মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ সম্পর্কে জেনে নিন
প্রিয় পাঠক/ পাঠিকা, আপনি কি মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমার এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।আজ আমি মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য হাজির হয়েছি ।
আসুন তাহলে আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করি।
মাথা ব্যাথার কারণ :
মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে আমাদের জানা দরকার মাথা ব্যথার কারণ কি? আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায় সবারই মাথাব্যথা হয়ে থাকে। কারো কম, কারো বেশি, আবার কারো কারো ঘন ঘন, লম্বা সময় ধরে মাথা ব্যথা থেকে যায়।
আরো পড়ুন: ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায়
বিভিন্ন ধরনের অসুখ যেমন ভাইরাস জনিত জ্বর, গলা ব্যথা , সর্দি লাগা ঠান্ডা লাগা রাতে ঘুমানোর সময় বিশেষ করে শীতের সময় বাসীদের আগ মুহূর্তে সারারাত ফ্যান চালালে ফ্যানের বাতাসে মাথায় ব্যথা হতে পারে ।এমন কোন ব্যক্তি নেই যে জীবনে একবারও মাথাব্যথা হয়নি।
আর এই মাথাব্যথা যখন শুরু হয় তখন শরীরে খুবই অশান্তি বা অস্বস্তি লাগে।কোন কিছুই ভালো লাগেনা। কোন কাজে। মন বসে না। মাথাব্যথার মূলত খুব পরিচিত দুটি প্রধান কারণ হলো মাইগ্রেন আর টেনশন ।এরমধ্যে টেনশন টাইপ থেকে বেশিরভাগই মাথা ব্যথা হয়ে থাকে।
মাদকাসক্তি, অ্যালকোহল, ধূমপান, মদ্যপান, ঘুমের অভাব ,অতিরিক্ত রোদ বা গরম আবহাওয়া, অতিরিক্ত শীত ,কুয়াশা, অতিরিক্ত শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রম,মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তা ইত্যাদি মাথা ব্যথার কারণ হতে পারে। এছাড়া বৃষ্টির পানিতে ভিজলে জ্বর ও মাথা ব্যথা হতে পারে। টেনশনের কারণে সাধারণত কপালে ব্যথা হয়ে থাকে।
দীর্ঘক্ষণ ধরে টিভি দেখা, মোবাইলে গেম খেলা ,কম্পিউটার, ল্যাপটপ ইত্যাদি দীর্ঘক্ষণ সময় দেখলে বা কাজ করলে মাথা ব্যাথা হতে পারে।অপর্যাপ্ত পানি পান করা, অবসাদ, স্ট্রেস, ঘুম কম হওয়া ইত্যাদির কারণে মাথা ব্যথা হতে পারে।
মাইগ্রেন টাইপ মাথাব্যথা:
মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করতে গেলে মাইগ্রেন মাথা ব্যথা কি ধরনের তা আমাদের আলোচনার মাধ্যমে জানা দরকার। মহিলাদের মধ্যে মাইগ্রেনে মাথাব্যথা বেশি ভোগতে দেখা যায়। সাধারণত ১৬ বছর বয়স থেকে মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
এবং স্থায়ী থাকে ৪৫ থেকে ৬০ বছর পর্যন্ত। মাইগ্রেনে মাথা ব্যথার লক্ষণ বা কারণ গুলো নিম্নে উল্লেখ করা হলো-
- মাথার যেকোনো একপাশে ব্যথা হতে পারে। একবার যেকোন এক সাইডে মাথাব্যথা হলে পরেরবার অন্য সাইডে ব্যথা হতে পারে।
- মাইগ্রেনের এই ব্যথা ৫ ঘন্টা থেকে তিন দিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে।
- মাথার দুই সাইডের রক্তনালী বা স্নায়ুগুলি মনে হবে লাফালাফি করছে।
- তীব্র আলো বা শব্দ হলে ব্যথা আরো বাড়তে থাকে।
- যখন ব্যথা হয় তখন বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
- ব্যথা শুরুর সময় চোখের সামনের দিকে আলোর ঝলকানি বা লাফালাফি বা বাঁকা তেড়া লাইন ইত্যাদি মনে হতে পারে।
- অন্ধকারে ঘরে রেস্টে থাকলে ব্যথার তীব্রতা খানিকটা কমে যায়।
- প্রচন্ড ব্যাথার কারণে কোন কিছুই সঠিক মতো করা যায় না।
টেনশন টাইপ মাথাব্যথা:
মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ওষুধ সম্পর্কে জানতে আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকুন। টেনশন টাইপ মাথাব্যথার কারণ বা উপসর্গগুলো মাংসপেশির সংকোচনের কারণে হয়ে থাকে। এই ধরনের ব্যথার উপসর্গগুলো উল্লেখ করা হলো-
- সমস্ত মাথায় ব্যথা হয় বা মাথার সব জায়গায় ব্যথা হয়।
- মাথায় চাপ ধরে থাকার মত অনুভূতি হয়।
- টেনশন টাইপ ব্যথা মাইগ্রেনের মত তীব্র ব্যথা হয় না।
- টেনশন টাইপ মাথাব্যথা তিন ঘন্টা থেকে কয়েকদিন পর্যন্ত স্থায়ী থাকতে পারে।
- ফ্যামিলি গত বা পেশাগত বা মানসিক চাপের সঙ্গে এ ব্যথার কিছু সম্পর্ক থাকতে পারে।
- শারীরিক রোগ বা মাথার অন্য রোগের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে।
- এ ধরনের মাথা ব্যথাতে সেকেন্ডারি মাথা বথা বলা যেতে পারে। যেমন- মস্তিষ্কের আবরণে প্রদাহ , সাইনোসাইটিস ,টিউমার, রক্তক্ষরণ ,স্ট্রোক, মাথায় আঘাত জনিত কারণ ইত্যাদি।
বিভিন্ন ধরনের মাথাব্যথার কারণে মানুষের কার্যক্ষমতা ও কার্যকাল অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে। তার মধ্যে প্রধান কারণ হচ্ছে মাথা ব্যথা। বারবার মাথাব্যথার কারণে ভুক্তভোগীরা পারিবারিক, সামাজিক, আর্থিক ও পেশাগত জীবনে অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে।
শিশুদের মাথাব্যথার কারণ কি:
মাথা ব্যথার কারণ সমূহের মধ্যে শিশুদের মধ্যেও মাথাব্যথা অনেক লক্ষ্য করা যায়। অনেক শিশু মাথা ব্যাথার কারণে স্কুলে ঠিকমতো যেতে পারে না। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক শিশুর মাথা ব্যথার কারণ কি হতে পারে।
- শিশুদের তীব্র জ্বর বা কোন সংক্রমণ রোগে ভোগে থাকলে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- যে কোন ভাইরাস জ্বর হলে মাথা ব্যথা হয়।
- আলোর দিকে তাকাতে না পারা, আচরণ ভিন্ন রূপ করা ,খিচুনি, ইত্যাদি কারণে শিশুদের মাথাব্যথা দীর্ঘ দিন থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে দ্রুত চিকিৎসা করাই ভালো।
- চিকিৎসকদের মতে,শিশুদের মধ্যে ৮০ভাগ ছেলে ও ৯০ ভাগ মেয়ে শিশু চিকিৎসকের কাছে যায় কিন্তু এই মাথাব্যথার কারণ খুঁজে পাওয়া যায় না বলে জানানো হয়।
- আবার কিছু কিছু মাইগ্রেন মাথা ব্যথা হয়ে থাকে। বর্তমানে শিশুরা মোবাইল, টিভি, কম্পিউটার, দীর্ঘক্ষণ কার্টুন ছবি দেখে এবং গেম খেলে থাকার কারণে শিশুদের মাথা বথা হতে পারে।
- শিশুরা সাধারণত পড়াশোনার চাপ, অতিরিক্ত ক্ষুধা, ক্লান্তি, চকলেট ,সুইং গাম ,পনির, ক্যাফেইন ইত্যাদি বেশি বেশি খাওয়ার কারণে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- শিশুরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশেষ করে প্রাথমিক বিদ্যালয় অনবরত হৈচৈ করে থাকে। এটাও একটি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে।
- অনেক শিশুরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে খেলাধুলা করে থাকে। তাই মাথা ব্যথা বারবার হতে পারে।
- প্রচন্ড রোদের মধ্যে মাঠে ঘাটে খেলাধুলা করলেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
- শিশুর যদি সাইনোসাইটিস থাকে, ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, সর্দিতে ভোগে থাকলেও মাথা ব্যাথা হতে পারে।
- চোখের সমস্যা বা চোখ ওঠা ,চোখ ব্যথা হওয়া থেকে মাথা ব্যথা হতে পারে।
- শিশুর যদি ঘুম ঠিকমতো না হয় তাহলেও মাথাব্যথা হবে ।
- অনেক সময় রাতে ফ্যানের বাতাসের কারণেও শিশুর বা বড়দেরও মাথাব্যথা হতে পারে। বিশেষ করে শীতের ভাব থাকলে সারারাত ফ্যান চললে বাতাসে মাথা ব্যথা হয়।
- কোন পরিশ্রম করে, খেলাধুলা করে,শরীর ঘামা অবস্থায় সাথে সাথে গোসল করলে মাথা ব্যথা সহ সর্দি জ্বর হতে পারে।তাই পরিশ্রম করার পরে কিছু সময় রেস্ট করে তারপর গোসল করা উচিত।
মাথা ব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায়:
মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ এগুলোর মধ্যে মাথা ব্যথার কারণ সমূহ আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনার মাধ্যমে মাথা ব্যথার কারণ কি তা আপনি হয়তো কিছুটা জানতে পেরেছেন। এখন মাথাব্যথা সারানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে কিছু টিপস দিবো।
আরো পড়ুন : কোমর ব্যথার কারণ ও প্রতিকারের উপায় সমূহ জানুন
ওগুলো মেনে চললে ডাক্তারের কাছে যাওয়া বা ওষুধ খাওয়া খুব একটা প্রয়োজন হবে না। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মাথা ব্যথা হয়েই থাকে। তবে আরও বেশি, কারো কম, কারো আবার লং টাইম ধরে এই ব্যথা থাকে। সহজে ভালো হতে চায় না ।তাই আমি কিছু মাথা ব্যথা সারানোর টিপস তুলে ধরবো।
আশা করছি আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকবেন। সাধারণত মাথা ব্যথা কমাতে বা ভালো করতে প্যারাসিটামল বা ব্যথা নাশক ঔষধ খেয়ে থাকেন। কিন্তু এটা মনে রাখতে হবে যে যখন তখন ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতি হতে পারে। তাই কিছু ঘরোয়া উপায় আছে সেগুলো হচ্ছে-
- দারচিনি, আদা ও লবঙ্গ দিয়ে চা খেলে মাথা ব্যথা কমে যাবে। অথবা দারচিনির তেল মাথায় মালিশ করলে মাথা ব্যথা কমে যাবে।
- লবঙ্গ গুঁড়ো করে একটি রুমালে বা পরিষ্কার ছোট কাপড়ে গোল করে পুটলি করে বেঁধে নিন।তারপর মাঝে মাঝেই বা একটু পরপর ওই পুটলি নাকে শকুন। তাহলে মাথাব্যথা বা ঠান্ডা লাগা সর্দি কমে যাবে। লবঙ্গ খাওয়ার পাশাপাশি এর গন্ধ শুকলেও ভালো উপকার পাওয়া যাবে।
- আদার মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যানটিইনফ্লেমেটরি। যদি চায়ের সঙ্গে আদা খাওয়া যায় তাহলে মাথার যন্ত্রণা থেকে অনেক আরাম পাওয়া যায়। যন্ত্রণার ফলে রক্তনালী গুলিতে যে প্রদাহ হয় তা নিরাময় করতে আদা দারুন কাজ করে। পাশাপাশি ঠান্ডা লাগা, সর্দি, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া সেক্ষেত্রে পানিতে আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে পানির ভাপ নিলেও অনেক উপকার পাওয়া যাবে।
- শিশু হোক বা বয়স্ক লোক হোক প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে মাথাব্যথা সহ অন্যান্য রোগের উপকার হবে। শরীর যখন আদ্র হয় তখন মাথা ব্যথা বেশি হয়। তাই প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে মাথা বথা কমে যাবে।
- নিজে অথবা অন্য কাউকে দিয়ে আপনার কপাল ও মাথা ভালো ভাবে ম্যাসাজ করলে অনেক আরাম পাবেন এবং মাথাব্যথা থেকে কিছুটা রেহাই পাবেন।
- বিভিন্ন ধরনের ফল যেমন আপেল খেলে মাথা ব্যথা কমতে পারে। এক টুকরো আপেলের সাথে হালকা বিট লবণ ছিটিয়ে আপেল চিবালে মাথাব্যথা কমে যেতে পারে।
- মাথা ব্যাথা অনুভব হলে নীরব হয়ে অন্ধকার ঘরে চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন অথবা কিছুক্ষণ ঘুমিয়ে থাকুন। দেখবেন মাথা ব্যথা অনেক কমে গেছে।
- আপনার কপালে বা মাথায় ব্যথা হলে ঠান্ডা জাতীয় কিছু যেমন বরফ দিয়ে চেপে ধরুন এতে মাথাব্যথা অনেক কমে যাবে।
- মাথা ব্যাথা হলে হিট থেরাপি দিতে পারেন ।একটি রুমাল বা কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে টিপে পানি নিংড়ে নিয়ে চোখের পাতার উপর সেঁক বা অল্প অল্প করে চাপ দিতে পারেন। তাহলে মাথাব্যথা কমে যাবে।
- বাজারে কিছু কিছু তেল পাওয়া যায় এগুলো ব্যবহার করলে মাথা ব্যথা উপশম হবে। যেমন পেপারমেন্ট, ইউক্যালিপটাস, লাভেন্ডার ইত্যাদি তেল ব্যবহার করতে পারেন মাথাব্যথা রোধ করার জন্য।
- কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল, টিভি থেকে দূরে থাকুন। বাহিরে রোদে গেলে সূর্যের আলোক রশ্মি থেকে রেহাই পাবার জন্য রোজ চশমা ব্যবহার করুন।
- অতিরিক্ত আলো এড়িয়ে অন্ধকারে ঘরে থাকুন বা ঘুমান যদি মাথা ব্যথা করে ।
- পুদিনা পাতার রস কপালে মাখলে ব্যথা কমে যাবে। এতে রয়েছে মেন্থন ও মেন্থল এই উপাদানগুলি মাথা ব্যথা দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে চাও খেতে পারেন।
মাথা ব্যথার চিকিৎসা ও ঔষধ:
মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ সম্পর্কে জানতে আরো দেখুন ।এখন আমি মাথা ব্যথার চিকিৎসা ও ঔষধ সম্পর্কে আলোচনা করব। উপরোক্ত মাথাব্যথা রোধের ঘরোয়া উপায় গুলো মেনে চলার পরেও যদি আপনার মাথা ব্যথা না কমে। যদি আরো মাথা ব্যথা বেড়ে যায় ।
তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের নিকট গিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। তার আগে মাথাব্যথা দূর করার জন্য প্যারাসিটামল ঔষধ বা মাথাব্যথা নাশক অন্যান্য ঔষধ খাওয়া যেতে পারে। বর্তমানে বাজারে মাথাব্যথা নাশক মলম পাওয়া যায়। এরমধ্যে ভলিজেল মলম মাথার ব্যথা সহ অন্যান্য ব্যথা নাশক হিসাবে দারুন কাজ করে।
আইছ কুল ম্যাক্স এটা ভালো একটা মলম।যা মাথাব্যথা দূর করে। জান্ডু বাম মলম মাথাব্যথা সহ শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টের ব্যথা দূর করতে কাজ করে। ডাইক্লোফেন মলম ও মুভ এগুলো মাথা ব্যথা সহ অন্যান্য ব্যথা নাশক হিসেবে কাজ করে। গবেষকরা বলেন, দীর্ঘ সময়ের মাথাব্যথা সারাতে অন্য সব ঔষধ বা চিকিৎসা ব্যর্থ যখন হবে।
তখন একটি নতুন ঔষধ ইনজেকশন এরেনুম্যাব ব্যবহার করতে হবে। মাসে একবার এই ইঞ্জেকশন নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া আরো কিছু ঔষধ আছে যা মাথা বথা দূরীকরণে কাজ করে। যেমন-Tolfem,Migratol,Tufnil,Logrin,Arain ইত্যাদি ঔষধ গুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকতে পারে।
তাই যে কোন ঔষধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ সেবন বা মলম ব্যবহার করবেন। এছাড়া মাথায় প্রচন্ড ব্যথা হওয়ার জন্য যদি দীর্ঘ সময় মাথাব্যথা থাকে। তাহলে আন্দাজে ঔষধ না খেয়ে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে গিয়ে চিকিৎসা করাই ভালো ।ডাক্তার সাহেব মাথার বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করবেন।
তারপর report অনুযায়ী ঔষধের ব্যবস্থা করবেন। ডাক্তারের সেই প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ঔষধগুলো সেবন করলে আপনি অনেক উপকৃত হতে পারবেন।
মাথা ব্যথা কমানোর দোয়া:
মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ সম্পর্কে উপরের অংশে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এখন মাথাব্যথা দূরীকরণে বা মাথাব্যথা কমানোর জন্য একটি দোয়া রয়েছে। তা আমি উল্লেখ করবো। মাথা ব্যথা কমানোর আরেকটি ইসলামিক পন্থা হলো দোয়া পড়া। মাথা ব্যাথার কমানোর দোয়াটি হল --
লা-ইজু- ছদ্দা-ঊনা আনহা-অলা-ইযুঙঝিফুন। যে ব্যক্তির মাথায় সমস্যা বা ব্যথা রয়েছে ওই ব্যক্তির মাথার উপর হাত রেখে এই দোয়াটি তিনবার পাঠ করে তার মাথায় ফু দিলে আল্লাহর রহমতে মাথাব্যথা কমে যাবে।
শেষ কথা-মাথা ব্যথার কারণ প্রতিকার চিকিৎসা ও এর ঔষধ
পরিশেষে বলা যায় যে মাথা ব্যাথার কারণ, মাথা ব্যথার প্রতিকার, চিকিৎসা, ঔষধ ,মলম এবং ইসলামিক পন্থায় একটি দোয়া রয়েছে তা আমি এই আর্টিকেলের মধ্যে উল্লেখ করেছি। আশা করছি আপনি এই পোস্টটি পুরোপুরি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। পড়লে মাথা ব্যথা সংক্রান্ত বিষয়ে অনেক উপকৃত হতে পারবেন ।
আরো পড়ুন : মহিলাদের হাঁটু ব্যথার কারণ কি কি এবং এর প্রতিকার সমূহ জানুন
এবং অন্যান্যদের কেউ পড়ার জন্য উৎসাহিত করবেন। যেন তারাও মাথা ব্যথা সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে পারে বা উপকৃত হতে পারেন ধন্যবাদ।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url