এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত

এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত সে সম্পর্কে জানতে এই পোস্টটি পড়ুন। কিভাবে কাজ করতো জানতে হলে এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত জানতে হবে। আজকে আমরা আপনাদেরকে এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত সে সম্পর্কে জানাবো।
বর্তমানে স্প্রেডশিট একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। স্কুল কলেজ মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বড় বড় অফিস আদালত এবং শিল্প কারখানায় এক্সেল এবং ব্যবহার রয়েছে। তাই এই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে রাখা প্রয়োজন।

সূচিপত্রঃ-  এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত

ভুমিকাঃ

বর্তমানে টেকনোলজি অনেক উন্নত এবং সমৃদ্ধ। টেকনোলজি বা সফটওয়্যার গুলোর প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে কিভাবে মানুষের সময় বাঁচিয়ে সফল কাজকে সহজভাবে উপস্থাপন এবং সম্পন্ন করা যায়। এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত সেগুলো জানা থাকলে আপনি খুব সহজে স্ক্রেডশিট এর কাজ করতে পারবেন। মানুষের কাছকে সহজ করার জন্য মাইক্রোসফট এক্সেল অর স্প্রেডশিট একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ছিল। 

যদিও বর্তমানে এর ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ ছোটখাটো হিসাব নিকাশ থেকে শুরু করে বড় বড় হিসাব নিকাশের জন্য স্পেডশিট সফটওয়্যার বা প্রোগ্রাম খুব গুরুত্বপূর্ণ।আপনি স্প্রেডশিট সফটওয়্যার এর কাজ জানতে হলে এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত সে বিষয়ে জেনে রাখতে পারেন। 

এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত সেগুলোর পাশাপাশি বর্তমানে মানুষ স্প্রেডশিট আর এক্সেল এর খুব সাধারণ ফিচারগুলোর মাধ্যমে অনেক বড় বড় কাজ খুব অল্প সময়ে এবং নিখুঁতভাবে সম্পন্ন করতে সক্ষম হচ্ছে। স্প্রেডশিটের বিভিন্ন টুলস এবং ফিচার ব্যবহার করে তারা ডাটা এনালাইসিস থেকে শুরু করে জটিল জটিল হিসাব নিকাশ চোখের পলকেই করতে সক্ষম হচ্ছেন।

এক্সেল কিঃ

মাইক্রোসফট এক্সেল হলো মাইক্রোসফট অফিসের একটি স্প্রেডশিপ প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রামটির সাথে মাইক্রোসফট অফিস ৩৬৫ এর অনেক মিল রয়েছে। মাইক্রোসফট এক্সেল এর মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী স্প্রেডশিটের ডাটা ফরম্যাট, অর্গানাইজ এবং ক্যালকুলেট করতে পারবেন। এই স্প্রেডশিট সফটওয়্যারটি উইন্ডোজ, ম্যাক-ওএস, এন্ড্রয়েড এবং আইওএস প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করতে পারে।


এছাড়াও এই স্প্রেডশিট প্রোগ্রামটি জটিল গাণিতিক গণনা, ডাটা এন্ট্রি ও তথ্যকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপনায় নিখুঁতভাবে চার্ট বা গ্রাফ তৈরি করা সহ অনেক জটিল জটিল কাজ খুব সহজে এবং অল্প সময়ে সম্পন্ন করতে সক্ষম।

এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত এবং এর বৈশিষ্ট্য ও ব্যবহারঃ

এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত সে সম্পর্কে জানার পরে স্প্রেডশিট প্রোগ্রামের বৈশিষ্ট্য ব্যবহার সম্পর্কে জানা দরকার।
  • স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফর্মুলা ব্যবহার করা সম্ভব।
  • প্রতিদিনের হিসাব সংরক্ষণ এবং বিশ্লেষণ করা যায়।
  • বৈজ্ঞানিকভাবে ক্যালকুলেশন করা যায়।
  • পরিসংখ্যানিক ফাংশন, গাণিতিক ত্রিকোণমিতি ব্যবহার করা যায়।
  • যে কোন তথ্যকে আকর্ষণীয় করে উপস্থাপন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের গ্রাফ বা চাট তৈরি করা যায়।

স্প্রেডশিট প্যাকেজ চালু করাঃ

১. কম্পিউটার সম্পূর্ণ ভাবে অন করুন।
২. ডেস্কটপ স্ক্রিন থেকে স্টার্ট প্রোগ্রাম তারপরে মাইক্রোসফট এক্সেল এ ক্লিক করুন।
৩. তাহলে মাইক্রোসফট এক্সেল স্প্রেডশিট প্যাকেজটি চালু হয়ে যাবে।
এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত

স্ক্রিনের বিভিন্ন অংশের পরিচিতিঃ

এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত এবং বর্তমানে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করে সে সকল বিষয়ে আলোচনা করছি। মেনু বার, টাইটেল বারের নিচের সারিতে ফাইল, এডিট, ভিউ, ইনসার্ট ফরম্যাট, টুলস, টেবিল, উইন্ডো, হেল্প ইত্যাদি লেখা বারকে মেনু বার বলা হয়। 


ফাইল, এডিট, ভিউ, ইনসার্ট ফরম্যাট, টুলস, টেবিল, উইন্ডো, হেল্প এগুলো হলো মেনুর নাম। প্রত্যেকটি ম্যানর অধীনে অনেকগুলো কমান্ড অপশন বা সাবমেনু থাকে। মাউস পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করলে কিংবা Alt চেপে মেনুতে আন্ডারলাইনকৃত অক্ষর চাপলে ওই সকল মেনু ওপেন হয়।
এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত

ওয়ার্কশীট ফাইল সংরক্ষণ এবং ওপেন করাঃ

১. মাইক্রোসফট এক্সেল প্রোগ্রাম চালু করে ফাইল মেনু থেকে নিউতে ক্লিক করে নতুন ওয়ার্কশীট ওপেন করুন।
২. ছেলে প্রয়োজনীয় অংশ টাইপ করে ওয়ার্কবুক তৈরি করুন।
৩. এবার ফাইল মেনুতে গিয়ে সেভ এ ক্লিক করুন।
৪. তাহলে ডায়লগ বক্স দেখাবে।
৫. ডায়লগ বক্সের লুক ইন/ডায়লগ বক্সে ফাইল ফোল্ডার লোকেশন নির্বাচন করুন।
৬. ফাইল নেম বক্সে আপনার পায়েলের নাম লিখে সেভ বাটনে ক্লিক করুন।
৭. তাহলে আপনার লিখিত ওয়ার্কশীটটি সিলেক্টেড ড্রাইভের অধীনে সিলেক্টেড ফোল্ডারে সিলেক্টেড নামে সেভ হয়ে যাবে।।
এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত

স্প্রেডশিট, ওয়ার্ক বুক ও ওয়ার্কশীটঃ

হিসাব নিকাশ করার জন্য ব্যবহৃত সারী এবং কলামের সমস্ত বিন্যাসকে এবং প্রোগ্রামটিকে স্ট্রেডশিপ বলা হয়। এ সকল স্প্রেডশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে যোগ, বিয়োগ, গুণ, ভাগ, শতকরা হিসাব, গড়, সুদ সহ ইত্যাদি জটিল হিসাব নিকাশ খুব দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে করা সম্ভব। বহুল ব্যবহৃত এবং পরিচিত কয়েকটি স্প্রেডশিট প্যাকেজ হলো- লোটাস ১-, ২- ৩, মাইক্রোসফট এক্সেল, কোয়ার্ট্রোপ্রো ইত্যাদি।


আপনি যদি মাইক্রোসফট এক্সেল প্রোগ্রামে কাজ করতে চান তাহলে আপনাকে একটি ওয়ার্ক বুক ওপেন করতে হবে। এই ওয়ার্ক বুকে প্রয়োজনীয় ওয়ার্কশীট ব্যবহার করে কাজ করতে হবে। বৃহৎ স্প্রেডশিটের প্রতিটি পাতাকে এক একটি ওয়ার্কশীট বলা হয়। নিম্নে একটি অংশ দেখানো হলো।
এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত

স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম এর বৈশিষ্ট্য এবং ব্যবহারঃ

  • স্প্রেডশিট প্রোগ্রামে কোন একটি সংখ্যাকে পরিবর্তন করা হলে ওই সংখ্যার সাথে সম্পর্কিত সকল সংখ্যা অটোমেটিক পরিবর্তিত হয়ে নতুন ভাবে তৈরি হয়।
  • হিসাব নিকাশের ক্ষেত্রে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে করতে চাইলে করা সম্ভব।
  • স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম ব্যবহার করে এই প্রোগ্রামের শাড়ি এবং কলাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের হিসাব নিকাশ করা সম্ভব।
  • বিভিন্ন ধরনের হিসাব নিকাশ এবং উপাত্ত ব্যবস্থাপনা ছাড়াও প্রোগ্রামের মাধ্যমে লেখচিত্র তৈরি করা যায়।
  • এছাড়াও স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আয় এবং ব্যয়ের বড় বড় হিসাব নিকাশ তৈরি করার জন্য।
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের জন্য কিংবা তৈরির জন্য স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়।
  • আয়কর এবং অন্যান্য হিসাবের কাজেও স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম ব্যবহার করা হয়।

মাইক্রোসফট এক্সেল এর প্রধান কিছু অংশঃ

এক্সেল এর আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করতো তার জন্য ওয়ার্ক সিটের প্রধান অংশগুলো হল ওয়ার্কশিট উইন্ডো, সেল, সারি, কলাম, সক্রিয় ঘর নির্দেশক, এড্রেস বার ইত্যাদি।

স্প্রেডশিট উইন্ডোঃ

  • ঘরঃ ওয়ার্ক সিটের প্রতিটি আয়তকার অংশকে এক একটি ঘর বা সেল বলে। একটি ওয়ার্কশিটে প্রায় ৪০ লক্ষাধিক ঘর থাকে।
  • সারিঃ ওয়ার্কশীটের এর বাম দিক থেকে ডান দিক পর্যন্ত ছোট ছোট ঘরগুলোকে একত্রে সারি বলা হয়। প্রত্যেক সারিকে ইংরেজি সংখ্যা 1,2,3 ইত্যাদি সংখ্যা দ্বারা চিহ্নিত করা হয়ে থাকে।
  • কলামঃ ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত বিস্তৃত যে ঘরগুলো রয়েছে তাদের সমষ্টিকে কলাম বলা হয়। প্রত্যেকটি কলাম কে একটি ইংরেজি বর্ণ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। যেমন- A কলাম, B কলাম, C কলাম, D কলাম, E কলাম ইত্যাদি। প্রতিটি ওয়ার্কশীতে ২৫৬ টি কলাম থাকে।
  • ঘরের অবস্থানঃ কলাম এবং সারি সংযোগস্থলে যে ঘরটি রয়েছে তাকে ওই ঘরের অবস্থান বলা হয়।


           যেমন- C কলাম কে 2 নম্বর সারি সংযোগস্থানে অবস্থিত ঘরটিকে C2, D কলামে 5 নম্বর সারি                      সংযোগস্থানে অবস্থিত ঘরটিকে D5 বলা হয়ে থাকে।
  • অ্যাক্টিভ ঘরঃ লেখার জন্য উপযুক্ত ঘরটিকে একটিভ ঘর বা সক্রিয় ঘর বলা হয়। যে ঘরটির ওপর মাউস পয়েন্টার দিয়ে ক্লিক করলে ওই ঘরটি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
  • সক্রিয় ঘর নির্দেশকঃ ওয়ার্কশীটের যে সক্রিয় ঘর রয়েছে তার পরিচয় বা অবস্থান প্রদর্শনকারী ঘরটিকে সক্রিয় ঘর নির্দেশক বলা হয়ে থাকে।
  • ফর্মুলা বারঃ যেবার সক্রিয় ঘরের বিষয়বস্তু প্রদর্শনকারী বনভূমিক লম্বভাবে অবস্থান করে তাকে ফর্মুলা বার বলা হয়।

উপসংহারঃ

প্রিয় পাঠক আজকে আমরা এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত সে সম্পর্কে জানলাম। আশা করি আজকের এই আলোচনার আলোচ্য বিষয় এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত থেকে আপনারা অনেক কিছুই শিখতে পারলেন। আজকের এই এক্সেলের আগে স্প্রেডশিট কিভাবে কাজ করত বিষয়গুলো জানার পরে আশা করি 

আপনারা এগুলো আপনাদের বাস্তব জীবনে কাজে লাগাতে পারবেন। আজকের এই পোস্টটি পড়ে আপনাদের উপকার হলে অবশ্যই সোশ্যাল মিডিয়া শেয়ার করতে ভুলবেন না। 25790

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url