ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায় ?
প্রিয় পাঠক ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায় ?তা নিয়ে আজ আমি আর্টিকেলটি লিখতে বসেছি।আপনি যদি না জেনে থাকেন যে ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায় কিনা ।তাহলে আমার এই আর্টিকেলের সঙ্গেই থাকতে পারেন।
আসুন তাহলে পাঠক বন্ধু দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায় কি না তা বিস্তারিত আলোচনা করি।
ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ মারা যায় কিনা :
ডেঙ্গু এমন একটি রোগ যা এডিস মশার কামড় থেকে এ রোগের সৃষ্টি হয় ।প্রত্যেক বছর সারা বিশ্বে এক (পরিসংখ্যানে জানা যায়) প্রায় ১০ কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের দেশেও এই রোগের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর এই ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।
আরো পড়ুন: শিশুদের ঘন ঘন জ্বর হলে করণীয় কি
এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী 2023 সালে সারা বিশ্বে ডেঙ্গুতে মৃত্যু প্রায় ৫৫০০ জনেরও বেশি ।এর মধ্যে বাংলাদেশ ১৭০৫ জন মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, 2000 সালে প্রায় ২০ হাজার মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মানুষ মারা গেছে। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হচ্ছে ল্যাটিন আমেরিকা ।
২০২৩ সালে এই অঞ্চলে ৪৬ লক্ষ মানুষ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ২০২৪ সালে সেখানে প্রায় 60 লক্ষ মানুষ ডেঙ্গুতে অক্রান্ত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় ব্রাজিলের মানুষ । বাংলাদেশে সর্বপ্রথম ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয় 1960 সালে। 2000 সালে ডেঙ্গুর সর্বপ্রথম মহামারী আকার ধারণ করে এ সময় মোট ৫৫০০ জনের মত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়।
এর মধ্যে মারা যায় 93 জন। অ্যানেফিলিস মশা ম্যালেরিয়া ছড়ায় যা এখন সারা বিশ্বেই হচ্ছে। আর এডিস মশা বিশ্বের সব অঞ্চলে এখন পর্যন্ত না ছাড়ালেও জল বায়ুর পরিবর্তনের প্রভাবে এডিস মশা দক্ষিণ ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বিশাল অংশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এর বিস্তার বেড়েই চলেছে।
তাই এডিস মশার বংশবিস্তার থেকে আমাদেরকে রক্ষা পেতে হবে। তাহলে ডেঙ্গুর মত বড় ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে এবং ডেঙ্গুতে যে মানুষের মৃত্যু হচ্ছে তা কমে যাবে।
ডেঙ্গু জ্বরের কারণ:
ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায় এ সম্পর্কে জানতে হলে ডেঙ্গু রোগের বা ডেঙ্গু জ্বরের কারণও আমাদের জানা দরকার। আসলে এডিস মশা কামড়ালেই কি ডেঙ্গু জ্বর হয় ? চিকিৎসকদের মতে, এডিস মশাতে কামড়ালে শুধু ডেঙ্গু জ্বর হয় না বরং কোন ভাইরাস যদি কোন এডিস মশার মধ্যে সংক্রমিত হয়।
শুধুমাত্র এই এডিস মশার কামড়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। স্ত্রী এডিস মশা ভাইরাসের প্রধান বাহক। সংক্রমিত রোগী থেকে সুস্থ মানুষকে যখন এই মশা কামড়ায় তখন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয় বা হতে পারে। অল্প ডেঙ্গু জ্বরের কারণে প্রচন্ড জ্বর হতে পারে। যে ব্যক্তি পূর্বে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন পরে তাদের আবার এ সমস্যা যদি দেখা দেয়।
তাহলে প্রাণঘাতী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । তাই আমাদের এই ধরনের এডিস মশা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। তাহলে ডেঙ্গু জ্বর থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ:
ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায় সে সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানুন এবং তার সাথে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ আমাদের জানা দরকার। ডেঙ্গু জ্বর সব সময় একইভাবে প্রকাশ পায় না কারো কম, কারো বেশি, আবার কারো গুরুতর হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ সমূহ হচ্ছে-প্রচন্ড জ্বর ,প্রচন্ড মাথা ব্যথা, মাংসপেশিতে ব্যথা,গিরায় গিরায় ব্যথা,
শরীরে ফুসকুড়ি এবং শরীর সবসময় ক্লান্ত থাকবে।এই রোগের পরিস্থিতি যদি জটিল আকার ধারণ করে তাহলে রোগীর মৃত্যু হতে পারে। যদি ডেঙ্গু জ্বর হয় তাহলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ফারেনহাইটের কাছাকাছি বা তার বেশিও হতে পারে।ডেঙ্গু জ্বরের আরো লক্ষণসমূহ এবং উপসর্গ গুলো হচ্ছে।
যেমন-জর ও ঠান্ডা লাগা,প্রচন্ড মাথা ব্যথা করা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, চোখ লাল হওয়া সহ ব্যথা করা, শরীরের হলুদ বা লাল ফুসকুড়ি বের হওয়া, দাঁতের রক্ত বের হওয়া, প্রস্রাবে, মলে,বমিতে রক্ত পড়া,শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি দেখা দিলে দেরি না করে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের নিকট যেতে হবে এবং প্রয়োজনে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া লাগতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের সর্তকতা :
ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায় তা এতক্ষণে আলোচনার মাধ্যমে আপনি হয়তো কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছেন।যেহেতু ডেঙ্গু একটি জটিল ভাইরাস জনিত রোগ। তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। যেন ডেঙ্গু আমাদের আশেপাশে না ভিড়তে পারে ।
এর থেকে বাঁচতে হলে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে এডিস মশা জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে বংশবিস্তার করে। বাসা বা বাড়ির আশেপাশে পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবেনা। বিশেষ করে তিন দিনের বেশি পানি জমিয়ে রাখা যাবে না।
আরো পড়ুন : পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ব্যবহারের নিয়ম
ডাবের খোসা, ফুলের গাছের টবে, ছোটখাটো ভাঙ্গা বাটি বা যে কোন পাত্রে বৃষ্টির পানি জমে থাকতে দেওয়া যাবে না। বাড়ির ছাদে বা বাড়ির চতুরপাশে যদি এগুলো থাকে সেটা প্রতিদিন পরিষ্কার করতে হবে। লম্বা হাত ওয়ালা জামা পরিধান করলে মশা সহজে কামড়াতে পারে না।বাজারে কিছু কিছু মশা নাশক ঔষুধ পাওয়া যায়।
সেটা স্প্রে করলে মশা মরে যায় বা ধ্বংস হয়ে যায়। আবার কিছু ক্রিম পাওয়া যায় হাতে পায়ে গায়ে ব্যবহার করতে পারেন মশার উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য।
ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে করণীয়:
ডেঙ্গু হচ্ছে একটি ভাইরাসজনিত জ্বর।এডিস মশার কামড়ে যেহেতু ডেঙ্গু জ্বর হয়। তাই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ বা এটাকে ধ্বংস করাই হচ্ছে ডেঙ্গু প্রতিরোধের মূল উপায়।বাসা-বাড়ির ভিতরে বা বাহিরে এবং ফাঁদে আনাচে-কানাচে অহেতুক পড়ে থাকা পাত্র গুলো অনেক দূরে বা ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হবে।
বাড়ির আশেপাশে ঝোপ -ঝাড়, জঙ্গল এবং বাড়ির ভিতরে সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।ব্যবহারকৃত ফুলের টপ, ডাবের খোসা, মগ, বালতি, ফুল ও গাছের টব, ফ্রিজ এবং এয়ার কন্ডিশনার,পানি ভর্তি পাত্র কোনমতেই যেন পানি জমে না থাকে সেদিকে আমাদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে।
এছাড়া অব্যবহৃত টিনের কোটা, বোতল, হাড়ি পাতিল, গাড়ির টায়ার ইত্যাদিতে একটানা তিনদিনের বেশি পানি যেন জমে না থাকে সেদিকে আমাদের সকলের লক্ষ্য রাখতে হবে। আমাদের ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাওয়ার একটাই প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ বা বিনাশ করা।
সন্ধ্যার পর বাসা-বাড়িতে মশারি ব্যবহার করুন। এমনকি যেহেতু এডিস মশা দিনের বেলায় কামড়ায়।তাই দিনে ঘুমানোর সময়ও মশারি ব্যবহার করুন।মশা-বিন্যাসের জন্য সপ্তাহে অন্তত তিন থেকে চার বার স্প্রে করুন। মেইন কথা হচ্ছে এডিস মশা থেকে নিজেকে রক্ষা করাই হচ্ছে ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়।
ডেঙ্গু জ্বর হলে কি কি খাবার খাওয়া যাবে:
ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায় তা উপরে আলোচনার মাধ্যমে আপনি জানতে পেরেছেন।ডেঙ্গু জ্বর হলে কি ধরনের খাবার খাওয়া উচিত তাও আমাদের জানা দরকার। ডেঙ্গু জ্বর হলে টক জাতীয় যেমন- জাম্বুরা, লেবু, আনারস,কমলা ও অন্যান্য টক জাতীয় ফলের জুস খাওয়া উচিত।যদি জ্বরের সঙ্গে পাতলা পায়খানা বা বমি হয়।
তাহলে শাকসবজি, ডাল, দুধ ইত্যাদি খাবার না খাওয়াই ভালো। এমন অবস্থায় জাও ভাত, কাঁচা কলার ঝোল খেলে উপকার হয়।মাছ ও মুরগির পাতলা ঝোল খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া ডাবের পানি, নরমাল বিশুদ্ধ পানি ও অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। এ সময় বিভিন্ন স্যুপ যেমন- মুরগির স্যুপ, আপেল জুস, ডাবের পানি ও ওরাল স্যালাইন খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে।
ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা:
ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায় এবং ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করবো। ডেঙ্গুতে অনেক লোকজন মারা গেছে বা মারা যাচ্ছে তা পূর্বেই উল্লেখ করেছি ।এখন ডেঙ্গু জ্বরের বা ডেঙ্গু রোগের কি ধরনের চিকিৎসা রয়েছে তা আমাদের জানা দরকার। যেহেতু ডেঙ্গু জ্বর ভাইরাসজনিত একটি রোগ।
এটি ১০০ থেকে ১০৬° ফারেনহাইট পর্যন্ত এর তাপমাত্রা উঠতে পারে। ডেঙ্গুর চিকিৎসা কি ধরনের তা নির্ভর করে ডেঙ্গুর ধরন বা ডেঙ্গুর ক্যাটাগরির উপর। ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ক্যাটাগরি রয়েছে এ ক্যাটাগরি, বি ক্যাটাগরি এবং সি ক্যাটাগরি। এ ক্যাটাগরির রোগীর সাধারণত স্বাভাবিক জ্বর থাকে। এ ধরনের রোগীরা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন হয় না।
বাড়িতে ভালোমতো বিশ্রামের সাথে প্যারাসিটামল ঔষধ সেবন করলেই তা ভালো হয়ে যায়। রোগীদের কিছু লক্ষণ ভেদে হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া লাগতে পারে।যেমন- পেটে ব্যথা, ডায়াবেটিস, কিডনি বা লিভারের সমস্যা, অন্তঃসত্ত্বা ইত্যাদি সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়াই ভালো।
সি ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে মারাত্মক। এর প্রভাবে মস্তিষ্ক,লিভার, কিডনি ইত্যাদি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে আইসিইউ এর প্রয়োজন হতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর এ অক্লান্ত হলে শরীরে ব্যথার জন্য এ্যাসপিরিন, ক্লোফেনাক এই জাতীয় ওষুধ খাওয়া যাবে না। কারণ এই সময় এ জাতীয় ঔষধ খেলে রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ডেঙ্গু জ্বর হলে প্যারাসিটামল ঔষধ খাওয়া যাবে। তবে অন্যান্য আসুক যদি থাকে যেমন- লিভারের সমস্যা, কিডনির সমস্যা, হার্টের সমস্যা, ডায়াবেটিস সহ অন্যান্য জটিল রোগ সংক্রান্ত সমস্যা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে প্যারাসিটামল ঔষধ সেবন করা যেতে পারে। ডেঙ্গু জ্বর হলে পূর্ণ বিশ্রাম সহ প্রচুর পরিমাণ তরল জাতীয় খাবার।
যেমন- বিশুদ্ধ পানি, ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন ইত্যাদি খেতে হবে। যদি রক্তচাপ কমে যায় বা নাক, কান, মাড়ি, মালদার দিয়ে যদি রক্তক্ষরণ হয়। তাহলে শিরা পথে স্যালাইন দেওয়া যেতে পারে।আসলে ডেঙ্গুর তেমন কোন ঔষধ বা চিকিৎসা নেই বললেই চলে।
বাড়িতে পূর্ণ বিশ্রাম সহ গরম পানিতে তোয়ালো ভিজিয়ে চিপে পানি নিংড়ে নিয়ে পুরো শরীর মুছে দিতে হবে। এবং এর পাশাপাশি প্যারাসিটামল ঔষধ ছাড়া অন্য কোন ঔষধ সেবন করার প্রয়োজন নেই।তবে এর মারাত্মক অবস্থা হলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া যেতে পারে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী।
শেষ কথা-ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ কি মারা যায়:
বক্তব্যের শেষপ্রান্তে এসে এ কথা বলে শেষ করবো যে ডেঙ্গু জ্বর হলে মানুষ মারা যায় কিনা তা পুরো পোষ্টের মধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ।আসলে ডেঙ্গু হচ্ছে একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক রোগ। এই রোগের আক্রমণ যখন মারাত্মক আকার ধারণ করে এবং এর সাথে অন্যান্য জটিল অসুখ যদি থেকে থাকে তাহলে হয়তো রোগী মারা যেতে পারে।
আরো পড়ুন: গর্ভবতী মায়ের যত্ন কিভাবে নিবেন
তবে যখনই মারাত্মক জটিলতা দেখা দিবে তখনই হাসপাতালে ভর্তি সহ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করতে হবে। উল্লেখিত পোস্টটি পড়লে আপনি অনেক উপকৃত হতে পারবেন।তাই নিজে পড়ুন এবং অন্যান্য দেরকেও পড়ার জন্য শেয়ার, কমেন্ট করুন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url