরিকার ভিসা যদি আপনি তৈরি করতে চান তাহলে আপনার সর্বোচ্চ প্রায় ৮ লাখ টাকা থেকে ৯ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। বর্তমানে সরকারিভাবে এবং বেসরকারিভাবে দুইভাবেই আমেরিকা যাওয়া যায়।
তবে ভিসার ধরন বিমানের ক্যাটাগরি এবং অন্যান্য কাগজপত্র তৈরির খরচ সহ এজেন্সির উপর ভিত্তি করে আমেরিকা যেতে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মত খরচ হতে পারে। আমেরিকার ভিসার দাম কত তা ভিসা তৈরীর প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে এবং আপনি কোন কাজের ভিসা নিতে চান তার উপর ভিত্তি করে ভিসার দাম নির্ধারণ করা হয়-
আমেরিকাতে ড্রাইভিং ভিসার দাম-আপনি যদি আমেরিকায় যাওয়ার জন্য ড্রাইভিং ভিসা নিতে চান তাহলে বর্তমানে আমেরিকা মালিকানাধীন গাড়ির ড্রাইভিং এর আপনার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। বর্তমানে আমেরিকা গাড়ির ড্রাইভার এর চাহিদা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি।
তাই আমেরিকা ড্রাইভিং ভিসার দামও আগের তুলনায় কিছুটা বেড়ে গেছে। বর্তমানে আপনি যদি সরকারি ভাবে আমেরিকান ড্রাইভিং ভিসা তৈরি করতে চান। তাহলে আপনার কমপক্ষে প্রায় ৪ লাখ টাকা থেকে ৫ লাখ টাকা খরচ হতে পারে। এবং বেসরকারি ভাবে যদি যেতে চান তাহলে প্রায় ৫ লাখ টাকা থেকে ৬ লাখ টাকা খরচ হতে পারে।
আমেরিকাতে কোম্পানি ভিসার দাম-বর্তমানে আমেরিকাতে প্রচুর পরিমাণে বড় বড় কোম্পানি রয়েছে। সরকারিভাবে আপনি যদি কোম্পানির ভিসা তৈরি করতে চান তাহলে আপনার কমপক্ষে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা থেকে 6 লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে। আর যদি আপনি বেসরকারিভাবে আমেরিকা কোম্পানির ভিসা নিতে চান তাহলে আপনার কমপক্ষে পাঁচ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ সাত লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
আমেরিকাতে ক্লিনার ভিসার দাম-বর্তমানে আমেরিকাতে বিভিন্ন কোম্পানি বা বিভিন্ন জায়গায় ক্লিনারের অনেক চাহিদা রয়েছে। তাই আপনি যদি সরকারিভাবে আমেরিকাতে ক্লিনার ভিসা তৈরি করতে চান, তাহলে আপনার সর্বনিম্ন প্রায় তিন লাখ 50 হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
তবে বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যদি আপনি ভিসা তৈরি করতে চান, তাহলে এক্ষেত্রে আপনার সর্বনিম্ন প্রায় পাঁচ লাখ টাকা থেকে 6 লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
আমেরিকাতে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার দাম-বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য মানুষ আমেরিকাতে যায়। সে ক্ষেত্রে ওয়ার্ক পারমিট ভিসার প্রয়োজন পড়ে। বর্তমানে সরকারিভাবে ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে কমপক্ষে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা থেকে 6 লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে এবং বেসরকারিভাবে আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসা তৈরি করতে চান,তাহলে আপনার খরচ হতে পারে প্রায় ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত।
আমেরিকাতে স্টুডেন্ট ভিসার দাম -বাংলাদেশ থেকে স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা গমন করতে চাইলে আপনাকে ১৪ হাজার টাকা ভিসা বাবদ আবেদন করার জন্য খরচ হবে।আপনি যদি সব কিছু অর্থাৎ প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট পরিপূর্ণভাবে জমা দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসায় আপনার সর্বোচ্চ খরচ হতে পারে ৬ লক্ষ থেকে ৮ লক্ষ টাকা পর্যন্ত।
আমেরিকাতে ট্যুরিস্ট ভিসা-আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা হিসাবে ভিসা তৈরি করতে চান আমেরিকা যাওয়ার জন্য তাহলে ১৪ হাজার টাকা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন এক্ষেত্রে আপনাকে ৬ মাসের জন্য টুরিস্ট ভিসা প্রদান করা হবে।
আমেরিকাতে মেডিকেল ভিসা-অনেক মানুষ আছেন যারা বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসার জন্য আমেরিকাতে যেতে চান। যারা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চিকিৎসার জন্য যেতে চান তাদের অবশ্যই ১৪ হাজার টাকা দিয়ে অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
উল্লেখিত ভিসার দাম যে কোন সময় সময়ের ব্যবধানে,যেকোনো অনিবার্য কারণবশত পরিবর্তন বা কম বেশি হতে পারে। তাই আপনি যদি যেকোন একটা ভিসার মাধ্যমে আমেরিকা যেতে চান,তাহলে ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে, যাচাই বাছাই করে তারপর ভিসা করার জন্য সামনে এগিয়ে যেতে পারেন।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে কত সময় লাগে:
এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব যে বাংলাদেশ থেকে ইউএসএ বা যুক্তরাষ্ট্রের বা আমেরিকাতে যেতে কত সময় লাগতে পারে এবং এর পরে আমি আপনাদেরকে জানিয়ে দিতে চাই যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত।বাংলাদেশ থেকে আমেরিকাতে সরাসরি বিমান যায় না।
বাংলাদেশ থেকে প্রথমে দুবাইতে যায়। দুবাইতে আপনাকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে তারপর আপনি সেখান থেকে থেকে তখন সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রে বিমানে চলে যেতে পারবেন । বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব ১৩২১৯ কিলোমিটার। আর এটাকে যদি মাইল হিসেবে হিসাব করি তাহলে বাংলাদেশ থেকে
আমেরিকা ৮২১৮.৬৯ মাইল এবং মিটার হিসাবে হিসাব করলে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার দূরত্ব হচ্ছে ১৩২১৯০০০ মিটার। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা হাজার হাজার আকাশ পথ পাড়ি দিয়ে বিমানের মাধ্যমে আপনি যদি আমেরিকাতে ভ্রমণ করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে বিমানে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে সময় লাগে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ ঘন্টা।
আর যদি আপনি জাহাজের মাধ্যমে আমেরিকাতে যান তাহলে আপনার অনুমানিক সময় লাগবে ৪০ থেকে ৪৫ দিন।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত:
এ পর্যায়ে আমি আপনাদেরকে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত তা সঠিক তথ্য শেয়ার করার জন্য চেষ্টা করব। আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকবেন।পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর মধ্যে আমেরিকা হচ্ছে একটি অন্যতম প্রধান রাষ্ট্র।
আরো পড়ুন:রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায়-রকেট কিভাবে আকাশে উড়ে
এজন্য অনেকেই আমেরিকা যাওয়ার জন্য এবং সেখানে বসবাস করার জন্য আগ্রহের কোন শেষ নেই। তবে এক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়ার জন্য ওয়ার্ক পারমিট ভিসা পাওয়া খুবই কঠিন ব্যাপার। যারা ভিসা পেয়েছেন তারা অনেকেই জানতে চান যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত।
বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের সকল দেশের এয়ার লাইন্স টিকিট পাওয়া যায়। বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে যেতেই ভিসা ও পাসপোর্ট এর পাশাপাশি টিকিট ক্রয় করার প্রয়োজন পড়ে। টিকিট ছাড়া আপনারা কেউ যাত্রা করতে পারবেন না। তবে বিভিন্ন সময়ে টিকিটের মূল্য এক এক রকমের হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার বিমান মডেলের উপর ভিত্তি করে টিকেটের দাম নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। আমেরিকায় বিভিন্ন শহর রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সে সমস্ত শহরে যেতে বা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা টিকিটের দাম ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আবার ডলারের রেটের উপর ভিত্তি করে টিকিটের মূল্য কম বেশি হতে পারে। এছাড়া ভিসা এবং পাসপোর্ট এর জন্য যে খরচ গুলো রয়েছে। সেগুলো সহ বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে বিমানের মাধ্যমে আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা থেকে 12 লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে। প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা আলাদা আলাদা ১০ থেকে ১২টি ফ্লাইট রয়েছে।
এবং এসব শহরের জন্য আলাদা আলাদা বিমান ভাড়া রয়েছে । আমেরিকার বিভিন্ন শহরের বাংলাদেশ থেকে বিমান ভাড়া কত তা উল্লেখ করা হলো-
বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আমেরিকার ওয়াশিংটন বিমান ভাড়া-আপনি যদি আমেরিকা যেতে চান তাহলে ঢাকা আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে বিমানে আপনাকে উঠতে হবে। তাই এখানে ঢাকা থেকে আমেরিকার বিভিন্ন শহরে বিমান ভাড়া কত টাকা লাগবে তা উল্লেখ করছি। ওয়াশিংটন হচ্ছে আমেরিকার একটি বড় শহর।
এখানে কাজের উদ্দেশ্যে বা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অনেক মানুষ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট এবং ভিসা রেডি করছেন।ঢাকা থেকে ওয়াশিংটন বিমান ভাড়া ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশের ঢাকা থেকে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস বিমান ভাড়া-আপনি যদি আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস শহরে যেতে চান তাহলে ঢাকা থেকে এই শহরে প্রতিদিন 10 থেকে 12 টি ফ্লাইট চালু রয়েছে। এয়ার লাইন্সের ভিত্তিতে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জেলেস এর বিমান ভাড়া ভাড়া ১ লক্ষ ৯৬ হাজার টাকা থাকে। তবে অনেক সময় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা কম বেশি হতে পারে।
ঢাকা থেকে আমেরিকার মিয়ামি বিমান ভাড়া-বর্তমানে আগের চেয়ে টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে আমেরিকার মিয়ামি যেতে চান তাহলে বর্তমানে বিমান ভাড়া হচ্ছে প্রায় 2 লক্ষ টাকা।
বাংলাদেশের ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক বিমান ভাড়া-নিউ ইয়র্ক হচ্ছে বাংলাদেশের একটি অন্যতম জনপ্রিয় এবং শক্তিশালী শহর। বাংলাদেশের মানুষ বেশির ভাগই ভ্রমণের জন্য নিউইয়র্কে গিয়ে থাকেন এবং কাজের জন্য প্রতিবছর অনেক মানুষ নেওয়া হয়ে থাকে। ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক শহরের বিমান ভাড়া ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা।
বর্তমানে ডলারের দাম বেশি হওয়ার কারণে টিকিটের মূল্য বেড়ে গেছে। তাই আগের চেয়ে আরো ২০ হাজার টাকা বেশি দামে ঢাকা থেকে নিউইয়র্ক শহরের জন্য টিকিট ক্রয় বিক্রয় হচ্ছে।
ঢাকা থেকে আমেরিকার শিকাগো শহরের বিমান ভাড়া- অনেক মানুষ আছেন যারা আমেরিকার শিকাগো শহরে যেতে চান। সে ক্ষেত্রে তাদেরকে অবশ্যই ঢাকা থেকে শিকাগো শহরের বিমান ভাড়া কত তা জানার দরকার। ঢাকা থেকে শিকাগো শহরের বিমান ভাড়া ১ লক্ষ ৯৭ হাজার টাকা থেকে বেড়ে দুই লক্ষ টাকার উপরে দিতে হবে।
তবে ভিসা তৈরি করা সহ সব মিলিয়ে 10 থেকে 12 লক্ষ টাকা এই শহরে যেতে খরচ হতে পারে।
ঢাকা থেকে আমেরিকার অস্টিন বিমান ভাড়া-বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে আমেরিকার অস্টিনে বিমান ভাড়া ১ লাখ 90 হাজার টাকার মত হতে পারে। তবে অনেক সময় এখানে দুই লক্ষ টাকার উপরেও লাগতে পারে।
ঢাকা থেকে আমেরিকার ইন্ডিয়ানা পলিস বিমান ভাড়া-ইন্ডিয়ানা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যের একটি রাজধানী। ঢাকা থেকে এখানকার বিমান ভাড়া ১ লাখ ৯৭ হাজার টাকা। এছাড়া এর সাথে আরো অন্যান্য খরচ রয়েছে।
ঢাকা থেকে আমেরিকার বোস্টন বিমান ভাড়া- বোস্টন হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেসাচুসেটস সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং এই রাজ্যটির রাজধানী।বোস্টন হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাচীন শহরগুলির মধ্যে একটি। এই শহরে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে বিমান ভাড়া প্রায় 1 লাখ 90 হাজার টাকা।
ঢাকা থেকে আমেরিকার আটলান্টা বিমান ভাড়া- আটলান্টা হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়া রাজ্যের সর্বাধিক জনবল শহর। এ শহরে যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে আটলান্টা বিমান ভাড়া ১ লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা। আবার কোন কোন সময় বিমান ভাড়া ২ লাখ টাকার বেশি হতে পারে।
ঢাকা থেকে আমেরিকার সানফ্রান্সিসকো বিমান ভাড়া: সানফ্রান্সিসকো হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার একটি অন্যতম ১২ তম জন বহুল সহর। এখানে অনেক জনবহুল ঘনত্ব রয়েছে সেই কারণে সানফ্রান্সিসকো যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। ঢাকা থেকে এই শহরে যেতে বিমান ভাড়া লাগবে প্রায় ১ লাখ 98 হজার টাকা।
ঢাকা থেকে আমেরিকার হিউস্টন বিমান ভাড়া- হিউস্টন হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চতুর্থ বৃহত্তম শহর এবং টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের বৃহত্তম শহর। ঢাকা থেকে এই শহরে বিমান ভাড়া এক লাখ 98 হাজার টাকা। তবে অনেক সময় এই বিমান ভাড়া কম বেশি হয়ে থাকে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার ডলাস বিমান ভাড়া-ডলাস হচ্ছে আমেরিকার একটি অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান। এখানে যেতে ঢাকা থেকে বিমান ভাড়া প্রায় ২৫০০ থেকে ২৭০০ ডলার।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার সিয়াটন বিমান ভাড়া- বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে আমেরিকার বিমান করা হচ্ছে ২১০০ ডলার থেকে ২২০০ ডলার পর্যন্ত হতে পারে।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকার বিভিন্ন শহরের বিমান ভাড়া উপরে উল্লেখ করা হয়েছে।কিন্তু এই ভাড়ায় যে এ্যাকুরেট ভাড়া তা কিন্তু নয়। সময়ের ব্যবধানে,বিমানের ধরন অনুযায়ী বা কোন কারণবশত এই ভাড়া যেকোনো সময় পরিবর্তন অর্থাৎ কমবেশি হতে পারে। তাই আপনি যদি যেকোনো কারণে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যেতে চান তাহলে টিকিট কাটার আগে যাচাই করে ভালো করে জেনে নিয়ে তারপর টিকিট কাটবেন।
শেষ কথা-বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত:
সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুরা, আপনাদের সুবিধার্থে আমি বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা বিমান ভাড়া কত এবং এর সাথে আরও কিছু তথ্য আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। আশা করছি আপনি পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। যদি পড়ে থাকেন তাহলে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে।
তাই নিজে পড়ুন এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ পড়ার জন্য উৎসাহিত করুন। যেন অন্যান্য ব্যক্তিরাও আপনার মত কিছুটা হলেও পোস্টটি পড়ে উপকৃত হতে পারেন। এতক্ষণ আমার এই পোস্টের সঙ্গে ধৈর্য সহকারে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url