দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানুন


প্রিয় পাঠক, আপনি কি দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানতে চান ? তাহলে আমার এই আর্টিকেলটির সঙ্গেই থাকুন ।আজ আমি দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আপনাদের সামনে তুলে ধরার জন্য হাজির হয়েছি। 

চলুন তাহলে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিই।

আসলেই কি দাঁতে পোকা থাকে: 

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জানার আগে আমাদের জানা দরকার দাঁতে সত্যিই কি পোকা থাকে কিনা। দাঁত এমন একটি অঙ্গ যা একটু ব্যথা হলেই পুরো মাড়ি বা মাথা বা চোয়াল ব্যাথা হয়ে যাবে। এই ব্যথার যন্ত্রণায় এমনকি শরীরে জ্বরও আসতে পারে। 

আরো পড়ুন: সামনের দাঁত ফাঁকা থাকলে কি হয়

তাই দাঁতের যত্নে কোন সময় অবহেলা করা আমাদের উচিত নয়। আমরা আসলেই দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বুঝি না। যখন সমস্যা হয় তখন আমরা বুঝতে পারি দাঁতের মর্ম কতটুকু। দাঁতে গর্ত যাতে না হতে পারে সেক্ষেত্রে প্রথমে আপনার সেই চেষ্টা করতে হবে। তাই প্রতিদিন নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার রাখতে হবে। 

সকালে নাস্তার পর ও রাতে খাবারের পর প্রতিদিন ক্লোরাইড যুক্ত টুথপেস্ট ও সব থেকে নরম টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ভিতরে বাহিরে দেড় থেকে দুই মিনিট ব্রাশ করে পরিষ্কার করতে হবে। যদি দাঁতের ফাঁকে খাবার বা কোন কিছু আটকে যায়,দাঁতের ফাঁকে খাবার ঢুকে তাহলে ডেন্টাল ফ্লস বা সুতা ব্যবহার করে তা পরিষ্কার করতে হবে ।

এক সময় শোনা যেত দাঁতে পোকা হয়েছে। বাইদানির মেয়েরা এখনো দাঁতে পোকা বের করে রোগীর নিকট থেকে টাকা নিচ্ছে। পথে-ঘাটে, গ্রামেগঞ্জে, বাজারে বা বাড়ি বাড়ি হাঁকাতে থাকে। দাঁতের পোকা বের করবেন গো বলে হাঁকাতে থাকে। আবার এক সময় একশ্রেণীর অসাধু মানুষ বা হাতুড়ি ডাক্তার কৌশলে দাঁত থেকে পোকা বের করে টাকা হাতিয়ে নেয়। 

আসলে কি দাঁতের মধ্যে পোকা থাকে? অনেক মানুষের দাঁতে ক্ষয় বা গর্ত থাকে। এমন কি শিশুদেরও দাঁতের ক্ষয় ও দাঁতের মধ্যে গর্ত হয়ে থাকে। সাধারণত এই গর্তকে অসাধু লোকজন দাঁতের পোকা বলে চালিয়ে দেয়। প্রতিদিন বা দিনের মধ্যে সঠিক নিয়মে একবারও যদি তার দাঁত পরিষ্কার না করা হয় ।

তাহলে মুখের লালার একটি উপাদান দাঁতের ভিতরে বাহিরে দাঁতের পিঠে আঠার মত লাগতে আরম্ভ করে। তখন দাঁতের মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধে এবং তাড়াতাড়ি বংশবিস্তার শুরু করে। এইসব দাঁতের পিঠে জমে থাকা ব্যাকটেরিয়া যখন মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন- চকলেট, শুয়েংগাম, চা ,কফি, ফাস্টফুড ইত্যাদি 

চিনি জাতীয় খাবার খাওয়া হয়। তখন বিশেষ প্রক্রিয়ায় এসিড তৈরি করে। এই এসিড দাঁতের আবরণ ক্ষয় করে দাঁতে গর্ত সৃষ্টি করে। এই গর্তকেই আমরা অসাধু লোকের নিকট থেকে শুনে থাকি দাঁতের পোকা হয়েছে। আসলে কিন্তু দাঁতের কোন পোকা বলে কিছু থাকে না বা পোকা ধরেও না। 

দাঁতে পোকা ধরা বা পোকা থাকা এটা হচ্ছে একটি ভ্রান্ত ধারণা। দাঁতে যদি একবার গর্ত হয়ে যায় তাহলে যত ভালই টুথপেস্টের মাধ্যমে দাঁত ব্রাশ করেন বা ওষুধ খেয়ে কোনোমতেই দাঁতের গর্ত ঠিক করা যাবে না। তবে  চিকিৎসকের মাধ্যমে ফিলিং নামক চিকিৎসার দ্বারা দাঁতের গর্ত ভরাট করা সম্ভব বা দাঁত সুস্থ করা সম্ভব। 

এটি একটি খুবই সাধারণ চিকিৎসা এবং খরচও খুব কম । তবে প্রথম দিকে এ চিকিৎসা না নিলে পরে ব্যথা বেড়ে বেশি হয়ে যায়। তখন রুট ক্যানেল চিকিৎসার প্রয়োজন  হতে পারে। রুট ক্যানেল মোটামুটি একটি জটিল, সময় সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল চিকিৎসা। 

দাঁতের পোকা বা দাঁতের গর্ত বা ক্ষয় রোধ করার উপায়: 

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় বা দাঁতের ক্ষয় রোধের উপায় সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। আসলে আমাদের ছোট বড় সব মানুষেরই মূলত প্রধান সমস্যা হচ্ছে দাঁতের গর্ত বা ডেন্টাল ক্যারিজ। আসলে দাঁতের পোকা বলে কিছু নেই। ডেন্টাল বা ডেন্টাল ক্যারিজ বা দাঁতের গর্তকে গ্রামগঞ্জের বা 

পল্লী এলাকার কিছু কিছু মানুষের কাছে দাঁতের পোকা নামে পরিচিত। ডেন্টাল ক্যারিজ হল এক ধরনের দাঁতের ক্ষয় বা দাঁতের গর্ত হওয়াকে বোঝায়। দাঁতে কোন পোকা থাকে না। দাঁতের মধ্যে গর্ত কা্ভেটি হলে দাঁতে খাদ্য কণা ও ময়লা জমে। ফলে দাঁতের সংক্রমণ হয়। 

আরো পড়ুন: চোখে ঝাপসা দেখলে কি করা উচিত জেনে নিন

তাই দাঁতে গর্ত হওয়া মাত্রই গর্তটি ভর্তি বা ফিলিং করে নেওয়া উচিত। ভাঙ্গা দাঁত কে ফিলিং মেটেরিয়াল দিয়ে সুন্দরভাবে পূরণ করা যায়। যা দেখতে অবিকল স্বাভাবিক দাঁতের মতো হয়। দাঁতে যদি রুট ক্যানেল করা হয় তাহলে দাঁতে মুকুট বসাতে দেরি করলে আরো ক্ষতি হতে পারে। 

দাঁতের গর্ত প্রতিরোধে ব্যালেন্সড ফ্লোরাইড টুথপেস্ট দিয়ে প্রতিদিন খাবারের পরে দুই বেলা দাঁত পরিষ্কার করতে হবে। এনামেল রিপেয়ার করে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার করতে হবে। মিষ্টি জাতীয় খাবার যেমন- চিনি যুক্ত পানীয়, আঠালো খাবার, চকলেট, সুইংগাম, চা-কফি ইত্যাদি এড়িয়ে চলতে হবে। 

যদি খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে এগুলো তাহলে এসব খাওয়ার পরে ভালো করে মুখ কুলি করে ধুয়ে ফেলতে হবে। সকালে, দুপুরে, রাতে যে কোন সময় খাবারের পর দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাবার ব্রাশ করার পাশাপাশি সুতা বা ফ্লস দিয়ে দাঁতের ফাঁক পরিস্কার করতে হবে। এছাড়া নিয়মিত বছরে কমপক্ষে দুইবার 

অভিজ্ঞ ডেন্টিস দ্বারা দাঁত পরীক্ষা করাতে হবে।পানির সাথে ফিটকিরি মিশিয়ে অথবা হালকা গরম কুসুম পানির সাথে একটু লবণ মিশিয়ে প্রতিদিন কুলকুচি করতে হবে। তাহলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। দাঁতের  কা্রিজ বা আঘাত জনিত কারণে স্তর ক্ষয় হয়ে যায় কিংবা দন্ত মজ্জায় ইনফেকশন হলে দাঁতের রুট ক্যানেল চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। 

রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত দুই মিনিট উপরে, নিচে, ভেতরে, বাইরে যেভাবে ব্রাশ করা হয়।ঠিক সেই ভাবে হাতের আঙ্গুল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মালিশ করলে পর্যাপ্ত রক্ত সঞ্চালন হবে এবং খাবারের কনা বা ময়লা বের হয়ে যাবে। দাঁতে আঠার মত লেগে থাকে এ ধরনের খাবার পরিহার করুন। এর পরিবর্তে শক্ত খাবার, আঁশ যুক্ত খাবার যেমন ফলমূল, আপেল, পেয়ারা, টক জাতীয় ফল ইত্যাদি খেলে দাঁতের উপকার হয়।

পুষ্টিকর খাবার- খাবারের তালিকায় ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খান। এসব খাবারে ফ্যাট সলিউবল থাকার কারণে দাঁতের ক্ষয় রোধ করে। শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন। রাসায়নিক উপাদান যেসব টুথপেস্টে কম থাকে সেই তুথপেস্ট ব্যবহার করুন।মার্কেটে ভেজোস উপাদানে তৈরি আয়ুর্বেদিক টুথপেস্ট দাঁতের ক্ষয় রোধ করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

দাঁতে ব্যথা দূর করার সহজ উপায়: 

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে এর ব্যথা দূর করার উপায় সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। আপনার যদি দাঁতে প্রচন্ড ব্যথা হয়ে থাকে। তাহলে নিম্নোক্ত  উপায়গুলো মেনে চললে বা পরিহার করলে দাঁতের ব্যথা থেকে রেহাই পাবেন।

  • ফিটকিরি- ফিটকিরি দাঁতের ব্যথা দূরীকরণে দারুন কাজ করে। আমি নিজেও এই ফিটকিরি দাঁতের ব্যথার জন্য ব্যবহার করি। আপনার দাঁতের যে অংশে ব্যথা তার বিপরীত অংশে এক টুকরো ফিটকিরি কিছুক্ষণ আলতো ভাবে চেপে ধরে রাখুন। তাহলে দেখবেন দাঁতের ব্যথা অনেক কমে গেছে। এছাড়া ফিটকিরি পানির সাথে মিশিয়ে কুলকুচি করলেও দাঁতের অনেক উপকার হয়।
  • এলোভেরা জেল -আপনার দাঁতে যদি ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে ব্যথা স্থানে এলোভেরা জেল কিছুক্ষণ লাগিয়ে রেখে তারপর ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।
  • রসুন -রসুন শুধু রান্নার কাজে ব্যবহার হয় না। শরীরের অনেক অসুখের কাজে ব্যবহার হয়। এক থেকে দুই টুকরো রসুনের কোয়া তার সাথে একটু লবণ মিশিয়ে রসুন টিকে দাঁতের ব্যথার স্থানে চেপে ধরে রাখতে হবে। তারপর কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দাঁতের ব্যথা দূর হয়ে যাবে।
  • পানি -আপনার দাঁতে যদি ব্যথা হয় তাহলে ঠান্ডা পানি পরিহার করতে হবে। নইলে দাঁতের সমস্যা আরো বেড়ে যাবে।হালকা কুসুম গরম পানির সাথে এক চিমটি লবন মিশিয়ে দিনে কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ বার কুলকুচি করুন। তাহলে দেখতে পাবেন পূর্বের চেয়ে দাঁতের ব্যথা অনেক কমে গেছে।
  • কাঁচা পেঁয়াজ- কাঁচা পেঁয়াজ দাঁতের ব্যথা দূর করতে বড় ভূমিকা রাখে। কাঁচা পেঁয়াজের রস দাঁতের ব্যথা স্থানে লাগান। তারপর কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। তাহলে দাঁতের ব্যথা কমে যেতে পারে।
  • বরফ- বাসায় বেশি ভাগ ক্ষেত্রে ফ্রিজে বরফ থাকে। এই বরফ দাঁতের ব্যথা স্থানের বিপরীত পাশে চেপে ধরে রাখুন।তাহলে দাঁতের ব্যথা কমে যাবে ।
  • আইসক্রিম পরিহার -দাঁতের ব্যথা দূর করতে আইসক্রিম খাওয়া পরিহার করুন। কারণ আইসক্রিম খেলে দাঁতের ব্যথা আরো বাড়তে পারে ।তাই দাঁতের ব্যথা ভালো না হওয়া পর্যন্ত আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন ।
উপরোক্ত উপাদানগুলি সঠিক মত অবলম্বন করলে বা মেনে চললে আপনার দাঁতের ব্যথার জন্য অনেক উপকার পাবেন।

দাঁতের ব্যথা কমানোর ঔষধ:

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং সেই সাথে দাঁতের ব্যথা কমানোর ঔষধ সম্পর্কে আমাদের জানা দরকার। উপরোক্ত দাঁতের ব্যথা দূর করার সহজ উপায়গুলো মেনে চলার পরেও যদি দাঁতের ব্যথা না কমে এবং এর যন্ত্রণা যদি আরও কঠিন হয়ে পড়ে। তাহলে নিম্নোক্ত ঔষধ গুলোর যেকোনো একটি খেতে পারেন ।

  • Fenamic 500(ফেনামিক ৫০০) -এই ট্যাবলেট টি দাঁতে ব্যথার জন্য বেশ ভালো কাজ করে। ১৮ বছরের বয়সের উপরে মানুষ দাঁতে ব্যথা হলে দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে দাঁতের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে। ১৮ বছরের নিচে যাদের বয়স তাদের অর্ধেক করে খেতে হবে।
  • Napa One (নাপা ওয়ান)- নাপা হচ্ছে একটি খুব পরিচিত বা জনপ্রিয় একটি ওষুধ। এটি জ্বর ও মাথা ব্যথারও কাজ করে। নাপা ওয়ান দাঁতের ব্যথার জন্য ১৮ বছরের উপরের বয়স একটি করে দিনে দুই থেকে তিন বার। এবং আঠারো বছরের কম বয়সের মানুষ এটির অর্ধেক করে দুই থেকে তিন বেলা খেলে দাঁতের ব্যথা কমে যাবে।
  • Torimon 90MG (টরিমন ৯০mg) -এই ট্যাবলেটটি দাঁতের প্রচন্ড যন্ত্রণার জন্য খুবই ভালো কাজ করে। তবে এটি খেলে এর সাথে গ্যাস্ট্রিকেরও ঔষধ খাওয়া উচিত। এটি দিনে একটি করে দুইবেলা খেলে দাঁতের ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে যাবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারলে এটি খাওয়ার জন্য আরো ভালো হয়।
  • Moxacil 500( মক্সাসিল ৫০০) -দাঁতের যন্ত্রণা দূর করতে এই ওষুধটি ভাল কাজ করে দিনে দুই থেকে তিনবার একটি করে আর ১৮ এর নিচে বয়স হলে অর্ধেক করে খেতে হবে। 
  • Etorix (ইটোরিক্স)- এই ট্যাবলেটটি দাঁতের ব্যথা কমাতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে। দিনে দুই বেলা এটি একটি করে খেলে দাঁতের ব্যথা কমে যাবে খুব তাড়াতাড়ি। 

এছাড়া দাঁতের ব্যথা দূর করতে আরো ঔষধ আছে যেমন-Etocox,Tory,Fabetor,Etoricoxib60mg, Etoricoxib 90mg, Etoricoxib 120mg দাঁতের ব্যথা ভালো করার জন্য খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই ওষুধগুলো। তবে দাঁতে ব্যাথার তীব্রতা বা ধরন অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের মাত্রা বাড়ানো যেতে পারে।

দাঁতে ব্যথার এন্টিবায়োটিক ঔষধ:

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় এবং ব্যথার ঔষধ সম্পর্কে জানলাম ।এখন দাঁতে যদি ইনফেকশন হয়ে থাকে তা যদি দাঁত নড়ে কিংবা আরও প্রচন্ড ব্যথা করে তাহলে চিকিৎসকের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক ঔষধ সেবন করা উচিত। সেফুরক্সিম৫০০/২৫০mg দাঁতের ভিতরে ইনফেকশন হয়ে দাঁত নষ্ট হয়ে গেছে।

সে ক্ষেত্রে এই ক্যাপসুলটি দাঁতের ইনফেকশন দূর করার জন্য খুবই কার্যকরী। এন্টিবায়োটিক এই ক্যাপসুলটি দিনে তিন বেলা খেলে দাঁতের প্রচন্ড যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে। এবং ইনফেকশন হওয়া  দাঁতের ভেতরে ইনফেকশন ভালো হয়ে যাবে। এছাড়া দাঁতের বিভিন্ন সমস্যার জন্য আরও এন্টিবায়োটিক ঔষধ আছে। 

যেমন- ফেনক্সিমিথাইল পেনিসিলিন ব্যবহার করা হয় কারণ এটি এসিড প্রতিরোধ করে ও দাঁতের অন্যান্য চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়। ফ্লুব্লাস্ট ট্যাবলেট দাঁতের যন্ত্রণা এবং ইনফেকশনের জন্য কাজ করে।

দাঁত তুলে ফেললে কি পোকা দূর হবে?

দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায় জানতে গিয়ে দাঁত উঠিয়ে ফেলার প্রশ্ন চলে আসে। আসলে কি দাঁত তুলে ফেলানো ঠিক হবে ? ব্যথা কি  দূর হবে? আর কি ইনফেকশন হবে না? এটা জানতে পোস্টের সঙ্গেই থাকুন। দাঁতের রোগ নিরাময়ের জন্য যত উপায় আছে তার মধ্যে সর্বশেষ উপায় হল দাঁত তুলে ফেলে দেওয়া। 

আপনার দাঁত যদি একেবারেই ইনফেকশন হয়ে নষ্ট হয়ে যায় এবং কোন মতেই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েও যদি ভালো না হয় ।তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দাঁত তুলে ফেলে দেওয়াই উচিত। চিকিৎসক আপনার দাঁত পরীক্ষা করে যদি উঠিয়ে ফেলার প্রয়োজন মনে করেন। 

তাহলে তিনি আপনার দাঁত তুলে ফেলবেন এবং তার সাথে কিছু ঔষধ দিবেন। সেগুলো খেলে আপনি চিরতরে ওই দাঁতের ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন। ডাক্তার আপনার ক্ষতিগ্রস্ত দাঁত তুলে ফেলবেন এবং সেই সাথে একটি কৃত্রিম দাঁত লাগানোর পরামর্শ দিতে পারেন। কারণ কৃত্রিম দাঁত লাগালে তার পাশে যে দাঁতটি থাকে সেটি মজবুত থাকে।

সেটা নড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। তাই দাঁতের পোকা বা দাঁতের ক্ষয়, দাঁতের গর্ত,দাঁত নড়া ,দাঁতের ব্যথা ইত্যাদি দাঁতের যেকোনো সমস্যার জন্য উপরোক্ত পন্থাগুলো বা উপায়গুলো অবলম্বন করে যদি উপকার না আসে। তাহলে ভালো ডেন্টিস্ট ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন।

শেষ কথা- দাঁতের পোকা দূর করার ঘরোয়া উপায়: 

বক্তব্যের শেষ প্রান্তে এসে দাঁত সংক্রান্ত বিষয়ে এই কথা বলে শেষ করবো যে আসলে দাঁতে পোকা বলে কোন জিনিস নেই। অথবা দাঁতের মধ্যে কোন পোকা থাকে না বা দাঁতে কোন পোকা ধরে না। যেটা হয় সেটা হল দাঁতের ক্ষয় এবং দাঁতের গর্ত। এই গর্তকেই কিছু অসাধু লোকজন বা হাতুড়ি ডাক্তার বা আগের কিছু গ্রাম গঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকার পুরাতন মানুষ দাঁতের পোকা বলে ধরে নেয়। 

আরো পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায়?

পুরো পোস্টটি আপনি পড়লে অনেক উপকৃত হবেন এবং পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে। তাহলে কমেন্টস এবং শেয়ার করে অন্যদেরকেও জানিয়ে দিবেন ।যেন অন্যান্য ব্যাক্তিরাও দাঁত সংক্রান্ত বিষয়ে উপকৃত হতে পারেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url