হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি এবং এর প্রতিকার করার উপায় সমূহ জানুন

ঘামাচি পাউডার কোন টা ভালো

প্রিয় পাঠক,আজ আমি এই আর্টিকেলে হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি এবং এর প্রতিকার করার উপায় সমূহ আলোচনা করব।আপনি যদি হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি এবং এর প্রতিকার করার উপায় সম্পর্কে না জেনে থাকেন তাহলে এই পোস্টটি শুধুমাত্র আপনার জন্য।

চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি এবং এর প্রতিকার করার উপায় সমূহ বিস্তারিত আলোচনা করি।

হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি: 

হাঁটু ব্যথা এমন একটি রোগ যা পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের মধ্যে দেখা যায়। বিশেষ করে ৪০ বছর বয়সের উপরের মানুষের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা দেয়। হাঁটু ব্যথার কারণে ঠিকমতো হাঁটা,বসা, নামাজ পড়া ও অন্যান্য কাজ করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। হাঁটুর জয়েন্ট এর মধ্যে এই ব্যথাটি সাধারণত জোরে আঘাত পেলে,

আরো পড়ুন: রাতে শসা খেলে কি হয় -শসা খাওয়ার নিয়ম

তারপরে হাড়ের ক্ষয় হলে, বাতের ব্যথা ,ওজন বাড়লে, বয়স বাড়লে ইত্যাদি কারণে হাঁটু ব্যথা হয়।অনেকের আবার কম বয়সেও হাঁটুর ব্যথা হয়। বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রধানত কয়েকটি কারণে হাঁটু ব্যথা হয়ে থাকে। এই কারণগুলো হলো-

হাঁটুর ইনফেকশন,আঘাত জনিত ব্যথা,  ক্ষয়জনিত ব্যথা এবং বাত জনিত ব্যথার কারণে হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হয়। হাঁটু ব্যথা হলে প্রতিদিন ঔষধ খাওয়া উচিত নয়।নিয়মিত প্রতিদিন হাঁটু ব্যথার ঔষধ খেলে শরীরের অন্যান্য জটিল রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই এই সমস্যার জন্য নিয়মিত ঔষধ না খেয়ে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললে হাঁটু ব্যথা কমে যেতে পারে।

হাঁটু ব্যথা কমানোর জন্য যে পদ্ধতিগুলো রয়েছে তা আলোচনা করার আগে হাঁটু ব্যথার আরো কারণ গুলো জানার দরকার। যেমন- মাংসপেশির দুর্বলতা, পেশাগত কারণ বংশগত কারণেও হাঁটু ব্যাথা হতে পারে। আর্থ্রাইটিস,ভারী বোঝা মাথায় নেওয়া ইত্যাদি নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

অস্টিও আর্থ্রাইটিস হাঁটু ব্যথার কারণ:

হাড়ের ক্ষয় আমাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে হাড়েরও ক্ষয় হয়ে যায় বা হাড়ের ক্ষয় বেড়ে যায়। সাধারণত চল্লিশ থেকে ৬০ বছরের উর্ধ্বে যাদের বয়স তাদের এই রোগ বেশি হয়। হাড়ের ক্ষয় হলে হাঁটুর ব্যথা সহ কোমরেরও ব্যাথা হতে পারে। আবার পুরুষদের তুলনায় মেয়েদের বা মহিলাদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার পর মহিলাদের আর্থ্রাইটিস বেশি হয়। 

ওজন বৃদ্ধি ও মাংসপেশীর দুর্বলতা হাঁটু ব্যথার কারণ:

হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি এর মধ্যে ওজন বৃদ্ধি ও মাংসপেশীর দুর্বলতা হাঁটু ব্যথার অন্যতম প্রধান কারণ। হাঁটু এমন একটি অঙ্গ যা আমাদের সমস্ত শরীরের ভর বা ওজন বহন করে। অতিরিক্ত দৈহিক ওজন আমাদের হাঁটুর উপর চাপ পড়লে হাঁটুর ক্ষয় হয় এবং জয়েন্টে ব্যাথা হয়।

অপরদিকে দুর্বল মাংস বেশি হাঁটুর সন্ধিকে স্বাভাবিক স্থানে ধরে রাখতে না পারার কারণে ঘর্ষণ ও ক্ষয় বেশি হলে হাঁটুর জয়েন্টে ব্যথা হয়।

বাতের ব্যথা ও বংশগত কারণে হাঁটুতে ব্যথা হয়:

হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি তা আরো জানতে আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকুন।আমাদের দেশে প্রতিটি পরিবারেই প্রায় হাঁটু ব্যথার রোগ দেখা যায়।সাধারণত বয়স বাড়ার পরে বিশেষ করে ৪০ বছরের বয়সের মানুষের এই রোগটি বেশি হয়। বাতের ব্যথা ও বংশগত কারণেও এ রোগ হতে  পারে।

জন্মগতভাবে অস্বাভাবিক জয়েন্টের কারণে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে।এছাড়া আপনার পরিবারের মা বাবা, দাদা দাদির যদি হাঁটু ব্যথা থাকে তাহলে আপনারও এই সমস্যা হতে পারে। অপরদিকে যাদের বাতের সমস্যা বা বাতের ব্যথা রয়েছে সেই বাতের ব্যথা থেকে হাঁটুর ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। 

  • ভারি জিনিস বা ভারী বোঝা মাথায় নিয়ে দূরে কোথাও যাওয়া আশা করলে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে।
  • চলন্ত বাস থেকে লাফ দিয়ে নামলে হাঁটুর জয়েন্টে মচকে গিয়ে ব্যথা হতে পারে।
  • গাড়ি বা বাসের ভিতরে দাঁড়ানো অবস্থায় ড্রাইভার হঠাৎ করে ব্রেক চাপলে হাঁটুতে প্রেসার পড়ে যার কারণে ব্যথা হতে পারে। 
  • উচু জুতা বা হিল জুতা মহিলাদের হাঁটু ব্যথা কারণ হতে পারে। 
  • অতিরিক্ত উচু বিল্ডিংয়ের সিঁড়ি দিয়ে অনবরত উঠানামা করলেও হাঁটুতে ব্যথা হয়।
  • পায়খানা করার সময় নরমাল কমোডে হাঁটু ভাঁজ করে বসে নিয়মিত ভাবে মল ত্যাগ করলে কোমর ব্যথা সহ হাঁটুর ব্যথা হতে পারে। 
  • ক্রিকেট খেলা, ফুটবল খেলা, হ্যান্ডবল খেলা, ইত্যাদি খেলার সময় হাঁটুতে চোট লেগে ব্যথা হয়।
  • অনিয়ন্ত্রিত ব্যায়াম ও ক্যালসিয়ামের অভাবে বা অন্যান্য ভিটামিনের অভাবে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে।
  • ভিটামিন ডি শরীরে কম থাকলে হাঁটু ব্যথা হয় কারণ হাঁড়ের স্বাস্থ্য রক্ষায় ভিটামিন ডি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, শরীরে ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় ও মাংস পেশী দুর্বল হতে পারে। সেই সাথে হাঁটুতে ব্যথা হতে পারে। 

হাঁটু ব্যথা রোধ করা বা প্রতিকারের উপায় সমূহ:

হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি তা উপরের অংশে আলোচনা করেছি। এখন হাঁটু ব্যথা রোধ করার বা প্রতিকারের উপায় সমূহ আমাদের জানা দরকার। তাই চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক কি কি উপায়ে হাঁটু ব্যথা রোধ করা সম্ভব। আপনার যদি হাঁটু ব্যথা থাকে অথবা আপনার কোন পরিবারের কেউ যদি হাঁটু ব্যথাই ভোগেন তাহলে নিম্নোক্ত পদ্ধতি গুলো ফলোআপ করতে পারেন।

  • অলিভ অয়েলের সাথে ভিনেগার মিশিয়ে হাঁটুতে ম্যাসাজ করলে অথবা পানির সঙ্গে ভিনেগার মিশিয়ে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর হাঁটুতে কয়েক দিন লাগালে হাঁটুর ব্যথা কমে যাবে।
  • হালকা গরম অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক থেকে দুই টেবিল চামচ মরিচ এর গুঁড়া মিশিয়ে হাঁটুতে ম্যাসাজ করুন। হাঁটুতে মরিচের গুড়া দিলে সাময়িক ভাবে জ্বালা পোড়া করে কিন্তু হাঁটুর ব্যথা কমে যাবে।
  • হাঁটুর ব্যথা কমানোর অন্যতম প্রধান পদ্ধতি হচ্ছে কিছু আদা পিষে নিয়ে পানির সাথে সেদ্ধ করে এতে সামান্য মধু ও লেবুর রস মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার পান করলে হাঁটুর ব্যথা কমে যাবে।
  • কিছুটা হলুদ নিয়ে পানির সঙ্গে ভালোভাবে ফুটিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে পান করলে হাঁটুর ব্যথা নিরাময় হবে।
  • আপনার যদি অতিরিক্ত ওজন থাকে তাহলে ওজন কমিয়ে ফেলুন তাহলে হাঁটুর ব্যথা কমে যাবে।
  • এক টুকরো বরফ নিয়ে হাঁটুতে অর্থাৎ ব্যথা স্থানে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট আলতো ভাবে ঘষলে ব্যথা অনেকটাই কমে যাবে।দিনে তিন থেকে চার বার এটি করতে হবে।
  • এক টেবিল সমান বাদাম দুই কাপ দুধ আগরোটের গুড়া ও অল্প পরিমাণ হলুদের গুঁড়া পানিতে ফুটিয়ে প্রতিদিন একবার করে এক থেকে দুই মাস খেলে ব্যথায় আরাম পাওয়া যাবে।
  • শরীরের যেকোনো জয়েন্টে আদা ও কমলা দিয়ে এক প্রকার তেল তৈরি করে শরীরের যে কোন জয়েন্টে বা হাঁটুতে মালিশ করলে ব্যথা ভাল হবে।
  • হাঁটুর ব্যথা কমাতে মেথি দারুন কাজ করে। মেথি গুঁড়া করে গরম পানিতে এক চামচ মিশিয়ে খেলে হাঁটুর ব্যথা কমে যাবে।
  • হাঁটুর ব্যথা কমাতে তুলসীর রস ব্যাপক ভূমিকা পালন করে। এক গ্লাস গরম পানিতে এক চামচ তুলসির রস মিশিয়ে নিয়মিত খেলে হাঁটুর ব্যথা অনেক কমে যাবে।
  • ভারী বোঝা বহন করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
  • গাড়ি থেকে লাফ না দিয়ে গাড়ি ঠিকমত যখন দাঁড়াবে তখন নামতে হবে। 
  • উঁচু জুতা ব্যবহার করা মহিলারা বা পুরুষরা পরিহার করতে হবে। মহিলারা সাধারণত হিল জুতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবহার করে ।এজন্য হাঁটা চলাতে পা সঠিকভাবে বা সমান মাটি না পাড়ার কারণে ব্যথা হতে পারে।
  • সিঁড়িতে অতিরিক্ত উঠা নামা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। 
  • টয়লেটে নরমাল কমোডের পরিবর্তে হাই কমোড ব্যবহার করে মলত্যাগ করতে হবে। 
  • অতিরিক্ত বা নিয়মের চেয়ে বেশি খেলাধুলা করা যাবে না।
  • ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খেতে হবে এবং ভিটামিন জাতীয় খাবার খেতে হবে।
  • উল্লেখিত হাঁটু ব্যথার প্রতিকারের উপায় গুলো সঠিক মত ব্যবহার করলে বা এই নিয়মগুলো মেনে চললে আশা করছি ইনশাল্লাহ হাঁটুর ব্যথা কমে যাবে।

হাঁটুর ব্যথা দূরীকরণে চিকিৎসা:

হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি এবং এটি প্রতিকার করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে। এখন এই সমস্ত ঘরোয়া উপায় গুলো মানার পরেও যদি হাঁটুর ব্যথা না কমে তাহলে অভিজ্ঞ ফিজিওথেরাপিস্ট বা অর্থপেডিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে এবং হাঁটুর ব্যথার চিকিৎসা করতে হবে। 

শুধু নিয়মিত ব্যথা নাশক ঔষধ খেলে চলবে না।এটি বিভিন্ন ধরনের হাঁটুর পরীক্ষা যেমন-এক্সরে ,এম আর আই ,রক্ত পরীক্ষা, ইউরিন টেস্ট ইত্যাদি। চিকিৎসক টেস্ট করে তারপর চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। এবং হাঁটু ব্যথার যেসব থেরাপি আছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে। 

চিকিৎসা বা ঔষধ বা বিভিন্ন ধরনের থেরাপি ব্যবহার করেও যদি হাঁটুর ব্যথা ভালো না হয়। যদি আরো জটিল আকার ধারণ করে তাহলে চিকিৎসক অপারেশন বা সার্জারি করে রোগের জীবনযাত্রা উন্নত করতে পারেন।

হাঁটুর ব্যথা প্রতিকারের ব্যায়াম:

হাঁটু ব্যাথার কারণ কি কি এবং এর প্রতিকার করার উপায় সমূহ সম্পর্কে আলোচনা হয়েছে।এখন কি ধরনের ব্যায়াম করলে হাঁটুর ব্যথা ভালো হবে তা আমাদের জানা জরুরি। হাঁটু ব্যথার জন্য যে ব্যায়াম গুলো করা দরকার তা অভিজ্ঞ চিকিৎসক অথবা অভিজ্ঞ থেরাপিস্ট এর সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিদিন কি ব্যায়াম বা কি ধরনের ব্যায়াম বা কত সময় ধরে করলে ভালো হবে তা সেভাবে করতে হবে।

হাঁটুর ব্যথা ভালো করার জন্য সাঁতার কাটা একটি উত্তম ব্যায়াম ।যদি নিয়মিত আপনি সাঁতার কাটেন তাহলে শরীরের সমস্ত পেশি ও জয়েন সক্রিয় থাকে। তাই নিয়মিত দিনে 15 থেকে 20 মিনিট সাঁতার কাটলে ঔষধ ছাড়াই হাঁটুর ব্যথা ভালো হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ। 

হাঁটা হচ্ছে একটি খুবই সহজ ব্যায়াম ।প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ মিনিট হাঁটলে হাঁটুর ব্যথা কমে যাবে। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করা বা দিনে কতক্ষণ হাঁটলে ভালো হয় তা করতে হবে।

বাইসাইকেল চালানো হাঁটু ব্যথা রোধ করার একটি উপযুক্ত ব্যায়াম। আপনি চাইলে হাঁটুর ব্যথা দূর করতে বাইসাইকেল চালাতে পারেন। 

স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ করলে হাঁটু ব্যথা রোধ হয়। হাঁটু ব্যথা থাকলে স্ট্রেচিং ব্যায়াম খুবই কার্যকরী। প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই ব্যায়াম করলে জয়েন্ট ও মাশলের নমনীয়তা বৃদ্ধি পায়। ফলে ব্যথা বা যন্ত্রণা কমে যায়।

এছাড়া আরো অনেকগুলো কঠিন ব্যায়াম আছে যেগুলো সহজে সবাই করতে সক্ষম হয় না আপনি যদি ওই কঠিন ব্যায়ামগুলো করতে চান তাহলে অভিজ্ঞ চিকিৎসক বা অভিজ্ঞ থেরাপিস্টের সঙ্গে আলোচনা করে ঐ কঠিন ব্যায়াম গুলো শুরু করতে পারেন।

আমাদের শেষ কথা: 

হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি এবং এর প্রতিকার করার উপায় সমূহ কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। কি করলে এবং কি ধরনের ব্যায়াম করলে বা কি কি পদক্ষেপ নিলে হাঁটু ব্যথা সেরে যাবে তাও পোস্টের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি পোস্টটি পড়লে আপনি অনেক উপকৃত হবেন তাই মনোযোগ সহকারে পোস্টটি পড়ুন এবং মন্তব্য করুন। 

ধন্যবাদান্তে লেখক।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url