টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানুন
সম্মানিত পাঠক, টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। আজ আমি আলোচনা করব টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় কি কি।
আসুন তাহলে পাঠক বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় কি কি তা আলোচনা করি। সেই সাথে আমি আরো একটি বিষয় জানিয়ে দিব কিভাবে টিক টক ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম করা যায়।
টিকটক থেকে কত টাকা আয় করা যায়:
টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানার আগে টিকটক থেকে কত টাকা আয় করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাই মনোযোগ সহকারে আমার এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকুন। ঠিকঠাক হচ্ছে একটি বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় শর্ট ভিডিও মেকিং প্লাটফর্ম।
আরো পড়ুন: মেয়েদের ঘরে বসে রোজগারের সেরা ৫টি উপায় জেনে নিন
২০১৭ সালে tiktok নামক প্ল্যাটফর্ম টি আন্তর্জাতিকভাবে যাত্রা শুরু করে। এই অ্যাপটি চালু করলেই আমরা বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ভিডিও, ফ্যাশন ,পেন্টিং, কমেডি বিষয়ক ইত্যাদি ভিডিও দেখতে পায়। টিকটক শুধু চিত্ত বিনোদনের জন্যই নয়, বরং এখান থেকে শর্ট ভিডিও পোস্ট করার জন্য ফলোয়ারদের সন্তুষ্ট করতে পারলেই অনেক টাকা উপার্জন করা যায়।
বর্তমানে অনেকেই tiktok প্লাটফর্মে সংক্ষিপ্ত ভিডিও তৈরি করে অনলাইনে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছেন। ইউটিউব বা ফেসবুক থেকে যেমন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা যায়।টিকটক এ তেমনটি নয়। এর পরিবর্তে ক্রিয়েটর ফান্ড গঠন করেছে টিকটক প্রতিষ্ঠানটি। অন্তত এক লাখ ফলোয়ার থাকলে টিকটক ব্যবহারকারীরা তাদের ভিডিওর জন্য ওই তহবিল থেকে অর্থ পেয়ে থাকেন।
Tiktok কোম্পানি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ভিউ এর ভিত্তিতে টাকা দেয়।Tiktok এর ক্রিয়েটর ফান্ড প্রোগ্রামের মাধ্যমে নির্বাচিত নির্মাতারা তাদের ভিডিও গুলির ভিউ এর জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারেন। ক্রিয়েটর ফান্ড নির্মাতারা প্রতি ভিউয়ের জন্য 0.02 থেকে 0.04 ডলার পর্যন্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন।
তিনজন বিদেশি নারী একসাথে টিক টক এ ভিডিও তৈরি করেন। তারা হলেন নিকোল,নাটালি এবং নিকা টেইলর। তাদের ফলোয়ার বা অনুসারী হল ৮০ লাখেরও বেশি। তাদের গানের প্রচারণার জন্য তারা একটি ভিডিওতে ৭৫০ ডলার এবং দুটি ভিডিওতে ১ হাজার ৪শ ডলার এবং তিনটি ভিডিওর জন্য ২ হাজার ডলার নিয়ে থাকেন।
প্রেস্টন সিও একজন টিক টক এর ভিডিও নির্মাতা। তিনি পার্সোনাল ফাইন্যান্স সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে থাকেন। তার অনুসারী প্রায় ১৬ লাখ। তিনি গত চার থেকে পাঁচ মাসে মোট ১৬৬৪ ডলার ইনকাম করেছেন। তুমি তার টিকটক একাউন্ট থেকে প্রতিদিন 8 থেকে 38 ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন। আর যাদের ফলোয়ার কম তাদের ঠিকঠাক থেকে ইনকামও কম।এক্ষেত্রে আপনার যত বেশি ফলোয়ার বা ভিউ বেশি হবে তত বেশি টিকটক থেকে ইনকাম হবে।
টিকটক থেকে কিভাবে ইনকাম করা যায়:
টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে জানতে গিয়ে কিভাবে টিকটক থেকে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা চলে আসে। তাই টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় জানার আগে কিভাবে এখান থেকে ইনকাম করা যায় সেটা আলোচনা করব।
আরো পড়ুন: ঘরে বসে আয় করুন ১৫০০০- ২০০০০ হাজার টাকা প্রতি মাসে
টিকটক থেকে ইনকাম করতে হলে প্রথমে আপনার বয়স ১৮ বছরের উপরে হতে হবে এবং অন্তত 10000 ফলোয়ার ও টিকটক একাউন্টের বয়স ৩০ দিনের বেশি হতে হবে এবং ৩০ দিনের শেষে অবশ্যই তিনটি ভিডিও পাবলিশ করতে হবে এবং ১০০০ বা তার বেশি ভিডিও দেখার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
এ সমস্ত শর্ত পূরণ হলেই এবং সবকিছু ঠিক থাকলে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা টিকটক অ্যাপ এ পিরিয়ডের সেন্টারে গিয়ে সিরিজ ফিচারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। টিক টকের মাধ্যমে কনটেন্ট ক্রিয়েটররা অর্থ উপার্জন করতে চাইলে কমপক্ষে ২০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিও প্রকাশ করতে হবে।
সিরিজ লাইব্রেরীতে ২০ মিনিটের সর্বোচ্চ ৮০টি ভিডিও আপলোড করতে পারবেন। সিরিজ লাইব্রেরির ভিডিওগুলো দর্শকরা টাকার বিনিময়ে দেখতে পারবেন।আর দর্শকদের কাছ থেকে যে অর্থ পাওয়া যাবে তা সরাসরি কনটেন্ট তৈরিকারী দের একাউন্টে টিক টক পাঠিয়ে দিবে।
তবে এখানে একটা জিনিস খেয়াল রাখতে হবে যে কোন ক্রিয়েটর যদি টিকটক এর নীতিমালা লংঘন করে থাকে তাহলে আর ভিডিও মনিটাইজ করতে পারবে না। অনেকেই বিশ্বাস করতে পারে না যে ঠিকঠাক থেকে টাকা ইনকাম হয়। এখানে আপনার যদি একটি tiktok একাউন্ট থাকে তাহলে সেখান থেকে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
অনেক টিকটক ইউজার রয়েছেন তারা শুধু নিজের বিনোদনের জন্য tiktok ব্যবহার করেন।
টিকটক গিফট এর মাধ্যমে ইনকাম-আপনি নিয়মিত tiktok এ ভিডিও আপলোড করলে আপনার ফলোয়ারের সংখ্যা যখন বৃদ্ধি পাবে। তখন তারা আপনাকে গিফট হিসাবে কয়েন উপহার দেবে। সেই কয়েন গুলো আপনার একাউন্টে যোগ হয়ে যাবে। এই কয়েন আপনি একসাথে করে সেগুলো বাংলাদেশী টাকায় বিক্রি করতে পারেন। এভাবে আপনি টিকটক থেকে ইনকাম করতে পারেন।
টিকটক মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে ইনকাম-টিকটক থেকে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে সেরা উপায় হল টিকটক মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইনকাম। টিকটকে মনিটাইজেশন ফিচারটি ইতিপূর্বে ছিল না।কিন্তু বর্তমানে এটি যোগ করা হয়েছে। এটির মাধ্যমে আপনি youtube,facebook এর মতই মনিটাইজেশন চালু করে আপনি ইনকাম করতে পারবেন।
তবে টিকটক এ মনিটাইজেশন চালু করতে হলে আপনার একাউন্টের বয়স কমপক্ষে ৩০ দিন হতে হবে। একাউন্ট ব্যবহারকারী অর্থাৎ আপনার বয়স ১৮ বছরের উর্ধ্বে হতে হবে। আপনার tiktok একাউন্টে কমপক্ষে 10000 ফলোয়ার থাকতে হবে এবং শেষ ৩০ দিনের মধ্যে আপনার মোট ভিডিওতে ভিউ এর সংখ্যা হতে হবে ১ লক্ষ।
tiktok এ এফিলিয়েট মার্কেটিং করে ইনকাম-আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে tiktok থেকে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।তবে এক্ষেত্রে আপনার অধিক সংখ্যক ফলোয়ার থাকতে হবে। অনেক অ্যাফিলিয়েট কোম্পানী রয়েছে যেগুলো প্রডাক্ট বিক্রি করার মাধ্যমে কমিশন দিয়ে থাকে।
সেই প্রোডাক্ট গুলো আপনার ফলোয়ারদের কাছে বিক্রয় করতে পারেন। অথবা রেফার লিংক শেয়ার করে রেফার লিংক এ প্রবেশ করে যারা প্রোডাক্ট কিনবে তার কমিশন হিসাবে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
tiktok এ প্রোডাক্ট সেল করে ইনকাম-আপনি যখন নিয়মিত ভিডিও আপলোড করবেন তখন আপনার ফলোয়ারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ফলোয়ারদের কাছে যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট সেল করতে পারবেন।আপনি নিয়মিত টিক টক এর ভিডিও আপলোড করার সময়
ভিডিওগুলোর মাঝখানে যদি কোন প্রোডাক্ট এর বিস্তারিত আপনার ফলোয়ার কে জানান তাহলে তারা সেই প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হতে পারে। এভাবে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট সেল করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
টিকটক এ বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম-আপনার নিজস্ব ব্যবসা বা ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ যদি থেকে থাকে তাহলে আপনার টিকটক একাউন্টে ফলোয়ারদের সে পেজ অথবা আপনার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এবং সেই সাথে আপনার ব্যবসার যে কোন প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন আপনার ফলোয়ারদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।
তাহলে আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট দেখে আপনার ফলোয়ার রা ওই প্রোডাক্ট কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন এবং আপনার ব্যবসার প্রচার ও প্রসার ঘটবে। তাহলে আপনার ব্যবসার আরো উন্নতি ঘটবে।
টিকটক এ ফান্ড তৈরি করে ইনকাম- টিকটকে ফান্ড সংগ্রহ করে টাকা ইনকাম করা একটি অন্যতম মাধ্যম।আপনার যদি প্রচুর পরিমাণ ফলোয়ার থেকে থাকে তাহলে আপনি তাদের কাছ থেকে ফান্ড সংগ্রহ করে ইনকাম করার সুযোগ পেতে পারেন। মনে করুন আপনি অসহায় এবং হতদরিদ্র দের কে সাহায্য করতে চান।
তাহলে আপনি সেই ভিডিওগুলো আপনি আপনার tiktok এর একাউন্টে আপলোড করলে এই ভিডিওগুলো দর্শকরা দেখে দেশ এবং বিদেশের বিভিন্ন মানুষরা আপনাকে ফান্ড হিসাবে টাকা পাঠাবে। এই পাঠানো টাকা দিয়ে আপনি অসহায় এবং হতদরিদ্রের মাঝখানে আপনি সাহায্য সহযোগিতা করতে পারবেন।
প্রোডাক্টের রিভিউ করে ইনকাম-আপনার tiktok অ্যাকাউন্ট যখন বিশেষভাবে পরিচিত লাভ করবে। তখন বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্টের রিভিউ করার জন্য অথবা বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য আপনাকে অফার করবে। আপনি তখন তাদের প্রোডাক্টের বিভিন্ন উপকারের দিক, গুন, মান, দাম ইত্যাদি
সম্পর্কে ভিডিও তৈরি করে আপনার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও গুলো শেয়ার করলে তাদের প্রোডাক্টের পরিচিতি এবং বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে। তার বিনিময়ে ওই কোম্পানির পক্ষ থেকে আপনাকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দেবে। এইভাবে আপনি নিয়মিত অথবা প্রতি মাসে টিকটক থেকে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
টিকটকে কত ভিউতে কত টাকা:
টিকটকের মাধ্যমে কত ভিউতে কত টাকা ইনকাম করা যায়। বিষয়টি নিয়ে এ পর্যায়ে আমরা আলোচনা করব। টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সমূহ কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব একদম শেষের চ্যাপ্টারে গিয়ে। কারণ tiktok এ কত ভিউতে কত টাকা এটি অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন।
আরো পড়ুন: টাকা আয় করার বাংলাদেশি ওয়েবসাইট- ফ্রি টাকা ইনকাম
আপনার যদি টিকটক একাউন্ট থেকে থাকে তাহলে আপনার প্ল্যাটফর্মের আপলোড করা ভিডিও তে আসা প্রতি এক হাজার ভিউয়ের জন্য প্রায় ০.০২ থেকে ০.০৪ ডলার ইনকাম হতে পারে। অর্থাৎ ভারতীয় মূল্যে প্রায় ১.৬৬ টাকা থেকে ৩.৩১ টাকা হয়ে থাকে। তবে বিভিন্ন দেশের উপর ভিত্তি করে টিকটকে কত ভিউ তে কত টাকা আসে তা আপনার জানা দরকার।
আপনার ভিডিও কত সেকেন্ডের জন্য তৈরি হয়েছে, আপনার ভিডিও কোন দেশের ব্যক্তিরা বেশি দেখছেন, কোন দেশের রেট কত টাকা তার উপর ভিত্তি করে টিকটক এর টাকা পাওয়া যায়। আপনার বাংলাদেশী ফ্যান যদি এক মিলিয়ন ভিউ করে সে ক্ষেত্রে ১০ থেকে ২৫ ডলার ইনকাম হতে পারে।
আবার অন্যদিকে আমেরিকান ব্যক্তিরা যদি এক মিলিয়ন ভিউ করে সে ক্ষেত্রে ৫০ থেকে ৮০ ডলার ইনকাম হতে পারে। কারণ বিভিন্ন দেশের উপর ভিত্তি করে এর রেভিনিউ এর মাত্রা কম বেশি হয়ে থাকে।সুতরাং tiktok এ কত ভিউতে কত টাকা এটা নিখুঁতভাবে ভাবে বলা খুবই মুশকিলের ব্যাপার।
টিকটক ভিডিও দেখে টাকা ইনকাম:
এ পর্যায়ে আমরা tiktok ভিডিও দেখে কিভাবে কাকা ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করব এবং তারপরে টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। প্রথমে আপনি গুগল ক্রোম ব্রাউজার থেকে টিকটক ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিবেন। তারপর অ্যাকাউন্ট তৈরি করে নিবেন।
অ্যাকাউন্ট খোলার পর সেখানে টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম, টুইটার ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়া চলে আসবে। এখানে আপনি সবগুলো সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ইনকাম করতে পারবেন। তবে এখানে tiktok অপশনে ক্লিক করে আপনি একাউন্ট এড করে টিকটক এড করে প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে।
এখানে tiktok এর যে কাজগুলো রয়েছে সেই কাজগুলো ভালোভাবে কমপ্লিট করলেই আপনার ইনকাম হবে এবং সেই সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য কাজগুলো করলে আপনার আরো বেশি টাকা ইনকাম হবে।
টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়:
এই পর্যায়ে আমরা টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব। অনেক মানুষ জানে না যে টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। কিন্তু বিশ্বব্যাপী বহু মানুষ tiktok creator করে এর মাধ্যমে বহু টাকা উপার্জন করছেন ।তাই টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায় সমূহ উল্লেখ করলাম-
প্রোডাক্ট বিক্রি করে ইনকাম-tiktok এর মাধ্যমে আপনার প্রডাক্ট অথবা অন্য মানুষের প্রোডাক্ট বিক্রয় করে আপনি ইনকাম করতে পারেন।আপনি যখন নিয়মিত ভিডিও আপলোড করবেন তখন আপনার ফলোয়ারের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ফলোয়ারদের কাছে যেকোনো ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারবেন।
আপনি নিয়মিত টিক টক এর ভিডিও আপলোড করার সময় ভিডিওগুলোর মাঝখানে যদি কোন প্রোডাক্ট এর বিস্তারিত আপনার ফলোয়ার কে জানান তাহলে তারা সেই প্রোডাক্ট কিনতে আগ্রহী হতে পারে। শুধুমাত্র যেকোন প্রোডাক্ট বিক্রি করা যাবে এমন নয়। এর সাথে সেবা বা সার্ভিসও বিক্রি করা যেতে পারে tiktok একাউন্টের মাধ্যমে।
এভাবে আপনি বিভিন্ন ধরনের প্রোডাক্ট বিক্রি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
স্পন্সরড পোস্ট থেকে ইনকাম-অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এর মত স্পন্সর পোস্ট এর মাধ্যমে ইনকাম করা যেতে পারে। নানা ধরনের ব্রান্ড রয়েছে যেগুলো প্রোডাক্টের প্রমোশন চালাতে স্পন্সরড পোস্টের বিনিময়ে টিকটক তৈরি কারীদের অর্থ প্রদান করে থাকে। এছাড়া অনেক ধরনের ব্রান্ড রয়েছে যেগুলো আপনাকে তাদের ব্রান্ড এম্বাসেডর বানাতে আগ্রহী হতে পারে যা থেকে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করার সুযোগ রয়েছে।
আটিস্ট করে টিকটক থেকে ইনকাম-বর্তমানে আর্ট পাবলিশ করা অথবা ভাইরাল করা অন্যতম প্রধান মাধ্যম হল টিকটক। তাই টিকটক থেকে টাকা ইনকামের আরেকটি উপায় হতে পারে শিল্পকর্ম প্রমোট করা। আপনি নিজেই যদি একজন শিল্পী হয় তাহলে তো ভিডিওতে আপনার শিল্পকর্ম ব্যবহার করে আপনি অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অ্যাকাউন্ট বিক্রি করেন ইনকাম-আপনার যদি একটা টিকটক একাউন্ট খোলা থাকে তাহলে একাউন্ট বিক্রি করে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারেন।টিকটক একাউন্টে ফ্যান ফলোইং তৈরি করে একাউন্ট বিক্রি করে ভালো অংকের টাকা ইনকাম করতে পারবেন। অনেক মানুষ আছেন যারা tiktok শুরু করার সময় লাইক ও ফলোয়ার যুক্ত অ্যাকাউন্ট কিনতে চান।
এক্ষেত্রে আপনার কাছে যদি বিক্রি করার মতো অ্যাকাউন্ট থাকে তবে টিক টক থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।
tiktok এ ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম-আপনি যদি একজন টিক টকার হয়ে থাকেন তাহলে ভিডিও এডিটিং, অভিনয়, মডেলিং, নাটক, ড্যান্সিং ইত্যাদি হতে পারে সম্ভাব্য কিছু ফ্রিল্যান্সিং প্রজেক্ট। আপনার কাজের দক্ষতা অনুযায়ী tiktok থেকে ফ্রিল্যান্সিং গীগ পেতে পারেন। অনেক কোম্পানি আপনার কাজ খুঁজে আপনাকে হায়ার করতে পারেন।
এবং হায়ার করে কাজ করে নিলে তখন আপনার অনেক অর্থ পাবেন। তাই টিকটক একাউন্ট তৈরি করার সময় আপনার প্রোফাইলে যোগাযোগের তথ্য দিয়ে রাখুন।
টিকটক ক্রিয়েটর ফান্ড থেকে ইনকাম-tiktok ক্রিয়েটর ফান্ড হল টিকটকের প্রোগ্রাম যার মাধ্যমে ভাল ক্রিয়েটরদের পুরস্কৃত করে টিকটক। আপনার ভিডিওতে যত বেশি এংগেজমেন্ট থাকবে তত বেশি আপনাকে পুরস্কার দেবে। বিজ্ঞাপন থেকে টাকা ইনকাম করতে tiktok চায় এংগেজমেন্ট কনটেন্ট আর আপনি যদি এ ধরনের এনগেজিং ভিডিও তৈরি করতে পারেন।
তাহলে ক্রিয়েটর ফান্ড থেকে আপনি ইনকাম করার সুযোগ পাবেন। তবে শেষ ৩০ দিনে কমপক্ষে 1 লক্ষ ভিডিওর ভিউ থাকলে তবেই ক্রিয়েটর ফান্ড এর জন্য আবেদন করতে পারবেন।
টিকটক এ বিজ্ঞাপন দেখিয়ে ইনকাম-আপনার নিজস্ব ব্যবসা বা ওয়েবসাইট বা ফেসবুক পেজ যদি থেকে থাকে তাহলে আপনার টিকটক একাউন্টে ফলোয়ারদের সে পেজ অথবা আপনার নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। এবং সেই সাথে আপনার ব্যবসার যে কোন প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন আপনার ফলোয়ারদের মাঝে শেয়ার করতে পারেন।
আরো পড়ুন: গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সমূহ জেনে নিন
তাহলে আপনার ব্যবসার প্রোডাক্ট দেখে আপনার ফলোয়ার রা ওই প্রোডাক্ট কেনার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন এবং আপনার ব্যবসার প্রচার ও প্রসার ঘটবে। তাহলে আপনার ব্যবসার আরো উন্নতি ঘটবে।
শেষ কথা- টিকটক থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়:
আর্টিকেলের শেষ প্রান্তে এসে আমি এ কথা বলে শেষ করব যে টিকটক থেকে ইনকাম করার উপায় সমূহ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন। যদি পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ইনকাম সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে।
তাই আপনি কমেন্টস এবং শেয়ার করার মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ জানিয়ে দিন। যেন তারাও টিকটক থেকে কোন কোন উপায়ে ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে তথ্য জানতে পারেন ।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার এই পোস্টের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url