ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ জানতে চোখ রাখুন

সুপ্রিয় পাঠক, আপনি কি জানতে চান যে ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ ? তাহলে আমার এই আর্টিকেলের উপর চোখ রাখতে পারেন।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ। 

তাই আসুন আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করি।

ড্রোন ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে:

ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ ? তা জানার আগে ড্রোন ক্যামেরা কিভাবে কাজ করে সেটি আমরা জানবো। ড্রোন কি জিনিস তা হয়তো আপনারা অনেকেই জানেন না।তাই ড্রোন সম্পর্কে জেনে নেওয়ার জন্য আর্টিকেলটি পড়ার অনুরোধ রইল। ড্রোন শব্দটির অনেক অর্থ রয়েছে। ড্রোন শব্দটি ইংরেজি শব্দ থেকে উদ্ভূত হয়েছে যার অর্থ হল পুরুষ মৌমাছি। 

আরো পড়ুন:বাংলাদেশে সবচেয়ে কম দামে স্মার্টফোন-ফোনের দাম বাংলাদেশ

এক কথায় বলা চলে মানুষ বিহীন বিমানকে ড্রোন বলা হয়। ।ড্রোন হচ্ছে এমন এক ধরনের উড়োজাহাজ মানের বিমান যা পাইলট ছাড়াই চলাচল করতে পারে। ড্রোন এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে গুঞ্জন। কারণ এটি যখন চলে এটা মৌমাছির গুন গুনের মতো শব্দ করে। ড্রোন এর প্রথম শর্ত হচ্ছে এটাতে ক্যামেরা থাকতে হবে। 

ড্রোনের প্রধান কাজ হল ছবি তোলা। তবে যেখানকার ছবি তুলবে সেই জায়গায় না গিয়ে সেই জায়গার ছবি তোলার জন্য ড্রোনকে তৈরি করা হয়েছে। অর্থাৎ ড্রোন হচ্ছে বিমানের মত উপর দিয়ে (আকাশ দিয়ে) ঘুরে বেড়ায় আর অটোমেটিক ভাবে ছবি উঠায়। যেখানে মানুষ যেতে পারে না সেখানে ড্রোন গিয়ে ছবি তুলে। 

তবে বর্তমানে ড্রোন শুধু ছবি তোলার কাজেই ব্যবহার হয় না। ড্রোনকে ব্যবহার করা হচ্ছে যুদ্ধ করার জন্য, সিনেমার শুটিং করার জন্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।

ড্রোন কিভাবে কাজ করে--ড্রোন ইউ এ ভি (UAV)এর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে।UAV এর পূর্ণ অর্থ হলো Aerial Unmanned Aerial Vehicle । যাহা দুই প্রকার একটি সাধারণ ইউ এ ভি অপরটি সামরিক ইউনিটি সাধারণ ইউ এভি গুলোতে মূলত একটি ক্যামেরা, পাখা,আর কিছু সেন্সর থাকে যা তাকে আকাশে উড়তে এবং সঠিক পথে যেতে সাহায্য করে। 

তবে সাধারণ ইউ এ ভি UAV হোক অথবা সামরিক ইউএভি UAV হোক সব ক্ষেত্রেই রিমোটের মাধ্যমে পরিচালনা করা লাগে। আর সামরিক ইউএ ভি গুলোতে ককপিট স্পাই ক্যামেরা, লেজার, জিপিএস, সেন্সর, লাইটিং সেনসর ইত্যাদি থাকে। এটার ইউ এ ভি গুলো এর নাকের কাছে থাকে। 

তাই এরা অনেক বেশি দূরে উড়ে যেতে পারে। সেজন্য এগুলোর জন্য একটা রান হয়ে দরকার। ড্রোন এর প্রধানত দুইটি অংশ থাকে। একটি হচ্ছে ড্রোন নিজে ও অপরটি হচ্ছে এর কন্ট্রোলার সিস্টেম। গ্রাউন্ড কন্ট্রোলার নিজে নির্দেশ দেয় আর সেটা উপগ্রহ হয়ে ড্রোনের কাছে যায়। ড্রোন তা গ্রহণ করে সেই কমান্ড অনুযায়ী কাজ করে এবং ঠিক একই রকম ভাবে ড্রোন ও গ্রাউন্ড কন্ট্রোলারের কাছে একইভাবে তার তথ্য পাঠিয়ে থাকে।

রাডার পজিশন- 

রাডার পজিশন বলতে  রাডার পাইলট কে বোঝানো হয়েছে।এই পাইলট স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের অবস্থান নির্ণয় করে ও কন্ট্রোলার কে নিজের পজিশন স্পন্সর কে অবগত করে। এর সাথে আরেকটি কমান্ড ব্যাক টু হোম (Back to home) আছে এই Comand এর মাধ্যমে  ড্রোন যে কোন স্থানেই থাকুক না কেন এটি আবার তার নিজ অবস্থানে ফিরে আসবে।

Gyro Position System-Gyro পজিশন সিস্টেম হল Gyroscope এর মাধ্যমে নিজের ও অন্যান্য সবকিছুর পজিশন নির্ণয় করা।এটির কারণে ড্রোন সুন্দরভাবে আকাশে উড়তে পারে ও মাটিতে ঠিকমতো নামতে পারে।

ফ্লাই জোন প্রযুক্তি- ফ্লাই জোন প্রযুক্তি হচ্ছে অন্য ড্রোনের সাথে কোন দুর্ঘটনা রোধ করার বা দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সেটাই হচ্ছে ফ্লাই জোন প্রযুক্তি। এটার কারণেই বিমানের সাথে ড্রোন এর দুর্ঘটনা হয় না।

এফপিভি (FPV)প্রযুক্তি-FPV এর পূর্ণ অর্থ হচ্ছে first person view । ড্রোন প্রথমে মাটিতে যে ব্যক্তিকে দেখতে পাবে তাকেই প্রথমে টার্গেট করবে। কিন্তু এর থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এটি তে যে ক্যামেরা আছে সেটা মাটিতে অবস্থানরত যে কারো নির্দিষ্ট তথ্য দিয়ে থাকে। কিন্তু এর সমস্যা হচ্ছে এটি বন বা জঙ্গলে শনাক্ত করতে পারে না। সুতরাং বিশ্লেষকরা এফ এ ভি প্রযুক্তির বিকল্প হিসাবে অন্য কোন কিছুর কথা ভাবছেন।

স্মার্টফোনে ড্রোন -বর্তমানে ড্রোনকে এতই আধুনিকী করণ করা হয়েছে যে ড্রোনকে আপনি স্মার্ট ফোন দিয়েও পরিচালনা করতে পারবেন। এখন পুরা বিশ্বটা হয়ে গেছে স্মার্টফোনের।তাই ড্রোন কেউ স্মার্টফোনের মাঝে আনা হয়েছে। ড্রোন ব্যবহারের জন্য আমাদের অনেকটাই সহজ হয়ে গেছে।

Plantom 2 Vision+quadcopter-প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করে আপনি ড্রোনকে পরিচালনা করতে পারবেন এবং তার সাথে আপনি এর গতি কমানো, বাড়ানো, ডাটা গ্রহণ ও প্রেরণ মিসাইল নিক্ষেপ ইত্যাদি কাজগুলো করতে পারবেন।

ড্রোনে ক্যামেরা ব্যবহার-আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে ড্রোনে কি ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শত্রুকে ঘায়েল করার জন্য ড্রোনে একটি শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ড্রোনে যে ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়ে থাকে তা ১০৮০/৩০ ফ্রেমে ও ৭২০/৬০ ফ্রেমে ফুল 

এইচডি পিকচার প্রদর্শন হয় এবং ৩ গিগাবাইট মাইক্রো এইচডি মেমোরি ব্যবহার করা হয়। ড্রোনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল ড্রোন কোন মিসাইল ছাড়ার পরে নিজের গতিপথ ওই মুহূর্তে পরিবর্তন করতে পারে,অনেকটা ক্রুজ মিসাইলের মত। এক্ষেত্রে ক্রুশ মিসাইল নিজেই ধ্বংস হয়ে যায় কিন্তু ড্রোন নিজে ধ্বংস হয় না। 

DJI Phantom 4-এতে রয়েছে যেকোনো ধরনের সংঘর্ষ মোকাবেলা করার বা সংঘর্ষ এড়িয়ে চলার জন্য একটি বিশেষ প্রযুক্তি এবং আকাশ থেকে লিখুত ছবি তোলার প্রযুক্তি। 

DJI Inspire 1- এটির সুন্দর ডিজাইন ও শক্তিশালী মোটর এর জন্য এটি প্রধানত সবার কাছে প্রিয় হয়ে ওঠেছে। এটিকে মূলত ব্যবহার করা হয় ছবি তোলার জন্য এবং এটি সিনেমার ভিডিও করার ক্ষেত্রেও বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।

3DR Solo-এটি মূলত প্রফেশনাল ফটোগ্রাফির জন্য সবার পছন্দের এবং সবার শীর্ষে রয়েছে।এছাড়া এটি খুবই দ্রুত নিজের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে। তাই এটা সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে।

ড্রোন কিভাবে চালায়:

ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ ? এ প্রশ্নের উত্তর জানতে গিয়ে ড্রোন কিভাবে চালানো হয় তা জানার ইচ্ছা হচ্ছে। তাই আসুন ড্রোন কিভাবে চালানো হয় তা আমরা আগে জেনে নেই। ড্রোন অনেকটা হেলিকপ্টার বা বিমানের মত। বিমান পরিবহনের অন্যান্য পদ্ধতির মতো কাজ করে। ইঞ্জিন চালু করা হয়, তারপর এটি শুরু হয় এবং প্রোপেলার গুলি ফ্লাইট সক্ষম করতে ঘোরে। 

আরো পড়ুন:আইপিএস ও ইউপিএস কেনার আগে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন

এরপর পাইলট মাটি থেকে রিমোট কন্ট্রোল এর সাহায্যে বা রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার করে মাটি থেকে তার ফ্লাইট পরিচালনা করেন। অনেক ড্রোন আছে যা স্বয়ংক্রিয় ভাবে একটি কোর্স সেট করার বিকল্প থাকে। লিফট এবং থাস্টের সংমিশ্রণে ড্রোনকে উপরের দিকে, নিচের দিকে, বামদিকে, ডান এবং সামনে সহ বিভিন্ন দিকে উঠতে দেয়।

মিনি ড্রোন ক্যামেরা দাম কত: 

ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। তবে তার আগে মিনি ড্রোন ক্যামেরা অর্থাৎ ছোট সাইজের ড্রোন ক্যামেরা দাম কত তা আমরা জেনে নেব।



  • Baoniu Aerobat Four Axis HC 702 mini-1999 Taka(১৯৯৯ টাকা মাত্র)
  • মিনি ড্রোন ক্যামেরার মডেল ও দাম-K109wi-fi control FPV Mini Drone-price 7000Taka (৭ হাজার টাকা মাত্র)
  • E88 Pro 4k HD Drone with dual camera-Price 5000 taka(৫ হাজার টাকা মাত্র)।
  • CF 922 Mini pocket drone-price 2500 Taka (২ হাজার ৫শত টাকা মাত্র) 
  • 2022New E99k3 pro dual camera-Price 5500 taka(৫ হাজার ৫শত টাকা মাত্র)।
  • Aerobat Four Axis RC Mini Aircraft Drone- price2000 taka(২ হাজার টাকা মাত্র)।
  • XD1 Mini Camera Drone-Price 4000Taka(৪ হাজার টাকা মাত্র)।
  • DJI Mini 2 Drone 3-Axis Gymbal with 4k Camera-Price 25500(২৫ হাজার পাঁচশত টাকা মাত্র)
  • Batman SpidermanY20-26-Axis Flying Dron-Price 2880(২ হাজার হাজার ৮৮০ টাকা মাত্র) । 

তবে বাজারে অনেক আসাদু ব্যবসায়ী থাকতে পারে যারা উল্লেখিত দাম ছাড়াও বিক্রেতারা আরও নিতে পারে। তাই আপনি যদি মিনি ড্রোন ক্যামেরা কিনতে চান তাহলে আপনার ইচ্ছামত যাচাই বাছাই করে কিনলে ভালো হয়।

ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ: 

আমরা এ পর্যায়ে জানিয়ে দেবো যে আমাদের দেশে অর্থাৎ বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরা দাম কত? ড্রোনের দাম সাধারণত নির্ভর করে ড্রোন ক্যামেরার গুণগত মান, ড্রোনের গতি, ড্রোনের আকার, ড্রোনের কার্যক্ষমতা এবং অন্যান্য বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের উপর নির্ভর করে ড্রোনের দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। 

বাংলাদেশের সর্বনিম্ন ড্রোনের দাম প্রায় ১৭৯৯ টাকা।এ ধরনের ড্রোন গুলিতে কোন ক্যামেরা ইন্সটল করা থাকে না এবং এই ড্রোন উড়ানোর জন্য কোন প্রকার জ্ঞান ছাড়াই এগুলো ছোট বাচ্চাদের জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশে ড্রোন ক্যামেরার দাম ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে উচ্চমানের ক্যামেরা সহ একটি পেশাদার ড্রোনের দাম প্রায় ২৫ হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা এর মধ্যে হতে পারে। 

আরো পড়ুন:বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

যার ভিডিও গুলি দুর্দান্ত এবং প্রফেশনাল এরিয়াল ফটোগ্রাফির জন্য দারুন ভাবে ব্যবহার করা হয়।

তাই আপনি যদি ড্রোন ক্যামেরা কিনতে চান তাহলে বাজারে নানা ধরনের ড্রোন ক্যামেরা রয়েছে সেগুলো আপনার পছন্দ মতো যে কোন একটি দেখে যাচাই-বাছাই করে তারপর আপনি কিনতে পারেন। নিম্নে কিছু ড্রোনের দাম ও মডেল উল্লেখ করা হলো-


  • E88 Pro 4k HD Drone with dual camera-Price 5000 taka(৫ হাজার টাকা মাত্র)।
  • DJI Mini 2 SE-Price 38000(৩৮ হাজার টাকা মাত্র) 
  • Xiaomi Z908 Pro max Drone-Price12990 Taka(১২৯৯০ টাকা মাত্র) 
  • Xiaomi MIJIA V88 8K mini Drone-Price 9990 Taka(৯৯৯০ টাকা মাত্র) 
  • E634k Dual HD Camera GPS Drone-Price16500 Taka(১৬৫০০ টাকা মাত্র) 
  • E93 max wi fi Return Function Dron-Price 11900 Taka(১১,৯০০ টাকা মাত্র)
  • 998 pro 4k Dual camera Drone- price 6850 Taka(৬৮৫০ টাকা মাত্র)
  • S97 4k Dual Camera 360* Mini Drone - Price 12000 Taka(১২০০০ টাকা মাত্র) 

উপরে উল্লেখিত ড্রোন ক্যামেরা আপনার পছন্দমত যাচাই-বাছাই করে যে কোন একটি অথবা আপনি চাইলে একাধিক Drone ক্যামেরা কিনতে পারেন।

শেষ কথা-ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ: 

সুপ্রিয় পাঠক আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে আমি এই কথা বলে শেষ করে দেবো যে ড্রোন ক্যামেরা দাম কত বাংলাদেশ এবং এর সাথে মিনি ড্রোন ক্যামেরার দাম সহ এবং আরো ড্রোন সম্পর্কিত কিছু তথ্য আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আপনি চাইলে আপনার ইচ্ছামত উপরে উল্লেখিত আপনি যেকোন মডেলের  ড্রোন ক্যামেরা ক্রয় করতে পারেন। 

তবে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আছে তাদের কারণে যে দাম গুলো উল্লেখ করা হয়েছে এর পরিবর্তন অথবা বেশি হতে পারে। তাই এটা কিনার আগে আপনি যাচাই-বাছাই করে তারপরে আপনি তা কিনবেন। আশা করছি পোস্টটি আপনার অনেক উপকারে আসবে। 

তাই মনোযোগ সহকারে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন এবং অপরকেও পড়ার জন্য শেয়ার করার মাধ্যমে উৎসাহিত করুন। আমার এই পোস্টের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে এখানেই ইতি টানছি আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url