গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন

আজ আমি এই আর্টিকেলে গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। আপনি যদি গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এ বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে না জানেন তাহলে আর্টিকেলটি আপনার জন্য। গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এ বিষয়ে যখন আপনি জানতে পারবেন তখন আপনার আপনজনের যত্নের কোন ত্রুটি থাকবে না।
গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন
গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এ বিষয়ে জানতে হলে আর্টিকেলটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন তাহলে শুরু করা যাক গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এ বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

পোস্ট সূচিপত্রঃ গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন

গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন

আজ আমি গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন সে বিষয়ে আলোচনা করব। গর্ভাবস্থায় গর্ভবতী মাকে সাধারণত তিন বেলা খাবারের পাশাপাশি প্রতিদিন নিয়মিত একমুঠো বেশি খাবার খেতে হবে। কলিজা, মাছ, মাংস, দুধ, ডিম গাড়ো সবুজ শাকসবজি, ঘন ডাল ও মৌসুমী দেশি ফল খেতে হবে। গর্ভাবস্থা নিশ্চিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

 ভিটামিন সি যুক্ত খাবার গর্ভাবস্থায় বেশি করে খেতে হবে। বেশি করে বিশ্রাম নিতে হবে, শারীরিক ও মানসিকভাবে খুশি রাখতে হবে, এতে গর্ভের বাচ্চা স্বাভাবিক ভাবে বড় হবে। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ ও কঠোর পরিশ্রম করা যাবে না এবং আয়োডিন যুক্ত লবণ খাওয়া প্রয়োজন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকতে হবে। একজন নারী যখন গর্ভধারণ করে তারপরে তাকে যত্নের জন্য স্বাস্থ্যের কেন্দ্রে যেতে হবে। 

প্রথম ট্রিটমেন্টে পর একজন গর্ভবতী নারীকে ২৮ সপ্তাহ পর্যন্ত প্রতিমাসে একবার এবং ৩৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ১৫ দিনে ১ বার এবং সন্তান হওয়া পর্যন্ত প্রতি সপ্তাহে একবার গর্ভবতী মায়ের যত্নের জন্য ডাক্তারের কাছে যেতে হয়। গর্বঅবস্থায় অন্তত চারবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। গর্ভবতী মা যদি টি টি টিকা না দিয়ে থাকে তাহলে টিকা দিতে হবে এবং গর্বঅবস্থায় ৫ মাস পর দুইটি টি  টি টিকা দিতে হবে এবং নিয়ম অনুযায় বাকি টিকা গুলো নিতে হবে। 

গর্ভবতী মায়ের খাবার তালিকা

গর্ভাবস্থায় মায়ের রক্তস্বল্পতা বৃদ্ধি করতে ডালিম এবং ডালিমের জুস খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে ডালিমের জুসে রয়েছে প্রচুর আয়রন। গর্ভাবস্থায় কমপক্ষে চার বেলা সুষুম খাবার খেলে নিরাপদ প্রসব ও সুস্থ শিশুর সম্ভাবনা বাড়ে। ভাত বা রুটি, ডিম, কলিজা, মাথা সহ ছোট মাছ, মুরগির মাংস, দুধ বা দুধের তৈরি পুষ্টিকর খাবার ইত্যাদি খেতে দিতে হবে।

আরো পড়ুনঃ মাসিকের ব্যাথা কমানোর ৫টি উপায় - মাসিকের ব্যাথা কমানোর ৪টি ঔষুধ

তাছাড়াও যেকোনো ধরনের ডাল যেমন মুগ ডাল, মটর, মাশকালায় ডাল, মৌসুমী ফল এবং শাকসবজি কাঁঠাল, কলা, পেয়ারা, পালং শাক, মিষ্টি কুমড়া, সিমের বিচি, আয়োডিনযুক্ত লবণ ইত্যাদি এই খাবারগুলো খেতে দিতে হবে এ খাবারগুলো ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, প্রোটিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি এবং ফলিক এসিড সমৃদ্ধ। এজন্য গর্ভবতী মায়ের খাদ্যের মেনুতে এই সমস্ত খাবার রাখা জরুরি এসব খাবারের মধ্যে টক দই খুবই উপকারী। 

গর্ভাবস্থায় ত্বকের যত্ন

গর্ভাবস্থায় ত্বকের যত্ন গর্ভ অবস্থায় একজন মায়ের শরীরে নানা রকম পরিবর্তন আসে এবং ত্বকেরও পরিবর্তন আসে। এ সময় মায়ের ত্বকের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন অনেক গর্ভবতী মায়েদের গর্ভ অবস্থায় ত্বক আরো উজ্জ্বল সুন্দর হয়, আবার কিছু মায়েদের গর্ভাবস্থায় ব্রণ ফুসকুড়ি দেখা দেয়, এর জন্য মুখে হলুদ ব্যবহার করুন এবং ত্বক পরিষ্কার করে রাখুন।

আরো পড়ুনঃ পিরিয়ডের যত দিন পর সহবাস, নামাজ, রোজা, কোরআন পড়া যায়

স্ট্রেচ মার্ক গর্ভাবস্থায় ত্বকে একটি সমস্যা এই সমস্যায় এলোভেরা জেল ব্যবহার করুন। ত্বকের সমস্যা কমাতে প্রচুর পরিমাণে পানি খান, ডাবের পানি, জুস, টক দই খান এতে আপনার ত্বক ভালো রাখবে এবং গর্ভের বাচ্চার ও ত্বক ভালো রাখবে। এছাড়া আপনি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করতে পারেন ঘরোয়া প্যাক যেমন মধু, শশা, গাজরের রস, মেথি গুঁড়া দিয়ে তৈরি প্যাক। 

আলোচনাটি থেকে আপনি নিশ্চয় গর্ভাবস্থায় ত্বকের যত্ন নিবেন কিভাবে তা বুঝতে পেরেছেন।

গরমে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন

গর্ভাবস্থায় সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় তা হলো পানি শূন্যতা এজন্য গর্ভাবস্থায় বেশি পরিমাণে পানি পান করুন। রোদে বাড়ি থেকে বের না হয় ভাল প্রয়োজনে ছাতা সঙ্গে রাখুন, অধিক পরিশ্রম ঝুঁকিপূর্ণ কাজ করবেন না, হালকা ঢিলা ঢালা আরামদায়ক সুতির পোশাক পরুন, নিয়মিত গোসল ও পরিষ্কার থাকুন। 

আরো পড়ুনঃ ব্রেস্ট ছোট করার ১০টি প্রাকৃতিক উপায় - ব্রেস্ট ছোট করার ঘরোয়া উপায়

তিন বেলা খাবারের পাশাপাশি একটু বেশি খাবার এবং আয়োডিনযুক্ত লবণ খান। বেশি পরিমাণে খাবার খেলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে সেজন্য ঘুমানোর সময় ঠান্ডা বাতাস যা শরীরে আরামদায়ক হয় মনে হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই গরমে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন এবং গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন সে বিষয়ে পরিষ্কার ভাবে জানতে পেরেছেন।

উপসংহার

পরিশেষে এ কথা বলে শেষ করবো যে গর্ভাবস্থায় মায়েরা অনেক নাজুক থাকে তাদের দেখভাল করা এবং তাদেরকে মানসিক ভাবে সাহস দেওয়া পরিবারের সবারই কর্তব্য। আজ আমি এই আর্টিকেলে গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন এবং গর্ভবতী মায়ের যত্নের অন্যান্য বিষয় নিয়েও আলোচনা করেছি আশা করি আপনারা উপকৃত হয়েছেন।

আর্টিকেলটি পড়ে আপনার যদি ভালো লেগে থাকে এবং আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে নিচের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে জানাবেন ধন্যবাদ।24079

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url