ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায় সবারই জানা দরকার

 প্রিয় পাঠক আপনি কি জানেন ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায়? যদি না জেনে থাকেন  তাহলে আমার এই পোস্টের সঙ্গেই থাকুন।অনেকেই জানেনা যে ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায়।

তাই আমি আজকে আলোচনা করব ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায়।চলুন তাহলে সময় নষ্ট না করে শুরু করা যাক ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায় তা আলোচনা করি।

ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায়: 

আসলে মানুষ কখন মারা যাবে বা কখন মানুষের মৃত্যু হবে তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল।তবে 80mg/dl এর নিচে অথবা 800mg/dl এর বেশি হলে যেকোনো সময় মানুষ স্ট্রোক করে মৃত্যু হতে পারে।আবার অনেক সময় মানবদেহে অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে যে কোন অঙ্গ যেমন-

আরো পড়ুন: রাতে শসা খেলে কি হয়- শসা খাওয়ার নিয়ম

কিডনি, হাট, স্নায়ু ইত্যাদি অকেজো হতে পারে। যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর মৃত্যু হতে পারে। স্বাভাবিক ডায়াবেটিস প্রত্যেক মানুষেরই আছে।  তবে কারো কম, কারো বেশি ও কারো স্বাভাবিক। ডায়াবেটিস প্রত্যেক মানুষের শরীরে থাকবেই। যাদের খুবই কম ডায়াবেটিস তারা খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না নিলে ওই রোগীর তাড়াতাড়ি মৃত্যু হতে পারে। 

আবার যাদের খুব বেশি ডায়াবেটিস তাদেরও খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা না নিলে তাড়াতাড়ি মৃত্যু হতে পারে। কাজেই এটা বলা মুশকিল যে ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষের মৃত্যু হবে। আসলে একচুয়াল ভাবে বলা যায় না যে কখন কার মৃত্যু হবে। কারণ হায়াৎ এবং মৃত্যু নির্ভর করে আল্লাহর উপর। তারপরেও রোগীর অবস্থা বুঝে হয়তো অনুমান করা যায় যে অল্প সময়ের মধ্যেই ওই রোগী মারা যেতে পারে।

ডায়াবেটিস কি এবং কত প্রকার: 

ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায়। একথা জানার আগে ডায়াবেটিস কি এবং ডায়াবেটিস কত প্রকার তা আমাদের জানা দরকার।আমাদের শরীরে এক প্রকার হরমোন থাকে যার নাম হচ্ছে ইনসুলিন। এই ইনসুলিন যখন আপনার শরীরে প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে।

এবং সঠিকভাবে কাজ করবে না তখনই বুঝতে হবে আপনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ।ডায়াবেটিস হলো এমন এক অবস্থা যখন নিজে থেকে আমাদের শরীরে ইনসুলিন তৈরি করতে পারেনা ।এর ফলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয়। মাঝে মাঝে আমাদের ডাক্তারের নিকট থেকে ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত।

ডায়াবেটিস দুই প্রকার একটি হলো টাইপ 1, আর একটি হল টাইপ 2।ডায়াবেটিসের ধরন হল টাইপ1এবং টাইপ2। এছাড়া অন্যান্য ধরনেরও ডায়াবেটিস হতে পারে। যেমন- গর্ভকালীন ডায়াবেটিস, নিউনাটাল ডায়াবেটিস ,জেসটেসানাল ডায়াবেটিস ইত্যাদি। 

আসলে ডায়াবেটিস যে ধরনেরই হোক না কেন এটি সন্দেহ হলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের নিকট পরীক্ষা করে চিকিৎসা নেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ডাক্তারের কাছে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের যে নিয়ম গুলা আছে সেগুলো মেনে চলেল ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।।

ডায়াবেটিসের লক্ষণ-টাইপ 1 ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ:

ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায় তা জানতে ডায়াবেটিসের লক্ষণসমূহ কি কি তা আমাদের জানা জরুরী কারণ ডায়াবেটিস আপনার আছে কিনা লক্ষণসমূহ বুঝতে পারলে বা জানতে পারলে সহজেই ডায়াবেটিস মোকাবেলার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া যাবে। 

আরো পড়ুন: হাঁটু ব্যাথার কারণ কি কি এবং এর প্রতিকার করার উপায় সমূহ জানুন

আবার ডায়াবেটিস আছে কিনা জানতে পারলে তাড়াতাড়ি ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে। টাইপ ওয়ান ডায়াবেটিসের সূত্রপাত খুব দ্রুত ঘটে এবং নিম্নের লক্ষণ গুলি বা উপসর্গ গুলো হঠাৎ দেখা দিতে পারে। যেমন- দ্রুত ওজন কম হওয়া ,প্রচন্ড পিপাসা পাওয়া, প্রচন্ড ক্ষুধা লাগা, শরীর অনেক দুর্বল, 

চোখে ঝাপসা দেখা, পেটে ব্যথা ,বমি বমি ভাব ,ঘন ঘন প্রস্রাব ,শরীরের চুলকানি ,অল্পতেই গন্ধ পাওয়া শরীরে ঘা শুকাতে দেরি হওয়া, ত্বক স্বাভাবিকের চেয়ে শুষ্ক হওয়া এ সমস্ত উপসর্গ বা লক্ষণসমূহ দেখা দিলে যে আপনার ডায়াবেটিস হয়েছে তা নয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের নিকট পরীক্ষা করতে হবে যে আপনার ডায়াবেটিসের এর মাত্রা কত পয়েন্ট হয়েছে। 

টাইপ 2 ডায়াবেটিসের লক্ষণ সমূহ:

 টাইপ 2 ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলোর মধ্যে রয়েছে তীব্র তৃষ্ণা, অতিরিক্ত প্রশ্রাব, ক্ষতস্থান সহজে সারে না, দ্রুত ওজন কমে যাওয়া, মূত্রনালী সংক্রমণ, চোখে ঝাপসা দেখা, মাথাব্যথা ও মাথা ঘোরা, বগল ও ঘাড়ের নিচে কালচে ছাপ বা দাগ, হাতে পায়ে ঝিন ঝিন ইত্যাদি লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের নিকট ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে আপনার ডায়াবেটিসের পয়েন্ট কত হয়েছে। 

যদি স্বাভাবিকের চেয়ে কম হয় অথবা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হয় তাহলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে হবে।তা কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। ডায়াবেটিস আসলে পুরোপুরি ভালো হয় না ।তবে নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। টাইপ টু ডায়াবেটিসের লক্ষণ গুলি টাইপ 1 ডায়াবেটিসের মতোই। 

কিন্তু টাইপ টু এর সূত্রপাত ধীরগতিতে হয়। ডায়াবেটিস আক্রান্ত প্রায় 90% এর বেশি টাইপ ২ ডায়াবেটিস হয়ে থাকে। টাইপ টু ডায়াবেটিস সাধারণত 35 বছর বয়সের পরে প্রকাশ পেতে পারে।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে কি ধরনের সমস্যা হয়:

ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায় তা জানার আগে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হলে কি কি ধরনের মারাত্মক রোগ হতে পারে তা আমাদের জানা জরুরী ।যেমন- মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়, অন্ধ হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে, কিডনি নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে, শরীরের কাঁটা বা ক্ষতস্থান পছে যেতে পারে, 

শরীর তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যেতে পারে ইত্যাদি সমস্যা হলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে চলতে হবে।অথবা যে সমস্ত ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের নীতিমালা রয়েছে তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে। নইলে এই ধরনের বড় রোগের জন্য খুব তাড়াতাড়ি মৃত্যু হতে পারে। 

ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে স্বাভাবিক বা নরমাল: 

ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায় এবং ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে স্বাভাবিক বা নরমাল ধরা হয়। তাও আমাদের জানার দরকার তা না হলে আপনি ডায়াবেটিস কন্ট্রোল বা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। চিকিৎসকদের মতে, একজন সুস্থ মানুষের জন্য খালি পেটে ৪.৬ হলো স্বাভাবিক বা নর্মাল।আবার কারো কারো মতে খালি পেটে ৫.৭পর্যন্ত হলো নর্মাল বা স্বাভাবিক মাত্রা। 

৫.৭ থেকে ৬.৪ হলো ডায়াবেটিসের প্রারম্ভিক অবস্থা। আবার খাবারের পরে পরীক্ষা করলে ৮ পয়েন্ট এর নিচে হলে নরমাল। ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য খালি পেটে ৪.৭ হলো নর্মাল ও খাবারের পর ৮- ৯ পয়েন্ট হলো নরমাল। তাই খাবারের পর ৮ থেকে ৯ পয়েন্ট এর বেশি হলে তবে তার ডায়াবেটিস ধরা হয়। 

আর খাবারের আগে বা খালি পেটে যদি গ্লুকোজের মাত্রা ৭ পয়েন্ট এর বেশি হলে ডায়াবেটিস আছে ধরা হয় হয়।যদি আপনার ডায়াবেটিস ধরা পড়ে তাহলে তাড়াতাড়ি চিকিৎসকের নিকট গিয়ে পরামর্শ নিতে হবে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখার ঘরোয়া উপায়:

যে সমস্ত জিনিস খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ থাকে। যেমন- করলা জাম, আদা, আমলকি ইত্যাদি খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখা যায়। ডায়াবেটিস প্রতিরোধের উপায় সফলভাবে জানা না গেলেও কিছু কাজের মাধ্যমে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করা সম্ভব। এক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ৯০ মিনিট ব্যায়াম বা পরিশ্রম করলে ডায়াবেটিস ২৮ পার্সেন্ট রোধ হয়ে যায়।

আরো পড়ুন: ঠাকুরগাঁ জেলার বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গের নাম

আরো কিছু উপায় অবলম্বন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। যেমন- ব্যায়াম করা,খাদ্য অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো, রাত না জাগা, ভেজাল খাদ্য পরিহার করা,সময় মতো খাবার গ্রহণ করা,নেশা জাতীয় বা ধূমপান না করা, চর্বি বা ফ্যাট জাতীয় খাদ্য পরিহার করা,কোমল পানীয় পরিত্যাগ করা,সঠিক ঘুম, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ইত্যাদি।

ডায়াবেটিস পয়েন্ট কত হলে ইনসুলিন দরকার: 

ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায় তা সঠিকভাবে বলা মুশকিল।আসলে ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে ইনসুলিন দিতে হয় তা আমাদের জানা দরকার।আপনার রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ যদি ১৬. ৭ মিলিমোল বা ৩০০ গ্রাম/ডেসিলি এর বেশি হয় তবে ইনসুলিন নিতে হবে। 

আবার যদি গড়ে গ্লুকোজের পরিমাণ এইচবিএ১সি ১০%এর বেশি হয় তাহলে ইনসুলিন দেওয়া দরকার।তবে  চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়াবেটিসের ধরন বুঝে ইনসুলিন নিলে বা ব্যবহার করলে ভালো হয়।

ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা :

পৃথিবীর কোন দেশে এখন পর্যন্ত ডায়াবেটিস রোগের তেমন কোন চিকিৎসা বা ঔষধ আবিষ্কার হয়নি। ডায়াবেটিস নির্মূল করার ঔষধ পাওয়া যায় নি ।তবে কিছু নিয়ম কানুন ,কিছু খাদ্য ঔষধ সেবন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় । অধিক মাত্রায় ডায়াবেটিস ধরা পড়লে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ইনসুলিন দেওয়া যেতে পারে। রক্তের শর্করার হার যদি ১৬.৭ মিলিমোল এর বেশি হয় তাহলে ইনসুলিন দেওয়ার দরকার। 

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কিছু খাবার: 

কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে ডায়াবেটিস পুরোপুরি ভালো হবে না।তবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে।যেমন-

  •  প্রতিদিন একই রকমের খাবার না খেয়ে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে হবে।
  •  লাল চালের ভাত খেতে হবে।
  • লাল আটার রুটি খেতে হবে।
  •  সময়মতো খাবার খেতে হবে। 
  • সকালের নাস্তা দুপুরের ও রাতের খাবার ঠিক সময় খেতে হবে।
  •  ফলমূল ও শাকসবজি প্রোটিন খাবার যেমন- ডিম ,মাছ, সীম খেতে হবে।
  • দুগ্ধজাত খাবার যেমন টক দই ,পোনির খেতে হবে।
  • এছাড়া ডায়াবেটিস রোগীরা কি ধরনের ফল খেতে পারেন যেমন-বাঙ্গি ,জাম্বুরা, খেজুর ইত্যাদি ।
  • শাকসবজি খিচুড়ির সাথে গাজর, মটরশুটি, বরবটি।
  •  কম শর্করা যুক্ত শাক সবজি হিসাবে শসা, পালং শাক, ফুল কপি বাঁধাকপি ,ব্রুকলি খাওয়া যেতে পারে ।
  • এছাড়া বরই ও তরমুজ খাওয়া যেতে পারে। 
  • শসা ,বেগুন, টমেটো ও সবুজ শাকসবজি খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
  • বাদাম, মটর দানা ,সকল আঁশ  জাতীয় খাবার খেতে হবে।
  •  যদি আপনি চা খান তাহলে চিনি ছাড়া হারবাল চা খেতে পারেন। মুরগির মাংস, কোয়েল পাখির মাংস, কবুতরের মাংস খাওয়া যেতে পারে বা খেলে ভালো হয়।
  •  প্রচুর পরিমাণ পানি খেতে হবে 
  • প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ থেকে ২০ গ্রাম কাঁচা পেঁয়াজ খান কারণ পেয়াজে হজমে ও ডায়াবেটিসের জন্য মুত্রবর্ধক ঔষধ হিসেবে কাজ করে।

ডায়াবেটিস ধরা পড়লে কি কি খাওয়া যাবেনা:

 ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যায় তা আমি এতক্ষন বিস্তারিত আলোচনা করেছি। হয়তো আপনি জানতে পেরেছেন ডায়াবেটিস কত হলে মানুষ মারা যেতে পারে। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে কি কি খাওয়া যাবেনা তাও আমাদের জানার দরকার। কারণ যদি না জানি তাহলে ডায়াবেটিস কন্ট্রোল করা বা নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না।তাই প্রথমে যেটা খাওয়া যাবে না সেটা হল -

যেমন-

  • চিনি যুক্ত সব খাবার খাওয়া যাবে না ।
  • শর্করা খাবার যেমন- ভাত, রুটি ইত্যাদিতে চিনি কম থাকার কারণে খাওয়া যাবে। তবে সীমিত বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে খেতে হবে।
  •  তবে এগুলোর পরিবর্তে লাল চালের ভাত ,লাল আটার রুটি খাওয়া উচিত ।
  • প্রোটিন খাবার যেমন- গরুর মাংস, ভেড়ার মাংস, উচ্চ প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে ক্ষতি হতে পারে। তাই এই সব খাবার না খেয়ে শীম, বাদাম খেলে প্রোটিন পাওয়া যাবে।
  •  দুগ্ধ জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না কারণ এতে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন থাকলেও গ্লুকোজ লেভেল বৃদ্ধি হতে পারে।
  • সাদা আটার রুটি বা পাউরুটি না খাওয়াই ভালো কারণ সাদা আটাতে থাকে উচ্চমাত্রার শ্বেতসার।
  •  আলুতে রয়েছে উচ্চ মাত্রার শ্বেতসার  বা উচ্চমাত্রার গ্লাইসেমিক উপাদান ।এই উপাদান ডায়াবেটিসের মাত্রা বাড়ায়। তাই আলু না খাওয়াই ভালো ।
  • মিষ্টি জাতীয় কোন কিছুই ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়া যাবে না কারণ মিষ্টি খেলে ডায়াবেটিস হঠাৎ করে বেড়ে যেতে পারে ।
  • এনার্জি ড্রিংকস এর মধ্যে কৃত্রিম মিষ্টি দ্রব্য থাকে তাই এই পানীয় ডায়াবেটিস রোগীদের না খাওয়াই ভালো।
  •  কিসমিস এবং এই ধরনের শুকনো খাবারে প্রাকৃতিক চিনি ও ক্যালরি থাকার কারণে এগুলো খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকারক।
  •  ফলের জুসের মধ্যে গ্লুকোজের মাত্রা বেশি থাকে। তাই এ ধরনের জুস এড়িয়ে চলতে হবে ।
  • ভূট্টাতে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও আঁশ।এটি বেশি খেলে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ।তাই এটি এড়িয়ে চলতে হবে ।
  • কাঁচা লবণ খাওয়া যাবে না।
  • বেশি ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার খাওয়া উচিত নয়।
  •  ফল খেতে হবে সীমিত পরিমান বা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে। 

উপসংহার: 

পৃথিবীতে প্রতিদিনই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই রোগ পুরোপুরি কখনোই ভালো হয় না।যত প্রকার উন্নত চিকিৎসা আছে সব চিকিৎসা নিলেও ১০০% সারবে না। তবে এই রোগ খাওয়া দাওয়া, ব্যায়াম ,সঠিকভাবে ঘুমানো ইত্যাদি সঠিকভাবে পালন করলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তাই ডায়াবেটিস ধরা পড়লে সঠিক নিয়মকানুন মেনে না চললে বা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিসের কারণে আরো জটিল রোগ হতে পারে। 

যেমন- কিডনি, লিভার ,হার্টঅ্যাটাক ইত্যাদি। এবং এই সমস্ত রোগের কারণে খুব তাড়াতাড়ি রোগীর মৃত্যু হতে পারে। আশা করছি পোস্টটি পড়ে আপনি অনেক উপকৃত হয়েছেন এবং জানতে পেরেছেন যে ডায়াবেটিস কত পয়েন্ট হলে মানুষ মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।  পোস্টটিতে মন্তব্য করুন এবং যদি কোন পরামর্শ থাকে তাহলে আমার সঙ্গে শেয়ার করতে পারেন ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url