মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ- চুল গজানোর তেলের নাম
প্রিয় পাঠক, মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ এবং চুল গজানোর তেলের নাম জানতে পোস্টটি পড়ুন। আজ আমি মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ এবং চুল গজানোর তেলের নাম সম্পর্কে আলোচনা করার জন্য আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ।
আসুন তাহলে পাঠক বন্ধুরা দেরি না করে শুরু করা যাক মেয়েদের চুল গজানোর ওষুধ এবং চুল গজানোর তেলের নাম সম্পর্কে আলোচনা করি।
মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ:
প্রিয় পাঠক, মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ এবং চুল গজানোর তেলের নাম জানতে পোস্টটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন।তাহলে আপনার চুল গজানোর ওষুধ সম্পর্কে এবং তেল সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবেন। চুল হচ্ছে মানুষের সৌন্দর্যের প্রতিক। নারী-পুরুষ উভয়েরই মাথায়
আরো পড়ুন: ছেলেদের নতুন চুল গজানোর উপায় সম্পর্কে জানুন
চুল যদি ভালোমতো না থাকে তাহলে তাদেরকে তাদের চেহারা খুব একটা সুন্দর লাগে না। নারীদের ক্ষেত্রে তো কথাই নেই তাদের মনে আরো বড় ধরনের দুঃখ বা আফসোস থাকে যদি ঘন ,কালো ,লম্বা চুল না হয়। মেয়েদের লম্বা চুল মানে তাদের একটা গর্ভের বিষয়। যাদের মাথা থেকে চুল পড়ে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ।
তাদের মনের ভিতরে অনেক দুঃখ এবং কষ্ট এবং তার সাথে আফসোস হয় যে কারো মাথায় ঘন কালো লম্বা চুল দেখলে মনে মনে আফসোস হয়। এবং মনে মনে হিংসা হয়। তাই চিন্তার কোন কারণ নেই বন্ধুরা। আসুন নতুনভাবে চুল গজানোর ওষুধ সম্পর্কে জেনে নেই। মানুষের মাথার চুল সাধারণত বয়স অনেক বেশি হলে পড়ে যায়।
আবার কারো কারো অনেক কম বয়সেও চুল পড়ে যায় ।মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় মাথার চুল কম পড়েঐ আবার পুরুষদের ক্ষেত্রে সামনে চুল পড়ে টাকে পরিণত হয়।
ঔষধের নাম মিনোক্সিডিল(Minioxidil): মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ গুলোর মধ্যে বহুল প্রচলিত এবং কার্যকারী একটি ঔষধ মিনোক্সিডিল চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই উপকার করে থাকে। আমরা অনেকেই আছি ওষুধের ব্যবহার ভালো মন্দ না জেনেই ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে থাকি।
কিন্তু এটা ঠিক নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে যেকোনো ওষুধ সেবন বা ব্যবহার করা উচিত।নইলে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। টাক মাথার জন্য এই ওষুধটি খুব ভালো কাজ করে। চিকিৎসকদের মতে, মিনোক্সিডিল আসলে সবার ক্ষেত্রে একইভাবে কাজ করে না ।যাদের ক্ষেত্রে কাজ করে তাদের ১০০ পার্সেন্ট চুল গজাতে কাজ করে না।
তবে এটা ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ চুল গজাতে কাজ করে। এই ওষুধটি নিয়ম অনুযায়ী ডাক্তারের পরামর্শক্রমে রেগুলার ভিত্তিতে ব্যবহার করেই যেতে হবে। ব্যবহার করা বন্ধ করলেই আগের মত টাকের সমস্যা দেখা দিতে পারে এবং এর সাথে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। যাদের বয়স ১৬ থেকে ৪৫ বছর তারা ব্যবহার করলে চুল গজাতে তাড়াতাড়ি উপকার পাওয়া যাবে।
তবে এই ওষুধটি ব্যবহার করার আগে চুল পড়ার কারণ খুঁজে বের করতে হবে। তারপর চিকিৎসক যদি প্রয়োজন মনে করেন কেবল তখনই এই ওষুধটি ব্যবহার করার অনুমতি দিবেন ।পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই এই ওষুধটি ব্যবহার করতে পারবেন।
ঔষধের নাম ফিনাস্টেরাইড (Finasteride): মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ গুলোর ক্ষেত্রে এই ওষুধটি দারুন কাজ করে। বিজ্ঞানীরা বলেন, সবার জন্য এক ধরনের ওষুধ প্রযোজ্য নয়। এটি একটি হারবাল জাতীয় ঔষধ চুল গজানোর জন্য ব্যবহৃত হয় এবং মুখের সাথেও এর সম্পর্ক আছে। এটি হারবাল ট্যাবলেট হিসাবে সহজ ভাবে পাওয়া যায় ।ব্যবহারের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করুন।
ঔষধের নাম কর্টিকোষ্টেরয়েড(Orticosteroids): চিকিৎসকদের মতে এই ওষুধটি চুল গজানোর দীর্ঘস্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি মাথার চুলের জন্য ব্যবহারের আগে স্থানীয় হাসপাতালের চিকিৎসকের সাথে আলাপ করে ব্যবহার করা যেতে পারে।
ঔষধের নাম বালাই বেয়ার্ড (Balay Beard): মেয়েদের চুল গজানোর ওষুধের মধ্যে বালাই বেয়ার্ড প্রাকৃতিক ও হারবাল নির্যাসে তৈরি যা এর সঠিক ব্যবহারে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই বললেই চলে। আপনার মাথায় যদি চুল ঝরে যায় তাহলে এটা মাথায় দিয়ে ম্যাসাজ করলে এক মাসের মধ্যে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
আরো পড়ুন: মেয়েদের বুকের মাঝখানে ব্যথা হলে করণীয় -মেয়েদের বুকে ব্যথা কেন হয়
এটা ব্যবহারে আপনার চুল পড়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যেতে পারে। এই তেল বা ওষুধ টি নিয়মিত মাথায় ব্যবহার করলে নতুন ভাবে চুল গজাত সাহায্য করবে।
ঔষধের নাম বেয়ার্ড গ্রোথ (Beard Growth): এই তেলটি আন্তর্জাতিক মানের ।এটি ব্যবহারে আপনার চুল পড়ার সম্ভাবনা প্রায় 90% কমে যাবে। এই তেল বা ওষুধটি ব্যবহার করার ফলে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন ভাবে চুল গজাতে সাহায্য করবে। এটি ব্যবহার করবেন একটি ড্রপারের সাহায্যে মাথার যেখানে ইচ্ছা সেখানে লাগিয়ে মেসেজ করতে পারেন।
এটি হারবাল জাতীয় একটি প্রাকৃতিক নির্যাসে তৈরি। এটি ৮ সপ্তাহ ব্যবহারে আপনার নতুন চুল গজানো শুরু হবে।
মেয়েদের চুল গজানোর হোমিও ঔষধ:
মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত উপরের অংশে আলোচনা করা হয়েছে।তা থেকে আপনি হয়তো এতক্ষণে চুল গজানোর এলাপতি ঔষধ সম্পর্কে কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন।এখন আমি মেয়েদের চুল গজানোর এলাপতি ওষুধ ছাড়াও হোমিও ঔষধ কিভাবে কাজ করে তা জানিয়ে দেবো ।আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকবেন।
মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের চুল পড়ে বেশি এবং সেই সাথে ছেলেদের টাক পড়ে বেশি। অনেক সময় বংশগত কারণেও মাথা টাক হয়ে যায়।আবার বয়সের কারণেও চুল পড়ে যায়। আবার কারো অল্প বয়সে চুল ঝরে পড়ে মাথা টাক হয়ে যায়।তবে আপনার মাথায় যদি টাক পড়ে।তাহলে হতাশ বা কোন টেনশন
না করে আপনি টাক মাথায় চুল গজানোর জন্য হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেতে পারেন। নতুনভাবে চুল গজানোর জন্য হোমিও ওষুধ অর্ণিকা মন্ট অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই ওষুধটি ব্যবহারে অল্প সময়ের মধ্যে আপনার মাথার চুল গজিয়ে টাক মাথা ভরাট হয়ে যেতে পারে। তবে কিভাবে ব্যবহার করবেন
বা খাবেন বা সেবন করবেন সেটি হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসকের সাথে আলাপ আলোচনা করে তারপর খাবেন। দীর্ঘদিন ধরে টাইফয়েডে পড়ে থাকলে বা গুরুতর অসুস্থ বা ক্যান্সারের সমস্যা থেকে চুল পড়ে মাথা টাক হয়ে গেলে এই সময় আপনি জ্যাবোরেন্ডি ওষুধ খেতে পারেন। এই হোমিও ওষুধ টি টাকমাথার চুল গজাতে সাহায্য করবে।
তবে একটা কথা সবসময় স্মরণ রাখবেন যে কোন অসুখের জন্য ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খাওয়া সব সময়ের জন্য ভালো।
মেয়েদের চুল গজানোর তেলের নাম:
মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ সম্পর্কে আপনি এবং চুল গজানোর হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সম্পর্কে ধারণা পেলেন।তবে চুলের যত্নে অথবা চুল পড়া রোধে, অথবা চুলকে কালো, মজবুত, শক্ত, লম্বা এবং নতুনভাবে চুল গজানোর জন্য কিছু কিছু তেল পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো আপনারা নারী পুরুষ উভয়ই ব্যবহার করতে পারেন। সেগুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
নারকেল তেল- নারকেল তেলে রয়েছে পটাশিয়ামসমৃদ্ধ এই নারকেল তেল স্ক্যাল্প সুস্থ্য রাখতে দারুন ভূমিকা রাখে।এবং নতুনভাবে চুল গজানোর মাত্রা বৃদ্ধি করে।অনেকেই বলে থাকেন নারকেল তেল রাতে ঘুমের আগে মাথায় মেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন তাহলে প্রতিদিন নিয়মিত এইভাবে ব্যবহারে চুল গজানোর ক্ষেত্রেও উপকার পাওয়া যাবে।
কাঠ বাদামের তেল- কাঠ বাদামের তেলের মধ্যে ভিটামিন ই ,ডি থাকার কারণে নতুন চুল গজাতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। আপনার যদি অনেক বেশি পরিমাণ চুল উঠে যাওয়ার মত সমস্যা থাকে থ তাহলেএই তেল দেরি না করে আপনি ব্যবহার করতে পারেন তবে চিকিৎসকের পরামর্শ দরকার আছে।
ল্যাভেন্ডার অয়েল- ল্যাভেন্ডার অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি এবং এ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা চুল ঝরার সমস্যা কমায়। তাই আপনি নিঃসন্দেহে এই তেলটি ব্যবহার করতে পারেন।
অলিভ অয়েল-আপনার যদি অতিরিক্ত চুল উঠে গিয়ে থাকে তাহলে এই তেলটি আপনি ব্যবহার করতে পারবেন কারণ এই তেলে ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ রয়েছে। সুতরাং এই তেল নতুনভাবে চুল গজাতে উপকার করে।
প্যারাসুট নারকেল তেল(Parachute Coconut oil)-মেয়েদের চুল গজানোর ক্ষেত্রে এবং মেয়েদের চুলের যত্নে বর্তমানে বাজারে এই তেলটি সবচেয়ে বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এবং দোকানে বেশি বিক্রি হচ্ছে।কারণ এই তেলটির মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ই যা চুলের উপকারের জন্য মানুষ সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছে। চুলকে শক্ত, মজবুত ও লম্বা এবং নতুনভাবে চুল গজাতে নারিকেল তেল খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
আপনার চুল যদি বৃদ্ধি করতে চান এবং নতুন ভাবে চুল গজাতে চান তাহলে এই তেলটি আপনি ব্যবহার করতে পারেন।
কাস্টর অয়েল- আমার মনে হয় অনেক মানুষ এখনো এই তেলটি সঠিক মত চেনে না বা এর নাম অনেকেই শুনেনি। আপনার মাথার চুল যদি কম থাকে এবং নতুন ভাবে চুল গজাতে চাইলে কাস্টর অয়েল তেল ব্যবহার করতে পারেন।এই তেলে আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা মাথার ত্বককে রক্ত প্রবাহ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
আরো পড়ুন: বুকে ব্যথা মানেই কি হৃদরোগ রোগের লক্ষণ জেনে নিন
এই তেলটি রাতে ঘুমানোর আগে ব্যবহার করে সকালে উঠে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
উপসংহার- মেয়েদের চুল গজানোর ঔষধ এবং তেল:
প্রিয় পাঠক /পাঠিকা পরিশেষে এই কথা বলা যায় যে উপরে উল্লেখিত চুল গজানোর ঔষধ এবং তেল আপনি ব্যবহার করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন। কারন নিজে নিজে হঠাৎ করে খামখেয়ালি ওষুধ খাওয়া বা এই জাতীয় তেল ব্যবহার করলে শরীরে অন্যান্য অসুবিধা হতে পারে।
পোস্টটি পড়ে যদি কোন উপকার পেয়ে থাকেন তাহলে মন্তব্য করুন এবং শেয়ার করে অন্যান্য ব্যক্তিদেরকেও জানিয়ে দিন।যেন তারাও কিছুটা হলেও চুল পড়া বন্ধ এবং চুল গজানো সম্পর্কে উপকৃত হতে পারেন ।এতক্ষণ ধরে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url