মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি -কিভাবে তা রোধ করা সম্ভব
প্রিয় পাঠক/ পাঠিকা, আপনি কি মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি তা নিয়ে চিন্তিত? তাহলে আসুন চিন্তা না করে আমার এই আর্টিকেলটি পড়ুন এবং জানুন যে মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি।
চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি ও কিভাবে তা রোধ করা সম্ভব।
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ:
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি-কিভাবে তা রোধ করা সম্ভব সে সম্পর্কে আমাদের সবারই জানার দরকার।পৃথিবীতে প্রায় ৮০ থেকে ৮৫% বেশি মানুষ কোমর ব্যথায় ভোগেন।তার মধ্যে মহিলাদের কোমর ব্যথা আরো বেশি দেখা যায়। কারণ নারীরা বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় বেশি ভোগেন।
আরো পড়ুন: কোমর ব্যথা কি কিডনি রোগের লক্ষণ? সবারই জানা দরকার
নানা রকম শারীরিক সমস্যার কারণে মহিলাদের কোমর ব্যথা বেশি হয়। তাছাড়া মহিলারা বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলো স্বাধীনভাবে নাড়াতে অভ্যস্ত নয়। মহিলাদের কোমর ব্যথার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। সেগুলির মধ্যে গর্ভকালীন অবস্থায় কোমর ব্যথা হতে পারে, মানসিক চাপের কারণে
কোমর ব্যথা হতে পারে, মহিলাদের পিরিয়ডের সময় কোমর ব্যথা হতে পারে, কিডনির সমস্যা, মেরুদন্ডের সমস্যা, মাংসের সমস্যা বা দুর্বলতা, সায়াটিকা, ডিসমেনোরিয়া , এন্ড্রোমেটিয়সিস ইত্যাদি সমস্যা বা রোগের কারণে মহিলাদের কোমর ব্যথা হয়।
গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের কোমর ব্যথা:
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি এবং কিভাবে তা রোধ করা সম্ভব তা জানার জন্য পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।গর্ভকালীন অবস্থায় প্রথমদিকে মহিলাদের কোমর ব্যথা হতে পারে। গর্ভাবস্থায় মহিলাদের লিগামেন্ট গুলো ঢিলা হয়ে যায়। এই কারণে পিঠে বা কোমরে হাড়ের উপর বেশি প্রেশার পড়ার কারণে মহিলাদের কোমর ব্যথা হয়।এছাড়া গর্ভকালীন সময়ে মহিলাদের ওজন বৃদ্ধি হতে থাকে। এই ওজন বৃদ্ধির কারণে মহিলাদের কোমর ব্যথা হয়।
অস্বাস্থ্যকর খাবার ও মানসিক চাপের কারণে মহিলাদের কোমর ব্যথা:
অস্বাস্থ্যকর খাবার বেশি প্রসেস করা খাবার, চিনি যুক্ত কোমল পানীয়,চর্বিযুক্ত খাবার ইত্যাদি খাবার কোমরের আশেপাশে অতিরিক্ত চর্বি জমা করার ফলে মহিলাদের কোমরে ব্যথা হতে পারে।ধূমপান,অতিরিক্ত মধ্য পান,অ্যালকোহল, পেশিতে প্রদাহ সৃষ্টি করে ও হাড়ের ঘনত্ব কমিয়ে দেওয়ার ফলে কোমর ব্যথা হতে পারে।
মানসিক চাপের কারণেও মহিলাদের কোমরে ব্যথা হতে পারে। মানসিক চাপ শুধু মনকেই প্রভাবিত করে না শরীরকেও প্রভাবিত করে। মানসিক প্রেসারের কারণে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।এর মধ্যে কোমর ব্যথা একটি অন্যতম সমস্যা। দীর্ঘ সময় মানসিক চাপের কারণে ঘুম কম হলে মহিলাদের কোমর ব্যথা হতে পারে।
মহিলাদের কোমর ব্যথার আরো কারণ :
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি এবং কিভাবে তা রোধ করা সম্ভব সে সম্পর্কে আরো জানুন।একটানা বসে কাজ করলে ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা হয়।
- সঠিকভাবে চেয়ারে বসে কাজ না করার নিয়ম না জানার কারণে পিঠের হাড়ের বক্রতা দেখা দেয়। ফলে কোমরে ব্যথা হয়।
- কোমরের মধ্যে যে হাড় রয়েছে এই হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে ক্ষয় হয়ে যায় তখন কোমর ব্যথা শুরু হয়।
- বড় কোন আঘাতের দুর্ঘটনা থেকে কোমর ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
- মানুষের বিশেষ করে মহিলাদের ৪০ বছর বয়সের উপরে হাড়ের ক্ষয় হয় এবং হাড়ের মধ্যে থাকা জায়গা ডিস্ক বা চাকতি দ্বারা পূরণ থাকে। যদি কোন কারনে এই ডিস্ক বা চাকতি যদি কোন কারণে বের হয়ে যায় তাহলে স্নায়ু মূলের উপরে চাপ পড়লে কোমর ব্যথা শুরু হয়।
- মহিলারা সাধারণত শুয়ে একটানা বসে বা কাত হয়ে লম্বা সময় ধরে বই পড়ার কারণে মহিলাদের কোমর ব্যথা হয়।
- ভারি কোন জিনিস সঠিক নিয়মে না তোলার কারণে মেরুদন্ডে অনেক চাপ পড়ে এবং তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যথা শুরু হয়।
- আকস্মিকভাবে বা হঠাৎ করে শারীরিক নড়াচড়ার কারণেও কোমরে ব্যথা হতে পারে।
- হঠাৎ করে অতিরিক্ত ভারী জিনিস নিয়ে পরিশ্রম করলে কোমরে ব্যথা হতে পারে।
- উঁচু বালিশে ও অত্যন্ত নরম বিছানায় নিয়মিত ঘুমানোর কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে।
- হাড়ের ফাটল বা মেরুদন্ডের হাড়ের ইনফেকশন এর কারণে কোমর ব্যথা হয়।
- যদি হাড়ে ক্যান্সার হয় তাহলে কোমর ব্যথা হবে। গ্যাস্টিকের ও আমাশয়ের কারণেও পেটে বা কোমরে ব্যথা হতে পারে।
- কিডনি সমস্যা, পিত্তথলি ও পেটে পাথরের কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে।
- হাড় ক্ষয় হাড় বাঁকা হওয়া ও হাড় চিকন হওয়া থেকে কোমর ব্যথা শুরু হতে পারে।
- মেরুদন্ডের হাড় গুলি দুর্ঘটনায় ভেঙ্গে যাওয়া বা পিছলে পড়ে গিয়ে হাড় সামনে বা পিছনে ডিসপ্লেস হলে কোমর ব্যথা হবে।
- বয়সের সাথে সাথে মানুষের ডিস্ক গুলি শুকিয়ে গিয়ে ডিস্কের ফাঁকা জায়গা কমে গিয়ে মেরুদন্ডকে ভালোমতো সুরক্ষা দিতে পারে না।যার ফলে কোমরে ব্যথা শুরু হতে পারে।
- মেরুদন্ডের পিঠের নিচের দিকের ব্যথা হওয়া একপ্রকার বাতের ব্যথা।এটি বয়সের পরিমাণ যখন বেশি হয় বা মধ্য বয়সেও বা কম বয়সেও এ্যানকাইলোসিন, স্পন্ডিলাইটিসের ফলে পিঠের নিচের অংশে ব্যথা ও চলাফেরা করলে অস্বস্তি হতে পারে।
- বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোমর ব্যথার মেইন কারণ হলো শুধু ভুল ভাবে অবস্থান করা। তার মানে হচ্ছে আপনি যদি বসা, হাটা দাঁড়ানো,কোন শক্ত বা ভারী কাজ সঠিক নিয়মে না করা, দৈনিক রিক্সায় বা অটোতে ঘোড়া ফেরা করা ,এমনকি হাঁচি কাশি দেওয়ার সময় বাঁকা হওয়ার কারণে কোমর ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে।
- পেশাগত কারণে যেমন- কোমর হেলে বা বাঁকা করে কাজ করতে হয়।যেমন ঝাড়ু দেওয়া, আবর্জনা পরিষ্কার করা ইত্যাদি কারণে কোমর ব্যথা হয়।
- রোগা ও কম উচ্চতার মহিলাদের হাড় দুর্বল থাকার কারণে অস্টিওপোরোসিস হবার সম্ভাবনা থাকে যার কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে।
- ভেজা বা স্যাতসেতে স্থানে দীর্ঘকাল বসবাস করলে শরীরে ঠিকমতো আলো বাতাস না পাওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হতে পারে এমনকি কোমরেও ব্যাথা হতে পারে।
- শরীরে ক্যালসিয়াম আয়রন,পটাশিয়াম বা অন্যান্য ভিটামিনের অভাবে কোমর ব্যথা হতে পারে।
- যক্ষা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলদ্বারে প্রদাহ, পাইলস, ডায়রিয়া, আমাশয়, কিডনিতে পাথর, লিভার সমস্যা,ইউরিন সমস্যা, ক্যান্সার ইত্যাদি জটিল রোগের কারণে মহিলাদের কোমরে ব্যথা হয়।
মহিলাদের কোমর ব্যথা দূর করার উপায়:
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি তা উপরে উল্লেখ করেছি। এখন মহিলাদের কোমর ব্যথা কিভাবে রোধ করা সম্ভব বা কোমর ব্যথা দূর করার উপায় সমূহ কি কি তা আলোচনা করব।আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকবেন।
আরো পড়ুন: ঘামাচি পাউডার কোনটা ভালো
- প্রথমে যখন অল্প অল্প কোমর ব্যথা শুরু হবে তখন তোয়ালে বা গামছা দিয়ে ব্যথা স্থানে বেঁধে নিয়ে তার উপরে গরম সেঁক দিন। এরপর বিভিন্ন মলম ব্যবহার করতে পারেন।
- চিকিৎসকরা বলেন ব্যথা শুরু হলে তাড়াতাড়ি বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। ব্যথা যদি এক দুই দিন নাও না কমে তাহলে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনে ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন করুন।
- কোমর ব্যথা দূর করার জন্য ভারী কাজ করা যাবে না।
- দীর্ঘক্ষণ এক জায়গায় একইভাবে বসে কাজ করা যাবে না।
- কিছুক্ষণ পর পর বসার ধরন পরিবর্তন করতে হবে।
- সামনের দিকে ঝুঁকে কোন কাজ করা যাবে না।
- একজন দক্ষ ফিজিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ব্যায়াম ও কিছু থেরাপি ব্যবহার করলে কোমর ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
- প্রাথমিক পর্যায়ে মহিলাদের কোমর ব্যথা রোধ:
- মহিলাদের কোমর ব্যাথার কারণ কি কি এবং কিভাবে রোধ করা সম্ভব এ সম্পর্কে আরো জানুন।
- সমান ও শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন ফোমের নরম বিছানায় ঘুমাবেন না।
- ঘাড় বা মাথায় বা পিঠে ভারী জিনিস তোলা থেকে বিরত থাকুন।
- মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন বা সোজা করে কাজ করুন।
- শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে। নইলে ব্যায়াম বা হাঁটাহাটি করতে হবে।
- ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমাতে হবে এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় যেকোনো একদিকে কাত হয়ে উঠতে হবে। বাথরুমে বা টয়লেটের হাই কমোড ব্যবহার করে মলত্যাগ করতে হবে।
মহিলাদের কোমর ব্যথা দূরীকরণের চিকিৎসা:
আপনি যদি মহিলা বা পুরুষ হয়ে থাকেন, যদি আপনার কোমর ব্যথা জটিল আকার ধারণ করে থাকে তাহলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করুন। চিকিৎসার পাশাপাশি কোমর ব্যথা দূরীকরণে আলর্ট্রো সাউন্ড থেরাপি, লাম্বার ট্রাকশন ও বিভিন্ন ব্যায়াম করতে হবে।
দীর্ঘদিন ঔষধ সেবনের পরও যদি কোমর ব্যথা ভালো না হয় তাহলে রোগীকে অবস্থা অনুযায়ী মেরুদন্ডের অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। তার আগে চিকিৎসক রোগীকে বিভিন্ন ধরনের শরীরের টেস্ট করবেন। এক্স-রে সহ এম আর আই করলে কোমর ব্যথার আসল কারণ ধরা পড়ে।
যার ফলে ডাক্তারের ওই রোগের ওপর চিকিৎসা দিতে সুবিধা হয় বা যদি কোন অপারেশন বা সার্জারির প্রয়োজন হয় তাহলে চিকিৎসক তা করবেন। অনেকেই কোমর ব্যথা হলে হুট করে ব্যথা নাশক ঔষধ খেয়ে ফেলে। তা কিন্তু ঠিক নয়।কি কারনে ব্যথা হচ্ছে তা চিকিৎসক কারণ নির্ণয় করেন ।
তারপর ঔষধ খেতে ডাক্তার ওষুধ লিখে দিবেন ।তারপর ওই প্রেসক্রিপশন অনুসারে ওষুধ খেতে হবে। কোমর ব্যথার সম্পূর্ণ ও সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে থেরাপি, সঠিক মোবিলাইজেশন, মেনুপুলেশন, স্ট্রেসিং এর মত চিকিৎসা করা ভালো। কোমরের কিছু কিছু পরীক্ষা যেমন-
ফরওয়ার্ড বন্ডিং পরীক্ষা, ব্যাকওয়ার্ড বন্ডিং পরীক্ষা, কোমরের এক্সরে এবং এম আর আই। এই সমস্ত পরীক্ষা ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে করা উচিত। রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা যেমন ক্যালসিয়াম এর পরীক্ষা, ইউরিন, এসিডের পরিমাণ,শরীরের বাতের পরীক্ষা ইত্যাদি ধরনের পরীক্ষা করা যেতে পারে।
মহিলাদের কোমর ব্যথা রোধের খাবার:
মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি- কিভাবে তা রোধ করা সম্ভব তা জানতে এবং রোধ করার জন্য কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে মহিলাদের অথবা পুরুষদের কোমর ব্যথা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।সেগুলো এখন বর্ণনা করছি। হাড়ের পুষ্টির জন্য নিয়মিত ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খান।
ফসফরাস ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার যেমন- শাকসবজি, দুধ, ডিম ,সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন। ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাদ্য প্রতিদিন নিয়ম অনুসারে খেলে কোমর ব্যথা ভালো হতে পারে। তাই নিয়ম অনুযায়ী দুধ,ফলমূল, ঘি, শাকসবজি বাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন।
প্রোটিন খাবার কোমরের ব্যথা দূর হবে:
নিয়মিত খাবারের তালিকায় প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন- দুধ,ডিম মুরগির মাংস,ডাল ও বিভিন্ন ধরনের মাছ খেলে উপকার হবে। শাকসবজির মধ্যে যেগুলো মাটির নিচে হয় যেমন- মুলা, বিট গাজর, শালগম ইত্যাদি সবজিতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা কোমরের ব্যথা বা অন্যান্য ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে।
এছাড়া নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাবারের তালিকায় রাখলে যেমন- পালং শাক, ফুলকপি,বাঁধাকপি, ব্রকলি ইত্যাদি।এগুলোতে রয়েছে ভিটামিন এ,ভিটামিন সি, ভিটামিন কে। যা ব্যথা দূর করতে কাজ করে। ফলমূল প্রতিদিন নিয়ম করে তাজা ফল খেলে কোমরের ব্যথা সহ অন্যান্য ব্যথা দূর হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে। যেমন- আনারস, আপেল, কমলা , চেরি ,আঙ্গুর ,বেরি সবেদা, পেয়ারা, কলা ইত্যাদি।
মহিলাদের কি ধরনের ব্যায়াম কোমর ব্যথা রোধ করে:
মহিলাদের কোমর ব্যথার জন্য কারণ কি কি- কিভাবে তা রোধ করা সম্ভব। উপরের অংশে তা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন মহিলাদের কোমর ব্যথা রোধের কি ধরনের ব্যায়াম আছে তা আলোচনা করছি। চিকিৎসার পাশাপাশি মহিলারা কোমর ব্যথা রোধ করার জন্য নিম্নোক্ত ব্যায়ামগুলো সঠিকভাবে করলে অনেক উপকার পেতে পারেন-
প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট করে সকালে ও বিকালে হাঁটাহাঁটি করতে হবে। হাঁটা হাটা শরীরের পক্ষে একটি উত্তম ব্যায়াম। শুধু কোমরের ব্যথার জন্য নয় অন্যান্য শরীরের স্বাস্থ্যের উপকারের জন্য একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
আরো পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু ইসলাম কি বলে বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়
সমান বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে দুই হাত দুই পাশে রেখে দুই পা সোজা করে এক পা উপরের দিকে যতদূর পারেন তুলুন।এভাবে আরেক পা যতদূর পারেন উপরে তুলুন। ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড এইভাবে উপরের দিকে পা রাখুন।
এরপর একই কায়দায় দুই পা একসাথে যতদূর পারেন টান করে উপরের দিকে তুলুন এবং ১ থেকে ২০ পর্যন্ত গণনা পর্যন্ত দুই পা উপরের দিকে ওইভাবে রাখুন।
এক হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে হাঁটুকে বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন এবং ১ থেকে ২০ পর্যন্ত গণনা পর্যন্ত রাখুন।
এবার দুই হাঁটু ভাঁজ করে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে দুই হাঁটুতে বুকে লাগানোর চেষ্টা করুন এবং এইভাবে ১ থেকে 20 পর্যন্ত গণনা পর্যন্ত রাখুন।
দুই পা সোজা করে পায়ের পাতার দিকে টান করে ১ থেকে ২০ পর্যন্ত গণনা পর্যন্ত রাখুন।
এইভাবে নিয়মিত প্রতিদিন তিনবার সকালে, রাতে, বিকালে ব্যায়াম করলে কোমর ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব।
উপসংহার-মহিলাদের কোমর ব্যথার কারণ কি কি-কিভাবে তা রোধ করা সম্ভব:
প্রিয় পাঠক পাঠিকা, মহিলাদের কোমর ব্যথা কি জন্য হয় বা এর কারণ কি কি এবং এই ব্যথা কিভাবে রোধ করা সম্ভব তা আমি এতক্ষণে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছেন এবং কোমর ব্যথা রোধ করা এবং কি জন্য কোমর ব্যথা হয় তা জানতে পেরেছেন।
পোস্টটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে আমি লেখক হিসেবে নিজেকে কিছুটা হলেও উপকার করতে পেরেছি বলে মনে করছি ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url