বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার আমরা অনেকেই এই সম্পর্কে প্রশ্ন করি। আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার তা জানতে পারবেন। তাহলে চলুন বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার
আজকের এই আর্টিকেলটি আমাদের সকলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্মার্টফোনের পাশাপাশি আমাদের অনেকেরই বাটন ফোন প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে বাটন ফোন কেনার সময় যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা দরকার তা জানতে হবে।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

ভূমিকা | বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

আজকের এই আর্টিকেলের প্রধান আলোচ্য বিষয় হচ্ছে বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার। এর পাশাপাশি বাটন ফোন কোনটা ভালো এবং ১২০০ টাকার মধ্যে বাটন মোবাইল সহ আরো যাবতীয় বিষয়ে একটা বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব ইনশাল্লাহ। কাজেই এই আর্টিকেলটি পড়ুন অনেক বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন। 

এই বিষয়গুলো জানার জন্য অবশ্যই আপনাকে এই আর্টিকেলটি মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে আজকের মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

বাটন ফোন কোনটা ভালো

বাটন ফোন কোনটা ভালো এই সম্পর্কে আমরা সকলেই জিজ্ঞাসা করে থাকি। বর্তমান সময়ে আমাদের স্মার্টফোনের পাশাপাশি নানা রকম সুবিধার জন্য একটি বাটন ফোনের প্রয়োজন হয়। এ রিপ্রেক্ষিতে আমরা বাটন ফোন কোনটা ভালো এই প্রশ্নটি করে থাকি। বাজারে ভালো বাটন ফোনের মধ্যে প্রথমে রয়েছে নোকিয়া। সবচেয়ে ভালো হবে নোকিয়ার বাটন ফোনগুলো। 

নোকিয়া এবং স্যামসাং এর বাটন ফোনগুলো সবচেয়ে ভালো হবে। কল কোয়ালিটি থেকে শুরু করে সবকিছুতেই নোকিয়া এবং স্যামসাং এগিয়ে অন্যান্য ফোনের থেকে। আপনার বাজেট অনুযায়ী আপনি ভালো বাটন ফোন কিনতে পারবেন। বাজারে অন্যান্য বাটন ফোন যেমন ওয়ালটন সহ আরও বাটন ফোন রয়েছে।
সেই বাটন ফোনগুলো আপনি এক হাজার টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন। আপনি যদি এর থেকেও ভালো বাটন ফোন কিনতে চান তাহলে আপনাকে অবশ্যই নোকিয়া এবং স্যামসাংয়ের দিকে নজর দিতে হবে। কারণ সারা বিশ্বব্যাপী নোকিয়াএবং স্যামসাংই সবচেয়ে ভালো বাটন ফোন তৈরি করে থাকে। নোকিয়ার একটি বাটন ফোন রয়েছে যার নাম হল Nokia 5310। এই মডেলটির দাম প্রায় পাঁচ হাজার টাকার মত। 

বুঝতে পারছেন একটি বাটন ফোনের দাম ৫ হাজার টাকা। এই ফোনটিতে আপনি বাটন ফোনের যাবতীয় ফিচার পেয়ে যাবেন। কাজেই আপনার বাজেট যদি ভালো থাকে তাহলে অবশ্যই আপনি ভাল ফোন ক্রয় করতে পারবেন। আর বর্তমান সময়ে এই ফোনগুলোই অত্যন্ত ভালো ফোন। আশা করছি বাটন ফোন কোনটা ভালো এই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।

১২০০ টাকার মধ্যে বাটন মোবাইল

১২০০ টাকার মধ্যে বাটন মোবাইল এটি এখন আমাদের আলোচনার বিষয়। উপরে আমরা সবচেয়ে ভালো বাটন ফোন সম্পর্কে জেনেছি। কিন্তু সবার এই বাটন ফোনগুলো কেনার সামর্থ্য নাও থাকতে পারে। অথবা এত টাকা দিয়ে কেউ বাটন ফোন নাও কিনতে পারে সেজন্য এখন আমরা ১২০০ টাকার মধ্যে বাটন মোবাইল সম্পর্কে জানার চেষ্টা করব। 

মিডিয়াম প্রাইস এর মধ্যে আপনি বাটন ফোন নিতে চাইলে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। এখানে কিছু ফোনের নাম করা হবে যেগুলো আপনি মোটামুটি কম দামের মধ্যেই পেয়ে যাবেন। এই তালিকায় প্রথমে যে ফোনটি রয়েছে সেটি হলো Walton MM24। ওয়ালটনের এই ফোনটির দাম মূলত ১২১৫ টাকার মত। আপনি যদি বারোশো টাকার মধ্যে একটি ফোন খুজেন তাহলে আপনার জন্য এটি ভালো হতে পারে।
এই ফোনটিও মোটামুটি ভালো রয়েছে। ব্যাটারি ব্যাকআপ সহ কল কোয়ালিটিতেও আপনি অনেক সুবিধা পাবেন। আবার বারোশো টাকার মধ্যে আরেকটি ফোন রয়েছে সেটি হচ্ছে Walton Olivo MM26। এই ফোনটির বর্তমান মূল্য প্রায় ১২৫০ টাকার মত। এই ফোনটিতেও আপনি ব্যাটারি ব্যাকআপ এবং কল কোয়ালিটি অত্যন্ত ভালো পাবেন। 

আপনার বাজেট যদি বারোশো টাকার মধ্যে হয় তাহলে এই দুটো ফোন অত্যন্ত সেরা হতে পারে আপনার জন্য। আর যদি বাজেট বেশি হয় তাহলে এর থেকেও ভালো ফোন কিনতে পারবেন। আশা করছি ১২০০ টাকার মধ্যে বাটন মোবাইল সম্পর্কে আপনারা বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন।

বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার তার মধ্যে প্রথমটি হচ্ছে বিল্ড কোয়ালিটি। বাটন ফোনের বিল্ড কোয়ালিটি যাচাই করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। কারণ বাটন ফোনের বিল্ড কোয়ালিটি যদি দুর্বল হয় তাহলে ফোনটি যে কোন সময় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এরপরে বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার তার মধ্যে অন্যতম হলো কোনটিতে সিম সাপোর্ট করছে কিনা।

 অনেক সময় দেখা যায় ফোনে সিমের চেম্বারে অনেক সমস্যা সিম সাপোর্ট করে না। তাই আপনি বাটন ফোন কেনার সময় অবশ্যই সিম সাপোর্ট করছে কিনা সেই বিষয়টি জেনে নিবেন। এবারে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে আমরা জানবো।
সেটি হল আপনার বাটন ফোনের ব্যাটারি। অর্থাৎ আপনার বাটন ফোনে কত মিলি আম্পিয়ার ব্যাটারী রয়েছে সেটা সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ব্যাটারির উপরে নির্ভর করে একটি ফোনে কতক্ষণ চার্জ থাকবে। কাজেই বাটন ফোন কেনার সময় ফোনের ব্যাটারি যেন বেশি মিলি আম্পিয়ারের হয় সেদিকে একটু খেয়াল রাখবেন। 

আবার বর্তমান সময়ে একটি বাটন ফোন কিনার জন্য অবশ্যই দেখবেন আপনার বাটন ফোনটি 4g সাপোর্ট করছে কিনা। আপনি যে সময় বাটন ফোনটি কিনবেন সেই সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে কোন জেনারেশন চলছে সেটি দেখবেন আপনার ফোনে সাপোর্ট করে কিনা। এই বিষয়গুলো একটি বাটন ফোন কেনার সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে এবং চেক করে নিতে হবে। আশা করছি বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার সেই সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা | বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার

আজকের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে বাটন ফোন কেনার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখা দরকার এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে এসেছে। এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি এতটুকু উপকার হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে শেয়ার করবেন। 

তাদেরও এ বিষয়গুলো জেনে রাখা প্রয়োজন। আর এরকম বিভিন্ন বিষয়ের আপডেট খবর পেতে চাইলে এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। ধন্যবাদ। @25155

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url