ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ- চিকিৎসা খরচ ভারত
সম্মানিত পাঠক বন্ধু, ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ সম্পর্কে জানতে আর্টিকেলটি পড়ুন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ এবং ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ ভারতে কত টাকা তা আলোচনা করব।
চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেই ফুসফুস ক্যান্সারে চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ কত টাকা।
ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর খাবার তালিকা:
ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ কত টাকা সে সম্পর্কে জানার আগে ফুসফুস ক্যান্সার কি এবং ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর কি কি খাওয়া উচিত এবং কি কি খাওয়া উচিত নয়।সে সম্পর্কে আমি কিছু তথ্য নিয়ে আলোচনা করব।ফুসফুস ক্যান্সার ফুসফুসের অস্বাভাবিক কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি হওয়া কে বোঝায়।
আরো পড়ুন: ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে-রোগী মৃত্যুর লক্ষণ
ধূমপায়ী বা তামাক সেবন কারী ব্যক্তিদের মধ্যে ফুসফুস ক্যান্সার বেশি লক্ষ্য করা যায়।ফুসফুস হলো দুটি অঙ্গ যা বুকের মধ্যে অবস্থিত এবং এ দুটি অঙ্গ শ্বাসতন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই ফুসফুস দুটি শরীরের মধ্যে গ্যাস নির্গত করার জন্য একটি ফিল্টার হিসাবে কাজ করে এবং
অক্সিজেনে শ্বাস নিতে এবং কার্বনডাই-অক্সাইড ত্যাগ করতে সহায়তা করে।ফুসফুস ক্যান্সার হচ্ছে একটি জটিল রোগ যা ইংরেজিতে Lung Cancer বা ফুসফুস ক্যান্সার বলা হয়ে থাকে। আমাদের শরীরে বুকের মধ্যে অবস্থিত দুটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হল ফুসফুস। অনেক সময় নানা ধরনের রোগের কারণে ফুসফুস দুর্বল হতে পারে।
তাই ফুসফুস ক্যান্সারে খাবার তালিকা সম্পর্কে আমাদের জেনে রাখা ভালো। শুধুমাত্র ধূমপান অথবা তামাক সেবনের কারণেই যে ফুসফুসে ক্যান্সার হয় এমন নয়। অতিরিক্ত বায়ু দূষণের কারণেও ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে।কিছু খাবার আছে যেগুলো ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করবে যা নিম্নরূপ-
শাকসবজি- ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে শাকসবজি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। এতে ভিটামিন এবং মিনারেল থাকায় শাকসবজি নিয়মিত খেলে ফুসফুসে ক্যান্সার প্রতিরোধ হতে পারে। এ শাক সবজির মধ্যে পালং শাক ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে অন্যতম কাজ করে।
পালং শাক -পালং শাকে প্রচুর পরিমাণে ফোলেট ,ভিটামিন এবং লুটৈইন থাকার কারণে ফুসফুস ভালো রাখতে সহায়তা করে। তাই নিয়মিত পালং শাক আমরা খাবারের তালিকায় রাখলে ফুসফুস ক্যান্সার সহ অন্যান্য ও প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।
ফলমূল-বিভিন্ন রকমের ফলমূলের মধ্যে আপেল ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আপেলে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড যা ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে।
রসুন-রসুনে রয়েছে সালফাইড যা ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে। নিয়মিত কাঁচা রসুন খেলে ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ সহ অন্যান্য রোগেরও উপকার পাওয়া যাবে।
ব্রুকলি- যত প্রকার সবুজ শাকসবজি রয়েছে তার মধ্যে সবচেয়ে ব্রুকলি ভালো উপকার করে। ব্রকলি তে রয়েছে শালপ্রোফেন যা ফুসফুস কে মরণ রোগের হাত থেকে রক্ষা করে। ব্রকলি থেকে জে এনজাইম বের হয় তা ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার- ফুসফুসের প্রদাহ জনিত রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন ডি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। মাছ মাংস, দুধ, ডিম, দই ইত্যাদি খাবারে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ডি রয়েছে। তাই ভিটামিন ডি জাতীয় খাবার খেলে ফুসফুস ভালো থাকে।
টমেটো- লাইকোপিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট টমেটোতে থাকার কারণে দেহকোষ কে সতেজ এবং বাতাসে থাকা ধূলিকণার প্রভাব থেকে শ্বাসতন্ত্রকে সুরক্ষা করতে সাহায্য করে।
আদা- আদা হচ্ছে আমাদের শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি কারি একটি উপাদান এবং আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা আমাদের ফুসফুস কে সুস্থ রাখতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
ডালিম- ডালিম হচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া যেকোনো ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধ সহ অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে ডালিম হচ্ছে একটি অন্যতম ফল। এতে রয়েছে খনিজ, ভিটামিন এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট এর শক্তিশালী উৎস।
বাদাম- বিভিন্ন ধরনের বাদান যেমন- পেস্তা বাদাম, কাজু বাদাম, চিনা বাদাম, কুমড়ার বীজ ইত্যাদিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন ই, খনিজ লবণ এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। এ সমস্ত খাবার ফুসফুসে অক্সিজেন সরবরাহ এবং প্রদাহ জানিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
হলুদ- হলুদের মধ্যে রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট কারফিউমেন যা ফুসফুসকে দূষিত পদার্থ থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এছাড়া কাঁচা হলুদের রস ঘি এর সাথে মিশিয়ে খেলে আপনার যদি সরদি।-কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকে তাহলে সেরে যাবে।
তুলসী পাতার রস- তুলসী পাতায় রয়েছে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুস সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। স্বাসতন্ত্রের দূষিত পদার্থ দূর করতে তুলসী পাতার রস কিংবা এই পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিয়মিত খেলে ফুসফুস ভালো থাকবে।
কালোজিরা- আমাদের দেহের বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। ফুসফুসের সুরক্ষার জন্য এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শ্বাসনালীর প্রদাহ রোধ করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন নিয়মিত ১ থেকে ২ চা চামচ কালোজিরার গুঁড়া এক চা চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে পান করলে ফুসফুস সুস্থ থাকবে।
সবুজ চা- গ্রিন টি বা সবুজ চায়ের মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ফুসফুসের কার্য পরিচালনার জন্য সাহায্য করে এবং ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে ব্যাপক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
সামুদ্রিক মাছ- সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড থাকার কারণে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত আপনার খাদ্য তালিকায় সামুদ্রিক মাছ বা তৈলাক্ত মাছ রাখলে আপনার ফুসফুস সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে পারে।
মধু-প্রতিদিন নিয়মিত এক চা চামচ মধু পান করলে আপনার ফুসফুসের জন্য খুব উপকার হবে কারণ মধুতে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল ও প্রদাহ নাশক ক্ষমতা যা ফুসফুস পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে।
পানি-পানি হচ্ছে মানুষের জীবন এবং পানি হচ্ছে আমাদের শরীরে নানা রকমের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। নিয়মিত প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণ পানি পান করলে রক্ত সঞ্চালন মাত্রা সঠিক থাকে এবং ফুসফুসের আর্দ্রতা ভালো থাকে।
উল্লেখিত খাবার ছাড়াও ফুসফুস ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার সময় আরো কিছু খাবার যেমন- মুরগির মাংস, মাছ, ডিম, সীম, পনির, দই কমলা, আঙ্গুর ,তাজা ফলের রস ইত্যাদি ফুসফুস ক্যান্সার রোগের জন্য খাওয়া যেতে পারে।
ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ:
ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ এটা জানার আগে ভারতে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ কত তা জেনে রাখুন।ফুসফুস ক্যান্সারের ধরন, অবস্থা, আপনার দেহে অন্যান্য রোগ আছে কিনা, স্থান, হাসপাতালের চয়েজ এবং কোন ডাক্তার চয়েজ করবেন তার উপর ভিত্তি করে ভারতে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ নির্ভর করবে।
আরো পড়ুন:ব্লাড ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে মানুষ জানতে চোখ রাখুন
ভারতে ফুসফুস ক্যান্সারে চিকিৎসা খরচ হতে পারে অঞ্চল, মেডিকেলের খ্যাতি, ক্যান্সারের উপাদান, বিশেষজ্ঞের অভিজ্ঞতা, সাফল্যের হার,প্রয়োজনীয় ক্যান্সার পদ্ধতির ধরন এবং প্রয়োজনীয় ওষুধের উপর ভিত্তি করে আপনার খরচ পরিবর্তিত হতে পারে। ভারতে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ 3000 USD থেকে 18 হাজার USD বা তারও বেশি হতে পারে।
- ফুসফুস ক্যান্সার পরীক্ষা খরচ ৩০ হাজার INR থেকে 1 লাখ INR পর্যন্ত।
- কেমোথেরাপি খরচ ১৩ হাজার INR থেকে ৩০ হাজার INR পর্যন্ত।
- রেডিয়েশন থেরাপি খরচ INR ৬০ হাজার থেকে ৪ লাখ INR পর্যন্ত।
- ইমিউনোথেরাপি খরচ গড়ে রুপি থেকে শুরু হয়। ৮৫ হাজার প্রতি চক্র ওষুধের উপর নির্ভর করে।
- লক্ষ্য যুক্ত থেরাপি খরচ হতে পারে ব্যবহৃত ওষুধের উপর নির্ভর করে ৬২ হাজার টাকা
- ফুসফুস ক্যান্সারের সার্জারি খরচ হাসপাতালের উপর নির্ভর করে আনুমানিক ২ লাখ ৯০ হাজার টাকা থেকে 6 লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
উল্লেখিত খরচ ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসার জন্য রেফারেন্স হিসাবে দেখানো হল।সেগুলো সঠিক নাও হতে পারে। কারণ সময়ের ব্যবধানে, স্থান এবং হাসপাতালে ডিমান্ড এর উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা খরচ কমবেশি হতে পারে। তাই আপনি যদি ভারতের কোন হাসপাতালে ফুসফুস ক্যান্সারে চিকিৎসা করাতে চান।
তাহলে যাবার আগে অবশ্যই ভালো করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে খরচের পরিমাণ জেনে নিয়ে তারপরে সেখানে যাবেন ।
ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ:
এ পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ কত হতে পারে তার একটি সম্ভাব্য ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। আসলে ক্যান্সারের জটিলতার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা খরচ কম বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে ক্যান্সারের রোগী দিন দিন বেড়েই চলেছে।
তাই সরকারি হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসকরা ক্যান্সারের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। রোগী বেশি হওয়ার কারণে সঠিক ভাবে ক্যান্সারের চিকিৎসা দিতে চিকিৎসকরা হিমশিম খাচ্ছেন। তাই ক্যান্সারের রোগীরা যখন সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পেয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যাচ্ছেন তখন ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার খরচ অনেক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
আর সরকারি হাসপাতালে ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে অনেক কম । এক গবেষণায় জানা গেছে বাংলাদেশে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ গড়ে ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ 81 হাজার টাকা থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ হতে পারে।
তবে প্রথম পর্যায়ের ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ প্রায় ৩ লাখ টাকা। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার ধরা পড়লে খরচ অনেক কম হবে। তবে সময়ের সাথে সাথে ক্যান্সারের রোগী বেশি হওয়ার কারণে এবং ডাক্তারের দক্ষতা, হাসপাতালের অবস্থা, অনুসারে ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসার খরচ কম বেশি হতে পারে।
ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ কত টাকা হতে পারে সে ক্ষেত্রে আপনি যে মেডিকেলে ক্যান্সার চিকিৎসা করাতে চান সেই মেডিকেলে চিকিৎসা অথবা মেডিকেল কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ আলোচনা করে জানতে পারেন যে কত টাকা খরচ হতে পারে।
কত বছর বয়সে ফুসফুস ক্যান্সার হয়:
ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ কত টাকা পর্যন্ত হয় তা উপরের অংশে আলোচনা করেছি। এ পর্যায়ে কত বছর বয়সে ফুসফুস ক্যান্সার হয় তা আমাদের জানার দরকার। বাংলাদেশের যে সমস্ত রোগীর বা মানুষের ফুসফুস ক্যান্সার হয়। আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে গড় বয়স সাধারণত 60 বছর।
কিন্তু জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের এক গবেষণার পরিসংখ্যানে জানা গেছে ফুসফুস ক্যান্সার ১৮ বছর বয়স থেকে 50 বছর বয়সী নারী পুরুষের ফুসফুসের ক্যান্সার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে চলছে। তবে মহিলাদের চেয়ে পুরুষদের ক্ষেত্রে ফুসফুস ক্যান্সার বেশি হয়ে থাকে কারণ পুরুষরা নারীদের তুলনায় ধূমপান বা তামাক সেবন বেশি করে থাকেন।
আরো পড়ুন: টিউমার কিভাবে ক্যান্সারে পরিণত হয় জানতে চোখ রাখুন
এবং সাধারণত ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়স পর্যন্ত নারী-পুরুষের ফুসফুস ক্যান্সার হয়ে থাকে বলে উত্তর গবেষণায় জানা গেছে। উক্ত গবেষণায় ১৮৬৮ জন ফুসফুস ক্যান্সার রোগের ওপর গবেষণা করে দেখা গেছে যে আক্রান্তদের মধ্যে 84.6% পুরুষ এবং ১৫. ৪% নারী।
ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার গড় বয়স ছিল ৬০ বছর। তবে ৫০ বছরের নিচে ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর হার ছিল ১৩.৯% ।তাহলে দেখা যাচ্ছে যে কম বয়সীদের ফুসফুসে ক্যান্সারে আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে।
শেষ কথা-ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ:
প্রিয় পাঠক, ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ বাংলাদেশ কত টাকা হতে পারে। তার একটি আনুমানিক হিসাব তুলে ধরেছি। উল্লেখিত খরচের চেয়ে কম এবং বেশিও হতে পারে। কারণ বর্তমান সময় চিকিৎসার ধরন, ফুসফুস ক্যান্সারের জটিলতার অবস্থা, হাসপাতালের ডিমান্ড,
চিকিৎসকের অভিজ্ঞতা, ঔষধ খরচ ,বিভিন্ন ধরনের থেরাপি, অপারেশন বা সার্জারি চার্জ ইত্যাদি এর উপর ভিত্তি করে ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা খরচ (বাংলাদেশ কত টাকা) কম বেশি হতে পারে। সেজন্য আপনি যদি ফুসফুস ক্যান্সারের বাংলাদেশে চিকিৎসা করতে চান তাহলে সেখানে যাওয়ার আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে কত টাকা খরচ হতে পারে।
তা জেনে নিয়ে তারপরে আপনি মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য যেতে পারেন। পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে আর্টিকেলটির লিখা এখানেই শেষ করলাম।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url