গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সমূহ জেনে নিন
সম্মানিত পাঠক, আপনি কি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সমূহ জানতে চান ? তাহলে একদম সঠিক জায়গায় এসেছেন।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সমূহ কি কি।
চলুন তাহলে পাঠক বন্ধুরা, দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সমূহ কি কি এবং কিভাবে এডসেন্স থেকে বেশি আয় করা যায় ? সেটাও আমি আজকের এই পোস্টে তুলে ধরার চেষ্টা করব।
কিভাবে গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলব:
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সমূহ জানার আগে গুগল এডসেন্স কি এবং কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে একাউন্ট খোলা যায় তা আমাদের জানা দরকার।গুগল এডসেন্স হচ্ছে একটি সার্ভিস। এটার মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দাতারা যে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন ইন্টারনেটে পাবলিশ করতে পারেন।
আরো পড়ুন :ইউটিউব থেকে মাসে কত টাকা ইনকাম করা যায় জেনে রাখুন
এবং সেই সাথে ইউটিউবার রা অথবা ব্লগাররা অথবা পাবলিশার রা তাদের চ্যানেল অথবা তাদের ব্লগ থেকে গুগলের বিজ্ঞাপন দেখিয়ে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। সর্বোপরি বলা যায় গুগল এডসেন্স হচ্ছে একটি বিজ্ঞাপন network যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের মালিকরা বিজ্ঞাপন এর দ্বারা অনেক পরিমাণ অর্থ উপার্জন করে থাকেন।
ব্লগিং অথবা ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হচ্ছে গুগল এডসেন্স। google এডসেন্স একাউন্টের মাধ্যমে বর্তমানে অর্থ উপার্জন করার ব্যাপারে অনেক জনপ্রিয় হয়ে পড়েছে। google এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে সর্বপ্রথম গুগল এডসেন্স একাউন্ট খুলতে হবে এবং কিভাবে খুলতে হবে কি কি লাগবে তা নিম্নে জানিয়ে দিচ্ছি-
- google এডসেন্সে একাউন্ট খুলতে হলে আপনার একটি google আইডির প্রয়োজন হবে সে ক্ষেত্রে আপনাকে একটি Active জিমেইল (Gmail) অ্যাকাউন্টের ব্যবস্থা করতে হবে বা জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে সেটআপ করতে হবে।
- আপনার একটি সচল মোবাইল নম্বর সহ একাউন্ট ভেরিফাই করার জন্য মোবাইল প্রয়োজন হবে।
- আপনার বয়স ১৮ বছরের উপরে হতে হবে।
- ভেরিফাইয়ের বা তদন্ত করার চিঠি পাঠানোর জন্য একটি বাস্তব ঠিকানা দরকার হবে। এখানে বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা দুটোই লাগবে।
- সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ হচ্ছে আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইনে টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে আপনার একটি ওয়েবসাইট অথবা ইউটিউব চ্যানেল দরকার হবে।
- গুগল এডসেন্সের সমস্ত নিয়মকানুন মেনে একাউন্ট খুলতে হবে এবং আপনাকে এডসেন্সের প্রত্যেকটি নিয়ম মেনে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।
- নিয়ম কানুন না মেনে যদি আপনি একাউন্ট তৈরি করেন তাহলে এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া অনেক কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়াবে। Approval পাওয়া গেলেও ভবিষ্যতে আপনার ওয়েবসাইটের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে এবং একাউন্ট সাসপেন্ড হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- আপনার ওয়েবসাইটে যত ইউনিক পোস্ট থাকবে তত সহজে গুগল এডসেন্স এপ্রুভাল পাওয়া যাবে। তবে আমার জানা মতে সর্বনিম্ন পঞ্চাশটির উপরে পর থাকাটাই এপ্রুভাল পাওয়ার ক্ষেত্রে ভালো।
তবে এক্ষেত্রে আপনি যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন বা ইউনিক পোস্ট না লিখে যত্রতত্র কনটেন্ট দিয়ে ওয়েবসাইট ভরে তুললেও এডসেন্সের জন্য apply করে কোন লাভ হবে না।
কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা যায়:
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সমূহ জানতে হলে কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে অর্থ ইনকাম করা যায় সে সম্পর্কে আগে আমাদের জানা দরকার। গুগল এডসেন্স থেকে অনলাইনে টাকা ইনকাম করার জন্য আপনাদেরকে একটি ওয়েবসাইট অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে হবে।
আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিয়মিতভাবে ইউনিক আর্টিকেল লিখে গুগল এডসেন্স থেকে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে প্রচুর পরিমাণ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। অপরদিকে আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখানে আপনি ভিডিও আপলোড করে ইউটিউব চ্যানেলে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।
আরো পড়ুন: কিভাবে ফেসবুকে প্রতিদিন 500 আয় করা যায় জানতে চোখ রাখুন
আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করে অথবা ইউটিউব চ্যানেল ক্রিয়েট করলে যখন ভিজিটর অথবা ভিউ আসা শুরু হবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি আপনার একাউন্ট যখন অ্যাপ্রুভ হবে তখন আপনি নিজের ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখাতে পারবেন।
আর এই বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমেই ইউটিউব চ্যানেল অথবা ওয়েবসাইট থেকে অর্থ ইনকাম হয়। আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভিডিওতে অথবা ওয়েব সাইটে বিজ্ঞাপন যত বার ভিজিটর দেখবে এবং ক্লিক করবে ততবার আপনাকে google এডসেন্স
এর পক্ষ থেকে টাকা দেবে এবং আপনার google এডসেন্স একাউন্টে যখন ১০০ ডলার হবে তখন আপনার নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে প্রতি মাসের ২১ থেকে ২২ তারিখের মধ্যে টাকা পাঠিয়ে দিবে। ওই টাকা তখন আপনি যখন ইচ্ছা তখন আপনার ব্যাংক একাউন্ট থেকে তুলে নিতে পারবেন।
এখন প্রশ্ন হল আপনি কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন গুগল এডসেন্স থেকে। এর উত্তরে বলা যায়, সব সময় গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম টা এক ধরনের হবে না। ভিজিটর বা ক্লিকের উপর ভিত্তি করে ইনকামের পরিমাণ কম বেশি হবে।অনেক ক্ষেত্রে ১০০০ ভিউতে পাঁচ থেকে দশ ডলার পর্যন্ত দিয়ে থাকে।
আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় ১০০০ ভিউতে এক ডলার ইনকাম করতেও পারা যায় না। তবে আমাদের অনেকেই বলেন আপনার ওয়েবসাইটে প্রতি ১০০০ ভিউতে 1.5 ডলার থেকে 2 ডলার পর্যন্ত পাওয়া যেতে পারে।
কিভাবে এডসেন্স থেকে বেশি আয় করা যায়:
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব কিন্তু তার আগে আমরা আরও একটি বিষয় জানবো যে কিভাবে গুগল এডসেন্স থেকে বেশি বেশি আয় করা যায়। প্রিয় পাঠক আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে বেশি টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে নিচের কিছুটা এমনি উল্লেখ করলাম সেটা ফলোআপ করতে পারেন। সেগুলো হলো-
নতুন এবং ভালো মানের কনটেন্ট -গুগল অ্যাডসেন্স আপনার প্রাথমিকভাবে ব্লগার ওয়েবসাইটকে এপ্রুভ করতে পারেন কিন্তু পরবর্তীতে আপনার ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরি না করলে সেগুলি ইনডেক্স করে কোন লাভ হবে না। তাই সম্পূর্ণভাবে নতুন এবং ভালো মানের কনটেন্ট তৈরি করুন।
যা দর্শক পড়তে বেশি ভালোবাসে এবং দর্শক যত বেশি আপনার কনটেন্ট পড়বে ততই আপনার বেশি ইনকাম হবে। কোন কপিরাইট না করে আপনার অধিক আগ্রহ আছে এমন কিছু নেষ্ট খুঁজুন এবং সবচেয়ে ভালো কোয়ালিটির আর্টিকেল তৈরি করুন।
ওয়েবসাইট দর্শকদের আকৃষ্ট করা-আপনার ওয়েবসাইটে দর্শকরা যেন আকৃষ্ট হয়ে থাকেন সেই ভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। আপনার ওয়েবসাইটে দর্শকরা হয়তোবা সঙ্গে সঙ্গে গুগল এডসেন্স বিজ্ঞাপনে ক্লিক করবে না এবং তারা একটিমাত্র পেইজ দেখে চলে গেলে আপনিই দর্শক হিসেবে তাদের এবং এডসেন্সের থেকে উপার্জন হারাবেন।
সুতরাং আপনার ওয়েবসাইট দর্শকদের নিকট খুবই আকর্ষণীয় হাওয়া বাঞ্ছনীয়। আপনার ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট যেন দর্শক ঘুরে ঘুরে দেখেন।ঞ সেই ব্যবস্থা করতে হবে এবং একাধিক পৃষ্ঠা ঘুরে ঘুরে দেখার বা পড়ার আগ্রহী হয় সে ধরনের আকর্ষণ করে তৈরি করতে হবে। এটা বিভিন্ন ধরনের উপায়ে আকর্ষণীয় করা যেতে পারে।
আপনার দর্শকরা যাতে আপনার ওয়েবসাইটে সবচেয়ে ভালো অংশ গুলো খুঁজে পান সেজন্য সেটির উপরে নেভিগেশন স্পষ্ট ভাবে অন্তর্ভুক্ত করুন। এরপর প্রত্যেকটি কনটেন্টের সাথে আরো কনটেন্ট এর লিংক যুক্ত করুন। তাহলে দেখবেন দর্শক রা সেই পৃষ্ঠা পছন্দ না হলেও অন্য একটি বিষয় নিয়ে দেখতে পাবেন।
তখন তাদের সংযুক্ত করা পোস্ট পড়ার আগ্রহ জাগতে পারে। আপনার সাইডে যত বেশি দর্শকরা সময় কাটাবেন এবং যত বেশি আপনার পোস্টে স্থায়িত্ব হবেন ততই আপনার ইনকাম বেশি হবে।
দর্শকদের সাইটে ফেরত -বিভিন্ন ধরনের চ্যানেলের সাহায্যে দর্শকরা যাতে আপনার ওয়েবসাইটে ফিরে আসতে পারেন। সেই ব্যবস্থা করলে আপনার ইনকাম আরো বেশি হবে। দর্শকরা যেন আপনার চ্যানেল বা ওয়েবসাইট যেন ভুলে যেতে না পারেন। সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এক্ষেত্রে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে পোস্টের মধ্যে তিন থেকে চারটি আরো পড়ুন সেকশন যুক্তকরণ সহ ভূমিকা বাটন যুক্ত করতে পারেন।
আপনার ওয়েবসাইটের হেডার, সাইডবার ,ফুটার মেনু ও কনটেন্টের শেষে আপনি একাধিক প্যানেল যোগ করতে পারেন।এই গুলির মাধ্যমে দর্শকরা আপনার সাথে যোগাযোগ করতে এবং আপনাকে ফলো করতে পারবেন।
ব্যবহারকারীকে অভিজ্ঞতা দিন-ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীকে ভালো অভিজ্ঞতা দিতে না পারলে সাইটের মালিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার ওয়েবসাইটে ভালো মানের কন্টেন থাকা সত্ত্বেও এবং অত্যন্ত ভালো জায়গায় বিজ্ঞাপন প্লেস করেছেন।
কিন্তু সেটি মোবাইলে লোড না হলে বা খুব ধীরে লোড হলে দর্শকরা আপনার কন্টেন পড়া বা বিজ্ঞাপনে ক্লিক করার আগেই আপনার সাইট থেকে ত্যাগ করে চলে অন্যত্র চলে যাবেন। তখন আপনার ইনকাম আরো কমে যাবে। তাই এক্ষেত্রে আপনি ভালো মত পরীক্ষা করুন যে মোবাইলে আপনার কনটেন্ট আপলোড সঠিক মত হচ্ছে কিনা।
এবং বিজ্ঞাপন সঠিক মত সাপোর্ট পাচ্ছে কিনা। আপনার সাইটে কোন সমস্যা থাকলে পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি তা জানতে ও সমাধান করতে পারবেন।
গুগল অ্যানালিটিক্স এবং google search console- ট্রাফিকের উপর অনেক বেশি পরিমাণ খেয়াল রাখতে সাহায্য করবে।ট্রাফিক কমে গেলে আপনি সাথে সাথে খতিয়ে দেখতে পারবেন। আপনার সাইটের পারফরমেন্স সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা কিনা তা আপনি গুগল google search console এর টুলস ব্যবহার করে জানতে পারবেন এবং তা পরবর্তীতে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়:
এ পর্যায়ে আমি গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব। বর্তমানে আমরা অনেকেই ইউটিউবে ভিডিও পাবলিস্ট করে বা বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ব্লগ তৈরি করে টাকা উপার্জন করতে চাই। কিন্তু আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা যে এই টাকা কে দেয়।google এডসেন্স হলো সেই টাকা আসার মেইন উৎস।
আরো পড়ুন: ইউটিউব থেকে আয় করার পাঁচটি উপায় জেনে নিন
আপনার আমার ওয়েবসাইটে ইউটিউব ভিডিওতে অথবা ওয়েবসাইট ব্লগে বিজ্ঞাপন দেয় এবং তার বিনিময়ে টাকা দিয়ে থাকে এবং google কর্তৃপক্ষ ও টাকা উপার্জন করে থাকেন। google এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। সেগুলো নিম্নরূপ বর্ণনা করা হলো-
ব্লগ ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল-গুগল এডসেন্স থেকে টাকা ইনকাম করার সবচেয়ে প্রধান উপায় হল ব্লক ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেল। আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে একটি ব্লগ সাইট অথবা একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে সেখান থেকে আপনি ভালো মানের
আর্টিকেল লিখে বা ভালো মানের ইউনিক ভিডিও তৈরি করে অনেক টাকা আয় করতে পারেন। তবে ব্লগ ওয়েবসাইটে ডিজাইন ভালো হতে হবে। ওয়েবসাইটের টেকনিক্যাল কোন সমস্যা যেন না থাকে। অবশ্যই ভালো প্র্যাকটিস এর মাধ্যমে ব্লক সাইটে ভালো মানের পোস্ট বা আর্টিকেল বা কনটেন্ট তৈরি করতে হবে।
ভালো কনটেন্ট ছাড়া এবং ভালো ওয়েবসাইট ছাড়া গুগল এডসেন্স থেকে এপ্রুভাল পাওয়া অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। এবং এপ্রুভাল পাওয়ার পরে আপনার সাইটে অথবা ইউটিউব চ্যানেলে যত পরিমান ট্রাফিক বা ভিউ বেশি আসবে ততই আপনার ইনকাম বেশি হবে।
ফোরাম সাইট (Forum site)-ফোরাম সাইট হচ্ছে গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার একটি বিকল্প সাইট। অনেকে আছেন যারা ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান না অথবা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারেন না। তারা ফোরাম সাইট এর মাধ্যমে গুগল এডসেন্স থেকে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
একটি ফোরাম সাইট নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর লেখালেখি করা হয় বা একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আলোচনা করা হয়। আপনার যদি একটা জিমেইল অ্যাকাউন্ট থাকে অথবা আপনি একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে ফোরাম সাইটে যোগ দিতে পারেন।
ফ্রী অনলাইন টুলস সাইট-আপনার যদি একটি ফ্রি অনলাইন টুলস এর সাইট থাকে তাহলে আপনি গুগল এডসেন্স থেকে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ফ্রি অনলাইন টুলের সাইট তৈরি করলে সেখানে প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর পাবেন। আর এসব ফ্রি অনলাইন টুলস ব্যবহার করলে এর সুবিধা তাদের
সাথে কমিউনিটিতে শেয়ার করলে দেখবেন প্রচুর পরিমাণে ভিজিটর আসতে থাকবে এবং তখন আপনি সেই সাথে google এডসেন্স দ্বারা মনিটাইজ করাতে পারবেন।এবং তখন আপনার ইনকাম আসতে থাকবে। যেমন-এসইও স্মল টুলস (SEO small tools), গ্রামারলি (Grammerly) ইত্যাদি টুলস গুলো অনলাইনের মাধ্যমে প্রচুর ভিজিটর পেয়ে থাকে।
কারণ এসব tools এর জন্য হাজার হাজার মানুষ অনলাইনে গুগল সার্চ করে থাকেন।
কপিরাইট মুক্ত আর্টিকেল-আপনি যদি গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করতে চান তাহলে কোন কপি রাইট আর্টিকেল চলবে না। এবং কপিরাইট আর্টিকেল এর জন্য কোন টাকা পাওয়া যাবে না বরং আরো আপনার ওয়েবসাইটে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।
গুগল এডসেন্সের জন্য অ্যাপ্রভালের জন্য এপ্লাই করার পূর্বে আপনার ওয়েবসাইটে সর্বনিম্ন ৫০ টা আর্টিকেল থাকতে হবে এবং সেগুলো ১০০% কপিরাইট মুক্ত হতে হবে। আপনি যদি নিজের মতো করে কন্টেন লিখেন কোন কপিরাইট ছাড়াই তাহলে খুব তাড়াতাড়ি গুগল এডসেন্স থেকে এপ্রুভাল পেয়ে যাবেন এবং পাওয়ার পরে আপনার আর্টিকেলে গুগল এডসেন্সের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এসইও করা- (SEO) (Search Engine Optimization) আপনার ওয়েবসাইটে যদি ভালো মানের কনটেন্ট থাকে তাহলে সহজেই সেখানে এসইও করার মাধ্যমে ভিজিটর নিয়ে আসা যায়। তাই এসইও সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা থাকলে বেশি বেশি উপার্জন করা হয়। অর্গানিক ট্রাফিক আনতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসইও SEO সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকতে হবে।
গুগল এডসেন্স থেকে অ্যাপ্রুভাল- গুগল এডসেন্স থেকে অ্যাপ্রুভাল পেলে আপনি সেখানে বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।যদি আপনার ওয়েবসাইটে সবকিছু ঠিকঠাক থাকে অর্থাৎ আপনার সাইটের কোয়ালিটি, আর্টিকেল এবং পর্যাপ্ত ভিজিটর যখন আসবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স থেকে অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আর আবেদন করা শেষ হলে google আপনার সাইট রিভিউ করবেন এবং সবকিছু ওকে থাকলে আপনাকে অ্যাপ্রুভ করে দিবেন।
নিয়মিত কাজ করা- ওয়েবসাইটে নিয়মিত কাজ করা টাকা ইনকাম করার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।অনেকেই আছেন অনেক কষ্ট করে ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন কিন্তু তার সাইটে নিয়মিত কাজ করেন না। নিয়মিত কাজ না করলে ভিজিটর আসবে না এবং ভিজিটর না আসলে আপনার ইনকাম হবে না। সুতরাং আপনার সাইটে নিয়মিত কাজ করুন।
তাহলে দেখবেন ধীরে ধীরে ভিজিটরের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং আপনার ইনকাম এর পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে।
শেষ কথা-গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায়:
সুপ্রিয় পাঠক, আলোচনার শেষ প্রান্তে এসে এ কথা বলা যায় যে উল্লেখিত আর্টিকেলের মধ্যে গুগল এডসেন্স থেকে আয় করার উপায় সহ আরো অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করছি পোস্টটি আপনার ইনকামের জন্য একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং ইতিবাচক উপায় হিসেবে আপনাকে উপকৃত করবে।
আরো পড়ুন: ফেসবুকে লাইক দিয়ে টাকা ইনকাম করতে চোখ রাখুন
তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং শেয়ার এবং কমেন্টস এর মাধ্যমে অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ জানিয়ে দিন। যেন তারাও কিছুটা হলেও উপকৃত হতে পারেন। এতক্ষন ধরে আমার এই পোস্টের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url