অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি জেনে নিন

প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি ? যদি না জেনে থাকেন তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি পড়লে আপনি জানতে পারবেন যে অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি ? 

আজ আমি এই পোস্টে আলোচনার মাধ্যমে জানিয়ে দেবো অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি এবং অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে কি করব?

অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে কি করব ?  

অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি বিষয়টি জানার আগে অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে কি করব তা আমাদের জানা দরকার। আসলে কারো কারো খুব অল্প বয়সে চুল পাকে। আবার কারো কারো খুব বেশি বয়সের কারণে চুল পাকে। আবার দেখা যায় অনেক মানুষ আছে বয়স বেশি হওয়ার পরেও তাদের চুল কাঁচা থাকে। 

আরো পড়ুন: মেয়েদের চুল পড়া রোধে কোন শ্যাম্পু ভালো -শ্যাম্পুর দাম কত

অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে কি করা উচিত তা জেনে নিন। তরুণ বয়সে বা অল্প বয়সে চুল পাকলে নিজেকে খুবই খারাপ মনে হবে এবং বিব্রত মনে হয়। অল্প বয়সে চুল পাকার ফলে নিজের সব সময় মনে হয় অনুষ্ঠানে বা সামাজিক পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে নিজেকে এমনকি অল্প বয়সে নিজেকে হতাশার সৃষ্টি হওয়ার মত ঘটনা ঘটে। নিচের ঘরোয়া উপায়গুলো অবলম্বন করলে চুল পাকা থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে-

আমলকি ও লেবু- আমলকি এবং লেবু দুটি আমাদের হাতের নাগালেই পাওয়া যায়। দুটি ফলই আমাদের মাথার চামড়ার ইনফেকশন এবং প্রয়োজনীয় ভিটামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে কাজ করে। আমলকির গুড়া লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে প্রতিদিন মাথার ত্বকে এক ঘণ্টার মতো ম্যাসাজ করুন। 

তারপর ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এইভাবে নিয়মিত ব্যবহার করলে অল্প বয়সে চুল পাকা প্রতিরোধে উপকার পাওয়া যাবে।

পেঁয়াজ- পেঁয়াজ হচ্ছে চুল পাকা রোধে একটি কার্যকরী উপাদান। রান্নাবান্নার কাজে এটি বেশি ব্যবহার হওয়ার ফলে  সবসময় পেঁয়াজ হাতের নাগালেই থাকে। পেঁয়াজ বেটে নিয়ে প্রতিদিন মাথার ত্বকে ও পুরোপুরি চুলে মাসাজ করলে এবং তা শুকিয়ে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দেখবেন কয়েক দিন এইভাবে ব্যবহার করলে আপনার পাকা   চুল কালো হয়ে যাবে।

নারিকেল তেল ও লেবু- চুলের যত্নে নারকেল তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়। আর লেবুর রসের গুনাগুন তো বিভিন্ন ধরনের রয়েছে। প্রতিদিন চার চা চামচ নারকেল তেলের সাথে দুই থেকে তিন চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চুলের গোড়ায় এবং মাথার ত্বকে লাগান। এইভাবে ব্যবহারে আপনার মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে, খুশকি দূর হবে এবং এই মিশ্রণটি ব্যবহারে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই পাকা চুল কালো হয়ে যাবে।

গাজর- গাজর হচ্ছে একটি শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান। এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ও মিনারেল। চুলের যত্নে গাজর খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। প্রতিদিন নিয়মিত এক গ্লাস করে গাজরের জুস বা রস খেলে আপনার পাকা চুলের উপকার পেতে শুরু করবেন ।শুধু চুলেরই উপকার করবে না সেইসাথে শরীরকেও সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে এই গাজরের রস ।

তিল ও বাদামের তেল-তিলের বীজ এবং বাদামের তেল দুইটাই বাজারে বেশ সহজেই পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, তিলের বীজ ও বাদামের তেলের চিকিৎসা সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তিলের বীজ গুড়ো করে নিয়ে তারপর সেটা বাদামের তেলের সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটি চুলেন ও মাথার ত্বকে লাগিয়ে 15 থেকে 20 মিনিট পরে ভালো শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

এইভাবে নিয়মিত ব্যবহারে আপনার চুল পাকা রোধে উপকার পাওয়া যাবে। সুতরাং আপনি যদি এইভাবে নিয়মিত উপরের পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করেন তাহলে সহজে ঘরে বসেই অকালে চুলপাকা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। তবে পুষ্টিহীনতা, বেশি টেনশন, চিন্তা, ভাবনা, ঘুম কম হওয়া, রোদের মধ্যে বেশিক্ষণ থাকা ইত্যাদি কারনে চুল পাকতে পারে। আরো কিছু পদ্ধতি আছে সেগুলো হল-

স্ট্রেস থেকে দূরে থাকা- অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করার জন্য স্টেস থেকে দূরে থাকতে হবে। এটি হচ্ছে চুল অকালে পাকার প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়। সব সময় হাসিখুশি, আনন্দে থাকলে স্টেস দূর হয়ে যাবে। হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও খানিকটা সময় বের করে শরীরের ব্যায়াম করুন, খেলাধুলা করুন, টেনশন কাটানোর জন্য লোকজনের সাথে মেলামেশা করে ইয়ার্কি গল্প করুন। 

মোটকথা চিত্ত বিনোদন সহ যেকোনো কারণেই হোক না কেন আপনার টেনশন দূর করতে হবে যদি আপনার চুল কাঁচা রাখতে চান।

ধূমপান- অল্প বয়সে চুল পাকা রোধ করতে হলে ধূমপান, অতিরিক্ত মদ্যপান, অ্যালকোহল অথবা যে কোন প্রকার মাদকদ্রব্য সেবন করা থেকে দূরে থাকতে হয়। অতিরিক্ত ধূমপান শুধু চুলেরই ক্ষতি করে না পুরো শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে ক্ষতি করে থাকে।

কপার সমৃদ্ধ খাবার- অনেক সময় শরীরে কপার এর অভাবের কারণে চুল পেকে যেতে পারে। যেহেতু এটা মেলানিন উৎপন্নে সাহায্য করে। তাই আপনি শাকসবজি, পালং শাক, মাংস মাংস, গরুর কলিজা, মাসরুম ইত্যাদি গুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে খেতে পারেন এবং এর সাথে মাল্টিভিটামিন খেতে পারেন।

আয়োডিনযুক্ত খাবার- আয়োডিনযুক্ত খাবার চুলের রং বজায় রাখে। আয়োডিনের মধ্যেও মিনারেল থাকে। কলা ,গাজর ইত্যাদি খেলে আয়োডিন পাওয়া যায়। 

প্রোটিন যুক্ত খাবার- প্রোটিনযুক্ত খাবার নিয়মিত খেলে অকালে চুলপাকা থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

পর্যাপ্ত পানি- প্রচুর পরিমাণ পানি পান করুন। পর্যাপ্তপানি পান  চুল পাকা সহ শরীরের অন্যান্য অসুখ প্রতিরোধে  ব্যাপক সহায়তা করে। আপনি যদি পানি কম খান তাহলে শরীর ডিহাইড্রেশন হতে পারে এবং শরীরে নানা ধরনের রোগের সৃষ্টি হতে পারে ।তাই চুল পাকা রোধে এবং শরীর সুস্থ রাখতে পানির কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন নিয়মিত কমপক্ষে দুই থেকে আড়াই লিটার পানি পান করবেন।

পর্যাপ্ত ঘুম- ঘুম কম হওয়া চুল পাকার একটি অন্যতম কারণ। সঠিক মত ঘুম হলে শরীর মন দুটোই ভালো থাকে। তাই সঠিক পরিমাণ ঘুমান ।নিয়ম অনুসারে কমপক্ষে 8 থেকে 10 ঘন্টা ঘুমাতে হবে প্রতিদিন।

অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি ? 

কারো কারো দেখা যায় অল্প বয়সে অর্থাৎ অকালে চুল পেকে সাদা হয়ে যায়। কিন্তু কি কারনে চুল পাকে তা আমরা হয়তো অনেকেই জানিনা।তাই অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি তা আমাদের জানা দরকার। তা না হলে চুল পাকা রোধ করার সমাধান করতে পারবোনা। 

আরো পড়ুন: ছেলেদের চুলের জন্য কোন শ্যাম্পু সবচেয়ে ভালো

বংশগত কারণ- চুল পাকার সঙ্গে জেনেটিক বা বংশগত কারণ রয়েছে। অনেকের বংশগত কারণেই অকালে চুল পেকে যায়। পরিবারের বাবা, মা, ভাই ,বোন, দাদা, দাদি তাদের যদি অকালে চুল পেকে থাকে তাহলে তাদের সন্তানদেরও অকালে চুল পাকার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

রোগ জনিত কারণ- শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ থাকলে চুল অকালে পাকার সম্ভাবনা থাকে। বড় ধরনের রোগ যেমন- থায়েরয়েডের সমস্যা,স্বেতি,  এলার্জি, পরিপাকতন্ত্রের রোগ, রক্তশূন্যতা, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ,রক্তে কোলেস্টেরল বা চর্বির মাত্রা, ওজন বেশি হওয়া বা কম হওয়া  ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে অতি অল্প বয়সে চুল পাকতে শুরু করে।

ভিটামিনের অভাব-শরীরে নানা ধরনের ভিটামিনের অভাবে অকালে চুল পেকে যায়। যেমন ফোলেট, ক্যালসিয়াম ভিটামিন বি-১২, বি-৬, বায়োটিন, ভিটামিন ডি-৩, ভিটামিন ই, আইরন ও কপার এর ঘাটতির কারণে অকালে চুল পাকার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের মধ্যে এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে যা ত্বক এবং চুলের পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে।

ঔষধ সেবন- কিছু কিছু বড় ধরনের রোগের কারণে ওষুধ সেবন করলে অকালে চুল পাকতে পারে। যেমন- ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপি ব্যবহার করা ঔষধ, ম্যালেরিয়ার ঔষধ ইত্যাদি কারণে চুল পেকে যেতে পারে।

দুশ্চিন্তা ও টেনশন-আপনি যদি অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং অতিরিক্ত টেনশন করেন তাহলে অল্প বয়সে বা অকালে চুল পেকে যেতে পারে। অতিরিক্ত চিন্তা চুলের বৃদ্ধি গঠন প্রক্রিয়ার উপর প্রভাব ফেলতে পারে । এছাড়া মানসিক অবসাদ মানসিক চাপ কষ্ট থেকে অকালে ফুল পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

হরমোনের সমস্যা- হরমোনের সমস্যার কারণে অকালে চুল পাকতে পারে। হাইপোথাইরয়েডিজম ও হাইপারথাইরয়েডিজম এই দুই সমস্যায়ও চুল অকালে পাকার কারণ। রক্তে থাইরয়েড হরমোনের পরিমাণ কমে গেলে অথবা বেশি হলে এই সমস্যা গুলো হয়ে থাকে।

রসায়নিক ব্যবহার-অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার, চুলে অতিরিক্ত মাত্রায় ডাই ও রং ব্যবহার করলে চুল অল্প বয়সে পাকতে পারে।  সব ধরনের প্রসাধনী যেকোনো বয়সের মানুষের জন্য উপযুক্ত নয়।বয়স ভেদে প্রসাধনী পার্থক্য রয়েছে। তাই ফুলের প্রসাধনে বয়স অনুসারে যেটি উপযুক্ত সেটি ব্যবহার করতে হবে।

ভেজাল খাবার ও পরিবেশ দূষণ- বাজারের নানা ধরনের ভেজাল খাবার খেলে এবং পরিবেশ দূষণের জন্য চুল পাকতে পারে।

ফাস্টফুড খাবার-অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাবার, উচ্চমাত্রার প্রোটিন,কমল পানীয়, অল্প বয়সে চুল পাকার কারণ হতে পারে।

চুল কালার করলে কি অকালে সাদা হয় ? 

অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি? চুল কালার করলে কি অকাল চুল পেকে যায় ? চলুন তাহলে আমরা জেনে নেই চুল কালার করলে সাদা হয়ে যায় কিনা। বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুলে রং করলে বা চুল কালার করলে বা সাদা চুলে কালার করলে কিনবা কালো চুলে হেয়ার কালার করলে চুলের প্রাকৃতিক রং নষ্ট হয় না। 

আর তাই কালো চুল সাদা হওয়ার  আশঙ্কা নেই।তবে  এই তথ্যের সঙ্গে আরেকজন বিশেষজ্ঞ বলেন চুলে রং করলে চুলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কমতে শুরু করে। চুলের অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায় । চুলকে ঝাড়ুর মত দেখা যেতে পারে। এছাড়া চুলে রং বা কালার ব্যবহার করলে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে তা ভেঙ্গে যেতে পারে। 

তাই যারা চুলের অতিরিক্ত সৌন্দর্যের জন্য চুল কালার করেন তারা চুলের বাড়তি সতর্কতা মেনে চলতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে রাসায়নিক পদার্থ কিংবা ক্ষতিকর কেমিক্যাল যুক্ত রং চুলে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।যদি রং ব্যবহার করেন তাহলে  প্রাকৃতিক রং বা কালার যেমন মেহেদি পাতার রং,চায়ের লিকার 

এর প্রাকৃতিক রং আপনি ব্যবহার করলে কোন ক্ষতি নেই। এ সমস্ত প্রাকৃতিক রং ব্যবহার করলে শুধু চুলের রংই হবে না, চুলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার পাশাপাশি চুলের উজ্জ্বলতা বেড়ে যাবে এবং চুলের উজ্জ্বলতাও অনেকগুলো বৃদ্ধি পাবে। পাকা চুলে বা কাঁচা চুলে কালার করলে চুলের আশেপাশে যে কচি চুল 

কাঁচা থাকে সেগুলিও পেকে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া রঙের মধ্যে বিভিন্ন রকমের কেমিক্যাল বা রাসায়নিক পদার্থ থাকার কারণে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল তাড়াতাড়ি পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

চুল পাকে কোন ভিটামিনের অভাবে ?

অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি তা উপরের অংশে আলোচনা হয়েছে। এখন চুল পাকে কোন ভিটামিনের অভাবে তা আমাদের জানা দরকার। শরীরে ভিটামিন বি-১২, ভিটামিন ই, আয়রন ও কপার এর ঘাটতি, ভিটামিন ডি-৩ এবং জিংকের অভাব ইত্যাদি অভাবের কারণে অকালে চুল পাকার সম্ভাবনা রয়েছে। 

এছাড়া কিছু ওষুধের কারণেও  যেমন ক্যান্সার চিকিৎসায় কেমোথেরাপিতে ব্যবহার করা ঔষধ, ম্যালেরিয়ার ঔষধ ইত্যাদির কারণে অকালে চুল পাকে।

ভিটামিন ডি এর অভাবে কি অকালে চুল পাকে ?

চলুন আমরা জেনে নেই ভিটামিন ডি এর অভাবে চুল পাকে কিনা।চিকিৎসকদের মতে, ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে অকালে মানুষের চুল ধূসর অথবা সাদা বা পেকে যেতে পারে। ভিটামিন ডি এবং কপার এর অভাবে চুল ধুসর হয়ে যাওয়ার কারণ বলে উল্লেখ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

২৫ বছরের কম বয়সী তরুণদের মধ্যে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে চুল ধুসর বা পেকে সাদা হয়ে যায়। ভিটামিন বি-১২ এর অভাবজনিত কারণেও চুল পেকে যেতে পারে। এছাড়া ভিটামিন বি-৬ এর ঘাটতি হলে অল্প বয়সি ছেলে মেয়েদের চুল পেকে যেতে পারে।

পাকা চুল ফের কাঁচা হবে :

চুল পাকা শুরু হলে  মানুষের দুশ্চিন্তার শেষ থাকে না। পাকা চুলে কোন হেয়ার ড্রাই বা কোন কালার ব্যবহার না করে চুলের গোড়া থেকে পাকা চুল কাঁচা হতে পারে এমনটি বিশেষজ্ঞরা বলছেন। তারা বলেন, একটি মাল্টিভিটামিন চুলপাকা ঠেকাতে পারে এবং পাকা চুল আগের অবস্থা ফিরে আনতে পারে।

তারা আরো বলেন, তাদের চিকিৎসায় চুলে কিছুই লাগানো দরকার পড়বে না ।কারণ  হেয়ার ড্রাইয়ে বিষাক্ত রাসায়নিক থাকে যা চুলের গোড়া দিয়ে মস্তিষ্কের ভেতর ঢুকে গিয়ে ক্ষতি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রের গেটঅ্যাওয়েগ্রে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলেন,  যেসব ভিটামিনের কারণে চুলের সমস্যা হয় অথবা চুল পেকে 

যাবে সে সমস্ত ভিটামিন নির্দিষ্ট মাত্রায় ব্যবহার করে তারা মাল্টিভিটামিন তৈরি করেছেন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে ক্যাটালেস এনজাইম কমে যায়। তখন চুলপাকা শুরু হয়। এই এনজাইম কম হলে চুল ডিস কালার বা নষ্ট হতে থাকে।  তাদের এই মাল্টিভিটামিন চুলের কালারের ঘাটতি পূরণ করে আগের অবস্থায় নিয়ে আসে ।

যে কারণে চুল যদি পেকেও থাকে তবে আস্তে আস্তে আগের অবস্থায় ফিরে আসে। বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, এই এনজাইনের অভাব হলে চুলের রং পরিবর্তন হতে শুরু করে। তাই এই মাল্টিভিটামিন সেবনের পর চুলের গোড়া থেকে চুলের কালো রঙ ফিরে আসতে পারে। 

অল্প বয়সে চুল পাকার ঔষধ: 

অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি এবং এর ঔষধ আছে কিনা তা আপনার এবং আমাদের ভালো মতো জানা দরকার ।আসলে চুল পাকা রোধে কোন ঔষধ আছে কিনা আমার খুব একটা ভালো জানা নেই। তবে চুল পাকা থেকে রেহাই পেতে হলে প্রতিদিন ৪ চা চামচ নারিকেল তেলের সঙ্গে ৩ চা চামচ লেবুর রস 

মিশিয়ে মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় এবং মাথার চামড়ায় লাগালে তিন সপ্তাহের মধ্যেই পাকা চুল কালো হয়ে যেতে পারে।এবং সেই সাথে মাথার চামড়া সুস্থ থাকবে এবং খুশকি দূর হবে। চুল হবে ঝলমলে উজ্জ্বল। উপরে আগেই উল্লেখ করেছি মাল্টিভিটামিন সেবন করলে পাকা চুল কাঁচা হতে পারে। এছাড়া ভিটামিন ডি, 

আরো পড়ুন: মেয়েদের চুল গজানোর ওষুধ-চুল গজানোর তেলের নাম 

ভিটামিন ই, ভিটামিন বি-১২ বায়টিন আয়রন ও কপার এসব ভিটামিন গুলো আপনি চুল পাকা রোধের জন্য খেতে পারেন। এছাড়া অল্প বয়সে চুল পেকে গেলে কি করব তার কিছু উপায় এই পোস্টের উপরের অংশে উল্লেখ করেছি। এই উপায়গুলো আপনি যদি সঠিক মতো অবলম্বন করেন। তাহলে আপনার পাকা চুল কাঁচা হওয়ার জন্য এবং চুল পাকা রোধের জন্য অনেক উপকার হবে।

উপসংহার-অকালে চুল পেকে যাওয়ার কারণ কি? 

বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে আমি এ কথা বলে শেষ করব যে অকালে চুল পেকে গেলে কি করতে হবে এবং কারণ কি ,চুল কালার করলে কি হয়, চুল পাকে কোন ভিটামিনের অভাবে, ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি আপনি  পোস্ট টি পড়ে থাকলে ইনশাল্লাহ অনেক উপকার পাবেন।  

তাই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং অন্যদেরকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করুন। কমেন্ট বক্সে মন্তব্য করুন এবং শেয়ার করে অন্যান্য পাঠক দেরকে জানিয়ে দিন যেন তারাও উপকৃত হতে পারেন। এতক্ষণ আমার এই পোস্টের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url