স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম - স্বপ্নদোষ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম আপনার যৌনকর্ম যা করলে স্বপ্নদোষ হতে পারে সেটি খুব সহজেই আপনি নিজে আটকাতে পারবেন। এই আর্টিকেল থেকে স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম সম্পর্কে জানতে পারেন। স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম করা আপনার শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী।
হরমোনাল পরিবর্তন ছাড়াও অনেক কারণেই স্বপ্নদোষ হতে পারে। কেউ যদি অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে অথবা যৌন সংলগ্ন যেকোন কথাবার্তা রাতের দিকে করে তাহলে স্বপ্নদোষ ঘটতে পারে। অতিরিক্ত উত্তেজনা বা যৌন সম্পর্কিত বিষয় স্বপ্নদোষের কারণ হতে পারে যা আপনি ব্যায়ামের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

পেইজ সূচিপত্র

স্বপ্নদোষ কতদিন পর পর হয়

স্বপ্নদোষ এমন একটি রোগ যা ঘুমের মধ্যে হতে পারে। এর ফলে আপনার অতিরিক্ত বীর্যপাত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। যেহেতু এটি একটি অতি সাধারণ একটি ব্যাপার, তাই আপনি ঘুমিয়ে পড়ার সাথে সাথেই গভীর রাতে নিজে থেকেই বীর্যপাত ঘটতে পারে।

বেশিরভাগ ছেলেদের ক্ষেত্রে এটি একটি নিয়মিত সমস্যা। এমন হতে পারে যে তারা অতিরিক্ত পরিমাণে হস্তমৈথুন করে, যার ফলে দ্রুত বীর্যপাত জনিত সমস্যা হতে পারে। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে বীর্যপাত হয়ে যায়, তাহলে বীর্য খুব পাতলা হওয়ার কারণে আপনার বারবার স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়।


এই ধরনের সমস্যা হয়ে থাকলে খুব বেশি পরিমাণে স্বপ্নদোষ এর সমস্যায় পড়তে পারেন, যা মূলত হস্তমৈথুন এর কারণেই হয়ে থাকে। যৌন আকাঙ্ক্ষার কারণে হরমোন সমস্যার যেই পরিবর্তন গুলি হয়ে থাকে, তা মূলত স্বপ্নদোষ এর কারণে হয়।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় জেনে যদি প্রতিমাসে দুই থেকে তিনবার স্বপ্নদোষ হয়ে থাকে, তাহলে এটাই স্বাভাবিক হতে পারে। কিন্তু স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম না জানার ফলে যদি অত্যাধিক পরিমাণে স্বপ্নদোষ হওয়ার সমস্যা হয়, তাহলে খুবই গুরুতর হতে পারে।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম কি

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার জন্য আপনি প্রাচীন পদ্ধতিতে ব্যায়াম করতে পারেন অথবা ইয়োগা করতে পারেন। অবশ্য যোগ ব্যায়ামের পরে আপনার আসল চেতনা ফিরে আসবে। যার ফলে আপনি স্বপ্নদোষ বন্ধ করার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম মূলত যেভাবে করতে পারেন চলুন তার একটি নমুনা জেনে নিই।

১। স্বপ্নদোষ বন্ধ করার জন্য আপনি রাতে খাবারের পর সাথে সাথেই না শুয়ে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করতে পারেন। যা আপনার শরীরে ব্যায়ামের কাজ দিতে পারে।

২। প্রতিদিন সামান্য পরিমাণে পুদিনা পাতা অথবা তুলসী পাতার রস চা এর সাথে খাওয়ার অভ্যাস করে ব্যায়াম করতে পারেন, যার ফলে আপনার স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

৩। কোন পুরুষ অথবা মহিলা যদি স্বপ্নদোষ এর সমস্যা বন্ধ করতে চায়, তাহলে স্বপ্নদোষ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় জেনে ব্যায়াম করার মাধ্যমে তারা এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।

৪। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ব্যয়াম রয়েছে যা প্রতিদিন করার মাধ্যমে আপনি আপনার শরীর, মন ও মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবেন। যার ফলে স্বপ্নদোষ বন্ধ হতে পারে।

৫। আপনি ধ্যানের মাধ্যমে ব্যায়াম করতে পারেন। অর্থাৎ মেডিটেশন করলে আপনার শরীরের অনুভূতি গুলো নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কোন ধরনের স্বপ্নদোষ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

৬। যোগ ব্যায়াম এমন একটি বিষয় যা যেকোন মানুষের দেহ, মন ও শক্তি এই তিনটির সমন্বয়ে গড়ে উঠে। যদি আপনার শরীর ঠিকভাবে কাজ করে, তাহলে বিভিন্নভাবে আপনি ব্যায়ামটি করতে পারেন।

৭। যখন আপনি আপনার শারীরিক শক্তিগুলো অর্জন করতে পারবেন সেটি মনের শক্তিও হতে পারে। সবকিছু মিলিয়ে এমন একটি অনুভূতি আপনার কাজ করতে পারে যা দৃশ্যমান নয়। যা মূলত পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের বাহিরে হতে পারে। সেই শক্তির কারণে আপনার স্বপ্নদোষ নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে।

৮। এই ব্যায়ামটি মূলত আপনার খুব বেশি উপকারে আসতে পারে। কারণ আপনার অস্তিত্ব হিসেবে আপনার দেহ, মন ও আত্মা যখন এক হয়ে যায়, তখনই এই যোগ ব্যায়াম সঠিকভাবে কার্যকর হয়।

৯। নিজেকে পরিপূর্ণভাবে শান্ত করে দেহ ও মনের সঙ্গে সমান ভাবে যেই যুগসূত্র তৈরি হয়। যোগ অনুশীলনের ফলে অশান্ত মন শান্ত হয়ে স্বপ্নদোষ নিয়ন্ত্রণে থাকে।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম কেন করবেন

স্বপ্নদোষ হলে আপনার শরীর দুর্বল হয়ে যেতে পারে। যদি আপনি স্বপ্নদোষ বন্ধ করার চেষ্টা না করেন, তাহলে আপনার পুরুষ লিঙ্গ খুব দ্রুত দুর্বল হয়ে যেতে পারে। কিন্তু আপনি যদি নিয়মিত ব্যায়াম করতে পারেন, তাহলে আপনি অনেক ধরনের সমস্যা থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন। 

অত্যাধিক পরিমাণে হস্তমৈথুন এক ধরনের সমস্যা যা করার ফলে স্বপ্নদোষ হতে পারে। অনেক সময় হরমোন গত সমস্যা হলে স্বপ্নদোষ হয়। কিন্তু আপনার শরীর যদি স্বাভাবিকভাবে ঠিক না থাকে, তাহলে স্বপ্নদোষ বন্ধ হতে পারে। এই জন্যে প্রয়োজন সঠিক ব্যায়াম। আপনি যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।


যোগ ব্যায়াম করার মাধ্যমে আপনার দেহ, মন ও আত্মা এক হয়ে যায়। যার ফলে আপনার শরীরে এক ধরনের শান্তি বিরাজ করে। যার মাধ্যমে আপনার শরীর হয়ে উঠে সতেজ ও সুস্থ। ফিজিক্যাল ভাবে আপনি নিজের শরীরকে সঠিকভাবে তৈরি করতে পারেন।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় জেনে আপনি যোগ ব্যায়াম করে নিজের এই স্বপ্নদোষ এর সমস্যা দূরীভূত করতে পারেন। যদিও এই যুগে ব্যায়াম খুবই প্রাচীন একটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার আসল চেতনা জেগে উঠবে। 

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম জানার মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই আপনার স্বপ্নদোষ বন্ধ করে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারবেন। তাই স্বপ্নদোষ বন্ধ করে নিজেকে শক্তিশালী ও সতেজ রাখুন।

স্বপ্নদোষ চিরতরে বন্ধ করার উপায়

স্বপ্নদোষ হয় না এইরকম খুব কম মানুষই রয়েছেন। এই সমস্যাটি পুরুষদের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে। যদিও অত্যাধিক পরিমাণে স্বপ্নদোষ হওয়ার সমস্যা হয়। কিন্তু তারপরেও আপনাকে স্বপ্নদোষ চিরতরে বন্ধ করার উপায় জেনে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

যদি আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারেন, আর আপনার স্বপ্নদোষ যদি অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে তাহলে আপনার রাতে ঘুম না আসার সমস্যা হতে পারে। শরীরের দুর্বলতা, ঝিমানো, হাঁটুর ব্যথা, দুর্বল যৌন ক্ষমতা বন্ধ, লিঙ্গ শিথিলতা এবং আরো অন্যান্য শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম না জানলে মাঝে মাঝে এইরকম পরিস্থিতিও হয়ে যায় যে, বীর্যের সাথে মূত্র ত্যাগও হতে পারে। এইজন্যে স্বপ্নদোষ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় জেনে স্বপ্নদোষ চিরতরে বন্ধ করার উপায় গুলো যেমন
  • স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে হলে আপনাকে পর্নোগ্রাফি দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • ঘরোয়া উপায়ে নিজের স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে পারেন।
  • যদি আপনি মেডিটেশন বা ধ্যান করেন, তাহলে আপনার অনুভূতি গুলো নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
  • ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের মন ও শরীরকে সতেজ রাখতে পারেন।
  • স্বপ্নদোষ এর সমস্যা হলে নিজের খাদ্যাভাসে পরিবর্তন আনতে পারেন।
  • আপনাকে আম্লিক খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে।
  • বৈঁচি বা আমলার রস খেতে পারেন, যা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার জন্য বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপায় রয়েছে। স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম এর উপায় গুলো যদি আপনি নিয়মিত মেনে চলতে পারেন, তাহলে আপনার স্বপ্নদোষ এর মতো কোনো সমস্যা থাকবে না। প্রাকৃতিক উপায়ে আপনি স্বপ্নদোষ এর সমস্যার সমাধান করতে পারবেন।

আপনি যখন খাবারের সময় হবে তখন মিছরির সাথে কর্পূর মিশিয়ে খেতে পারেন। সেই সময় আপনি স্বপ্নদোষ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। বেনারসি হরিতকীর মোরব্বা যদি এক গ্রাম করে নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে যেকোন ধরনের কঠিন সময়ের স্বপ্নদোষ রোগ থাকলে সেটি চলে যাবে।

পাশাপাশি আপনি চাইলে তেঁতুলের বীজ ভেজে নিতে পারেন। তার সাথে সামান্য পরিমাণে চিনি মিশিয়ে প্রতিদিন যদি আপনি দুধের সাথে মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে স্বপ্নদোষ আর থাকবে না। এছাড়াও নিয়মিত খাবার খাওয়ার পরে বিশেষ করে পাকা কলা আপনার খুব উপকারে আসতে পারে।


যদি আপনি পাকা কলার সাথে মধু মিশিয়ে পান করতে পারেন, তাহলে স্বপ্নদোষের সমস্যাকে প্রতিকার করতে পারবেন। এর ফলে বীর্যের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। ধনেপাতা, ছোট এলাচের বীজ মিক্স করে আপনি স্বপ্নদোষের প্রতিকার করতে পারেন।

প্রাকৃতিক উপায় হিসেবে আপনি তাজা নিমের পাতা যদি নিয়মিত চিবিয়ে খেতে পারেন, তাহলে স্বপ্নদোষ এর হাত থেকে আপনি দ্রুত মুক্তি পেতে পারেন। রসুনের তিন থেকে চারটি কোয়া মধুর সাথে মিশিয়ে আপনি গরম দুধ মিক্স করে পান করতে পারেন।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় জেনে রাতে যখন আপনি ঘুমাতে যাবেন তখন ত্রিফলা চূর্ণ করে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন। এই অবস্থায় আপনি স্বপ্নদোষ এর হাত থেকে অনেক বেশি পরিমাণে মুক্তি পাবেন। গরম পানির সাথে হালকা পান করতে পারেন যার ফলে আপনার স্বপ্নদোষ আর হবে না।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে নিয়ন্ত্রণের উপায়

যদি আপনি স্বপ্নদোষ এর সমস্যাকে বন্ধ করে নিয়ন্ত্রণ করতে চান, তাহলে আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় গুলো জানতে হবে। কারণ স্বপ্নদোষ এমন একটি বিষয় যা সব বয়সের পুরুষ অথবা মহিলাদের হতে পারে। পুরুষরা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন অনেক বেশি।

স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম না করলে ঘুমের মধ্যে শরীর থেকে হরমোনের প্রভাবে বীর্য বের হয়ে যায়। যৌন আকাঙ্ক্ষার কারণে স্বপ্নদোষ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায় জেনে হরমোন পরিবর্তনের ফলে এই স্বপ্নদোষ হতে পারে। স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে নিয়ন্ত্রণের সহজ উপায় গুলো হলো -
  • রাতে ঘুমানোর পূর্বে যৌন সম্পর্কিত বিষয়বস্তু দেখা বন্ধ করতে হবে।
  • কমপক্ষে দিনে পঁয়তাল্লিশ মিনিট এর চেয়েও বেশি সময় ব্যায়াম করার চেষ্টা করতে হবে।
  • উদ্বেগ, বিষন্নতা এবং চাপ নেওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • স্বপ্নদোষ বন্ধ করতে নিজের চিন্তা ভাবনাকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
  • বটল লাউয়ের জুস খেলে আপনার স্বপ্নদোষ বন্ধ হতে পারে।
  • কারণ বটল লাউয়ের জুস আপনার শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পারে।
  • ঘুমোতে যাওয়ার পূর্বে গভীর শ্বাস নিতে পারেন।
  • মাঝে মাঝে মেডিটেশন এর মাধ্যমে স্বপ্নদোষ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।

শেষকথা

আশা করছি এই পোস্ট আপনাকে স্বপ্নদোষ বন্ধ করার ব্যায়াম, স্বপ্নদোষ বন্ধ করার প্রাকৃতিক উপায়, স্বপ্নদোষ চিরতরে বন্ধ করার উপায় সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিয়ে সাহায্য করেছে। যদি পোস্টের বিস্তারিত জেনে উপকৃত হয়ে থাকেন, তাহলে পোস্টের নিচের অংশে মন্তব্য করে পাশেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url