ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে , নাকি মারা যায় জেনে রাখুন

সম্মানিত পাঠক, ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে জানতে আর্টিকেলটি পড়বেন। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব যে ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে, নাকি মারা যায়। 

চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে, নাকি মারা যায়। সেই সাথে ব্রেন টিউমার হলে করণীয় কি সেটাও আপনাদের সাথে শেয়ার করব।

ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে : 

টিউমার হচ্ছে এমন একটা জটিল বা কঠিন রোগ যা মানুষের জীবনে যে কোন বয়সে এ রোগ হতে পারে। ব্রেন টিউমার মস্তিষ্কের ভিতরের কোষগুলো অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি হলে টিউমারের সৃষ্টি হয়। অথবা মস্তিষ্কের কোষগুলো অস্বাভাবিক বৃদ্ধিই হল ব্রেন টিউমার। 

আরো পড়ুন: টিউমার কিভাবে ক্যান্সারে পরিণত হয় জানতে চোখ রাখুন

অনেক সময় দেখা যায় ভালোভাবে চিকিৎসা করার পরেও অথবা ব্রেন টিউমারের অপারেশন বা সার্জারি করার পরেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। এই ব্রেন টিউমার দুই ধরনের একটি হচ্ছে বিনাইন টিউমার। যা জটিল আকার ধারণ করে না বা এটা ক্যান্সারে পরিণত হয় না।

আর অন্যটি হচ্ছে ম্যালিগন্যান্ট টিউমার। এটা হচ্ছে খুব খারাপ ধরনের টিউমার যা ক্যান্সারে পরিণত হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমার মস্তিষ্ক থেকে উৎপত্তি হয়। আবার কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় শরীরের যে কোন অঙ্গে অথবা যেকোন স্থানে টিউমার হয়ে মস্তিষ্কে বা ব্রেনে ছড়িয়ে পড়ে।

ম্যালিগন্যান্ট বা ক্যান্সার জাতীয় টিউমার আবার দুই ধরনের। যথা-১) প্রাথমিক ম্যালিগন্যান্ট-এটা মস্তিষ্কের ভেতর থেকে উৎপত্তি হয়। ২) মেটাস্টেটিক ম্যালিগন্যান্ট -এটা শরীরের যেকোন জায়গায় বা শরীরের যেকোনো স্থানে অথবা শরীরে যেকোন অঙ্গে উৎপন্ন হয়ে মস্তিষ্কে ছড়িয়ে পড়ে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিনাইন টিউমার হল একটি সাধারণ টিউমার যা চিকিৎসার মাধ্যমে বা ওষুধের মাধ্যমে ভালো করা সম্ভব। এই ধরনের টিউমার ক্যান্সারে পরিণত হয় না। তাই বিনাইন টিউমারের জন্য মৃত্যুর ঝুঁকি নেই বললেই চলে। আর ম্যালিগন্যান্ট টিউমার ক্যান্সার হিসাবে গণ্য করা হয় ।

এই ধরনের টিউমার দ্রুত গতিতে মস্তিষ্কে এবং শরীরের অন্যান্য স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা নিলে এ ধরনের টিউমারও সেরে যায় ।কিন্তু এ ধরনের টিউমারের ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা না নিলে রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবং কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা গেছে যে উন্নত চিকিৎসা, সার্জারি 

বা অপারেশন বিভিন্ন ধরনের থেরাপি যেমন রেডিওথেরাপি ,কেমোথেরাপি ইত্যাদি দিয়েও ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। সুতরাং কেউ যদি প্রশ্ন করেন যে ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে ? এর উত্তরে বলা যেতে পারে যে ব্রেন টিউমার হলেই যে মানুষ মারা যাবে বা মানুষের মৃত্যু হবে এমনটি নয়। 

চিকিৎসা করে ব্রেন টিউমার ভালো করা সম্ভব। তবে ম্যালিগন্যান্ট টিউমারের ক্ষেত্রে ঝুঁকির পরিমাণ বেশি থাকে। এটার উন্নত চিকিৎসা বা অপারেশন বা সার্জারি না করলে এ ধরনের রোগীর মৃত্যু হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সুতরাং আপনার যদি কোন টিউমার হয়ে থাকে, যেকোন ধরনের টিউমার সেটা হতে পারে বিনাইন অথবা ম্যালিগন্যান্ট। 

যাই হোক না কেন দেরি না করে খুব তাড়াতাড়ি একজন নিউরো মেডিসিন অথবা সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট শরণাপন্ন হন। শরীরে যেকোনো টিউমার দেখা দিলে এটা দীর্ঘদিন পুষে রাখবেন না। চিকিৎসা না করে দীর্ঘদিন পুষে রাখল দেখা যাবে এক সময় ক্যান্সারে পরিণত হয়ে রোগীর মৃত্যু ঘটতে পারে। আবার ব্রেন টিউমার যদি অতিরিক্ত বড় হয়ে যায় তাহলে রোগী হঠাৎ করে মারা পারেন।

টিউমার হলে করণীয় কি:

ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে, নাকি মারা যায় এই আলোচনা করতে গিয়ে টিউমার হলে কি করতে হবে বা করণীয় কি তা এখন আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করার দরকার বলে মনে করছি। আপনি যদি টিউমার রোগে আক্রান্ত হোন তাহলে কি করবেন ।এটা জানার আগে টিউমারের কিছু লক্ষণ অথবা 

কিভাবে বুঝবেন যে আপনার টিউমার অথবা ব্রেন টিউমার হয়েছে সেটা নিয়ে কিছু টিউমারের লক্ষণ উল্লেখ করলাম-

  • টিউমারের প্রধান লক্ষণ হল মাথাব্যথা ও চোখে ঝাপসা দেখা বা চোখে কম দেখা। তবে মাথা ব্যাথা মানেই যে টিউমার তা বলা যাবে না।
  • আপনার যদি প্রতিদিন সাধারণত খুব ভোরে মাথা ব্যাথা শুরু হয় এবং তার সাথে শরীরে বা হাতে-পায়ে বা অন্য কোন অঙ্গে খিচুনি শুরু হয়ে সারা শরীরে খিচুনি ছড়িয়ে পড়ে ।তাহলে বুঝবেন আপনার ব্রেন টিউমারের জন্য মাথাব্যথা হচ্ছে। 
  • দৃষ্টিশক্তি নষ্ট হওয়া টিউমারের একটি অন্যতম লক্ষণ এবং রোগীর ব্রেনের সামনের অংশে টিউমার হলে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পেতে পারে এবং অস্বাভাবিক আচরণ করতে পারেন।
  • রোগীর যেদিকে টিউমার তার উল্টো দিকে প্যারালাইসিস হয়ে যেতে। 
  • মস্তিষ্কে বা খুলির নিচে  টিউমার হলে রোগী হাঁটাহাঁটি করার সময় পড়ে যেতে পারেন অথবা ভারসাম্য হারিয়ে যেতে পারেন। 
  • কানে ঠিক মতো শুনতে পাবেন না এবং কথা অস্পষ্ট হতে পারে।
  • আপনি যখন শুয়ে থাকেন তখন মানসিক চাপ আরো বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে টিউমারের ব্যথা আরো বাড়তে পারে। 
  • শিশুদের ক্ষেত্রে ব্রেন টিউমার হলে বমি বমি ভাব এবং বমি হয়তো অসুস্থতার কারণ হতে পারে ব্রেন টিউমার।

উপরে উল্লেখিত সমস্যাগুলো আপনার শরীরে দেখা দিলে বুঝবেন যে আপনার ব্রেন টিউমার হয়েছে। তখন খুবই দ্রুত নিউরো মেডিসিন বা নিউরোসার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট শরণাপন্ন হওয়া খুবই জরুরী।সে ক্ষেত্রে চিকিৎসক আপনাকে ব্রেনের সিটি স্ক্যান (CT Scan), এম আর আই 

(MRI), ইসিজি (ECG) ইত্যাদি পরীক্ষা করতে পারেন। এবং এ ধরনের পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর চিকিৎসক প্রয়োজনে আপনার টিউমার অপারেশন অথবা সার্জারি করে দিতে পারেন। ব্রেন টিউমারের চিকিৎসা খুবই জটিল এবং ব্যয়বহুল। এটার চিকিৎসা নির্ভর করে টিউমারের ধরন, তীব্রতা, আকার ও অবস্থানের উপর ভিত্তি করে। 

সার্জারি বা অপারেশন ,কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি এর মূল চিকিৎসা বলে বিশেষজ্ঞরা জানান। লক্ষণের উপর ভিত্তি করে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়। যেমন- খিচুনি,বমির ওষুধ ইত্যাদি । বাংলাদেশে বর্তমানে ব্রেন টিউমারের অনেক উন্নত চিকিৎসা হচ্ছে । এখানে সফলভাবে ব্রেন টিউমারের অস্ত্র প্রচার করা 

সম্ভব হচ্ছে এবং অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের দেশে চিকিৎসা করা হচ্ছে অনেক কম খরচে। এমন ধরনের কিছু টিউমার আছে যেগুলো ক্যান্সার নয়। যেমন- ছোট ছোট চাকার মত ফোলা ভাব, তিল, স্কিনের নিচে অথবা স্কিনের উপরে ছোট ছোট টিউমার হয়। 

এ ধরনের টিউমার অল্প সময়ে এবং খুব সহজে কম খরচে এবং খুব সহজে হাসপাতালে ভর্তি না হয়েও অপারেশন বা সার্জারি করে নিরাময় করা যায়। এই ধরনের টিউমার যখন চুলকায় বা বড় হতে থাকে বা রং পরিবর্তন হতে থাকে তখন শুরু থেকেই এগুলো চিকিৎসা না করলে ভবিষ্যতে ক্যান্সারে পরিণত হয়ে রোগীর বড় ধরনের ক্ষতি হতে পারে বা ঝুঁকির সম্মুখীন হতে পারে।

টিউমার হলে কি খাওয়া উচিত: 

আপনার শরীরে যদি কোন টিউমার হয় অথবা টিউমার যদি নাও হয়ে থাকে তারপরেও সুষম খাবার খেলে টিউমার সহ শরীরের অন্যান্য রোগের জন্য বিশেষ উপকার হবে। তাইতো ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে ?এটি আলোচনা করতে গিয়ে টিউমারের জন্য কি খাওয়া উচিত। সেটা আলোচনা করার প্রয়োজন পড়ে যাচ্ছে। 

আরো পড়ুন: ব্রেন টিউমার হলে কিভাবে বুঝবো জানতে চোখ রাখুন

কি কারনে ব্রেন টিউমার হয় তার সঠিক কারণ এখন পর্যন্ত সঠিকভাবে জানা যায়নি। তবে অনেক ক্ষেত্রে বংশ গতির প্রভাবে ব্রেন টিউমার হতে পারে। অতিরিক্ত রেডিয়েশনের মধ্যে থাকলে ব্রেন টিউমারের ঝুঁকি হতে পারে। এক সমীক্ষায় দেখা গেছে যারা মোবাইল ফোন বেশি ব্যবহার করে তাদের মধ্যে এই ধরনের রোগের ঝুঁকি থাকে। 

তাছাড়া রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত খাবারের এ ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। নিয়মিত শরীর চর্চা, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, ব্রেন টিউমার সহ যেকোনো ক্যান্সার এবং অন্যান্য শরীরের রোগের এবং টিউমারের বৃদ্ধি সহ রোগের প্রতিরোধ করা যেতে পারে। অতিরিক্ত কীটনাশক ব্যবহার করা খাবার,মাইক্রোওয়েভ 

ব্যবহারের মাধ্যমে তৈরী খাদ্য ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। তাজা শাকসবজি, ফলমূল, দুধ ,ডিম ,মাছ, মাংস, আঁশ যুক্ত খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ সহ নিয়মিত ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত পানি পানের মাধ্যমে সুস্থ ও ভালো থাকা সম্ভব। এবং নিয়মিত ৮ থেকে ৯ ঘণ্টা ঘুম এবং মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

মৌসুমী শাকসবজি- আমাদের দেশে অনেক সবুজ শাকসবজি পাওয়া যায় এবং দামে সস্তা ।এই শাকসবজির মধ্যে যেমন- পালং শাক, লেটুস পাতা ,ব্রকলি, সিম জাতীয় সবজি,হেলনচা শাক, ক্যারেজ জাতীয় সবজি যেমন-ফুলকপি,বাঁধাকপি, শালগম ওলকপি এবং গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, 

মিনারেল, এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি টিউমার প্রতিকার ও প্রতিরোধের জন্য একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

মাশরুম-মাশরুমে রয়েছে আমিষ, শর্করা, চর্বি এবং ভিটামিন মিনারেল যা ভেজস গুণে ভরপুর। মাশরুমে রয়েছে এন্টি ক্যান্সার এবং এন্টি টিউমার প্রপার্টি। এমনকি কেমোথেরাপির পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার জন্য এটি একটি দারুণ পুষ্টিকর খাবার। তাই নিয়মিত মাশরুম খেলে (অন্তত সপ্তাহে দুইবার থেকে তিনবার) মাশরুম খেলে ভালো উপকার পাওয়া যেতে পারে।

দুধ-দুধ একটি সুষম খাবার ।এতে রয়েছে ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এবং প্রোটিন যা মানুষের শারীরিক বিভিন্ন ধরনের চাহিদা মেটাতে সহায়তা করে। বিশেষ করে হাড় এবং দাঁত মজবুত করতে সহায়তা করে এবং শরীরে বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সেই সাথে এটাও বলা যেতে পারে যে দুধ টিউমার এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়।

মাছ- মাছ আমরা কমবেশি সবাই পছন্দ করি এবং আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন ধরনের মাছ পাওয়া যায়। দেশীয় মাছের পুষ্টি অনেক গুন বেশি থাকে। যেমন- মলা ঢেলা, ছোট মাছ এবং সামুদ্রিক অন্যান্য মাছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি, ভিটামিন সহ রয়েছে প্রচুর এন্টি ক্যান্সার উপাদান,ফ্যাটি এসিড যা টিউমার প্রতিকার -প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

হলুদ- হলুদ হচ্ছে এক প্রকার এন্টিবায়োটিক হিসাবে আমাদের শরীরে দারুন কাজ করে থাকে। হলুদ আমাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এটি নতুন টিউমার হওয়া রোধ করে এবং রক্ত উৎপাদনে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। খাঁটি গুড়া হলুদ হালকা গরম 

দুধের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে অথবা খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ নিয়মিত খেলে টিউমার সহ নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।

ফলমূল- বিভিন্ন ধরনের ফলমূল যেমন- টমেটো, বেদেনা ,আপেল, ডালিম ইত্যাদি ফল মূলের মধ্যে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে ব্রেস্ট টিউমার ,পাকস্থলীর ক্যান্সার ,স্তন ক্যান্সার সহ নানা ধরনের টিউমার এবং  কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।

বাদাম- সব ধরনের বাদামে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধ বিরোধী পুস্টি উপাদান। এক্ষেত্রে গবেষকরা বলেন , আখরোটে রয়েছে এলাগিটানিন  আর গামাটেকোফেরোল যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সারের বা টিউমারের সৃষ্টি কমাতে সাহায্য করে। বাদামের নানা উপাদান শরীরের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট লেবেল কমে গেলে অঙ্গ এবং টিস্যুর যে ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা করে।

এছাড়া টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে লাল চালের ভাত, লাল আটার রুটি,ডাল,মটরশুটি ইত্যাদি খাবারে স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সহায়তা করে এবং সেইসাথে টিউমার এবং ক্যান্সার প্রতিরোধে ভূমিকা রাখে।

ব্রেন টিউমার চিকিৎসা না করলে কি হয় ?

আমাদের শরীরে যেকোনো ধরনের অসুখ-বিসুখ হোক না কেন চিকিৎসা করতেই হবে ।এর কোন বিকল্প নেই আর কেউ যদি চিকিৎসা না করে তাহলে অসুখ আরো জটিল আকার ধারণ করতে পারে। তাই যেকোনো ধরনের অসুখ হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এটাই স্বাভাবিক। 

আগেই উল্লেখ করেছি যে টিউমার হল দুই ধরনের। একটি হল বিনাইন টিউমার যা ক্যান্সারে পরিণত হয় না । এ ধরনের ব্রেন টিউমার চিকিৎসা করলে খুব সহজে ভালো হয়ে যেতে পারে।আর অন্যটি হলো ম্যালিগন্যান্ট টিউমার যা খুব জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ। এটা ক্যান্সার নামেও পরিচিত। 

এ ধরনের টিউমার দ্রুত মস্তিষ্কের বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।এ ধরনের চিকিৎসা খুব জটিল ব্যয়বহুল এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার।চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের টিউমার অপারেশন বা সার্জারি করে ভালো করা সম্ভব। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এই ধরনের টিউমার উন্নত চিকিৎসা করেও ভালো ফলাফল পাওয়া যায় না। 

তবে এই ধরনের টিউমার সঠিক সময়ে চিকিৎসা দেওয়া না হলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। মস্তিষ্কের টিউমারের জন্য চিকিৎসা পদ্ধতি হচ্ছে মেডিকেল চিকিৎসা, সার্জারি ,রেডিওথেরাপি ,কেমোথেরাপি ইত্যাদি। সার্জারি বা অপারেশন ব্রেন টিউমারের মূল চিকিৎসা । কিছু কিছু টিউমার আছে যা মস্তিষ্কের মূল অংশ থেকে আলাদা থাকে। 

আরো পড়ুন: শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় কি

এদের চতুর্দিকে পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে। এ ধরনের টিউমার পুরোপুরি কেটে ফেলা সম্ভব হয়। কিছু ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের মূল অংশে টিউমার দেখা দেয়। সে সব ক্ষেত্রে পুরোপুরি কেটে ফেলা যায় না। এটা আংশিক কেটে ফেলে পরে আবার বাকিটা চিকিৎসা করতে হয়। মোটকথা হলো ব্রেন টিউমার সঠিক সময়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা না করলে এটা ধীরে ধীরে ক্যান্সারে পরিণত হয়ে রোগীর মৃত্যু হতে পারে।

শেষ কথা-ব্রেন টিউমার হলে কি মানুষ বাঁচে :

সম্মানিত পাঠক বন্ধুরা ,আমি বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে এই কথা বলে ইতি টানবো যে আপনার যদি কোন টিউমার হয়ে থাকে। তাহলে কোন টেনশন বা চিন্তা ভাবনা না করে নিউরো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অথবা সার্জারি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট দ্রুত যোগাযোগ করুন। 

এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করুন ।তা না হলে উক্ত টিউমার ব্যাথা-বেদনা না থাকলেও ধীরে ধীরে এটি জটিল আকার ধারণ করে ক্যান্সারে পরিণত হতে পারে । এবং শেষ পর্যন্ত আপনি বড় ধরনের ঝুঁকির সম্ভাবনায় পড়তে পারেন।এমনকি রোগীর মৃত্যুও হতে পারে। 

পুরো পোস্টের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এবং আপনি দয়া করে এই পোস্টটি অন্যান্য ব্যক্তিদের কে শেয়ার করে দিন যেন তারাও পোস্টটি পড়ে টিউমার সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url