বজ্রপাতের উপকারিতা - বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত
বজ্রপাতের উপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। কিন্তু প্রতিটি জিনিসের বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে ঠিক তেমন বজ্রপাতের উপকারিতা সম্পর্কে আমাদের জেনে নিতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে এবং না জানার কারণে আজকের এই আর্টিকেলে বজ্রপাতের উপকারিতা সহ আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।
আপনি যদি বজ্রপাতের উপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে করতে হবে। তাহলে চলুন আর দেরি না করে বজ্রপাতের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
পেজ সূচিপত্রঃ বজ্রপাতের উপকারিতা - বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত
বজ্রপাত কেন হয়?
বজ্রপাত হলো অনেক মানুষের কাছে ভয়ংকর একটি বিষয় আবার অনেকের কাছে ভীষণ সুন্দর একটি দৃশ্য। সাধারণত এই বজ্রপাত বর্ষাকালের সময় বেশি দেখা যায়। বর্ষাকালে বজ্রপাতের গর্জন সবসময় শোনা যায়। আমাদের মধ্যে অনেকে আসে যারা বজ্রপাত কেন হয়?
এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানেনা। তবে আপনাদের সুবিধার্থে বলে রাখি যে বজ্রপাতের উপকারিতা রয়েছে বেশ কিছু।
আরো পড়ুনঃ অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট - অনলাইন ইনকাম সাইট ২০২৪
বাংলাদেশের দক্ষিণ থেকে আসে গরম আবহাওয়া আর উত্তর দিকে থাকে ঠান্ডা আবহাওয়া। সাধারণত এই আবহাওয়া যখন একসাথে মিলিত হয় তখন পরিস্থিতিশীল আবহাওয়া তৈরি হয় যার কারণে মেঘ গর্জন করে। সাধারণত এই সময় একটি মেঘের সঙ্গে আরেকটি মেঘের ঘর্ষণ হয় যার ফলে বজ্রপাত হয়ে থাকে।
সাধারণত এই ধর্ষণের কারণে উচ্চ ভোল্টেজের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ তৈরি হয় সাধারণত তখন মাটিতে বিদ্যুৎ নেমে যায়।
বাংলাদেশে অনেক সময় অতিরিক্ত পরিমাণে বজ্রপাত দেখা যায় সাধারণত প্রতি বছর এই বজ্রপাতের কারণে অনেক মানুষ মৃত্যুবরণ করে। বাংলাদেশ এত বেশি বজ্রপাতের মূল কারণ হলো ভৌগোলিক অবস্থান। বাংলাদেশের একদিকে বঙ্গোপসাগর এরপর ভারত মহাসাগর সাধারণত সেখান থেকে আসে গরম এবং আদ্র বাতাস।
আর আমরা জানি যে বাংলাদেশের ভিতরে রয়েছে হিমালয় যেখান থেকে ঠান্ডা আবহাওয়া আসে।
বজ্রপাতের উপকারিতা
অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে যে বজ্রপাতের উপকারিতা কিছু আছে কিনা? আপনাদের এই বিষয়টি জানিয়ে রাখি যে বজ্রপাতের বেশ কিছু উপকারিতা আছে। যেহেতু প্রতিবছর বজ্রপাত হয়ে থাকে তবে বেশ কিছু সময় রয়েছে সাধারণ এই সময়গুলোতে অতিরিক্ত বেশি বজ্রপাত দেখা যায়।
বজ্রপাতের সময় নাইট্রোজেন অক্সিজেনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে তৈরি করেন নাইট্রোজেন অক্সাইড। সাধারণত পানির সংস্পর্শে অতি লঘু নাইট্রিক এসিড তৈরি করে। সাধারণত আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত হয়ে থাকে এই বৃষ্টিপাতে এসিডের মাত্রা বিভিন্ন রকমের হয়।
বৃষ্টি থেকে যে নাইট্রিক এসিড মাটিতে পড়ে এটি খুব সহজেই মাঠের অভ্যন্তরীণে প্রবেশ করতে পারে।মাটির ভেতরে যে সকল খনিজ পদার্থগুলো আছে সাধারণত এগুলো খুব সহজে এসিডের দ্রবীভূত হয়ে যায়। এই এসিড এবং ধাতব অক্সাইডের বিক্রিয়ায় উৎপন্ন হয় নাইট্রেট লবণ সাধারণ এটি হল উদ্ভিদের অন্যতম পুষ্টি উপাদান।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকেও বজ্রপাতের বেশ কিছু উপকারিতা আছে। যখন বজ্রপাত ঘটে সাধারণত তখন অতি উচ্চ ভোল্টেজের বিদ্যুৎ ক্ষরণ ঘটে।যে নাইট্রিক এসিড তৈরি হয় এটি আবার অক্সিজেনের সাথে নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড তৈরি করে। এই দুইটি উপাদান বৃষ্টির পানিতে মিশে যথাক্রমে নাইট্রাস ও নাইট্রিক এসিড উৎপন্ন করে মাটিতে পড়ে।
সাধারণত এই উপাদানগুলো মাটির খনিজের সাথে বিক্রিয়া করে লবণ ও সার তৈরি করে। এগুলো উদ্ভিদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই বলে থাকে যে বজ্রপাতের উপকারিতা আছে।
বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত
আমরা কম বেশি সকলে বজ্রপাত সম্পর্কে জানি কিন্তু বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত? সম্পর্কে আমাদের জানা নেই। দুই ধরনের মেঘের ঘর্ষণের কারণেই বজ্রপাত হয়ে থাকে। যখন একটি মেঘ উপর মেঘের সাথে ঘর্ষণ হয় সাধারণত তখন প্রচুর পরিমাণে তাপমাত্রা উৎপাদন হয় এবং এ তাপমাত্রা থেকে বিদ্যুৎ তৈরি হয়। তা
হলে চলুন বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত? তা জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ সেরা উপায়ে প্রতিদিন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা ইনকাম করুন
যখন বজ্রপাত হয় সাধারণত তখন বিশাল পরিমাণে শক্তি উৎপাদন হয় এ বিষয়টি কমবেশি সকলের জানা আছে। যখন বজ্রপাত হয় সাধারণত মাঝে মধ্যে এই বজ্রপাত গুলো মাটিতে এসে আছড়ে পড়ে। মেঘ থেকে ভূমিতে পাওয়া একটি সাধারণ বজ্রপাতের প্রায় ১ বিলিয়ন জুল শক্তি উৎপাদন হয়।
সাধারণত যখন একে সাধারণ বজ্রপাত উৎপাদন হয় এটির মধ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ভোল্ট উৎপাদন হয়।আমরা বাসা বাড়িতে সাধারণত ২২০ ভোল্টের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে থাকি। যখন এই বিদ্যুৎ মানুষকে স্পর্শ করে তখন মানুষ মৃত্যুবরণ করে। যখন কোন বজ্রপাত হয়ে থাকে ৩০,০০০ এম্পিয়ার বিদ্যুৎ উৎপাদন হয়ে থাকে।
এটি যদি ভোল্টে হিসাব করা যায় তাহলে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন। যদি কোন মানুষের উপরে পড়ে তাহলে তার অবস্থা কি হবে বোঝা যাচ্ছে।
বজ্রপাত সম্পর্কে ইসলামে কি বলা হয়েছে
বজ্রপাতের সময় আমাদেরকে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। কারণ কোন মানুষের ওপরে যখন বজ্রপাত হয় তখন সে মানুষের অস্তিত্ব মিটে যায়। বজ্রপাত সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে। আমরা ইতিমধ্যেই বজ্রপাতের উপকারিতা সহ আরো বেশ কিছু বিষয় সম্পর্কে জেনেছি।
এখন আপনাদের সুবিধার্থে বজ্রপাত সম্পর্কে ইসলামে কি বলা হয়েছে সে বিষয়ে জানব।বজ্রপাতের শক্তিশালী আলোর ঝলকানি ও প্রচণ্ড গর্জন যেটিকে আমরা অনেকেই মহান আল্লাহ তাআলার মহাশক্তির নিদর্শনের বহিঃপ্রকাশ বলে থাকি। শক্তিশালী এই বজ্রপাতের গর্জন মানুষের জন্য আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকে একটি সতর্কবাণী মনে করা হয়।
সাধারণত আল্লাহ তায়ালা আমাদের সাবধান করার জন্যই বজ্রপাত বর্ষণ করে থাকেন।মহান আল্লাহ তাআলা বজ্রপাত প্রসঙ্গে কোরআনে সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন। হাদিসে নবিজী সাঃ বিশাল আওয়াজ সম্পর্কে সুস্পষ্ট বক্তব্য দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, "মেঘের গর্জন তাঁর প্রশংসা সহকারে পবিত্রতা
বর্ণনা করে এবং ফেরেশতারা তাঁর ভয়ে প্রকম্পিত হয়ে তাসবিহ পাঠ করে তিনি বজ্রপাত করেন এবং তাকে যার ওপর চান, ঠিক সে যখন আল্লাহ সম্পর্কে বিতণ্ডায় লিপ্ত তখনই নিক্ষেপ করেন। অথচ আল্লাহ তাআলার কৌশল ও শক্তি বড়ই জবরদস্ত।" {সুরা রাদঃ আয়াত ১৩}
কোরআনের অন্য জায়গায় বলা হয়েছে যে, "সাত আকাশ, পৃথিবী এবং ওদের অন্তর্বর্তী সব কিছু তারই পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এবং এমন কিছু নেই যা তার সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে না কিন্তু তাদের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা তোমরা অনুধাবন করতে পার না।" {সুরা বনি ইসরাইলঃ আয়াত ৪৪/ইবন কাছির}
বজ্রপাতের উপকারিতা - বজ্রপাতের তাপমাত্রা কতঃ শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুগণ আজকের এই আর্টিকেলে বজ্রপাত কেন হয়? বজ্রপাতের উপকারিতা, বজ্রপাতের তাপমাত্রা কত? বজ্রপাত সম্পর্কে ইসলামে কি বলা হয়েছে? সাধারণত এই বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। আপনি যদি বজ্রপাত সম্পর্কে কোন ধরনের ধারণা না রাখেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে উত্তর বিষয়গুলো জেনে নিতে হবে আগে।
আরো পড়ুনঃ প্রতিদিন ৫০০ টাকা ইনকাম করার ১৯ টি উপায়
এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ এবং তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পড়তে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে থাকুন। কারণ আমরা আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এই ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। ২৫৪২৭
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url