রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায়-রকেট কিভাবে আকাশে উড়ে

সুপ্রিয় পাঠক, আপনি কি জানতে চান রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায়? তাহলে আমার এই আর্টিকেলের উপরে চোখ রাখতে পারেন।কারণ আজ আমি আপনাদের সাথে তুলে ধরব যে রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায় এবং রকেট কিভাবে আকাশে উড়ে।

তাই আসুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে আমরা জেনে নেই রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায় এবং কিভাবে আকাশে উড়ে। 

রকেট আবিষ্কারক কে ছিলেন?

রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায় তা জানার আগে রকেট কত সালে কে আবিষ্কার করেন তা আমরা জেনে নেব। রকেট কত সালে আবিষ্কার হয়েছে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে প্রাচীন চিনে খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতকে রকেট আবিষ্কারের কিছুটা প্রমাণ মেলে। চায়না রা ওই সময় কাঠের টুকরো, কাপড়ের টিউব এবং কালো পাউডার দিয়ে রকেট তৈরি করতেন এবং এই রকেট গুলি মূলত সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার হত। 

আরো পড়ুন :ভালো মানের সিসি ক্যামেরার দাম কত জেনে নিন

আধুনিক যুগে সর্বপ্রথম ১৯২৬ সালের ১৬ই মার্চ রবার্ট গডার্ড রকেট সর্বপ্রথম আবিষ্কার করেন। এ রকেটগুলো অনেক শক্তিশালী এবং অনেক দূরত্বে ভ্রমণ করতে সক্ষম হয়। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে রকেট একটি অপরিহার্য মাধ্যম হয়ে ওঠে যা রবার্ট গডার্ডের আবিষ্কারের কৃতিত্বের পরিচয় মেলে। 

রকেট আবিষ্কারের কৃতিত্ব প্রায়ই রবার্ট এইচ গডার্ডার কে দেওয়া হয়। তিনি একজন আমেরিকান প্রকৌশলী অধ্যাপক, পদার্থবিদ এবং উদ্ভাবক। যিনি আধুনিক রকেট চালনার জনক হিসেবে বিবেচিত হয়। তিনি অত্যন্ত সফলভাবে 16 মার্চ 1926 সালে তার প্রথম তরল জ্বালানি যুক্ত রকেট উৎক্ষেপণ করেন যা রকেটের ইতিহাসে বিরল। 

আধুনিক রকেট আবিষ্কারের জন্য রবার্ট এইচ গডার্ডের অবদান সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হারে বেশি। তবে বর্তমানে বাংলাদেশেও ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ২০ সদস্যের একদল প্রকৌশলী ছাত্র সফলভাবে রকেট আবিষ্কার করেন। এই বিষয়ে দেশের প্রকৌশলীদের মধ্যে নেতৃত্বে রয়েছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ার কলেজের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিয়ান আল রহমান। 

তার বাড়ি বাংলাদেশের গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়। তবে এদের আবিষ্কৃত রকেট সরকারের অনুমতির অপেক্ষায় রয়েছে। অনুমতি পেলে তাদের এই রকেট আকাশে উড়াল দিতে পারে বলে এক সূত্র থেকে জানা গেছে। এই প্রকৌশলীরা ১৯২০ সালে রকেট তৈরি কাজ শুরু করে। তিন বছরের গবেষণায় প্রাথমিক সফলতার শেষ প্রান্তে চলে এসেছেন। 

তবে এই সমস্ত রকেট উৎক্ষেপণ যোগ্য কিনা তা এখনো পরীক্ষা করা হয়নি।আকাশে উৎক্ষেপণের জন্য প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ হওয়া ধূমকেতু 0.1 রকেট টি রাখা হয়েছে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মাঠে। এখন অপেক্ষা শুধু  সরকারের অনুমতি পেলেই আকাশে উৎক্ষেপণ করা হবে বলে জানা গেছে। 

তারা দাবি করেন যে এই রকেট এর মাধ্যমে সম্প্রচার, যোগাযোগ, আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তন সহ নানা ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা যাবে এবং এর পাশাপাশি প্রকৃতি সুরক্ষা ও খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের মাধ্যম হিসেবেও কাজ করা যাবে।

রকেট কিভাবে নামে: 

রকেট মহাকাশ থেকে মাটিতে কিভাবে নামে তা এখন আলোচনা করব এবং সব শেষে রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায় তা জানার চেষ্টা করবো। আসলে আমরা অনেকেই জানিনা যে রকেট মাটিতে ফিরে আসে না ফিরে আসে হচ্ছে স্পেসক্রাফট(Spacecraft)।এখন স্পেসক্রাফট কি এটা আমাদের জানা দরকার। 

স্পেসক্রাফট হচ্ছে সেই যান যাতে করে মহাকাশচারী রা মহাকাশে যেতে পারে এবং মহাকাশ থেকে নিচে অর্থাৎ মাটিতে ফিরে আসতে পারে। এটিকে রকেটের সাহায্যে মহাকাশে নিয়ে যায়। এটি রকেটের সাথে এ্যাটাচমেন্ট থাকে যা বিমানের মতই মানুষ থাকে। সাধারণত দুই ধরনের রকেট পৃথিবী থেকে মহাকাশে যায়। 

একটি হল স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট, অপর টি হল স্পেসক্রাফট (Spacecraft) বহনকারী রকেট। তবে দুই ধরনের রকেটের গঠনের দিক থেকে কিছু পরিবর্তন রয়েছে। স্যাটেলাইট বহনকারীর রকেটে কোন মানুষ থাকে না।এটি নিজ থেকে নিয়ন্ত্রিত হয়ে মহাকাশে যায়। পৃথিবী থেকে নির্দিষ্ট দূরত্বে পৌঁছার পর রকেটের সমস্ত পার্টস আস্তে আস্তে খুলে যায় এবং মূল স্যাটেলাইট তখন বেরিয়ে আসে। 

আরো পড়ুন: কম দামে ভালো ভিডিও ক্যামেরা-ছোট ক্যামেরার দাম কত

এটি নিজ কক্ষপথ থেকে তার কার্যক্রম পরিচালনা করে। মহাকাশ থেকে মাটিতে ফেরার সময় রকেট থেকে স্পেসক্রাফট আলাদা হয়ে যায়। বিমান ল্যান্ডিং এর মতই স্পেসক্রাফট মহাকাশ থেকে মাটিতে ল্যান্ড করে থাকে। তবে এর গতিবেগ প্লেন বা বিমানের চেয়ে অনেক বেশি থাকে। সেজন্য পিছনে একটি প্যারাসুট লাগানো থাকে। 

স্পেসস্ক্রাপটের ওজন বিমানের চেয়ে অনেক বেশি এবং এর গতিবেগ প্রচন্ড হওয়ার কারণে ল্যান্ডিং করার সময় স্পেসস্ক্রাপ টির পিছনে একটি প্যারাসুট খুলে যায় যা এর গতিবেগ কমাতে সাহায্য করে।এভাবে স্পেসস্ক্রাপ টি সফলভাবে পৃথিবীতে ল্যান্ড করে এবং মহাকাশচারী রা মহাকাশ থেকে সফলভাবে মাটিতে ফিরে আসে।

পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম রকেট কোনটি:

রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায় তা জানার আগে পৃথিবীর সবচেয়ে দ্রুততম রকেট কোনটি তা আমরা জানার চেষ্টা করব। পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট হচ্ছে 'ফ্যালকন হেভি' ।এটা সফলভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেস এক্স। 'ফ্যালকন হেভি' এই রকেট টি ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে মহাকাশের পথে পাড়ি দিয়েছিল কয়েক দশক আগে। 

এখান থেকেই সর্বপ্রথম মানুষ বাহি যান মহাকাশযান 'অ্যাপোলো-১১' চাঁদের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিয়েছিল তিনজন নভোযাত্রী নিয়ে। বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেটের উৎক্ষেপণ স্বচক্ষে দেখার জন্য কেনেডি স্পেস সেন্টারের কাছে প্রচুর ভিড় করেন বহু মানুষ। প্রচণ্ড গর্জনের মধ্য দিয়ে মহাকাশের পথে আটলান্টিক মহাসাগরের তীরবর্তী ঘেঁষে নিরাপদে যাত্রা দেয় এই উচ্চতার প্রচন্ড শক্তিশালী রকেট টি। 

স্পেস এক্স এর প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক এই রকেট টির উৎক্ষেপণ সফলতার জন্য তিনি অনেক আনন্দ প্রকাশ করেন ৪৬ বছর বয়সি এই প্রযুক্তিবিদ। এক সূত্রে জানা যায় বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রকেট 'ফ্যালকন হেভির' পরীক্ষা মূলক ভাবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল। 

এই রকেটের ইঞ্জিনের সংখ্যা ছিল 27 টি। এই ইঞ্জিন গুলো তিনটি বুস্টারের সঙ্গে এ্যাটাচমেন্ট রয়েছে। রকেটের গতির কোন লিমিটেশন থাকে না। তবে রকেটে ত্বরণ দিতে থাকলে রকেটের গতিবেগ বাড়তেই থাকে। ত্বরণ যুক্ত যে কোন বস্তু আলোর বেগে কখনোই পৌঁছাতে পারবে না। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয়েছে ১৬৩ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। 

নাসার সোলার স্পেসক্রাফটের বেগ প্রতি সেকেন্ডে ১৬৩ কিলোমিটার কিন্তু এটা রকেট না এটা হচ্ছে একটি স্পেসক্রাফট। রকেটের গতিবেগ বৃদ্ধির সাথে ব্যবহারিত ভরের সম্পর্ক রয়েছে ।নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানি দ্বারা ত্বরণ দিয়ে কত বেগ পাওয়া যাবে তা সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়। অ্যাপোলো মিশনে ব্যবহার করা হয়েছিল ১৫ হাজার কেজি জ্বালানি। 

একটানা ত্বরন দিতে থাকলে সর্বোচ্চ বেগ পাওয়া যাবে ৩৪৬৫.৭ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। যদি সম্পূর্ণ মহাবিশ্ব কে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাহলে রকেটের সর্বোচ্চ গতিবেগ পাওয়া যাবে প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে।

রকেট কি কাজে ব্যবহার হয়: 

এ পর্যায়ে আমরা রকেট কি কি কাজে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করব এবং এর পরে রকেট কিভাবে আকাশে উড়ে,তারপর রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো। আশা করছি আপনি আমার এই কন্টেন্টের সঙ্গে থাকবেন। 

বর্তমানে রকেট গুলি আতশবাজি, ক্ষেপণাস্ত্র এবং অন্যান্য অস্ত্র ,ইজেকশন সিট, কৃত্রিম উপগ্রহের উৎক্ষেপক যান, মানব জাতির মহাকাশ যাত্রা এবং মহাকাশ অনুসন্ধানের কাজে রকেট ব্যবহার করা হচ্ছে। রকেটের জ্বালানি হিসাবে রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার বেশি প্রচলিত হয়। এক্ষেত্রে অক্সিডাইজার দ্বারা জ্বালানির দহনের মাধ্যমে উচ্চগতি নির্গমন সৃষ্টি হয়।

 রকেট কিভাবে আকাশে উড়ে: 

এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব যে রকেট আকাশে কিভাবে উড়ে। তারপরে আলোচনা করব রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায়। আসুন তাহলে আমারে জেনে নেই রকেট আকাশে কিভাবে উড়ে।নিউটনের তৃতীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী রকেট চলাচল করে। রকেটে জ্বালানি পুড়িয়ে প্রচুর গ্যাস উৎপন্ন করা হয়। 

রকেটের পিছনের অংশ থেকে গ্যাস প্রচন্ড বেগে নির্গত হওয়ায় গতির বিপরীত ক্রিয়ায় রকেট কে বিপরীত দিকে প্রচন্ড বেগে ধাক্কা দেয়।ফলে রকেট দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যায় এবং আকাশে উড়তে থাকে। বিমান ও রকেট চালনার মূল পার্থক্য হল রকেট চলার জন্য বাতাসের প্রয়োজন হয় না। 

কিন্তু বিমান চলাচলের জন্য সম্পূর্ণভাবে বাতাসের প্রয়োজন হয় বিমান ওড়ার জন্য সম্পূর্ণরূপে বাতাস নির্ভর। রকেট আকাশে উড়ে বেড়ানোর জন্য কিছু প্রধান পদ্ধতি নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

  • উপযুক্ত ইঞ্জিন ব্যবহার-রকেটে খুব শক্তিশালী ইঞ্জিনের ব্যবহার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ যা রকেটে ভালো গতি এবং উচ্চতা উপার্জন করতে সাহায্য করে।
  • উচ্চতা ও গতি কন্ট্রোল- রকেটের উচ্চতা এবং গতি সময়ের প্রক্রিয়ায় সমীকরণের দ্বারা কন্ট্রোল করা হয় উচ্চতা ও গতির সমন্বয় করে রকেটে একটি নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
  • ভূ উপকরণ ব্যবহার- সঠিক ভূ উপকরণ ব্যবহার রকেট প্রস্থানে প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। উপকরণের ব্যবহার দ্বারা রকেট আকাশে ভেসে বেড়ানো যায় বা আকাশে উড়ে বেড়ায়।
  • সঠিক নির্দেশাবলী- উপযুক্ত নির্দেশাবলী প্রয়োগ করে রকেটের উচ্চতা ও গতি নির্দেশাবলী দ্বারা পরিচালিত হওয়া প্রয়োজন যাতে, রকেট আকাশে ঠিকভাবে ভেসে বেড়াতে পারে।
  • অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন ইঞ্জিন-অক্সিজেন এবং হাইড্রোজেন একই ভূত হয়ে একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বেশি শক্তিশালী প্রস্তুতি প্রযুক্তি তৈরি করা যাচ্ছে, যা রকেট কে আকাশে ভেসে বেড়াতে সাহায্য করে।
  • প্রস্তুতি স্থাপন- অধিকাংশ রকেট প্রস্তুতি বেলুন আকারের হয়, যা আকাশে ভেসে বেড়াতে সাহায্য করে। প্রস্তুতি স্থাপন রকেট টি নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে স্থায়ী শক্তি প্রদান করে যা আকাশে ওঠানোর জন্য প্রয়োজন।
  • মৌন স্থাপন- মৌন স্থাপন প্রয়োজনীয় গতি বৃদ্ধির জন্য আবশ্যকীয় বেলুনের প্রস্তুতি ব্যবহার করে। এই বেলুন স্থাপন রকেট টি আকাশে ভেসে বেড়াতে সাহায্য করে কারণ এটি বেলুনের ভিতর থেকে বাহিরের চাপ কম থাকে, যা প্রস্তুতি নিউটনের তৃতীয় সূত্র অনুসারে একটি উত্থান বল বা উপরে ওঠার শক্তি উৎপন্ন করে।
  • জেট প্রোপেলেন্ট-একটি জেট প্রোপেলেন্ট ব্যবহার করে রকেটটি আগাম যাচ্ছে কারণ জেট ইঞ্জিন প্রস্তুতি তৈরি করছে যাতে প্রতিষ্ঠানের প্রমুখ চাপ বা বলেও থাকে।

উপরে উল্লেখিত এই প্রযুক্তি গুলোর সমন্বয়ে বা প্রযুক্তি গুলোর সাহায্যে রকেট আকাশে ভেসে বেড়াতে সাহায্য করে এবং অন্যান্য নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য গুলোর সাথে এটি সফলভাবে উড়তে সাহায্য করে। আমরা দেখতে পাই যে বিমান অথবা হেলিকপ্টার আকাশে ভেসে থাকার জন্য বাতাসের উপর নির্ভর করে কিন্তু রকেটের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা সম্পূর্ণ আলাদা। 

প্রত্যেক ক্রিয়া থেকে সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায় অর্থাৎ আপনি কোন কিছুর উপর বল প্রয়োগ করলে এটিও আপনাকে সমানভাবে বলে ধাক্কা দেবে। রকেটের ক্ষেত্রেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে।রকেট ইঞ্জিনের কাজ হচ্ছে এই বল উৎপন্ন করে রকেট টাকে উপরের দিকে ঠেলে দেওয়া। এক্ষেত্রে বাতাসের কোন প্রয়োজন পড়ে না।

রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায়:

আসুন বন্ধুরা এবার আমরা জেনে নিই যে রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায়।রকেটের গতির কোন লিমিটেশন থাকে না। তবে রকেটে ত্বরণ দিতে থাকলে রকেটের গতিবেগ বাড়তেই থাকে। ত্বরণ যুক্ত যে কোন বস্তু আলোর বেগে কখনোই পৌঁছাতে পারবে না। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয়েছে ১৬৩ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। 

আরো পড়ুন: ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ জানতে চোখ রাখুন

নাসার সোলার স্পেসক্রাফটের বেগ প্রতি সেকেন্ডে ১৬৩ কিলোমিটার কিন্তু এটা রকেট না এটা হচ্ছে একটি স্পেসক্রাফট। রকেটের গতিবেগ বৃদ্ধির সাথে ব্যবহারিত ভরের সম্পর্ক রয়েছে ।নির্দিষ্ট পরিমাণ জ্বালানি দ্বারা ত্বরণ দিয়ে কত বেগ পাওয়া যাবে তা সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়। 

অ্যাপোলো মিশনে ব্যবহার করা হয়েছিল ১৫ হাজার কেজি জ্বালানি। একটানা ত্বরণ দিতে থাকলে সর্বোচ্চ বেগ পাওয়া যাবে ৩৪৬৫.৭ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। যদি সম্পূর্ণ মহাবিশ্ব কে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা হয়। একটি রকেট কে প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে 11.2 কিলোমিটার বেগে ছুটতে হবে আর সর্বোচ্চ রকেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১৬.২৬ কিলোমিটার। 

তবে রকেটের গতির কোন লিমিট নেই। ত্বরণ দিতে থাকলে রকেটের গতি বাড়তেই থাকবে। এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গতি রেকর্ড করা হয়েছে ১৬৩ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। তবে এটা কোন রকেট নয়। এটা হচ্ছে একটি স্পেসক্রাফট যেটা ব্যবহার করে মানুষ আকাশে চলাফেরা করতে পারে। 

পৃথিবীতে যত জ্বালানি আছে তা সবগুলোই ব্যবহার করলে এর গতি পাওয়া যাবে প্রায় 116 কিলো কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে। সম্পূর্ণরূপে মহাবিশ্ব কে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করলে রকেটের সর্বোচ্চ গতিবেগ পাওয়া যাবে প্রায় ৫৬২ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে।

শেষ কথা- রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায়:

প্রিয় বন্ধুরা আপনারা হয়তো এতক্ষণে জেনে গেছেন যে রকেট সেকেন্ডে কত কিলোমিটার যায়।উপরে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এ কথা বলতে পারি যে, আসলে রকেটের গতিবেগ এর কোন লিমিটেশন নেই। যত বেশি ত্বরণ দেওয়া যাবে রকেটের গতিবেগ তত বেশি বাড়তে থাকবে। আপনি যদি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে রকেট সম্পর্কে আপনি অনেক কিছুই ধারনা পেতে পারেন। 

তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ পড়ার জন্য উৎসাহিত করুন। যেন তারাও রকেট সম্পর্কে কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন। এতক্ষন আমার এই পোস্টের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই শেষ করছি আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url