কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ জানুন

প্রিয় পাঠক আপনি কি কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ জানতে চেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করছেন? তাহলে সঠিক আর্টিকেলটি পড়ছেন।আজ আমি কোমর ব্যাথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।


 চলুন তাহলে শুরু করা যাক কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ জেনে নেই ।

কোমর ব্যথা কেন হয় বা কি কারনে কোমর ব্যথা হয় ? 

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ জানার আগে কোমর ব্যথা কেন হয় তা জানা দরকার। কোমর ব্যথা এমন একটি রোগ যা ৮০% বেশি মানুষ জীবনের কোন না কোন সময় কোমরের যন্ত্রণায় ভোগে।উপযুক্ত চিকিৎসা, ব্যায়াম করলে ২-৩ মাসের মধ্যে কোমর ব্যথা ভালো হয়ে যায়। 

আরো পড়ুন: কোমরের ডান পাশে ব্যথা কেন হয়- তার করণীয় কি

  • কোমর ব্যথার প্রধান কারণ হলো সঠিকভাবে কর্ম স্থানে বসে কাজ না করা, লম্বা সময় ধরে একটানা বসে কাজ করলে মেরুদন্ডের সামনের মাংসপেশি সংকুচিত হয় এবং পিছনের মাংস প্রসারিত হয়।তখন মেরুদন্ডের মাঝখানে ডিসকের উপর চাপ পড়লে আস্তে আস্তে ব্যথার সৃষ্টি হয়। 
  • একটানা বসে থাকলে ঘাড়ে ও পিঠে ব্যথা হয়। সঠিকভাবে চেয়ারে বসে কাজ করার নিয়ম না জানার কারণে পিঠের হাড়ের বক্রতা দেখা দেয়। ফলে কোমর ব্যথা হয়।
  • কোমরের মধ্যে যে হাড় রয়েছে এই হাড়গুলো যদি বয়সের কারণে ক্ষয় হয়ে যায় তখন কোমর ব্যথা শুরু হয়। 
  • বড় কোন আঘাতের দুর্ঘটনা থেকে কোমর ব্যথা সৃষ্টি হতে পারে। কোমর ব্যথার পাশাপাশি বুকে ব্যথা হলে বাড়তি গুরুত্ব দিতে হবে। 
  • মানুষের ৩০ থেকে ৪০ বছরের উপরে বয়সের হাড়ের ক্ষয় এবং হাড়ের মধ্যে ফাঁকা জায়গা ডিস্ক বা চাকতি দ্বারা পূরণ থাকে। এই ডিস্ক বা চাকতি যদি কোন কারনে বের হয়ে যায় তাহলে স্নায়ু মূলের উপর চাপ পড়লে কোমর ব্যথা শুরু হয়। 
  • শরীরের অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধির কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। চিকিৎসকরা বলেন,শরীরের ওজন যদি তুলনামূলক ভাবে বেশি হয় তাহলে এই রোগের সৃষ্টি হয়। 
  • দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি চালালে, একই ভঙ্গিমায় গাড়ি চালালে বা ড্রাইভিং করলে কোমর ব্যথা হতে পারে। 
  • শুয়ে বা কাত হয়ে একাধারে লম্বা সময় ধরে বই পড়ার কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। 
  • কোমর ব্যথা কখনো কখনো দুই পায়ে বা যেকোনো এক পায়ে নামতে পারে। এ ধরনের সমস্যায় আমি নিজেই ভুক্তভোগী ছিলাম। কোমর ব্যথা থেকে ডান পায়ের হাঁটু পর্যন্ত এই ব্যথা নেমেছিল। এখন আমি আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছি।
  • কখনো কখনো কোনো কারণ ছাড়াই মানসিক চাপে থাকলেও কোমর ব্যথা হতে পারে বা হঠাৎ করে শারীরিক নড়াচড়ার কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে্।
  •  হঠাৎ করে অতিরিক্ত বা ভারী জিনিস নিয়ে পরিশ্রম করা কোমর ব্যথার কারণ হতে পারে। 
  • উচু বালিশে ও অত্যন্ত নরম বিছানায় নিয়মিত ঘুমানোর কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। 
  • প্রতিদিন নিয়মিত ব্যায়াম না করার কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে। 
  • হাড়ের ফাটল বা মেরুদন্ডের হাড়ের ইনফেকশন এর কারণে কোমর ব্যথা হয়। 
  • যদি হাড়ে ক্যান্সার হয় তাহলে কোমর ব্যথা হবে। 
  • কোমরের স্নায়ুর রক্ত সঠিকভাবে সঞ্চালন না হওয়ার কারণে কোমরে ব্যথা হতে পারে ।
  • গ্যাস্ট্রিকের ও আমাশয়ের কারণেও কোমরে ব্যথা হতে পারে। 
  • কিডনি সমস্যা পেটে পাথরের কারণে কোমর ব্যাথা হতে পারে। 
  • হাড় ক্ষয় হাড়,বাঁকা হওয়া, ও হাড় ফাটা থেকে কোমর ব্যথা শুরু হতে পারে। 
  • যদি হাড়ে ক্যান্সার হয় তাহলেও কোমর ব্যথা হয়।
  • দীর্ঘকাল ধরে ঔষধ সেবন করলেও কোমর ব্যথা হতে পারে। 
  • মেরুদন্ডের হাড় গুলি দুর্ঘটনায় ভেঙ্গে যাওয়া বা পিছলে পড়ে গিয়ে হাড় সামনে বা পিছনে ডিসপ্লেস হলে কোমর ব্যথা হবে। 
  • বয়সের সাথে সাথে মানুষের ডিস্ক গুলি শুকিয়ে গিয়ে ডিস্কের ফাঁকা জায়গা কমে গিয়ে মেরুদন্ডকে ভালো মতো সুরক্ষা দিতে পারেনা। যার ফলে ব্যথা শুরু হতে পারে। 
  • বাতের ব্যথার কারণেও কোমর ব্যথা হতে পারে।মেরুদন্ডের পিঠের নিচের দিকের ব্যথা হওয়া এক প্রকার বাতের ব্যথা।  
  • বয়সের পরিমাণ যখন বেশি হয় বা মধ্য বয়সেও বা কম বয়সেও এ্যানকাইলোসিন স্প্যান্ডিলাইসের ফলে নিচের অংশ ব্যথা ও চলাফেরা করলে অস্বস্তি হতে পারে।
  •  বিশেষজ্ঞরা বলেন,কোমর ব্যথার মেইন কারণ হলো শুধু ভুল ভাবে অবস্থান করা। তার মানে হচ্ছে আপনি যদি বসা, হাঁটা, দাঁড়ানো কোন শক্ত বা ভারী কাজ সঠিক নিয়মে না করেন তাহলে কোমর ব্যথা হতে পারে।
  • দৈনিক রিক্সায় বা অটোতে ঘোরাফেরা করা, এমনকি হাঁচি -কাশি দেওয়ার সময় বাঁকা হওয়ার কারণেও কোমর ব্যথার সৃষ্টি হতে পারে। 
  • পেশাগত কারণ যেমন- কোমর হেলে বা বাঁকা করে কাজ করতে হয়। ঝাড়ু দেওয়া, আবর্জনা সংগ্রহকারী বা পরিষ্কার করা, কুলি গিরি করা, ইত্যাদি। 
  • ভাইব্রেশন মেশিনে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করলে কোমর ব্যথা আরো বেশি হতে পারে। 
  • গর্ভবতী নারীর মতো পেট সামনে  ঠেলে দিয়ে বাঁকা হয়ে হাঁটলে তাদেরও কোমর ব্যথা হতে পারে। বংশগত কারণে এ রোগ হতে পারে। যেমন মা-বাবার এই রোগ থাকলে আপনারও হতে পারে।
  •  অ্যালকোহল বা ক্যাফেইন বা যে কোন মাদকদ্রব্য সেবন করলে শরীরের ক্যালসিয়াম কমে যাওয়ার ফলে হাড় দুর্বল হয় যায়। যার কারণে কোমরের ব্যথা হতে পারে। 
  • হারনিয়াটেড ডিস্ক স্নায়ুকে ইরিটেশন করার কারণে কোমর ব্যথা হয়। 
  • ভেজা বা স্যাত সেতে স্থানে দীর্ঘকাল বসবাস করলে শরীরে ঠিকমতো আলো বাতাস না পাওয়ার কারণে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ব্যথা হতে পারে।এমনকি কোমরেও ব্যথা হতে পারে। 
  • মহিলাদের বাচ্চা হওয়ার সময়,পিরিয়ড হওয়ার বা গর্ভকালীন অবস্থায় মহিলাদের মাজা বা কোমরে ব্যথা হতে পারে।
  •  শরীরে ক্যালসিয়াম আয়রন পটাশিয়াম বা অন্যান্য ভিটামিনের অভাবে কোমর ব্যথা হয়। 
  • যক্ষা, বাতের ব্যথা, কোষ্ঠকাঠিন্য, মলদ্বারে প্রদাহ, পাইলস, ডায়রিয়া, আমাশয় কিডনিতে পাথর, লিভারের সমস্যা,ইউরিন সমস্যা ইত্যাদি রোগের কারণে কোমরে ব্যথা বেশি হয়।

কোমর ব্যথার প্রতিকার সমূহ: 

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ জানতে উপরের অংশে কোমর ব্যথার কারণ সমূহ আলোচনা করেছি। এ পর্যায়ে আমি আলোচনা করব কি কি উপায়ে কোমর ব্যথা ভালো হয় বা কোমর ব্যথার প্রতিকারের উপায় সমূহ কি কি তা আলোচনা করবো ।আশা করছি আপনি আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকবেন।

আরো পড়ুন: মহিলাদের হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি এবং এর প্রতিকার সমূহ জানুন

  • প্রথমে যখন অল্প অল্প কোমর ব্যথা শুরু হবে তখন তোয়ালে বা গামছা দিয়ে বেঁধে নিয়ে তার উপরে গরম সেঁক দিন ।এরপর বিভিন্ন মলম ব্যবহার করতে পারেন। 
  • চিকিৎসকরা বলেন ব্যথা শুরু হলে তাড়াতাড়ি বিছানায় উপুড় হয়ে শুয়ে পড়তে হবে। ব্যথা যদি এক থেকে দুই দিনেও না কমে তাহলে একজন ফিজিওথেরাপি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন এবং প্রয়োজনে ব্যাথা নাশক ঔষধ ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেবন করুন। 
  • কোমর ব্যথা দূর করার জন্য ভারী কাজ করা যাবে না।
  •  দীর্ঘক্ষণ একই জায়গায় একইভাবে বসে কাজ করা যাবে না। 
  • কিছুক্ষণ পর পর বসার ধরন পরিবর্তন করতে হবে। 
  • সামনের দিকে ঝুঁকে কোন কাজ করা যাবে না। 
  • একজন দক্ষ ফিরিওথেরাপিস্টের পরামর্শ নিয়ে সঠিক ব্যায়াম ও কিছু থেরাপি ব্যবহার করলে কোমর ব্যথা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব। 

প্রাথমিক ক্ষেত্রে কোমর ব্যথা রোধ করার উপায়:

আপনার যদি কোমর ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে কোমর ব্যাথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ জানুন। আপনার কোমর ব্যথা থাকলেই যে কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ জানবেন এমন নয়। কোমর ব্যথা না থাকলেও এটা আপনি জানলে কোন ক্ষতি নেই বরং উপকার হবে এবং অন্যদেরও জানাবেন কিভাবে কোমর ব্যথা হয় এবং কোমর ব্যথা রোধ করার উপায় সমূহ।

  • সমান ও শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন ফোমের নরম বিছানায় ঘুমাবেন না।
  • ঘাড়ে বা মাথায় বা পিঠে ভারী জিনিস তোলা থেকে বিরত থাকুন। 
  • মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন বা কাজ করুন। 
  • শারীরিক পরিশ্রম করতে হবে নইলে ব্যায়াম বা হাঁটাহাঁটি করতে হবে।
  •  ঘুমানোর সময় সোজা হয়ে ঘুমাতে হবে এবং ঘুম থেকে ওঠার সময় যেকোনো একদিকে কাত হয়ে উঠতে হবে।
  •  বাথরুমে হাই কমোড ব্যবহারের মাধ্যমে মলত্যাগ করতে হবে।

কোমর ব্যথা দূরীকরণে চিকিৎসা:

যদি কোমর ব্যথা জটিল আকার ধারণ করে তাহলে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি কোমর ব্যথা দূর কারণে আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, লাম্বার ট্রাকশন ও বিভিন্ন ব্যায়াম করতে হবে। দীর্ঘদিন ঔষধ সেবনের পরও যদি কোমর ব্যথা ভালো না হয় তাহলে রোগীর অবস্থা অনুযায়ী মেরুদন্ডের অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। 

তার আগে চিকিৎসক বিভিন্ন ধরনের শরীরের পরীক্ষা করবেন। এক্সরে সহ, এম আর আই করলে কোমর ব্যথার আসল কারণ ধরা পড়ে। তখন ডাক্তারের চিকিৎসা দিতে সুবিধা  হয় বা যদি কোন অপারেশন বা সার্জারির প্রয়োজন হয় তাহলে চিকিৎসক তা করবেন।অনেকেই কোমর ব্যথা হলে হুট করে ব্যাথা নাশক ওষুধ খেয়ে ফেলে। তা আসলে ঠিক নয়। 

কি কারনে ব্যথা হচ্ছে তা চিকিৎসক কারণ নির্ণয় করে তার ঔষধ খেতে হবে। কোমর ব্যাথার সম্পূর্ণ ও সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে থেরাপি, সঠিক মোবিলাইজেশন ও সঠিক চিকিৎসা পেতে হলে মেনুগূলেশন, স্ট্রেচিং এর মত চিকিৎসা করা ভালো। কোমরের কিছু পরীক্ষা যেমন ফরওয়ার্ড বন্ডিং পরীক্ষা, ব্যাকওয়ার্ড বন্ডিং পরীক্ষা, কোমরের এক্সরে এবং এম আর আই করতে হবে। 

রক্তের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করতে হয় যেমন ক্যালসিয়ামের পরীক্ষা,ইউরিক এসিডের পরিমাণ, শরীরের বাতের পরীক্ষা করা যেতে পারে। এ ধরনের চিকিৎসার পাশাপাশি একই সাথে গরম ও ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন। কিছুক্ষণ পরপর এইভাবে সেঁক দিলে কোমর ব্যথা কমে যাবে।

কোমর ব্যথা দূরীকরণে কি কি খাবার: 

শরীরের হাড়ের পুষ্টির জন্য নিয়মিত ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খান ফসফরাস ভিটামিন ডি যুক্ত যেমন- শাকসবজি, দুধ, ডিম, সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খেতে পারেন ।ম্যাগনেসিয়াম জাতীয় খাদ্য প্রতিদিন নিয়ম অনুযায়ী খেলে কোমর ব্যথা কমে যেতে পারে। তাই নিয়ম অনুসারে দুধ,ঘি ফল,শাকসবজি, বাদাম ইত্যাদি খেতে পারেন। 

কোমরের ব্যথা দূরীকরণে প্রোটিনযুক্ত খাবার: 

শরীরের হাড়ের পুষ্টির জন্য নিয়মিত ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার যেমন উপকারী তেমনি প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে কোমরের ব্যথা কমে যাবে। প্রোটিনযুক্ত খাবার যেমন- দুধ, ডিম, মুরগির মাংস, ডাল ও বিভিন্ন ধরনের মাছ খেলে উপকার পাওয়া যাবে। তাই আপনার যদি কোমরের ব্যথা হয় অথবা কোমরের ব্যাথা নাও থাকে তবুও প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া আপনার উচিত।

মূল জাতীয় শাকসবজি ও সবুজ শাকসবজি:

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ জানতে এবং কোমর ব্যথা দূর করতে প্রচুর পরিমাণ  শাকসবজি খান। তাহলে কোমর ব্যথাও কমবে, শরীরের অন্যান্য উপকারও হবে।কোমর ব্যথার প্রতিকারের উপায় সমূহ আরও জানুন। মূল জাতীয় শাকসবজি যেগুলো মাটির নিচে থাকে যেমন- মুলা, বিট, গাজর ,শালগম ইত্যাদি সবজিতে থাকে এন্টিঅক্সিডেন্ট যা ব্যথা দূর করতে অনেক সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত সবুজ শাকসবজি খাবারের তালিকায় রাখলে বা খেলে কোমরের ব্যথা দূর হবে। 

সবুজ শাকসবজি যেমন- পালং শাক, বাঁধাকপি, ব্রকলি ফুলকপি, এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে থাকে যা ব্যথা দূর করতে কাজ করে। 

কোমরের ব্যথা দূর করনে ফলমূল: 

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ সম্পর্কে আরো জানুন এবং  নিয়ম করে তাজা ফল খেলে ব্যথা দূর হবে এবং শরীর সুস্থ থাকবে। যেমন-আনারস,আপেল, পেয়ারা, কমলা, চেরি আঙ্গুর, সবেদা,বেরি, কলা ইত্যাদি খাবারের তালিকায় আপনি রাখতে পারেন। তবে নিয়ম অনুযায়ী এ সমস্ত ফল খেতে হবে একসাথে অনেকগুলো কল খাওয়া যাবে না বেশি খেলে আবার ক্ষতি হতে পারে। 

সুতরাং আপনার যদি কোমর ব্যথা থাকে অথবা কোমর ব্যাথা নাও থাকে তার পরেও এ সমস্ত ফল মূল নিয়ম অনুসারে খেলে শরীরের জন্য অনেক উপকার হবে।

নির্দিষ্ট ব্যায়াম কোমর ব্যথা দূর করে: 

কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ উপরের অংশে এতক্ষণে আলোচনা করলাম।হয়তো আপনি কিছুটা হলেও জানতে পেরেছেন যে কোমর ব্যথার কারণ কি ও কিভাবে কোমর ব্যথা দূর করা যায়।এখন কোমরের ব্যথা দূরীকরণে কিছু ব্যায়াম আছে যা কিভাবে করতে হয় তা আমি সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা করার চেষ্টা করবো।কিছু কিছু ব্যায়াম আছে যা ওষুধের চেয়েও ভালো কাজ করে যেমন- 

আরো পড়ুন: বজ্রপাতে মৃত্যু ইসলাম কি বলে-বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

সমান বিছানায় চিত হয়ে শুয়ে দুই হাত দুই পাশে ছড়িয়ে দিন। তারপর দুই পা সোজা করে এক পা উপরের দিকে যতদূর পারেন টান করে তুলুন। এভাবে আরেক পা ঠিক একইভাবে উপরের দিকে টান করে তুলুন। ১৫-২০ সেকেন্ড করে প্রতি পা এইভাবে উপরের দিকে রেখে তারপর নিচে নামান।

অপরদিকে একই ভাবে দুই পা একই সাথে টান করে যতটুকু সম্ভব উপরের দিকে তুলুন এবং ১৫ থেকে ২০ সেকেন্ড অথবা ১ থেকে ২০ পর্যন্ত গোনা পর্যন্ত পা উপরের দিকে ওইভাবে রাখুন।

দুই পা সোজা করে পায়ের পাতার দিকে টান করে 15 সেকেন্ড রাখুন। এইভাবে প্রতিদিন তিনবার সকালে, রাতে, বিকাল, দুপুরে ব্যায়াম করলে কোমরের ব্যথা থেকে অনেক পরিত্রাণ পাওয়া যেতে পারে।  

শেষ কথা-কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ: 

প্রিয় পাঠক বন্ধু, কোমরের ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ কি কি তা আলোচনা করেছি ।সেই সাথে চিকিৎসা,থেরাপি ব্যায়াম, কি কি খাবার কোমর ব্যথার জন্য পারফেক্ট সে সম্পর্কেও সংক্ষেপে বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি। তাই আপনার যদি কোমর ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে আপনি কোমর ব্যথা দূরীকরণের জন্য উপায় গুলি কাজে লাগাতে পারেন।

তারপরও একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে কোমর ব্যথার জন্য পদক্ষেপ নিবেন। পোস্টটি পড়ে যদি কোন উপকার পেয়ে থাকেন অথবা যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে দয়া করে মন্তব্য করুন।

 ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url