ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ জানতে চোখ রাখুন
সম্মানিত পাঠক, ব্লাড ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে মানুষ জানতে আমার এই আর্টিকেলের উপর চোখ রাখুন ।আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই যে ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ সেই সাথে আরও একটি বিষয় আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই।
সেটা হল ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ সম্পর্কে। আসুন তাহলে পাঠক বন্ধু দেরি না করে শুরু করা যাক ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ সে সম্পর্কে আলোচনা করি।
ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে:
আমাদের শরীরে রক্তের তিনটি উপাদান থাকে। লোহিত রক্ত কণিকা, শ্বেত রক্ত কণিকা এবং প্লেটলেট রক্ত কনিকা। ব্লাড ক্যান্সার হল রক্তের শ্বেত রক্ত কণিকার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। শ্বেত রক্তকণিকা গুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পেয়ে তার রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা এবং প্লেটলেটের পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
আরো পড়ুন :টিউমার কিভাবে ক্যান্সারে পরিণত হয় জানতে চোখ রাখুন
ফলে রোগী রক্তশূন্যতায় ভোগে।আসলে হায়াত এবং মরণ সবই সৃষ্টিকর্তার হাতে নির্ভরশীল। কার কখন মরণ হবে একেবারে সঠিকভাবে কেউ বলতে পারেন না। মানুষের মৃত্যুর বিষয়টা কখন হবে একমাত্র সৃষ্টি করা ছাড়া আর কেউ সঠিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেন না।
ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ সেটা বলা খুব মুশকিল। তবে ক্যান্সার হল একটি প্রাণঘাতী মারাত্মক রোগ।এ রোগ থেকে রেহাই পাওয়া অনেক কঠিন। ক্যান্সার হলে মানুষ কত দিন বাঁচে একমাত্র আল্লাহ ছাড়া আর কেউ বলতে পারবেন না। তবে ক্যান্সার হলে মানুষ খুব তাড়াতাড়ি মারা যায়।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে, ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগী প্রায় ৬ মাস থেকে ২০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায় ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী ৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে ক্যান্সার হলেই যে মানুষ মৃত্যুবরণ করবে তা কিন্তু নয়।
বর্তমানে অত্যাধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে ক্যান্সার রোগ ভালো করা সম্ভব হচ্ছে। চিকিৎসকরা আরো বলেন, ক্যান্সার রোগীরা যারা চিকিৎসার প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন এবং যেখানে সেখানে চিকিৎসা করতে থাকেন,একবার এলোপ্যাথি চিকিৎসা, আরেকবার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা, আরেকবার কবিরাজি
চিকিৎসা, আরেকবার ফকিরি চিকিৎসা ইত্যাদি নানা ধরনের চিকিৎসা করে। তারাই মূলত খুব তাড়াতাড়ি মারা যায়। ক্যান্সারের চিকিৎসা করে দেখা গেছে যে অনেক রোগী ক্যান্সার থেকে মুক্তি পেয়েছেন এবং স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেয়েছেন। ক্যান্সারের ধরন, ক্যান্সারের স্থান, (শরীরের কোন জায়গায়
ক্যান্সার হয়েছে) প্যাথলজিক্যাল গ্রেড, চিকিৎসার ধরন ইত্যাদির উপর ভিত্তি করে বলা যেতে পারে যে ক্যান্সার রোগীর পরিণতি কি হতে পারে। ক্যান্সার হল একটি মানুষের শরীরের পরগাছার মত।শরীরের একটি স্বাভাবিক কোষ থেকে কোন কারনে পরিবর্তন হয়ে ক্যান্সার কোষে রূপান্তরিত হতে পারে।
তখন এই কোর্সগুলোর একটা থেকে দুই ভাগ হয়ে দুইটা, তারপরে চারটা, তারপর আটটা, তারপর ষোলটা,তারপর 64টা ।এভাবে অসংখ্য কোষ তৈরি হয়ে টিউমার আকার ধারণ করে এবং একপর্যায়ে স্বাভাবিক কোষ ক্যান্সার কোষে পরিণত হয় এবং ক্যান্সার কোষ তার নিজস্ব ক্ষমতা বলে দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে থাকে।
ব্লাড ক্যান্সার হলে মানুষ কতদিন বাঁচে বিষয়টি জানতে গিয়ে আমাদের ব্লাড ক্যান্সারের কিছু লক্ষণ জানা দরকার। ব্লাড ক্যান্সার নাম শুনলেই আমাদের অনেকে ভীষণ ভয় লাগে। শরীর আঁতকে ওঠে। ব্লাড ক্যান্সার মানেই হচ্ছে মানুষের মৃত্যু। কিন্তু বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নত চিকিৎসার সাথে সাথে
ক্যান্সার চিকিৎসা করে একজন মানুষকে সুস্থ জীবন যাপন করার লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হচ্ছে। ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ গুলি হতে পারে-শরীর দুর্বল, শরীরের রক্ত স্বল্পতা, বুক ধরফর করা, জ্বর এবং সর্দি, কাশি হওয়া, মাড়ি থেকে রক্তপাত বা রক্তক্ষরণ হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, চামড়ার নিচে রক্তক্ষরণ ইত্যাদি লক্ষণ হতে পারে।
চিকিৎসকদের একটি পরিসংখ্যান এর উপর ভিত্তি করে ব্লাড ক্যান্সার রোগী কতদিন বাঁচতে পারে। তার একটি ধারণা নিম্নে উল্লেখ করা হলো-তবে উল্লেখিত সময়ের মধ্যে রোগীর বাঁচার হার অথবা সময় কম বেশি হতে পারে।
- যে সমস্ত ক্যান্সার রোগীদের রক্তে লিউকোমিয়ারের হার অনেক বেশি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য বাঁচার হার ৮৫% এর বেশি থাকে।
- যেসব রোগীর রক্তে মাইলজেনাস লিউকোমিয়ার হার অনেক বেশি থাকে, তাদের ক্ষেত্রে পাঁচ বছরের জন্য বাঁচার হার হতে পারে 56% বেশি।
- যেসব ক্যান্সার রোগীদের রক্তে মাইলোমেনসাইটিক লিউকোমিয়া শুরুর দিকে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে ৫ বছরের জন্য বাঁচার হার ৫০% কিংবা এর বেশিও হতে পারে।
কোন ক্যান্সার রোগীর অবস্থা যখন খুবই খারাপ হয়ে যায় ।তখন ডাক্তার সাহেবরা একটা ধারণা দিতে পারে যে দুই মাস অথবা তিন মাস অথবা পাঁচ থেকে দশ দিনের মধ্যে রোগী মারা যেতে পারে। তবে কোন ফিক্সড বা নির্দিষ্ট কোনো সময় বলতে পারবে না যে এই রোগীটি কতদিন বাঁচবে।
ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ:
ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ বিষয়টি আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হলেও ব্লাড ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর লক্ষণ গুলো আমাদের জানা খুবই জরুরী। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বিভিন্ন পরীক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে বেশ কয়েকটি ব্লাড ক্যান্সারে মৃত্যুর লক্ষণ উল্লেখ করেছেন এবং এই পরীক্ষায় প্রায় ৩৫৭ জন
আরো পড়ুন :ব্রেন টিউমার হলে কিভাবে বুঝবো জানতে চোখ রাখুন
ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীর উপর বিভিন্ন গবেষণা করা হয় ।এই গবেষণায় প্রায় 57 শতাংশ রোগী এই লক্ষণগুলো নিয়ে মারা গেছে। তার মধ্যে কিছু সাধারণ বা common লক্ষণগুলো নিম্নে তুলে ধরলাম-
- চিকিৎসকদের মতে, ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী আলোর বৃদ্ধি বা হ্রাস চোখের পিউপিল কোন কাজ করে না। চিকিৎসক রোগীর এক ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে যখন জানতে পারেন যে তার চোখে পিউপলে কোন পরিবর্তন হচ্ছে কিনা। যদি না হয় তাহলে ধরে নিতে হবে সেই রোগীর মৃত্যু খুব সন্নিকটে।
- ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী যদি কথা বলার সময় জিহবার প্রতিক্রিয়া অথবা কার্য ক্ষমতা কমে যায় এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী যখন কথা বলার সময় মুখ এবং জিহবার কার্যকারিতা কমতে শুরু করে। তখন বুঝে নিতে হবে বা ধারণা করে নিতে হবে যে রোগীর খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যু হবে।
- ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর চোখের পাতা বন্ধ করতে পারে না এবং রোগীর মাথা সামনের দিকে ঝুঁকে কে চলে আসে। সে ক্ষেত্রে বোঝা যায় যে রোগীর মৃত্যু দ্রুত হতে পারে।
- ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগী যখন একেবারেই দৃষ্টিশক্তি হারিয়ে ফেলে ।তখন নিশ্চিত করে বলা যায় যে রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
- অনেক রোগীর ক্ষেত্রে নাক থেকে অথবা ঠোঁটের দুই কোণ পর্যন্ত ব্যাপক ভাঁজ পড়ে যায় এবং সেগুলো কেমন যেন সুস্ক-রুক্ষ হয়ে যায়। এটা আরেকটি ক্যান্সার রোগীর মৃত্যুর বড় লক্ষণ।
- ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগীর আরেকটি বড় লক্ষণ হল মাথা সামনের দিকে নিয়ে আসা অর্থাৎ রোগী যতই চেষ্টা করুক না কেন তার মাথা ঝেড়ে সে কথা বলতে পারছে না বা দেখতে পারছে না ।এবং অনেক সময় দেখা যায় যে কন্ঠনালী থেকে গড়গড় শব্দ হচ্ছে ।এ ধরনের সমস্যা বা লক্ষণ দেখা দিলে ধারণা করে নিতে হবে যে রোগীর মৃত্যু অতি নিকটে।
- ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগী যখন কোন কিছুই খেতে পারবে না বা খাওয়া দাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিবে। তখন বুঝে নিতে হবে যে রোগীর অল্প সময়ের মধ্যেই মৃত্যু হবে।
গবেষণায় এ লক্ষণগুলো যেসব রোগীর মধ্যে দেখা যেতে শুরু করেছিল। তাদের সবাই পরবর্তী তিন দিনের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছে।
ক্যান্সার সনাক্ত করার জন্য সবচেয়ে কার্যকর প্রযুক্তি কোনটি:
ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া রোগী মৃত্যুর লক্ষণ গুলো উপরের অংশে আলোচনা করেছি। এ পর্যায়ে ক্যান্সার সনাক্ত করার জন্য যে প্রযুক্তি রয়েছে তা এখন আলোচনা করার প্রয়োজন মনে করছি। আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকবেন।
ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য বা ক্যান্সার হয়েছে কিনা তা টেস্ট করার জন্য বায়োপসি সবচেয়ে সুনির্দিষ্ট ডায়গনিস্টিক পরীক্ষা যা চিকিৎসকদের অফিসে বা অপারেটিং রুমে করা যেতে পারে। এটা হচ্ছে যে জায়গায় টিউমার অথবা কোন সমস্যা হয়েছে সেখান থেকে অল্প একটু চামড়া কেটে নিয়ে ডায়গনস্টিক
পরীক্ষা করায় হচ্ছে ক্যান্সার সনাক্তকরণের জন্য বায়োপসি টেস্ট করার প্রযুক্তি। এটি টেস্ট করার পরে একটা রিপোর্ট হয়। সেই রিপোর্টটি তখন চিকিৎসক পড়ে দেখেন যে রোগীর ক্যান্সার হয়েছে কিনা। এক্ষেত্রে চিকিৎসকরা বলেন,বায়োপসি টেস্ট করতে গেলে রোগীরা অস্বস্তি বোধ করে।
সেই সাথে অস্ত্র প্রচার এবং মোটা অংকের টাকা খরচের কারণে জটিলতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই স্টাটিক ড্রপ্লেট মাইক্রোফ্লূইডিক ডিভাইসটি দ্রুত সঞ্চালিত টিউমার কোষ সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। এটা প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়া টিউমার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে রক্ত প্রবাহে প্রবেশ করে।
ডিভাইসটি সাধারণ রক্তের কোষ থেকে টিউমার কোষকে আলাদা করতে ক্যান্সারের একটি বিপাকীয় ব্যবহার হয়ে থাকে।বায়োপসি প্রযুক্তিগুলো সময় সাপেক্ষ, ব্যয়বহুল এবং দক্ষ অপারেটরদের উপর নির্ভর করে। বর্তমানে কিছু গবেষক, শিক্ষক ও জার্মানি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন গবেষক ক্যান্সারের রক্ত পরীক্ষার জন্য এলাইজা মেশিন উদ্ভাবন করেন।
এই এলাইজা মেশিন ব্যবহার করে সাধারণ রক্ত পরীক্ষার মতই মাত্র ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা খরচেই একেবারে প্রাক প্রাথমিক পর্যায়ের ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়।
ক্যান্সার রোগ নির্ণয় করতে কি কি টেস্ট করতে হয়:
ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ এবং ব্লাড ক্যান্সার রোগীদের মৃত্যুর জন্য কি কি লক্ষণ থাকে। সে সম্পর্কে আপনি মোটামুটি একটি ধারণা পেয়েছেন। তো এ পর্যায়ে আসুন আমরা ক্যান্সার রোগ নির্ণয় করতে কি কি টেস্ট করতে হয়। সে সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করি।
সাধারণত ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য ক্যান্সার সম্পর্কিত টেস্ট বা পরীক্ষাগুলো হল বায়োপসি টেস্ট, ল্যাব টেস্ট ,ইমেজিং টেস্ট ইত্যাদি। তবে এগুলোর মধ্যে বায়োপসি টেস্ট হচ্ছে ক্যান্সারের সঠিক শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে বেশি প্রযোজ্য হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতে ক্যান্সারের ধরন অনুযায়ী অথবা কি ধরনের ক্যান্সার তার উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন ধরনের টেস্ট করা হয়। সেগুলো হলো-
স্তন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে:
- এমআরআই টেস্ট (MRI Test)-স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য এই ক্যান্সারে ঝুঁকির মাত্রা যখন বেড়ে যায় তখন চিকিৎসকরা এমআরআই করানো জরুরী মনে করেন।
- ম্যামোগ্রাফি-(Mamography Test) এটা এক ধরনের এক্সরে পরীক্ষা যার মাধ্যমে ক্যান্সারের সূক্ষ্ম পরিবর্তন বা ক্ষুদ্র টিউমার ও শনাক্ত করা যায়।
- ইউ এস জি টেস্ট( USG Test)- স্তন ক্যান্সার শনাক্ত করার জন্য এই টেস্ট করানো হয়। স্তনের যেকোনো চাকা বিশেষ করে ছোট ছোট চাকার মত দেখা দিলে এই পরীক্ষাটি করা হয়।
জরায়ু ক্যান্সারের ক্ষেত্রে:
- এইচ পি ভি পরীক্ষা (HPV Test)-জ্বরায়ুর মুখে ক্যান্সারের জন্য দায়ী হচ্ছে হিউম্যান Papilloma ভাইরাস। সেজন্য এই পরীক্ষার মাধ্যমে এ ধরনের ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়
- কলপোস্কপি-এই ধরনের পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ু এবং জরায়ু মুখের পরিবর্তন সহ প্রয়োজনীয় কোষ সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে শুরুতেই ক্যান্সার শনাক্ত করা যায়।
কোলন ক্যান্সারের ক্ষেত্রে:
- কোলনোস্কপি-এই পরীক্ষায় একটি সূক্ষ্ম আলোক নল মলদ্বার দিয়ে প্রবেশ করানো হয় । এর মাধ্যমে চিকিৎসক ক্যান্সারের কোষ স্পষ্ট ভাবে দেখতে পারেন।
- ফেকাল অকাল্ট ব্লাড টেস্ট-এই পরীক্ষার মাধ্যমে জরায়ু মুখের বা মলের রক্ত পরীক্ষা করা হয়।
ফুসফুস ক্যান্সারের ক্ষেত্রে:
- এক্সরে-ফুসফুসের ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য এক্সরে পরীক্ষা একটি প্রয়োজনীয় পরীক্ষা।
- সিটি স্ক্যান-ফুসফুসের সূক্ষ্মভাবে ক্যান্সার সনাক্ত করার জন্য সিটি স্ক্যান একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা।
- স্পাটাম সাইটোলজি-এই পরীক্ষাটি রোগীর কফ ক্যান্সার কোষ সনাক্ত করার জন্য বিশেষ কার্যকর।
পোস্টেঠ ক্যান্সারের ক্ষেত্রে:
- ডিজিটাল রেক্টাল এক্সামিনেশন-চিকিৎসক রোগীর মলদ্বারে গ্লাভস পরিহিত আঙ্গুল প্রবেশ করে কোন অস্বাভাবিকতা আছে কি না তা পরীক্ষা করেন।
- প্রোস্টেট স্পেসিফিক আন্টি জেন টেস্ট-প্রোস্টেট ক্যান্সার সনাক্ত করার জন্য এবং এ ধরনের ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি মনে হলে চিকিৎসক এ ধরনের রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে পরীক্ষা করে থাকেন।
- ট্রান্স রেক্টাল বায়োপসি টেস্ট-চিকিৎসকরা টিস্যু সংগ্রহ করে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগ সনাক্ত করেন ।
- ডি এন এ টেস্ট-ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শরীরের মধ্যে সাধারণ কোষ নাকি ক্যান্সার তা সনাক্ত করা যায়। চিকিৎসকরা রক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করেন যে ডিএনএ তে কোন মিউটেশন আছে কিনা।
আপনার যদি কোন সন্দেহ হয় যে আপনার কোন ক্যান্সার হয়েছে কিনা । তবে সেক্ষেত্রে আপনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে উল্লেখিত ক্যান্সার সনাক্তকরণের পরীক্ষাগুলি করিয়ে নিতে পারেন।
শেষ কথা-ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে:
প্রিয় পাঠক আর্টিকেলের শেষপ্রান্তে এসে আমি এই কথা বলে শেষ করবো যে ক্যান্সার সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু তথ্য আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি ।ব্লাড ক্যান্সার হলে কতদিন বাঁচে মানুষ, ব্লাড ক্যান্সারে রোগের মৃত্যুর লক্ষণ, ব্ল্যাড ক্যান্সারের বিভিন্ন ধরনের টেস্ট এবং প্রযুক্তি সম্পর্কে আলোকপাত করেছি।
আরো পড়ুন: মেয়েদের বুকের মাঝখানে ব্যথা হলে করণীয়- মেয়েদের বুকে ব্যথা কেন হয়
আশা করছি আপনি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারী পড়েছেন এবং সেইসাথে কিছুটা হলেও উপকৃত হয়েছে। তাই আমার এই পোস্টের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করলাম।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url