স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি
স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন। অনেকেই স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি, সেগুলো জানে না। এই পোস্টটিতে বিস্তারিত বর্ণনা করা হবে যে, স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি?
স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি, সব এখানে তুলে ধরা হবে। পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন এবং জেনে নিন - স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি?
পেজ সূচি:
ভূমিকা:
স্মার্ট টিভি বতর্মানে বেশিরভাগ মানুষের প্রথম চয়েজ। একটি সাধারণ টিভির তুলনায় স্মার্ট টিভি অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য এবং ফাস্ট। আপনি স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি জানতে পারলে এটা বুঝে যাবেন যে, কেন স্মার্ট টিভি সবার এত প্রিয়। চলুন স্মার্ট টিভি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিবো এবং স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি, সেগুলোও জেনে নিবো।
স্মার্ট টিভি কি?
প্রথমেই স্মার্ট টিভি কি, এটা সম্পর্কে বেসিক ধারনা রাখা দরকার। স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি, সেগুলো জানার আগে স্মার্ট টিভি সম্পর্কে জানা জরুরী।
সাধারণ টিভিকে কিন্তু স্মার্ট টিভি বলা যাবে না। তবে বিশেষ একটি অপারেটিং সিস্টেম(OS) ইন্সটল করে সাধারণ টিভিকে স্মার্ট টিভিতে রূপান্তরিত করা যায়। স্মার্ট টিভি দিয়ে ইন্টারনেট চালানোর সুবিধা এবং এটাতে বর্তমান সময়ের স্মার্ট ডিভাইসের সুবিধাগুলো পাওয়া যায়। এতে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ থাকে।
আরো পড়ুন: কম্পিউটার মনিটর ও টিভির পার্থক্য জেনে নিন
স্মার্ট টিভিতে স্কাইপে, টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব ইত্যাদি ব্যবহার করা যায়। স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি সেগুলো জানলে এটার আরো কিছু চমকপ্রদ ফিচার আপনার সামনে আসবে। এতে ওয়াই-ফাই বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুবিধাও থাকে। মার্কেটে সাধারণত এন্ড্রয়েড ও ওয়েব ওএস অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্ট টিভি পাওয়া যায়।
স্মার্ট টিভির বৈশিষ্ট্য:
স্মার্ট টিভি কি, সেটা সম্পর্কে জানলেন। এবার স্মার্ট টিভির চমৎকার কিছু ফিচার সম্পর্কে জানা আবশ্যক। স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি, সেটা জানার পাশাপাশি এটার ফিচারগুলো সম্পর্কে ধারনা থাকা দরকার। স্মার্ট টিভির ফিচার বা বৈশিষ্ট্যগুলো নিম্নোক্ত-
- স্মার্ট টিভিতে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
- স্মার্ট টিভি বলতে যে টেলিভিশন দিয়ে ইন্টারনেট চালানোর সুবিধা এবং এর মাধ্যমে বর্তমান সময়ের স্মার্ট ডিভাইসের সুবিধা পাওয়া যায় তাই বোঝায়।
- এতে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ থাকে।
- আপনি চাইলে স্কাইপে, টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহার করতে পারবেন।
- স্মার্ট টিভিতে ওয়াই-ফাই বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করার সুবিধা থাকে।
- ইউএসবি পোর্টের মাধ্যমে আলাদা যন্ত্র থেকে ভিডিও চালানোর সুবিধা অন্যতম বৈশিষ্ট্য এই স্মার্ট টিভির।
- স্মার্ট টিভিতে বিভিন্ন কাজের বিশেষ ধরনের অ্যাপ ব্যবহার করার সুযোগ থাকে। যেমন: ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, বিবিসি আইপ্লেয়ার ইত্যাদি।
- শুধু কাজের অ্যাপই নয়, বিভিন্ন বয়সী ব্যবহারকারীর কথা মাথার রেখে বিভিন্ন গেম খেলারও সুযোগ থাকে স্মার্ট টিভিতে।
- জনপ্রিয় বিভিন্ন গেমের স্মার্ট টিভি সংস্করণও পাওয়া যায়।
- আলাদা অ্যাপ অথবা সরাসরি মূল স্মার্ট টিভির অংশ হিসেবে সম্প্রচারিত বিভিন্ন অনুষ্ঠান রেকর্ড করে পরে অন্য সময়ে দেখার সুযোগ থাকে।
- ইশারা বা কথার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের সুযোগ থাকে স্মার্ট টিভিতে।
- স্মার্ট টিভিতে ভয়েস কমান্ড সমর্থন করে থাকে। সম্প্রতি স্কাইপের মাধ্যমে অডিও ও ভিডিও কল করার সুযোগসমৃদ্ধ স্মার্ট টিভিও বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি?
স্মার্ট টিভির বৈশিষ্ট্যগুলো তুলে ধরার পর এবার এটার সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিবো। সবকিছুর তুলনামূলক বিচার-বিশ্লেষণ করে আপনি সিদ্ধান্ত নিবেন যে, আপনি স্মার্ট টিভি কিনবেন নাকি অন্য কোনো নতুন মডেলের টিভি কিনবেন? স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি, সেগুলো তুলে ধরবো। প্রথমে স্মার্ট টিভির সুবিধাগুলো তুলে ধরছি-
- OLED এবং QLED প্যানেলগুলি সাধারণত খুবই উচ্চমানের।
- ছবির গুণগত মান অনেক উন্নত এবং এটার ডিসপ্লে সাধারণনত LED বা LCD তে পাওয়া যায় না।
- স্মার্ট টিভির রেজোলিউশন খুব উন্নত মানের।
- এর ভিজ্যুয়াল স্বচ্ছ এবং হাইকোয়ালিটির ছবি প্রদর্শন করে।
- স্মার্ট টিভিতে এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়।
- স্মার্ট টিভিতে ইন্টারনেট চালানোর সুবিধা এবং এর মাধ্যমে বর্তমান সময়ের স্মার্ট ডিভাইসের সুবিধা পাওয়া যায়।
- এতে ইন্টারনেটভিত্তিক বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারের সুযোগ থাকে। স্কাইপে, টুইটার, ফেসবুক, ইউটিউব ব্যবহার করা যায়।
- আপনার এন্ড্রয়েড ফোনের যদি ইন্টারফেস চেঞ্জ করে টিভি তে মনিটর এ কানেক্ট করে দেন এবং রিমোট দিয়ে ইউস করেন তাহলেও খুব সহজে আপনি স্মার্ট টিভি পেয়ে যাচ্ছেন।
স্মার্ট টিভির স্মার্ট ফিচার ও সুবিধাগুলোও যেনো বেশ স্মার্ট হয় বটে! যাই হোক্। যেকোনো জিনিসের সুবিধার পাশাপাশি এর কিছু অসুবিধাও থাকে। স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করছি। এবার স্মার্ট টিভির অসুবিধাগুলো তুলে ধরছি-
- আপনি নিয়ন্ত্রণ প্যানেল ব্যবহার করে ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে পারেন। কিন্তু অন-স্ক্রিন কীবোর্ডে অক্ষরগুলি টাইপ করার বেশ ঝামেলাপূর্ণ।
- টিভিতে ইনস্টল করা গেমগুলি রিমোট কন্ট্রোল থেকে নিয়ন্ত্রণ করা সুবিধাজনক নয়। এগুলি দ্রুত অচল হয়ে যায়।
- এমনকি ইন্টারনেট থাকা সত্ত্বেও এটি সহজে চালু হয় না। এটি রাউটার স্লো সিগন্যালের কারণে হতে পারে। আপনাকে অতিরিক্তভাবে একটি ওয়াই-ফাই রাউটার কিনতে হবে।
- কিছু সাইট টিভির অপারেটিং সিস্টেমের কারণে নাও Open হতে পারে।
- টিভির OS অনেকগুলি ফরম্যাটকে নাও চিনতে পারে বা অডিও বা ভিডিও সমস্যা থাকবে। অতিরিক্ত প্রোগ্রাম ডাউনলোড করা সর্বদা সম্ভব নয়।
- স্কাইপের মাধ্যমে যোগাযোগের জন্য আপনাকে সম্ভবত একটি ওয়েবক্যাম কিনতে হবে।
- এই জাতীয় ডিভাইসগুলি প্রচলিত সরঞ্জামগুলির চেয়ে অনেক বেশি ব্যয়বহুল।
পরিশেষে:
স্মার্ট টিভি কি, এটার বৈশিষ্ট্যগুলো জানলেন। স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি, সেগুলোও তুলে ধরলাম। বর্তমানে ঘরে একটা স্মার্ট টিভি থাকলে আপনার নিজের প্রতি একরকম ভালো ফিল আসবে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা উচিৎ। অবশ্যই সেটা নিজের সাধ্যের মধ্যে থেকে। তাই স্মার্ট টিভির সুবিধা-অসুবিধা কি কি সেগুলো সব জেনে আপনি একটি স্মার্ট টিভি কেনার পরিকল্পনা করতে পারেন।
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url