চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন

প্রিয় পাঠক চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে আপনি যদি জানতে চান তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন। আজ আমি এই আর্টিকেলে চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিব এবং সেই সাথে আপনাদের কে জানিয়ে দেবো চুল পাকা বন্ধের তেল সম্পর্কে। 

চলুন তাহলে পাঠক বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা কিভাবে নেওয়া যায় সে সম্পর্কে আলোচনা করি। 

চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি:

আমাদের মাথার চুল সারা জীবন কালো থাকবে এই ইচ্ছে সকলেরই আছে। চুল যখন পাকে তখন প্রকৃত বয়সের চেয়ে বেশি বয়স্ক দেখায়।তাই চুল পাকার সমস্যার সমাধানে রয়েছে হোমিওপ্যাথি। হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক বলেন, সাধারণত ৩৫ থেকে ৪০ বছর বয়স হওয়ার পর আপনা আপনি একটা-দুটো করে চুল পাকতে শুরু করে। 

আরো পড়ুন :মেয়েদের চুল পড়া রোধে কোন শ্যাম্পু ভালো

এমনকি এই বয়সের পরে পরবর্তী ১০ বছর অন্তর 20 পার্সেন্ট চুল পাকতে থাকে। চুল পাকার প্রধান কারণ হলো হেয়ার ফলিকলে মেলানিনের মাত্রা কমে যাওয়া। মেলানোসাইট কোষগুলি স্বাভাবিক মাত্রায় মেলানিন তৈরি করতে না পারলে চুলের রং সাদা হতে শুরু করে। বিভিন্ন ধরনের কারণে চুল পাকা শুরু হতে পারে। 

যেমন- কঠিন কোন অসুখ, বংশগত, ভিটামিনের অভাব, রোদের মধ্যে থাকা চুলে তাপ প্রয়োগ করা, কলপ ব্যবহার করা, হেয়ার ড্রাই ব্যবহার করা, অতিরিক্ত ধূমপানের অভ্যাস, খারাপ শ্যাম্পু ব্যবহার, টেনশন অতিরিক্ত চিন্তা, ঘুম কম হওয়া, পানি কম খাওয়া ইত্যাদি কারনে কাঁচা চুল সাদা হতে পারে। 

তাই প্রথমেই কি জন্য চুল পাকা শুরু হয়েছে সেটি আগে খুঁজে বের করতে হবে। তারপর সেই কারণ অনুযায়ী প্রাথমিক অবস্থা থেকেই হোমিওপ্যাথির সাহায্য নিলে চুল সাদা হওয়ার অগ্রগতি অনেকটাই রোধ হয়ে যাবে। চুল কেন পাকছে সেই কারণ চিহ্নিত করা আগে দরকার এবং সেই অনুসারে ওষুধ দিতে হবে। 

হোমিওপ্যাথিতে লাইকোপেডিয়াম, সালফার, সোরাইনাম, ক্যালকেরিয়া কার্ব, সিলিনিয়াম, ফসফরাসের মত ঔষধ গুলি চুল পাকা রোধে খুব ভালো কাজ করে। তবে কোন রোগের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ওষুধ সবচেয়ে ভালো কাজ করবে। সেই জন্য একজন হোমিওপ্যাথিক অভিজ্ঞ চিকিৎসক বুঝতে পারেন। 

কিন্তু আর্নিকা, যাবোরান্ডি, আমলকি মাদার টিংচার নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশ্রণ করে মাথার চুলে ব্যবহার করলে চুল পাকা বন্ধের জন্য উপকার পাওয়া যেতে পারে। গবেষকরা বলেন, অকালে চুল যখন পাকে তখন হোমিওপ্যাথিতে অনেক কার্যকর ওষুধ আছে তবে অবস্থান ভেদে শারীরিক লক্ষণ বিবেচনা করে রোগের ব্যক্তিত্বের উপর নির্ভর করে হোমিও ঔষধ ব্যবহার করতে হয়।চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি এর তালিকা নিম্ন রূপ-

লাইকোপোডিয়াম ক্লাভাটাম (Lycopodium Clavatum200) হোমিওপ্যাথি ওষুধের মধ্যে এটি হচ্ছে বিশেষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে সর্বোত্তম প্রতিকার। এটি  তাড়াতাড়ি চুল পাকা, চুল পড়ে যাওয়া, চুলের ধূসর দাগ, খুশকি, তীব্র চুলকানি ও জ্বালাপোড়া সহ মাথার ত্বকে দুর্গন্ধ বিভিন্ন ধরনের কাজ করে। তাই আপনি চাইলে আপনার চুলের সমস্যা দূর করার জন্য এই ওষুধটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।

ন্যাট্রাম  মুরীয়াশিকাম (Natrum Muriaticum200) পাকা চুল এবং চুল পড়ার জন্য এই ওষুধটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে এটি ধূসর চুলের জন্য বিশেষ উপযোগী। আয়রনের ঘাটতি, ভিটামিন বি ১২ এবং ডি৩, ক্যালসিয়ামের ঘাটতি সহ পাকা চুল এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া মাথাব্যথা রোধ সহ স্বাস্থ্যের উন্নতি করে এই ওষুধ টি। 

ফসফরিক এসিড (Fosforic Acid 6c) পাকা চুলের জন্য অন্যতম সেরা প্রতিকার এবং চুলের কালার পুনরুদ্ধার করতে এটি একটি খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। বিভিন্ন ধরনের টেনশন, দুঃখ, মানসিক চাপ ইত্যাদির কারণে চুল পাকা ক্ষতির পরে চুল এবং চুল পড়া বন্ধ করতে এই ওষুধটি ব্যাপক ভূমিকা রাখে।

পিলোকার্পাস (যাবোরান্ডি)Pilocurpus 1000 (Jaborandi) এই ওষুধটি সাদা চুল কালো করতে সহায়তা করে। মাথার তালুর অত্যাধিক সুস্ক রোধ করে। তাই আপনি চাইলে এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে যে কোন ওষুধ খাওয়া অথবা ব্যবহার করার পূর্বে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ দিয়ে খেতে হবে বা ব্যবহার করতে হবে।

 ফসফরাস২০০(Fosforus) ফসফরাস হল অকালে চুল পাকা ও অকালে চুল পড়ে গিয়ে মাথা টাক হয়ে যাওয়া রোধে একটি সেরা হোমিওপ্যাথি ওষুধ। মাথার লাল চুল, তীব্র চুলকানি রোধ করতে এটি সাহায্য করে।

সিলিনিয়া ২০০(Shelinia200) এটি হল একটি চুল পাকা রোধ করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পাকা চুল এবং অকালে টাক  প্রতিকার হিসাবে এটি দারুন কাজ করে। মাথার ত্বক চুলকানি ও কাটা, প্রচন্ড ঘাম ইত্যাদি রোধ করে।

উপরোক্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধগুলো অকালে চুল পাকা, চুল পড়া চুল লাল হওয়া ত্বকের চুলকানি ইত্যাদি রোধ করতে সাহায্য করে। এগুলো ব্যবহার করার আগে অথবা সেবনের আগে অবশ্যই একজন অভিজ্ঞ হোমিও চিকিৎসকের নিকট পরামর্শ নিন।

চুল পাকা বন্ধের তেল: 

চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি সম্পর্কে উপরে আলোচনা হয়েছে। এখন চুল পাকা বন্ধের তেল সম্পর্কে কিছু তথ্য দিব আশা করি আমার এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকবেন।

নারিকেল তেল- চুলপাকা রোধ করার জন্য নারকেল তেল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বর্তমানে নারকেল তেল চুলের উপকারের জন্য কোন জুড়ি নেই। বেশিরভাগ মানুষই বিশেষ করে মহিলারা নারকেল তেল চুলের উপকারের জন্য ব্যবহার করে থাকেন। একটি পাত্রে ৩ চামচ নারিকেল তেল তার সঙ্গে পাঁচ ছয়টি কারি পাতা মিশিয়ে হালকা একটু গরম করে নিন ।

আরো পড়ুন: মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ- চুল গজানোর তেলের নাম

এবার ঠান্ডা করে চুলের গোড়ায় এই তেল ম্যাসাজ করুন। এরপর ঘন্টাখানেক পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে তিন থেকে চার সপ্তাহ ব্যবহার করলে আপনার চুল কালো হবে এবং অকালে চুল পাকা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।তিন চা চামচ হালকা গরম নারিকেল তেলের সঙ্গে দুই চামচ আমলকির গুঁড়া মিশিয়ে তেল ঠান্ডা করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন।

এইভাবে সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করব এক ঘন্টা পরে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ।তাহলে দেখবেন চুলের অকাল পেকে যাওয়া সমস্যা দূর হয়ে যাবে।এছাড়া দুই চা চামচ হালকা গরম নারিকেল তেলের সঙ্গে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে হালকা ঠান্ডা করে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। তারপর এক ঘন্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

এই ভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ব্যবহার করলে ভিটামিন সি যুক্ত লেবু এবং নারিকেল তেল চুলের পিগমেন্টেশন বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

সরিষার তেল- অকালে চুল পেকে যাওয়া আটকাতে সরিষার তেল সবচেয়ে বেশি কাজ করে। খাঁটি সরিষার তেল খুশকি দূর করতে ব্যাপক সহায়তা করে। সরিষার তেলে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও সেলেনিয়াম যা চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। 

এই তেলে রয়েছে প্রাকৃতিক ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুলের ফলিকল ও চুলের গোড়ার জন্য বিশেষ কার্যকর। এছাড়া খাঁটি সরিষার তেলে রয়েছে এন্টিফাঙ্গাল এবং এন্টি ব্যাকটেরিয়াল যা অকালে চুল পাকা বন্ধের জন্য কাজ করে এবং আপনার চুলের গোড়ার স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য কাজ করে। এটি চুল বৃদ্ধির জন্য উপকারী। 

খাঁটি সরিষার তেল হালকা গরম করে তারপর ঠান্ডা করে ধীরে ধীরে আপনার চুলের গোড়া এবং সম্পূর্ণ চুলে ম্যাসাজ করুন। এছাড়া তিন টেবিল চামচ সরিষার তেল এর সঙ্গে এক চা চামচ ভাজা মেথি বীজ এবং এক চা চামচ কারি পাতার গুড়া মিশ্রণ করুন। তারপর এক সপ্তাহের জন্য রেখে তারপর পুরো চুল ও চুলের গোড়ায় এই তেল ম্যাসাজ করলে চুল পাকা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

তিলের তেল- চুল পাকা বন্ধের জন্য এবং চুলের অন্যান্য উপকারের জন্য তিলের তেল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। দুই টেবিল চামচ তিলের তেলের সঙ্গে আরো দুই টেবিল চামচ এলোভেরা জেল হালকা গরম পানিতে মিশ্রণ করুন। তারপর ঠান্ডা হলে মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় ঘষে ঘষে লাগান। 

তারপর ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । খানিকটা তিলের তেলের সঙ্গে সমপরিমাণ আমলকি একসঙ্গে মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালোভাবে ম্যাসাস করলে চুল পাকা রোধে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। এছাড়া দুই টেবিল চামচ তিলের তেলের সঙ্গে এক চামচ আদার রস 

ভালো করে মিশিয়ে চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালো করে লাগান।তারপর ৩০-৩৫ মিনিট পরে ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া তিন টেবিল চামচ তিনের তেলের সাথে এক চা  চামচ মধু মিশ্রণ করে নিন। তারপর চুলের আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুল অকাল পাকা থেকে রক্ষা হবে। 

এছাড়া চুল পাকা রোধে আরো অনেক তেল রয়েছে যেমন অলিভ অয়েল তেল। এই তেলটি নতুনভাবে চুল গজাতেও সাহায্য করে। যাদের চুল পাতলা তারা এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন। তবে চুল পাকা বন্ধের ক্ষেত্রে উল্লেখিত তেল গুলো ব্যবহার করলেও আপনি একজন ভালো চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সামনের দিকে এগোতে পারেন।

কোন খাবার খেলে সাদা চুল কালো হবে ? 

চুল পাকা বন্ধের ওষুধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা এবং চুল পাকা রোধ করা বা সাদা চুল কালো করার জন্য কোন তেল ভালো তা আমরা এতক্ষণে জানতে পারলাম। এ পর্যায়ে কোন খাবার খেলে চুল পাকা রোধ হবে অথবা সাদা চুল গোড়া থেকে একেবারে কালো হবে তা আমাদের জানা দরকার।

সামুদ্রিক মাছ-সামুদ্রিক মাছ চুলের উপকারের জন্য দারুন ভাবে কার্যকরী পদক্ষেপ রাখে। সুস্থ থাকার জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখলে ভালো হয়। যদিও সামুদ্রিক মাছের দাম একটু বেশি তারপরেও শরীর এবং চুলের উপকারের জন্য এই মাছ খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

সামুদ্রিক মাছে রয়েছে ওমেগা ৩ এবং ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফেলেনিয়াম যা চুল পাকা রোধে ব্যাপক সহায়তা করে। নিয়মিত খাবারের তালিকায় সামুদ্রিক মাছ রাখতে পারলে পাকা চুল কিছুটা কালো হতে পারে।

বেরি ফল- আমাদের শরীরের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে বেরি জাতীয় ফল প্রায় সব জায়গাতেই পাওয়া যায়। এই ফল আপনার অকালে চুল পাকা অথবা কম বয়সে চুলপাকা সমস্যা দূর করতে কাজ করে। এতে রয়েছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা চুল পাকার সমস্যা কমিয়ে দেয়।

কাঠ বাদাম- কাঠবাদাম আমাদের শরীর এবং চুলের জন্য ভীষণ উপকারী ।এতে রয়েছে কপার ও ভিটামিন ই ।এই দুই উপাদানের মাধ্যমে ত্বক ও চুল ভালো রাখতে নিয়মিত কাঠ বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারলে ভালো হয়।

সবুজ শাকসবজি-হাতের নাগালে পাওয়া সহজলভ্য সবচেয়ে দামে সস্তা সবুজ শাকসবজি প্রতিদিন নিয়মিত খেলে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। এতে রয়েছে ভিটামিন ,মিনারেল ,এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ডায়েটারি ফাইবার যা চুল পাকার সমস্যা রোধ করতে দারুন ভূমিকা রাখে। মাথা ভর্তি সাদা বা লাল অথবা ধূসর চুল কে কালো করতে নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খেতে পারেন।

ডার্ক চকোলেট - হালকা তেতো ডার্ক চকলেটে চুলের জন্য অনেক ভালো ।এ সমস্ত চকলেটে রয়েছে কপার যা মেলানিন তৈরিতে সহায়তা করে। আমাদের চুলের কালার কালো রাখতে এটি সাহায্য করে। 

গুড় এবং মেথি- প্রতিদিন নিয়মিতভাবে গুড় ও মেথি খেতে পারলে যেকোন চুলের সমস্যা গোড়া থেকে সমাধান হয়। পাকা  চুল কে গড়া থেকে কালো করতে এই দুই উপায় ভালো কাজ করে।সামান্য একটু গুড়ের সঙ্গে কয়েক দানা মেথি মিশিয়ে খেয়ে নিন। তাহলে দেখবেন অনেক উপকার পাচ্ছেন আপনার চুলের জন্য। 

গাজর-গাজরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, পটাশিয়াম ক্যারোটিন যা চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে দারুণভাবে উপকারী। প্রতিদিন নিয়মিত ভাবে আধা গ্লাস গাজরের রস খেলে চুলের গোড়া থেকে সাদা চুলকে কালো করতে পারে। তাই নিয়মিত চুলকে ভালো রাখতে অথবা চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করার জন্য নিয়মিত এই ভাবে আপনি গাজর খেতে পারেন।

ছোলা- চুল পাকার প্রধান কারণ হলো ভিটামিন বি ১২ এর অভাব।ছোলাতে রয়েছে ভিটামিন বি ১২ ও ফলিক এসিড যা চুলের জন্য ভীষণ উপকারী।প্রতিদিন নিয়মিত সকালে খালি পেটে ছোলা খেলে স্বাস্থ্য ভালো থাকার পাশাপাশি চুলকে কালো করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন বি ১২-গবেষকদের মতে, শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর অভাব এর কারণে চুলে পাক ধরে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত সঠিক পরিমাণে ভিটামিন বি ১২ গ্রহণ করলে চুল পাকা বন্ধের জন্য অনেক উপকার পাওয়া যাবে এবং এই ভিটামিন বি১২ খাবারের মাধ্যমেই পাওয়া সম্ভব। যেমন- মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, দই, পনির ছানা ।

এছাড়া সবুজ শাকসবজি, রঙিন সবজি, ফলমূল, বাদাম, রুটি, নুডুলস, সয়াবিন ইত্যাদি খাবারের মধ্যে ভিটামিন বি ১২ থাকে। তাই চুল পাকা রোধে এ সমস্ত খাবার আপনি নিয়মিত খেতে পারেন।

কোন পাউডার খেলে প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো হবে ?

চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা সম্পর্কে উপরে কথা হয়েছে। কোন পাউডার ব্যবহার করলে প্রাকৃতিকভাবে চুল কালো হবে চলুন আমরা সেটা জেনে নিই। চুলের উপরে বাহিরের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করার চেয়ে ঘরে তৈরি জিনিস অনেক ভালো। এতে শুধু চুলের রং বদলে দিবে না পুষ্টিও যোগান দিবে। 

ইন্ডিগো পাউডার দিয়ে চুলকে সহজেই কালো করা যায়। সাদা চুলের জন্য ইন্ডিগো পাউডার শুধু চুলকে কালোই করবে না, চুলের গোড়া মজবুত করতেও সাহায্য করবে।  চুল রং করার জন্য indigo পাউডার লাগানোর আগে মেহেদি কিভাবে লাগাতে হবে তা জানুন। একটি পাত্রে মেহেদির সাথে ব্লাক কফির পানি মিশিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। 

আরো পড়ুন: ছেলেদের নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে জানুন

পর দিন এই মিশ্রণটি চুলে লাগান এবং ৪০ থেকে ৪৫ মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। পরের ধাপে এসে ইন্ডিগো পাউডার লাগাতে হবে। চুল শুকানোর পর এবার indigo পাউডারে পানি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। তারপর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে এই পেস্ট টি লাগিয়ে ১ ঘন্টা পর্যন্ত রাখুন। তারপর কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে দিন। এরপর দেখবেন চুল কালো হয়ে গিয়েছে। এইভাবে মাসে ২ থেকে ৩ বার ব্যবহার করতে পারেন।

শেষ কথা- চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি :

প্রিয় পাঠক /পাঠিকা, উপরে উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে এটাই বোঝা যায় যে চুল পাকা বন্ধের ঔষধ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার মাধ্যমে পাকা চুলকে স্থায়ীভাবে কালো করা যায় এবং কোন তেল ব্যবহার করলে চুল ভালো থাকে, কি ধরনের খাবার খেলে চুল পাকা রোধ হবে, কোন পাউডার ব্যবহার করলে চুল প্রাকৃতিকভাবে কালো হবে, 

তা আপনি উপরে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। তাই পোস্টটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং সেই সাথে আপনাকে আরো ধন্যবাদ জানাবো এই জন্যই যে এটি যদি আপনি অন্যান্য ব্যক্তিদের কেউ শেয়ার করে জানিয়ে দিন যে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ চুল পাকা বন্ধের জন্য ভাল কাজ করে। পোস্টটি পড়ে তারাও যেন উপকৃত হতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url