ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে- রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ

প্রিয় পাঠক, ফুসফুস ক্যানসার হলে কতদিন বাঁচে রোগী তা জানার জন্য পোস্টটি পড়ুন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাচ্ছি যে ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী এবং সেইসাথে ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ সমূহ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। 

তাই দেরি না করে আসুন আমরা ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী তা আলোচনা করি।

ফুসফুস ক্যান্সার কি? 

ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী তা জানার আগে আমরা ফুসফুস ক্যান্সার কি ?সে সম্পর্কে কিছু আলোচনা করব। ফুসফুস ক্যান্সার ফুসফুসের অস্বাভাবিক কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি হওয়া কে বোঝায়। সাধারণত যারা ধূমপান বেশি করে অথবা তামাক সেবন কারী ব্যক্তিদের মধ্যে এটি বেশি লক্ষ্য করা যায়।

আরো পড়ুন: ব্লাড ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে মানুষ জানতে চোখ রাখুন

ফুসফুস হলো দুটি স্পঞ্জি অঙ্গ যা বুকের মধ্যে  অবস্থিত এবং শ্বাসতন্ত্রের একটি অংশ হিসেবে পরিচিত। এই ফুসফুস দুটি শরীরের মধ্যে গ্যাস নির্গত করার জন্য একটি ফিল্টার হিসাবে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে এবং অক্সিজেনে শ্বাস নিতে এবং কার্বনডাই-অক্সাইড ত্যাগ করতে সহায়তা করে।

ফুসফুস ক্যান্সার হচ্ছে একটি জটিল রোগ যা ইংরেজিতে Lung Cancer ক্যান্সার বা ফুসফুস ক্যান্সার বলা হয়ে থাকে। আমাদের দেহে ফুসফুসের টিসু গুলোতে অনিয়ন্ত্রিত কোষ বৃদ্ধির  ফলে মেটাস্ট্যাসিস, আশেপাশের টিস্যু আক্রমণ এবং ফুসফুসের বাইরে সংক্রমণ ঘটে থাকে। 

ফুসফুসের ক্যান্সার অধিকাংশই ফুসফুসের কারসিনোমা, যা ফুসফুসের এপিথেলিয়াল কোষ গুলিতে ধরা পড়ে। ফুসফুসের কোষগুলো বৃদ্ধি পেয়ে ফুসফুসে টিউমারের সৃষ্টি হতে পারে এবং টিউমার থেকে ফুসফুসের ক্যান্সার হতে পারে। ফুসফুসের ক্যান্সারের কারণে প্রতিবছর গোটা বিশ্বে প্রায় ১৮ লক্ষ মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। 

ফুসফুস ক্যান্সারের সাধারণ লক্ষণ হল শ্বাস নিতে কষ্ট, কাশির সঙ্গে রক্ত বের হওয়া, রক্তসহ বমি হওয়া, বুকে ব্যথা এবং ওজন কমে যাওয়া ইত্যাদি ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। অতিরিক্ত ধূমপান বা তামাক সেবন,বংশগত কারণ, বায়ু দূষণ ইত্যাদির কারণে ফুসফুস ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য প্রায় 85% দায়ী হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদী ধূমপান অথবা তামাক সেবন। এবং ১০ থেকে ১৫ পার্সেন্ট তামাক সেবন ছাড়া ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকে। আমেরিকাতে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে )ফুসফুসের ক্যান্সারে মানুষগুলোর মধ্যে 16.8% রোগ নির্ণয়ের পর কমপক্ষে ৫ বছর বেঁচে থাকে। 

ইংল্যান্ডে ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য ৫ বছর বেঁচে থাকা আনুমানিক পরিমাণ হলো ১০% এবং অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশ গুলোতে এবং অনুন্নত দেশগুলোতে ফুসফুসের রোগের কারণে  সাধারণত বেঁচে থাকার পরিমান অনেক কম।

ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ:

ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী, ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ এবং ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ জানতে আমার এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকুন। এ পর্যায়ে আমি আপনাদের সাথে ফুসফুস ক্যান্সারে লক্ষণসমূহ কি কি তা সঠিক তথ্য দেওয়ার জন্য চেষ্টা করব। লক্ষণসমূহ হচ্ছে-

  • কাশির সঙ্গে রক্ত -বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, বেশিরভাগ রোগীর ক্ষেত্রে দেখা যায় যে ফুসফুসের ক্যান্সার প্রাথমিক লক্ষণ হিসেবে কাশি এবং তার সাথে রক্ত পড়া। কাশি দীর্ঘস্থায়ী থাকে এবং নিয়মিত ওষুধ সেবনের পরেও কাশি ভালো হয় না।এক্ষেত্রে শুকনো কাশি অথবা কাশির সাথে অতিরিক্ত কক আসতে পারে। এবং রাতের বেলায় কাশির পরিমাণ বেড়ে দিতে পারে। 
  • তামাক সেবন-ধূমপান অথবা তামাক সেবন কারী পুরুষ রোগীদের ক্ষেত্রে এই লক্ষণটি বেশি পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে কাশির সঙ্গে কফ এবং তার সঙ্গে রক্ত পড়ার মতো সমস্যা থাকে এবং ফুসফুসের ইনফেকশনের কারণে কাশির সাথে রক্ত বের হতে পারে।
  • বুকে ব্যথা করা- ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য বুকে ব্যথা আরেকটি লক্ষন হিসাবে ধরে দেওয়া হয়। ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীর ক্ষেত্রে প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ পার্সেন্ট এই লক্ষণটি দেখা যায়।
  • শ্বাসকষ্ট- শ্বাসকষ্ট হচ্ছে ফুসফুসের ক্যান্সারের একটু অন্যতম লক্ষণ আপনার যদি খুশখুসে ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে দেখবেন অনেক কষ্ট হচ্ছে। ফুসফুসের ক্যান্সার হলে শ্বাস প্রশ্বাস গ্রহণ প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয়।
  • জ্বর- ফুসফুসের ক্যান্সার হলে ক্যান্সারের কারণে শরীরে জ্বর হয়ে থাকে। শরীরের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির নিচে থাকে। এক্ষেত্রে কোন ঔষধ বা অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না বরং বারবার জ্বর আসতেই থাকে।
  • বাতের ব্যথা-যদি ফুসফুস ক্যান্সার হয়ে থাকে তাহলে শরীরের জয়েন্টে বা জোড়ায় যেমন- হাঁটু ,কনুই, কব্জি ইত্যাদি জয়েন্টে বাতের ব্যথা হতে পারে। তখন চলাফেরা করতে অথবা হাঁটাহাঁটি করতে খুব অসুবিধা হয়।
  • ওজন কমে যাওয়া- ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য আরেকটি লক্ষণ হচ্ছে ওজন কমে যাওয়া। হঠাৎ করে যদি আপনার ওজন কমে যায় তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন । এবং পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে আসলে কোন কারণে ওজন কমে যাচ্ছে।
  • বমি হওয়া- ফুসফুসে ক্যান্সার হলে বমি বমি ভাব অথবা বমি হতে পারে এবং বোনের সাথে রক্ত বের হতে পারে।
  • বংশগত কারণ- বংশগত কারণেও ফুসফুসে ক্যান্সার হতে পারে। বংশগত বা জেনেটিক কারণ যেমন- আপনার বাবা-মা, ভাই-বোন, দাদা, দাদির যদি ফুসফুসে ক্যান্সার থাকে তাহলে আপনারও হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • বায়ু দূষণ- বায়ু দূষণ হওয়া ফুসফুস ক্যান্সারের আর একটি অন্যতম লক্ষণ। বায়ু দূষণের কারণে নাক অথবা মুখের ভেতর দিয়া দূষিত বায়ু ঢুকে ফুসফুসে জমাট বাধার সম্ভাবনা থাকে এবং ফুসফুসের ক্যান্সারের সৃষ্টি হতে পারে।
  • শরীরে ক্লান্তি, দুর্বলতা ,হাতে ব্যথা, আঙ্গুল ফুলে যাওয়া, হাড়ে ব্যথা, কণ্ঠস্বর পরিবর্তন ইত্যাদি ফুসফুসের ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।

তবে অনেক সময় দেখা যায় ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য কোন লক্ষণ ছাড়াই ক্যান্সার ধরা পড়ে। এ ধরনের ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যান্সার ১০% এর নিচে হতে পারে। তবে বুকের এক্সরে করার সময় কোন কোন ক্ষেত্রে ফুসফুসের ক্যান্সার ধরা পড়ে।ফুসফুস ক্যান্সার কি নিরাময় যোগ্য ?

ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী বিষয়টি আর একটু পরে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। তার আগে ফুসফুস ক্যান্সার নিরাময় যোগ্য কিনা সেটা আমরা জানার চেষ্টা করি। চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুস ক্যানসার অপারেশনের মাধ্যমে অথবা সার্জারির মাধ্যমে নিরাময় করা সম্ভব।

তবে প্রথম দিকের ফুসফুস ক্যান্সার যদি প্রথম থেকে ধরা পড়ে তখন নিরাময় করা আরও সহজ হয়। ফুসফুস ক্যান্সারের পর্যায়কে 1 স্টেজ থেকে 4 স্টেজ পর্যন্ত ভাগ করা হয়। এরমধ্যে নন স্মল সেল টাইপ এবং কারসিনয়ড ক্যান্সারের স্টেজ থ্রি-এ পর্যন্ত সার্জারি বা অপারেশন করে রোগ নিরাময়ের সম্ভবনা থাকে। 
আর স্মল সেল টাইপ ক্যান্সারের কেবলমাত্র স্টেজ টু-এ পর্যন্তই সার্জারি বা অপারেশনের মাধ্যমে নিরাময়ের সম্ভাবনা থাকে।প্রথম পর্যায়ের ফুসফুসের ক্যান্সার নিরাময় যোগ্য। এটি খুব দ্রুত চিকিৎসার মাধ্যমে নিরাময় করা হয়। চিকিৎসক ক্যান্সার অপসারণের জন্য অস্ত্র প্রচারের সুপারিশ করবে এবং কেমোথেরাপি বা রেডিও থেরাপির জন্য সুপারিশ করবেন।

ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে: 

এ পর্যায়ে ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী বা মানুষ তা বিস্তারিত জেনে নিন। আসলে হায়াত মউত নির্ভর করে সম্পুর্ন সৃষ্টিকর্তা বা আল্লাহর উপর । কখনো কেউ বলতে পারেন না যে মানুষের ফুসফুস ক্যান্সার হলে রোগী কতদিন বাঁচবে। তবে রোগ যখন খুব জটিল আকার ধারণ করে তখন হয়তোবা

অনুমান করে বলা যেতে পারে যে, এই রোগীর মৃত্যু খুব তাড়াতাড়ি হবে। অথবা এটা বলা যেতে পারে যে এই রোগী এক থেকে তিন মাসের মধ্যে মারা যেতে পারে। তার মানে রোগী মারা যাওয়ার সম্ভাব্য একটা টাইম উল্লেখ করা যেতে পারে। কিন্তু ঠিক বা নির্দিষ্ট করে কোন ডাক্তার অথবা অন্য কেউ বলতে পারবেন না।

যে রোগিটি এতদিন পর মারা যাবে বা রোগীটি কতদিন বাঁচবে। গবেষকরা বলেন সঠিক সময়ে ফুসফুসের ও চিহ্নিত করতে না পারলে বা নির্ণয় করা না গেলে ১০০% এ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।তারা আরো বলেন, অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে ফুসফুস ক্যান্সারে লক্ষণ বুঝতে পারা যায় না। 

তখন এক্ষেত্রে পর্যায় 3-A চলে যাওয়ার পর ধরা পড়ে। আমেরিকাতে বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুসফুসের ক্যান্সারের সমস্ত লোকের মধ্যে ১৬.৮% রোগ নির্ণয়ের পর কমপক্ষে ৫ বছর বেঁচে থাকে এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ফুসফুস ক্যান্সারের জন্য ৫ বছর ধরে বেঁচে থাকার আনুমানিক হার ৯.৫% আর উন্নয়নশীল বা অনুন্নত দেশে এই রোগের বেঁচে থাকার হার খুবই খারাপ। 

ফুসফুসের ক্যান্সার যখন সনাক্ত করা হয় তখন রোগ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়লে বাসার সম্ভাবনা কম থাকে। গবেষকরা বলেন এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে প্রায় 70% রোগী এক বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকে যখন রোগ প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা হয়। এক পরিসংখ্যানে অনুযায়ী ফুসফুসের ক্যান্সারে 5 পাঁচ বছরের জন্য বাঁচার হার নিম্নে উল্লেখ করা হলো-

  • ফুসফুসের ক্যান্সার যা বাহিরে ছড়িয়ে পড়েনি ( স্থানীয় ফুসফুস ক্যান্সার) পাঁচ বছরের বেঁচে থাকার হার প্রায় ৬৩%
  • ফুসফুসের ক্যান্সার যা কাঠামোতে ছড়িয়ে পড়ছে( আঞ্চলিক ফুসফুস ক্যান্সার) পাঁচ বছরের বেঁচে থাকার হার প্রায় ৩৬ পার্সেন্ট।
  • ফুসফুসের ক্যান্সার যা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে, (দূরবর্তী ফুসফুস ক্যান্সার) পাঁচ বছরের বেঁচে থাকার হার প্রায় ৬% ।
তবে এমনও অনেক সময় দেখা যায় যে ফুসফুসে ক্যান্সারের আক্রান্ত ব্যক্তি বা কিছু রোগী পাঁচ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাঁচতে পারে এবং অন্যান্যরা ততদিন বাঁচতে পারে না । সার্জারি ,কেমোথেরাপি ,রেডিও থেরাপি ,টার্গেটৈযড থেরাপি, এর মত চিকিৎসার বিকল্প গুলি প্রভাবিত করতে পারে।

ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ:

ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে আমরা জানতে পারলাম। এপর্যায়ে ফুসফুস ক্যান্সার রোগের মৃত্যুর লক্ষণ সমূহ আলোচনা করব। আশা করছি আপনি আমার এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকবেন। ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীদের মৃত্যুর জন্য একটি গবেষণা করা হয়।

সেই গবেষণায় পরীক্ষিত ৩৫৭ জন রোগীর মধ্যে ৫৭% মারা গেছে।আর বাকিরা যাদের 52 ধরনের লক্ষণ ধরা পড়েছিল তারা পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে মারা যায়। তিন দিনের মধ্যে মারা গেছে তাদের মৃত্যুর তিন দিন আগে থেকেই এসব চিহ্ন দেখা গেছে সেই লক্ষণগুলো প্রকাশ পায় সেগুলো হল-

  • চিকিৎসকদের মতে, ফুসফুস ক্যান্সারের রোগী আলোর বৃদ্ধি বা হ্রাস চোখের পিউ পিল কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। চিকিৎসক রোগীর এক ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে যখন জানতে পারেন যে তার চোখে পিউপলে কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। যদি চোখের কোন কাজ না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে সেই রোগীর বাঁচার সম্ভাবনা খুবই কম , মৃত্যু খুব তাড়াতাড়ি হবে । 
  • কথা বলার সময় রোগীর মুখ- জিহবাব কার্যকারিতা বা প্রতিক্রিয়া কমে যায়। ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগী যদি কথা বলার সময় জিহবার কার্য ক্ষমতা কমে যায় এবং রোগী যখন কথা বলার সময় মুখ এবং জিহবার কার্যকারিতা কমতে শুরু করে। তখন ধারণা করে নিতে হবে যে রোগীর খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যু হবে।
  • ফুসফুসে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী চোখের পাতা বন্ধ করতে পারে না এবং রোগীর মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে চলে আসে। সে ক্ষেত্রে বোঝা যায় যে রোগীর মৃত্যু দ্রুত হতে পারে। 
  • নাক থেকে ঠোঁটের দুই কোনা পর্যন্ত যে রেখা পড়ে তাতে ব্যাপক ভাঁজ পড়ে (হাসার সময় যে রেখা তৈরি হয়)।অনেক রোগীর ক্ষেত্রে নাক থেকে অথবা ঠোঁটের দুই কোণ পর্যন্ত ব্যাপক ভাঁজ পড়ে যায় এবং সেই রেখাগুলো সুস্ক-রুক্ষ হয়ে যায়। এটা আরেকটি ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর বড় লক্ষণ।
  • ফুসফুস ক্যান্সারে রোগীর কন্ঠনালী থেকে গড়গড় শব্দ হয়। এ ধরনের উপসর্গ বা লক্ষণ দেখা দিলে বুঝে নিতে হবে যে রোগীর খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যু হবে।
  • ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী যখন একেবারেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে ।তখন নিশ্চিত করে বলা যায় যে রোগীর মৃত্যু খুব সন্নিকটে এবং মৃত্যু হওয়ার হওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি। 

ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীদের ক্ষেত্রে উপরোক্ত লক্ষণ গুলো দেখা দিলে ধারণা করে নিতে হবে যে রোগী আর বেশি সময় বাঁচবে না ,খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীদের মৃত্যুর জন্য যে গবেষণা করা হয়েছিল সেই গবেষণায় এই লক্ষণগুলো দেখা দেওয়ার তিন দিনের মধ্যেই রোগী গুলোর মৃত্যু হয়েছিল।

শেষ কথা-ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে: 

সম্মানিত পাঠক, আর্টিকেলের শেষ প্রান্তে এসে আমি এই কথা বলে শেষ করব যে ফুসফুস ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে রোগী, ফুসফুস ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ, ফুসফুস ক্যান্সার কি, ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ, ফুসফুস ক্যান্সার পুরোপুরি ভালো হয় কিনা।অথবা নিরাময় যোগ্য কিনা ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে আলোকপাত করার চেষ্টা করেছি।


আশা করছি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে আমার এই আর্টিকেলটি পড়েছেন এবং ফুসফুস ক্যান্সার সম্পর্কে কিছুটা হলেও সঠিক তথ্য পেয়েছেন। যদি পোস্ট টি পড়ে আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনার বন্ধুবান্ধব, আত্মীয়-স্বজন ,অথবা আপনার রিলেটিভদের সঙ্গে শেয়ার করে দিন।যেন তারাও পোস্ট টি পড়ে ফুসফুস ক্যান্সার সম্পর্কে উপকৃত হতে পারেন ।

এতক্ষণ ধরে আমার এই পোষ্টের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url