লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ জানতে চোখ রাখুন
প্রিয় পাঠক, লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ জানতে আমার এই আর্টিকেলের উপরে চোখ রাখতে পারেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব লিভার ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে এবং সেই সাথে জানিয়ে দিব যে লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়।
আসুন তাহলে পাঠক বন্ধু দেরি না করে জেনে নেই লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে।
লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ:
লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ বিষয়টি জানার আগে লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ সমূহ আমাদের জানা দরকার। লিভার হল আমাদের দেহের একটি কার্যকরী গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা শরীরের পাঁজরের পেটের ডানপাশের উপরের অংশে অবস্থিত।
আরো পড়ুন: কিডনিতে পাথর হলে করণীয় কি- কিডনি রোগী কত দিন বাঁচে
এটি এমন একটি অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যার প্রাথমিক কাজ হল রক্ত পরিষ্কার করা এবং শরীর থেকে টক্সিন ও বর্জ্য পদার্থ বের করে দেওয়া। লিভার শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। যেমন- খাদ্য থেকে ভিটামিন এবং খনিজ শোষণ, চর্বি, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন বিপাক করা এবং হজমের সাহায্য করা সহ বহু ধরনের কাজ পরিচালনা করে।
লিভার ক্যান্সার হল একটি ক্যান্সারের ধরন যা লিভারের কোষে শুরু হয়। লিভার ক্যান্সার হল একটি জটিল এবং কঠিন রোগ যা যেখানে ঝুঁকি এবং হুমকি ক্যান্সার গুলোর মধ্যে একটি। লিভারের কোষগুলিকে ধ্বংস করে এবং লিভারের কার্যকারিতায় বাধার সৃষ্টি করে। লিভার ক্যান্সার দুই ধরনের হয়।
একটা হচ্ছে প্রাথমিক লিভার ক্যান্সার, আরেকটি হল সেকেন্ডারি লিভার ক্যান্সার। প্রাথমিক লিভার ক্যান্সার হল- এটা যকৃতের কোষে শুরু হয়ে শরীরে বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে পড়ে। আর সেকেন্ডারি লিভার ক্যান্সার বিকশিত হয়ে অন্যান্য অঙ্গ থেকে ক্যান্সার কোষ লিভারে ছড়িয়ে পড়ে।
অন্যান্য ক্যান্সারের মতো লিভার ক্যান্সারও কোষ গুলি আক্রান্ত অংশ থেকে রক্ত প্রবাহের মাধ্যমে শরীরের অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে।আসুন আমরা জেনে নেই লিভার ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণসমূহ কি কি-
পেট ব্যথা এবং ফোলা ভাব-লিভার ক্যান্সারের সবচেয়ে সাধারণ লক্ষণ গুলির মধ্যে পেটে ব্যথা এবং পেট ফুলে যাওয়া হল একটি অন্যতম লক্ষণ। এ ধরনের ক্যান্সার টিউমার পেটে চাপ দেওয়ার কারণে এটি ঘটতে পারে। ব্যথা অল্প অথবা বেশি হতে পারে এবং পেটে পূর্ণতা বা অস্বস্তির অনুভূতি হতে পারে।
ত্বক এবং চোখ হলুদ বর্ণ- চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া এবং ত্বক সহ হলুদ হওয়া যা লিভার দ্বারা উৎপাদিত বর্জ্য পদার্থ বিলিরুবিন তৈরির কারণে হয়। যকৃত সঠিকভাবে কাজ না করার কারণে এটি শরীর থেকে বিলিরুবিন নির্মূল করতে অক্ষম হয়ে যেতে পারে যার ফলে জন্ডিস হতে পারে। জন্ডিসের সাথে গাঢ় প্রস্রাব এবং ফ্যাকাসে মল হতে পারে।
দেহের ওজন কমে যাওয়া- শরীরের ওজন কমে যাওয়া হচ্ছে লিভার ক্যান্সারের একটি অন্যতম লক্ষণ। শরীরের ওজন কমে যাওয়ার সাথে সাথে ক্ষুধা হ্রাস এবং আপনা আপনি ওজন হ্রাস পাবে। অল্প পরিমাণ খেলেই মনে হবে পেট ভরে গেছে।
ক্লান্তি বা দুর্বলতা- লিভার ক্যান্সার হলে শরীরের ক্লান্তি বা দুর্বলতার অনুমতি হতে পারে যা বিশ্রামের পরেও ক্লান্তি দূর হয় না। এটি ক্যান্সারে টিউমারের কারণে হতে পারে যা শারীরিক ক্রিয়াকলাপ থেকে দূরে রাখে। ফলে রোগী ক্লান্ত বোধ করে এবং শরীর দুর্বল হয়ে যায়।
বমি হওয়া- লিভার ক্যান্সারের কারণে বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে। ক্যান্সার টিউমারের পিত্ত নালিকে ব্লক করে পেটে পিত্ত জমা হয়ে বমি বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে।
এছাড়া লিভার বড় হয়ে যাওয়া, পিঠে ব্যথা, জ্বর, তলপেটে ব্যথা, পেটের ডান দিকে ব্যথা ইত্যাদি লিভার ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
লিভার ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ:
লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ বিষয়টি নিয়ে না হয় আরেকটু পরে আলোচনা করছি। তার আগে আমরা জানবো লিভার ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ কি কি।সারা বিশ্বে ক্যান্সার জনিত মৃত্যুর অন্যতম কারণ হলো লিভার ক্যান্সার। তবে লিভার ক্যান্সার প্রথম অবস্থায় যদি ধরা পড়ে তাহলে নিরাময় করা সম্ভব।
আরো পড়ুন: ব্রেন স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়- ব্রেন স্ট্রোক এর লক্ষণ
এক গবেষণায় জানা গেছে ৩৫৭ জন রোগীর মধ্যে একটা গবেষণা চালানো হয়। সেই গবেষণায় পরীক্ষিত ৩৫৭ জন রোগীর মধ্যে ৫৭% রোগী মারা গেছেন। আর যাদের বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ ধরা পড়েছিল তার পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে মারা যায়। যারা তিন দিনের মধ্যে মারা গেছেন তাদের মৃত্যুর তিন দিন আগে থেকেই এসব চিহ্ন দেখা দিয়েছিল। সেই চিহ্ন বা লক্ষণ গুলো নিম্নরূপ-
- আলোর বৃদ্ধি বা কম আলো চোখের পিউপিল কোন কাজ করে না।
- কথা বলার সময় মুখ-জিহবার কার্যকারিতা কমে যায়।
- দৃষ্টিশক্তি কমে যায়।
- রোগী বেশিরভাগ সময় চোখের পাতা বন্ধ করতে পারেন না।
- নাক থেকে ঠোঁটে কোন পর্যন্ত যে রেখা পড়ে তাতে ব্যাপক ভাঁজ পড়ে যায়।
- মাথা সামনের দিকে ঝুকে আসে
- কন্ঠনালী থেকে গড়গড় আওয়াজ আসে।
সুতরাং উল্লেখিত লিভার ক্যান্সারের রোগীর মৃত্যুর এই লক্ষণ গুলি দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে যে রোগীর মৃত্যু অতি সন্নিকটে।
লিভারে চর্বি জমলে কি কি সমস্যা হয়:
এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব যে লিভারে যদি চর্বি জমে তাহলে কি কি অসুবিধা হয়। তবে লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী এ বিষয়ে আলোচনা করার কথা থাকলেও এই চ্যাপ্টারের পরেই আমি সেটা নিয়ে আলোচনা করব। আশা করছি ধৈর্য সহকারে আমার এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকবেন।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, লিভারের কোষগুলোতে প্রায় ৫% এর মত চর্বি থাকে। কিন্তু সেখানে স্বাভাবিক কোনো কারণে অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে তাকে ফ্যাটি লিভার রোগ বলা হয়ে থাকে। খাবার হজমের পর শরীরের কোষের জন্য প্রস্তুত করা খাবারের অতিরিক্ত অংশ শরীরের প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য জমা রাখতে লিভার কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।
এর ফলাফল নানা রকম হতে পারে। চর্বি জমার পাশাপাশি লিভারের প্রদাহ হতে পারে। ফাইব্রাস টিস্যু তৈরি হয়ে যকৃতের কোষগুলো শক্ত হয়ে যেতে পারে। ফলে লিভারের স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটে রোগীর শেষ পর্যন্ত লিভার সিরোসিস হয়ে লিভার ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
লিভার ক্যান্সার হলে এ্যাসিডিটি ও হজমের সমস্যা হতে পারে, দ্রুত ওজন কমে যাবে, হেপাটাইটিস হতে পারে, ক্যান্সার, টিউমার, শারীরিক দুর্বলতা, হজমের সমস্যা, ক্ষুধা কম লাগা , খাবারের অরুচি,অল্প খেলেই পেট ভরে থাকা, পেটের ডান পাশে ব্যথা, পেট ফোলা ভাব, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া,
শরীরে লাল লাল দাগ হতে পারে, মাথা ব্যথা, মন খারাপ, ডিপ্রেশন, হঠাৎ শরীরে কাঁপুনি, মলের কালার সাদা হতে পারে, ঘন ঘন প্রস্রাব এবং গাঢ় রং, ডায়রিয়া হতে পারে,চোখ এবং নখ হলুদ বর্ণ হয়ে যাবে ইত্যাদি সমস্যা গুলো হতে পারে। লিভারে চর্বি জমার কারণে উল্লেখিত সমস্যাগুলো যদি হয়ে থাকে তাহলে একজন অভিজ্ঞ লিভার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া উচিত।
লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে :
এ পর্যায়ে আমরা মানুষের যদি লিভার ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে কতদিন রোগী বাসে তার একটি ধারণা আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করব। লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল। তবে ক্যান্সার হলো একটি প্রাণঘাতী রোগ। এ রোগ থেকে বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
লিভার ক্যান্সার হলে মানুষ কত দিন বাঁচে তা একমাত্র সৃষ্টিকর্তা ছাড়া আর কেউ বলতে পারেন না। তবে ক্যান্সার হলে খুব তাড়াতাড়ি রোগী মারা যায়। অভিজ্ঞ চিকিৎসা বলেন, আমাদের দেশে ক্যান্সার হওয়া রোগী ছয় মাস থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচার সম্ভাবনা থাকে। বেশিরভাগ রোগী পাঁচ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে। তারপর মৃত্যুবরণ করে।
হায়াত -মউত সবই নির্ভর করে আল্লাহর উপরে। তবে রোগ যখন জটিল আকার ধারণ করে তখন চিকিৎসকরা অথবা অন্য কেউ একটি ধারণা দিতে পারেন যে রোগীর খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যু হবে অর্থাৎ এতদিন থেকে এত দিনের মধ্যে রোগী মারা যেতে পারে।
বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নত চিকিৎসার সাথে সাথে ক্যান্সার চিকিৎসা করে একজন মানুষকে সুস্থ জীবন যাপন করার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি পরিসংখ্যান এর উপর ভিত্তি করে লিভার ক্যান্সার রোগী কতদিন বাঁচতে পারে। তার একটি ধারণা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
- যে সমস্ত ক্যান্সার রোগীদের রক্তে লিউকোমিয়ারের হার অনেকাংশে বেশি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য বাঁচার হার ৮৫% এর বেশি থাকে।
- যেসব রোগীর রক্তে মাইলজেনাস লিউকোমিয়ার হার অনেক বেশি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জন্য বাঁচার হার হতে পারে 56% বেশি।
- যেসব ক্যান্সার রোগীদের রক্তে মাইলোমেনসাইটিক লিউকোমিয়া শুরুর দিকে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য বাঁচার হার ৫০% কিংবা এর বেশিও হতে পারে।
কোন ক্যান্সার রোগীর অবস্থা যখন খুবই জটিল আকার ধারণ করে তখন চিকিৎসকরা একটা ধারণা দিতে পারে যে এক মাস অথবা ২ মাস অথবা পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে রোগী মারা যেতে পারেন।
লিভারে চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়:
লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ সেটা নিয়ে উপরের অংশে আলোচনা হয়েছে। এ পর্যায়ে আমরা লিভারে চর্বি জমলে কিভাবে কমানো যায় বা কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরব। একটি গবেষণায় দেখা গেছে প্রাপ্তবয়স্কদের মাঝে প্রায় এক-তৃতীয়াংশই ফ্যাটি লিভারে আক্রান্ত হয়ে থাকি।
আরো পড়ুন: ব্রেস্ট ক্যান্সার কি নিরাময় যোগ্য-ব্রেস্ট ক্যান্সার কি ভালো হয়
এই সমস্যাটি আমাদের লিভারে খুব বেশি পরিমাণে চর্বি জমার কারণে হয়ে থাকে।আসুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক লিভারে চর্বি কমানোর ঘরোয়া উপায়-
কফি- কপি হচ্ছে চর্বি ঝরানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থেকে রেহাই পেতে আমিতো কফি পান করুন ।কফি পান করার মাধ্যমে লিভারের চর্বি কমানো বা দূর করা সম্ভব।লিভারের স্বাস্থ্যকর এনজাইম উৎপাদন বাড়িয়ে তুলতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এই কপি।
আখরোট বাদাম -লিভারের চর্বি কমাতে এই বাদাম দারুন ভূমিকা পালন করে থাকে। স্বাস্থ্য রক্ষায় আখরোট অনেক উপকার করে ।এই বাদামটিতে অনেক পরিমাণ ওমেগা থ্রি-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তাই এই বাদাম খেলে এটি লিভার আক্রান্তদের লিভারের কার্যকারিতা বাড়ে।
ওমেগা থ্রি-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড- লিভারের রোগীদের জন্য ওমেগা থ্রি-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খাওয়া খুবই উপকারী। লিভারের মধ্যে থাকা চর্বি ঝরাতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। যেমন বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ, সালমন মাছ, টুনা মাছ ট্রাঊটৈর ইত্যাদি নিয়মিত খেলে ধীরে ধীরে লিভারের চর্বি কমে যাবে।
গ্রিন টি বা সবুজ চা-লিভারে জমে থাকা চর্বি ঝরানোর জন্য দারুন ভাবে কাজ করে গ্রিন টি বা সবুজ পায় কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে গ্রিন টি।
অলিভ অয়েল তেল বা জল পাই তেল-অতিরিক্ত ওজনের কারণে লিভারে যখন চর্বি জমে তখন এই চর্বি জলপাই তেল খাওয়ার অভ্যাস এর মাধ্যমে চর্বি দূর করা সম্ভব।
আদা এবং পুদিনা- ফ্যাটি লিভার রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আধা এবং পুদিনা বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ফ্যাটি লিভারের ঘরোয়া প্রতিকারের জন্য এই উপাদানগুলো খুবই উপকারী।
হাঁটাহাটি করা- প্রতিদিন নিয়মিত সকালে এবং বিকালে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৩৫ মিনিট হাঁটাহাঁটি করলে লিভারের চর্বির সমস্যা সমস্যা সমাধান হবে। প্রতিদিন নিয়মিত হাঁটলে লিভারের চর্বি ধরানো সহ শরীরের অন্যান্য উপকার হয়ে থাকে।
ব্যায়াম করা- প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম করলে লিভারের চর্বি ধরানো সহ শরীরের অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রোধ করতে সহায়তা করে। বিভিন্ন রকম খেলাধুলা করা, হাটাহাটি করা, দড়ি লাফানো ,সাঁতার কাটা ,বাইসাইকেল চালানো ইত্যাদি ব্যায়াম করা যেতে পারে।
চিনি জাতীয়-ফ্যাটি লিভারের অর্থ হলো লিভারে চর্বি জমে থাকা। মিষ্টি জাতীয় জিনিস লিভারের জন্য ব্যাপক ক্ষতিকর এবং চর্বি বাড়াতে সহায়তা করে ।তাই চিনি জাতীয় বা মিষ্টি জাতীয় খাবার পরিহার করুন।
ভাজাপোড়া খাবার না খাওয়া-ভাজাপোড়া বা তৈলাক্ত খাবার লিভারের ব্যাপক ক্ষতি করে। তাই এ জাতীয় খাবার পরিহার করুন।লাগছে জাতীয় খাবার করুন কারণ ভাজাপোড়া এবং তৈলাক্ত জাতীয় খাবার লিভারের ছবি বাড়াতে পারে।
শাকসবজি- সবুজ শাক সবজির মধ্যে যে পলিফেনাল ও নাইট্রেট পাওয়া যায় তা যকৃতের চর্বি ঝরাতে বা কমাতে সাহায্য করে। পাতা ওয়ালা সবুজ শাকসবজি যেমন শাক, লেটুস এবং অন্যান্য কথা বলা সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন।
ডাল জাতীয় খাবার- ডাল, ছোলা, মটরশুটি ইত্যাদি খাবারে প্রচুর আঁশ থাকে যা পরিপাকতন্ত্রের জন্য স্বাস্থ্যকর এবং ট্রাই গ্লিসারাইড কমাতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। সুতরাং নিয়মিত এ জাতীয় খাবার খেলে লিভারের চর্বি কমে যেতে পারে।
সামুদ্রিক মাছ- সামুদ্রিক মাছ যেমন- ইলিশ মাছ, রূপচাঁদা, টুনা স্যামন ইত্যাদি তেল যুক্ত সামুদ্রিক মাছ উপকারি যা লিভারের চর্বি এবং প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।বিশেষজ্ঞদের মতে চর্বি কমানোর জন্য সপ্তাহে কমপক্ষে দুই থেকে তিন দিন সামুদ্রিক মাছ খাওয়া উচিত।
রসুন- কাঁচা রসুন খেলে যকৃতের প্রদাহ কমে যায় এবং চর্বি কমাতে কাঁচা রসুন ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই নিয়মিত কাঁচা রসুন খাওয়া চর্বি ঝরানোর ক্ষেত্রে আপনি খেতে পারেন।
শেষ কথা-লিভার ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে:
প্রিয় পাঠক আর্টিকেলের শেষ প্রান্তে এসে আমি এই কথা বলে শেষ করবো যে লিভার ক্যান্সার হলে রোগী কতদিন বাঁচবে তার একটি ধারণা আমি আপনাদের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরেছি ।আশা করছি পোস্টটি পড়ে আপনি সেটা জানতে পেরেছেন এবং সেই সাথে কিছুটা উপকারও পেয়েছেন।
তাই নিজে পড়ুন এবং অন্যদেরকেও পড়ার জন্য পোস্টটি আপনি শেয়ার এবং কমেন্ট করুন ।আমার এই পোস্টের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url